Tuesday, July 08, 2014

সহপাঠীদের দ্বারা ধর্ষিত


চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্রীকে দুই সহপাঠী ও তাদের তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এরপর নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এক আসামি ও ধর্ষণের ভিডিও রাখার অভিযোগে আরেকজনকে আটক করেছে। গতকাল রবিবার পুলিশ মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছে।


মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুন কলেজ থেকে সহপাঠী মো. আনিছুর রহমান ওরফে মানিক ও এ আর খান তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় বখাটে মো. লিটন, মো. বেলাল ও অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক। গলায় ছুরি ধরে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালায় অভিযুক্তরা। নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তাকে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে হত্যার হুমকি দেয় যুবকরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন গত ১১ জুন ওই কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাইতে যায়। অধ্যক্ষ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে ডেকে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কয়েকজন অধ্যাপকের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ সিদ্ধান্ত দেন নির্যাতিত মেয়েটি আর কলেজে আসতে পারবে না। এ ঘটনায় নীরব থাকতে হবে। অধ্যক্ষ ভিডিওচিত্রের একটি কপিও ছাত্রদের কাছ থেকে নিয়ে নেন। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির মা বলেন, 'আমরা ঘটনার পর থেকে হুমকির মুখে আছি। অভিযুক্তরা মামলা-মকদ্দমা না করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষকও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।'
কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, 'ধর্ষিতার নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে কয়েকদিন কলেজে না আসার পরার্মশ দিয়েছি। তবে সে পরীক্ষা দিতে পারবে।'
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, 'গত শনিবার ঘটনা জানার পর অভিযুক্ত এ আর খানকে আটক করা হয়েছে। তার মামাতো ভাই জিসানের কাছ থেকে রাতে ধর্ষণ ঘটনার ভিডিও করা মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে তাকেও আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে। কলেজের অধ্যক্ষ এ ঘটনার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন।'

[বিস্তারিত

(সূত্র


------------------------------------------------------------------------

এ সম্পর্কিত আরেকটি রিপোর্ট 


বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্রীকে দুই সহপাঠী ও তাদের তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এরপর নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এক আসামি ও ধর্ষণের ভিডিও রাখার অভিযোগে আরেকজনকে আটক করেছে। গতকাল রবিবার পুলিশ মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুন কলেজ থেকে সহপাঠী মো. আনিছুর রহমান ওরফে মানিক ও এ আর খান তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় বখাটে মো. লিটন, মো. বেলাল ও অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক। গলায় ছুরি ধরে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালায় অভিযুক্তরা। নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তাকে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে হত্যার হুমকি দেয় যুবকরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন গত ১১ জুন ওই কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাইতে যায়। অধ্যক্ষ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে ডেকে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কয়েকজন অধ্যাপকের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ সিদ্ধান্ত দেন নির্যাতিত মেয়েটি আর কলেজে আসতে পারবে না। এ ঘটনায় নীরব থাকতে হবে। অধ্যক্ষ ভিডিওচিত্রের একটি কপিও ছাত্রদের কাছ থেকে নিয়ে নেন। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির মা বলেন, 'আমরা ঘটনার পর থেকে হুমকির মুখে আছি। অভিযুক্তরা মামলা-মকদ্দমা না করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষকও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।'

কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, 'ধর্ষিতার নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে কয়েকদিন কলেজে না আসার পরার্মশ দিয়েছি। তবে সে পরীক্ষা দিতে পারবে।'

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, 'গত শনিবার ঘটনা জানার পর অভিযুক্ত এ আর খানকে আটক করা হয়েছে। তার মামাতো ভাই জিসানের কাছ থেকে রাতে ধর্ষণ ঘটনার ভিডিও করা মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে তাকেও আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে। কলেজের অধ্যক্ষ এ ঘটনার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন।'



(সূত্র)

No comments:

Post a Comment