Showing posts with label অনির্দিষ্ট. Show all posts
Showing posts with label অনির্দিষ্ট. Show all posts

Wednesday, November 28, 2012

"মানুষ" সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য!


১. আপনি যত বেশি ঠাণ্ডা ঘরে ঘুমাবেন, আপনার দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভবনা তত বেশি!

২. সারাদিনে একজন পুরুষের চেয়ে একজন মহিলা বেশি সংখ্যকবার চোখের পাতা ফেলেন!

৩. আপনি যদি হটাত করে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন, তবে সম্ভবনা আছে যে, আপনার রাতের ঘুম এক ঘণ্টা করে কমে যাবে!

৪. আপনি যখন হাসেন তখন আপনার দেহে ক্লান্তি সৃষ্টিকারী হরমোনগুলো কাজ করতে পারে না! এজন্য তখন আপনাকে আরো বেশি সজীব এবং সতেজ দেখায়!

৫. একটা ৬ বছরের বাচ্চা দিনে গড়ে প্রায় ৩০০ বারের মতো হাসে! আর একজন পরিপূর্ণ/প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে হাসেন গড়ে ১৫-১০০ বার!

৬. আপনার ব্রেইন দিনের চেয়ে রাতের বেলা কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধকরে! রাতের বেলা ব্রেইনের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়!

Friday, January 02, 2009

কলা প্রসঙ্গে

একজন নিউ ইয়র্কের সিটি কলেজের প্রফেসার কলা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তার ফিজিওলজিক্যাল সাইকোলজী ক্লাশে। উনি বলেন, "going bananas" হচ্ছে কলার আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাবের কারণে।

কলায় রয়েছে তিন ধরনের প্রাকৃতিক মিষ্টি (sugar)-সুক্রোজ (sucrose), ফ্রুক্টোজ (fructose), গ্লুকোজ (glucose) মিশ্রিত থাকে ফাইবারের (fiber) সাথে। কলা সহসাই শক্তি যোগান দেয় আমাদের দেহে। গবেষণায় পাওয়া গেছে শুধুমাত্র দুইটা কলা খেলেই পর্যাপ্ত শক্তি হয় যাতে করে ৯০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করা যায়। একারণেই বোধহয় বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়াবিদদের কলা অন্যতম খাদ্য। কিন্তু শুধুমাত্র শক্তি যোগানই দেয় না এই ফলটি, এটি আমাদের সাহায্য করে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখকেও প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে। এই কারণে এই ফলটি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত।

নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো যাতে দেখা যায় কলা কিভাবে আমাদের নানা রোগে উপকারক হতে পারে:

