Sunday, June 22, 2014

লাভ জিহাদের শিকার



আপনাদের মনে আছে ডাঃ নন্দিতা সিনহার কথা ।বাংলাদেশের সব গুলো প্রধান পত্রিকা যাকে নিয়ে সংবাদ দিয়েছিল।লাভ জিহাদের শিকার এই মহিলা নন্দিতা সিনহা থেকে হলেন নন্দিতা আহ্মেদ।তাতে লাভ কি হল??কি পেলেন তিনি?? পাঁচ বছর তার স্বামী জুলফিকার নামক নরপশু ঘরে বন্দি করে রেখেছিল। দুটি সন্তান থাকা স্বত্বেও বিয়ে করে আবার বাড়ির কাজের মেয়েকে। ঔশুধ খায়িয়ে নন্দিতাকে পাগল বানানোর চেষ্টা করে তার স্বামী।

প্রেম থেকে পরিণয়। তার পর ২০ বছরের দীর্ঘ সংসার জীবন এই চিকিৎসক দম্পতির। দুটি সন্তানও বড় হয়েছে; কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে ইনজেকশন পুশ করে মানসিক রোগী বানিয়ে দিনের পর দিন ঘরের চার দেয়ালে বন্দি করে রাখেন স্বামী। একাধিক প্রহরী বসিয়ে স্ত্রীকে বন্দিদশায় রেখে এক মাস আগে স্বামী যান হজ পালন করতে সৌদি আরবে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ নগরীর মিরের ময়দান কেওয়াপাড়ার (পড়শী-২০১) বন্দিদশা থেকে এই চিকিৎসক মহিলাকে উদ্ধার করেন। তার স্বামী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদ জামী। ডা. নন্দিতা কয়েক বছর আগে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনার সত্যতাও পাওয়া গেছে। ডা. নন্দিতাকে দিনের পর দিন বন্দি রেখে ইনজেকশন পুশ করা হতো। ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ একাধিক প্রহরীবেষ্টিত গেট তালাবদ্ধ অবস্থা দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে তার ভাইদের কাছে তুলে দিয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তিলপাড়ার বাসিন্দা চিকিৎসক নন্দিতা সিনহা ১৯৮৬ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেন নগরীর কেওয়াপাড়ার বাসিন্দা ডা. জুলফিকার আহমদ জামীকে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার নাম হয় নন্দিতা আহমেদ। নন্দিতার ভাই বিজিত সিনহা সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, তার বোনকে নিজ বাড়িতেই বন্দি করে রেখে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।
এ অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ কেওয়াপাড়ার ওই বাসায় যায়। তারা পাহারাদার সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে ভাইদের হাতে তুলে দেয়। রাতে নন্দিতা জানান, ৫ বছর ধরে তাকে বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখতেন ডা. জুলফিকার। তার ওপর চালানো হতো নির্যাতন। ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে রাখা হতো তাকে। তসলিমা নামের এক গৃহকর্মীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তার স্বামী। ৭ বছর আগে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেন। ওই দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ডা. জুলফিকার আহমেদ জামীর দুই সন্তানও রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডা. জুলফিকার সিলেট হরিপুরের ফতেহপুর গ্রামে নিয়ে রেখেছেন বলে জানান ডা. নন্দিতা সিনহা। তিনি বলেন, তার ২০ বছরের ববি নামে এক ছেলে রয়েছে। আর মেয়ের বয়স ৭ বছর। ছেলে ববি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের ২০ বছরের ছেলেকেও তার স্বামী মাদকাসক্ত আখ্যা দিয়ে নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র 'প্রতিশ্রুতি'তে ভর্তি করে দেন। তবে তার ছেলে মাদকাসক্ত নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ধর্মান্তরিত হউয়া সব হিন্দু মেয়ের কপালে এমন ভাগ্যই লেখা থাকে ।বরং আরও খারাপ ও হতে পারে। অনেক মেয়েই আছে পরবর্তী তে যাদের স্থান হয়েছে পতিতা পল্লিতে।ধরমান্তরিত হিন্দু মেয়েরা বাবা মা কে কষ্ট দিয়ে সুখি হবে না একথা ১০০ ভাগ প্রমানিত। এ সকল উদাহরন দেখে কি মেয়েরা শিক্ষা নেবে।

নন্দিতার মতই অনেক মেয়েই আজকাল লাভ জিহাদের কবলে পড়ে এমন দুর্দশায় পড়ছে। বয়সন্ধিক্ষনের রঙ্গিন সময়ে মেয়েরা এই ফাঁদে পড়ে এবং সারা জীবন এই প্রতারণার কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়।একটা কথা মনে রাখতে হবে। লাভ জিহাদের পরে কে লাভবান হয়। অবশ্যই মুসলিম ছেলেরা। একটা মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে যে পুণ্য সে তার পরিবার আর আশেপাশের মানুষেরা পায় তাতেই তাদের স্বর্গ নিশ্চিত হয়ে যায়।একপাশে স্বর্গ লাভ অন্যপাশে সুন্দরী নারী; এমন সহজ আর লোভাতুর সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়?অন্যদিকে মেয়ের কি লাভ হয়? তার পরিবার, বাবা মা স্বজন সবাইকে ছাড়তে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঐ সব মেয়েদের রঙ্গিন চশমা নামতে শুরু করে। পরিবারে তার অবস্থান শুধু শয্যাসঙ্গিনী, রাঁধুনি আর সন্তান উৎপাদনের মেশিন। মানে থ্রি ইন ওয়ান।তাদের জন্য বলাই আছে মেয়েরা শস্যক্ষেত্রের মত বা যেখানে একাধিক স্ত্রী রাখা বৈধ,তার সাথে অসংখ্য যৌনদাসী বৈধ,যখন তখন তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া যায়। যে সমাজে মেয়েদের কে নুন্যতম সম্মান প্রদর্শন করা হয় না সেই নরকে তার বাস করতে হয়। অনেক মেয়ে মুখ বুজে সহ্য করে মেনে নেয় অনেকে মানতে না পেরে পালিয়ে আসে। পালিয়ে আসার পর যদি তার পিতামাতা তাকে আশ্রয় না দেয় তাহলে তাদের স্থান হয় আস্তাকুড়ে, পতিতালয়ে যেখানে সারা জীবন ছিরে ছিরে খায় তাদেরকে নরপশুরা।
লাভ জিহাদ প্রতিরোধ করবেন কি করেঃ