বিষন্নতা: ইদানীংকালের একটি বিষন্নতা রোগীদের মাঝে করা জরিপে দেখা গেছে, অনেকেই ভালো অনুভব করেন কলা খাবার পরে। এর কারণ হলো কলার মধ্যে আছে ট্রিপটোফ্যান (tryptophan), যা এক ধরনের প্রোটিন আমাদের দেহে সেরোটোনিন (serotonin) হিসেবে রূপান্তরিত হয়। এতে করে আমাদের বিশ্রাম অনুভব আসে, মন ভালো হয় এবং আমাদের খুশী করে।
পিএমএস: ঔষধের জন্য চিন্তা করবেন না। একটি করে কলা খান। এতে বিদ্যমান বি৬ ভিটামিন আমাদের রক্তের গ্লুকোজ পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যা আমাদের মনকে প্রভাবিত করতে পারে ইতিবাচকভাবে।
এনেমিয়া (anemia): লৌহে সমৃদ্ধ কলা আমাদের হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে রক্তের মধ্যে যা এনেমিয়ার ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী।
রক্ত প্রেসার: এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকার ফলটি পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ কিন্তু লবণ আছে কম পরিমাণে। এর ফলে এতি রক্ত প্রেসার কমিয়ে রাখে। শুধুমাত্র রক্ত প্রেসারই এটি কমাতে সাহায্য করে না, স্ট্রোকের মতো বিপদের থেকেও এটি আমাদের রক্ষা করতে পারে।
মস্তিষ্ক শক্তি: ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থী কলা খেয়ে তাদের পরীক্ষায় উপকৃত হয়েছে। কলা সকালে, দুপুরে ও রাতে খেয়ে তাদের মস্তিষ্কে শক্তি বেড়েছে। গবেষণায় পাওয়া গেছে পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ এই ফলটি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারে তাদের সাবধানতা বৃদ্ধির মাধ্যমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: ফাইবারে সমৃদ্ধ কলা আমাদের স্বাভাবিক পায়খানা বজায়ে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে রেচক (laxative) এর প্রয়োজনীয়তা কমবে।
হ্যাংওভার (hangover): কলার মিল্কশেইক তৈরি করে হ্যাংওভার নিরাময় করা যায়। এটি মধুতে সমৃদ্ধ। কলা পাকস্থলীকে ঠান্ডা করে মধুর সাহায্যে এবং ফুরিয়ে যাওয়া মিষ্টির পরিমাণ (sugar level) বাড়াতে সাহায্য করে যখন দুধ শরীরকে উপশম করে ও দেহে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
হৃৎপিন্ডে জ্বালা (heartburn): কলার মধ্যে আছে প্রাকৃতিক এন্টঅ্যাসিড প্রভাব যা হৃৎপিন্ডের জ্বালা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
সকালের অসুস্থতা (morning sickness): দিনের বিভিন্ন সময়ের খাবারের মাঝে কলা খেলে রক্তে মিষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে এবং সকালের অসুস্থতা কম হয়।
মশার কামড়: মশার কামড় খেয়ে ক্রীম না মেখে কলার ছোকলার ভিতরের অংশটুকু ঘষালে উপকার হয়। চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া কমে এর ব্যবহারে।
নার্ভ (nerve): কলা ভিটামিন বি-এ সমৃদ্ধ যা নার্ভাস সিস্টেমকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
মাত্রাতিক ওজন (overweight): অস্ট্রিয়ার সাইকোলজী ইন্সটিটিউট তাদের গবেষণায় পেয়েছে কর্মক্ষেত্রে প্রেসার আমাদেরকে চিপস বা চকোলেট জাতীয় খাবারে প্রতি নিবিষ্ট করে। ৫০০০ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা পেয়েছেন সবচেয়ে বেশী ওজনধারী ব্যক্তিগণ সাধারণত বেশী-প্রেসারের কর্ম করে থাকেন। রিপোর্টে প্রকাশিত, খাবারের আকাঙ্খা মেটাতে উচ্চ-শর্করা সমৃদ্ধ খাদ্য প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর খেয়ে আমাদের রক্তে মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর এক্ষেত্রে কলা উপকারী হতে পারে।
পুঁজস্রাবী ক্ষত (ulcer): কলাকে ব্যবহার করা যায় সীমাবদ্ধ খাবারের (diet) ক্ষেত্রে উত্তম উদাহরণ হিসেবে। খাদ্যনালীর নানা রোগবালাইয়ের জন্যও কলা আমাদের উপকার করতে পারে। কারণ এতে রয়েছে নরম বিন্যাস ও মসৃণতা। এটা এমন একটি ফল যা খেলে over-chronicler রোগের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা নিরাময়ে সাহায্যকারী। এটি অতিরিক্ত-এ্যাসিডিটিও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পাকস্থলীর চুলকানীও কমায়।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: অনেক সম্প্রদায় কলাকে "শীতল" ফল হিসেবে দেখে যা শারীরিক ও মানসিক তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যেমন, থাইল্যান্ডে গর্ভবতী মায়েদের কলা খেতে দেয়া হয় যাতে তাদের বাচ্চা শীতল তাপমাত্রা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
ঋতুতে প্রভাবিত রোগ (seasonal affective disorder): কলা ঋতুতে প্রভাবিত রোগীদের সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক মেজাজ ভালো করার ট্রিপটোফ্যান (tryptophan)।
ধূমপান ও তামাক ব্যবহার: কলা সাহায্য করতে পারে ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়তে। কলায় বিদ্যমান বি৬, বি১২ ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আমাদের দেহকে সাহায্য করতে পারে নিকোটিনের প্রভাব থেকে মুক্ত হবার ক্ষেত্রে।
বাড়তি চাপ (stress): পটাসিয়াম হচ্ছে একটি অপরিহার্য খনিজ পদার্থ যা হৃৎপিন্ডের কম্পন স্বাভাবিক রাখতে, অক্সিজেন মস্তিষ্কে পাঠাতে, দেহে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যখন আমরা চাপে থাকি, আমাদের বিপাক (mebatolism) মাত্রা বাড়ে এবং পটাসিয়াম পরিমাণ কমে। এই পটাসিয়াম ঘাটতি পূরণ করতে কলা খাওয়া খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্ট্রোক: নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের গবেষণা অনুযায়ী, কলা নিত্যদিনের খাবারের লিস্টে রেখে খাওয়া আমাদের স্ট্রোকের মাধ্যমে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০% কমিয়ে দিতে পারে।
আঁচিল (wart): আঁচিল নিরাময়ে কলার ছোকলার কিছুটা অংশ আঁচিলে লাগালে (হলুদ অংশটা বাহিরের দিকে করে) উপকার লাভ করা যায়। সাবধানতার সহিত কলার ছোকলার অংশটি আঁচিলের স্থাণে লাগান প্লাস্টার বা সার্জিকাল টেপ দিয়ে।

সুতরাং কলা সত্যিই একটি প্রাকৃতিক ঔষধ নানা ধরনের রোগ নিরাময়ে। আপেলের সাথে এর তুলনা করলে এতে চারগুণ প্রোটিন আছে, দুইগুণ শর্করা আছে, তিনগুণ ফসফরাস আছে, পাঁচগুণ ভিটামিন-এ ও লৌহ আছে, এবং দুইগুণ অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ আছে। এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ অধিক।
অতএব, দৈনিক একটি করে কলা খান এবং নিজেকে ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে রাখুন।

সূত্র: তড়িৎ বার্তা

Sunday, November 30, 2008

প্রকৃত শিল্পীকে জয়ী করুন

দীর্ঘ সাত মাস ধরে ক্লোজআপ ওয়ান চলছে। খোঁজা হচ্ছে একজন প্রকৃত শিল্পীকে যে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সংগীত ভুবনকে সুন্দরকরে প্রসারিত করবে তার বহুমুখী গানের মূর্ছনায়। আজ প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে সেই খোঁজা। চুরাশি হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে চার জন আজ সর্বশেষ প্রান্তে: অপু, লিজা, আতিকসাজু। প্রত্যেকেই তাদের সুরের মূর্ছনায় ভোলাতে চেয়েছে বাংলাদেশের মানুষদের দেশে ও প্রবাসে। সাথে বিচারকগণ তো তাদের উৎসাহ দিয়েই গেছে।
২০০৫ ও ২০০৬ সালে যেই ভুল করেছিল বলে অনেকে মনে করেন, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্যই আমার এই লেখা। ১০ লক্ষ টাকা আর একটা গাড়ি পেয়ে গতবারগুলোর বিজয়ীরা ভুলে গেছে বিনম্রতা। অনেকে প্রবাসে এসে অশোভন আচরণও করেছে। শিল্পী তো তখনই শিল্পী থাকে যখন সে মানুষের হৃদয়ে অবস্থাণ করে। অহংকার আর গর্বের তোপে এরা ভুলেই যায় এদের অতীত। আর তাছাড়াও গানের দিক থেকে বিচার করলেও অনেক সংগীত বোদ্ধারা মানবেন এদের অক্ষমতার কথা। অথচ গত দু'বারই দ্বিতীয় বিজয়ী (রানার-আপ) অনেক ভালো গান করেও ভোট (এসএমএস বা অনলাইন ভোট) পায় না। কিন্তু পরে দেখা যায় এদের গানই বেশী বাজারে চলে। মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
তাই, আসুন বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা, আর ভুল নয়। প্রকৃত একজন শিল্পী "অপু"কে এবারের ২০০৮ এর ক্লোজআপ ওয়ান করুন। ওর গলায় শুধু বহুমুখীতাই নয়, উচ্চারণ, এক্সপ্রেশন, গানের ডেলিভারী সব মিলিয়ে এক অনবদ্য যোগসূত্রের অধিকারী। কিছু পর্ব আগে জন্ডিস নিয়েও সে স্টেজে গানের প্রতিযোগিতা চালিয়ে গিয়েছে এবং অনেকের মতে (সংগীত বোদ্ধা) অনেকে ভালোই করেছে অন্যদের তুলনায়। আর সবচেয়ে দেখার বিষয় অন্যরা যখন নিজেদের ভোটের জন্য নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সভা-সমাবেশ করছে, অপু তখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী। যার বাবা গানের শিক্ষক, যার ভিত্তি উচ্চাংগ সঙ্গীতে পাকা, সেই তো সেরা হবার যোগ্য। ওর কিছু গান আমিই নিচে দিলাম, এরপর আপনারাই বিচার করুন:

"এক পায়ে নুপূর"






"বৃষ্টির দিনে"






"তুমি এমনই জাল পেতেছো"






"দিন যায়, কথা থাকে"






"জীবনানন্দ হয়ে সংসারে"






"ওই দূর দূর দূরান্তে"






"তুমি কত লিটার দুধ করেছ পান"






আর অপুকে ভোট দেবার জন্য বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীরা "APU" লিখে 1234 নম্বরে পাঠিয়ে দিতে পারেন এবং 123401 নম্বরে টেলি-ভোট করতে পারবেন। আর প্রবাসী দর্শকেরা ক্লোজআপ ওয়ানের ভোটিং সেকশন থেকেও ভোট করতে পারবেন।

Thursday, August 07, 2008

স্বাগতম!

সকলকে স্বাগতম আমার ব্যক্তিগত ব্লগটিতে আগমনের জন্য!