লাভ জ্বিহাদের কালো থাবায় পিষ্ট হচ্ছে মেয়েরা, কিন্তু এই দায় কি শুধু মেয়েদের একার?

মেয়েরা ধর্মান্তরিত হচ্ছে এই দায় শুধু মেয়েদের একার নয়। কেন নয়?

উত্তরঃ
১- ভাই হয়ে কি আমরা বোনের বন্ধু হতে পেরেছি?

২- বাবা, দাদা বা কাকারা কি বন্ধুর মত আচরণ করে আমাদের ঘড়ের মেয়েদের সাথে?

৩- মেয়েরা যদি সাপোর্ট পেত তবে এই সমস্যা মহামারী আকারে দেখা যেত না। ছেলেরা ফেইসবুক ব্যবহার করছে গন হারে, কিন্তু মেয়েরা কি পারছে ব্যবহার করতে? তাহলে তাঁরা সচেতন হবে কি করে?

৪- ছেলেরা বাইরে অবাধ বিচরণ করে বলে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে বন্ধু বা বড় ভাইদের সাথে কিন্তু মেয়েরা কি পারছে সেটা করতে? গৃহ বন্ধি হয়ে কি জ্ঞান অর্জন করা যায়?

৫- পারিবারিক ধর্ম শিক্ষার অভাব আছে এটাও কিন্তু মেয়েদের দোষ নয়, পরিবারের কর্তা নিধারণ করে দিলে পারিবারিক ধর্ম চর্চা সবাই করবে এটাই সাভাবিক। তাই এই দায় ও ছেলেদের।

৬- এখানে কিছু ব্যতিক্রম থাকে যা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি না। এই ব্যতিক্রমের মুল উপাদান হলো লোভ। এই ব্যতিক্রমের হার খুব বেশি নয়। এরা বিপথে যাবে বলে জন্ম নিয়েছে তাই তাঁদের কথা ভেবে লাভ নেয়।
৭-কোন মেয়ে লাভ জিহাদের পাল্লায় পড়লে সাথে সাথে তার বাবা মা আত্মীয় স্বজন কে জানান(দরকার হলে নিজের পরিচয় গোপন করে হলেও)
সর্বপরি এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সচেতনতা তৈরি করতে হবে হিন্দু মেয়েদের মাঝে।এ বিষয়ে জীবনের শুরুতেই (অর্থাৎ বয়সন্ধি কালের শুরুতেই,বাড়ি থেকে যখন বের হয়ে গেল অর্থাৎ স্কুল, কলেজ ভার্সিটির জন্য বাইরের সাথে যোগাযোগ হল) তখনই ভাই হিসেবে বঙ্কে,বাবা হিসেবে মেয়েকে,বন্ধু হিসেবে বন্ধুকে খোলাখুলি বলুন, আলোচনা করুণ।
সমস্যার উৎস গুলি কে চিহ্নিত করা হয়েছে ঠিক আছে, যে সব স্থানে আমরা মানে ছেলেরা সচেতন হলে মেয়েরা ঐ কালো থাবা থেকে বেঁচে যেত সেগুলিকে আগে ঠিক করে পরে অন্য কিছু ভাবা দরকার। প্রায় দেখি পোষ্ট এ ঢালাও ভাবে মেয়েদের দোষী করা হয়, হয়তো অনেক ক্ষেত্রে দোষ দেওয়া যুক্তি যুক্ত। ধরে নিলাম দোষ আছে মেয়েদের তবুও কি সব দোষ সব সময় সবার সামনে উল্লেখ করতে হবে? মেয়ে সম্প্রদায়কে যদি ঢালাও ভাবে দোষ দেওয়া হয় এটা হবে চরম অন্যায়।

এই লাভ জ্বিহাদ ঠেকাতে হলে মেয়েদের কি করতে হবে তার চাইতে ছেলেদের সচেতন হতে হবে বেশি করে। ছেলেদেরকে মেয়দের বন্ধু হতে হবে,ভাইকে বোনের বন্ধু হতে হবে, বোনকে জানাতে হবে, পিতা হয়ে নিজের মেয়েকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে, বোন কে তথ্য দিতে হবে, আপনি বোনদের সাথে শেয়ার করতে লজ্জা পেলে আপনার বোন জানবে কি করে এই বিষয়ে? 


[আরো বিস্তারিত

(সূত্র

No comments:

Post a Comment