Showing posts with label মজার তথ্য. Show all posts
Showing posts with label মজার তথ্য. Show all posts

Tuesday, October 28, 2014

Awesome B_O_M_B_A_Y!


Bombay has no bombs and is a harbour not a bay.
Churchgate has neither a church nor a gate. It is a railway station .
There is no darkness in Andheri.
... Lalbaag is neither red nor a garden .
No king ever stayed at Kings Circle .
Nor did Queen Victoria stay at Victoria Terminus.
Nor is there any princess at Princess Street .
Lower Parel is at the same level as Parel.
There are no marines or sailors ⚓at Marine Lines.
The Mahalaxmi temple is at Haji Ali not at Mahalaxmi.
Teen bati is a junction of 3 roads, not three lamps .
Trams used to terminate at Kings circle not Dadar*TramTerminus. (Dadar T.T..).
Breach Candy is not a sweetmeat market, but there is a Hospital .
There are no Iron smiths at Lohar chawl.
There are no pot makers at Kumbhar wada.
Lokhandwala complex is not an Iron and steel market .
Null bazaar does not sell faucets.
You will not find lady fingers at Bheendi Bazar.
Funny 😇Bombay... zara hatke zara bachke yeh hai Bombay meri Jaan


(collected)

Thursday, August 15, 2013

An Awesome Autowala


Annadurai owns an Auto Rickshaw(similar to Taxi) in Chennai City Tamil Nadu, India. Similar to the other Auto-drivers he also does the same thing but What makes his auto from other Auto's is he provides a lot of things inside the Auto for the passengers/customers .

Thursday, August 01, 2013

বাংলা মাসের নাম যেভাবে এলো

খ্রীষ্টাব্দের মত বঙ্গাব্দেও ৩৬৫ দিনে বছর হয়। কিন্তু পৃথিবী তো সূর্যের চারিদিকে ঘুরতে ৩৬৫ দিনের থেকে একটু বেশি সময় নেয়। ঐ বেশি সময়টুকু যোগ করে চার বছর বাদে একবার করে লিপ ইয়ার হয়। সেই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ দিন হয়, তাহলে?

প্রথমদিকে বাংলা পঞ্জিকা ঐ বেশি সময়ের হিসাব রাখত না। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হয়। এই মতে, বৈশাখ থেকে ভাদ্র, প্রতি মাস হয় ৩১ দিনে। আশ্বিন থেকে চৈত্র, প্রতি মাস হয় ৩০ দিনে। চার বছর পরে পরে চৈত্র মাসে ৩১ দিন হয়।

৭. বঙ্গাব্দের বারো মাসের নামকরণ করা হযেছে নক্ষত্রমন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । এই নাম সমূহ গৃহীত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ "সূর্যসিদ্ধান্ত" থেকে।বাংলা মাসের এই নামগুলি হচ্ছে -
• বৈশাখ - বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• জ্যৈষ্ঠ - জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আষাঢ় - উত্তর ও পূর্ব আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• শ্রাবণ - শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ভাদ্র -উত্তর ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আশ্বিন - অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• কার্তিক - কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) - মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• পৌষ - পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• মাঘ - মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ফাল্গুন - উত্তর ও পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• চৈত্র - চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে

৮. বাংলা সন অন্যান্য সনের মতোই সাত দিনকে গ্রহণ করেছে এবং এ দিনের নামগুলো অন্যান্য সনের মতোই তারকামন্ডলীর উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে।
• সোমবার হচ্ছে সোম বা শিব দেবতার নাম অনুসারে কারো মতে চাঁদের নাম অনুসারে
• মঙ্গলবার হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের নাম অনুসারে
• বুধবার হচ্ছে বুধ গ্রহের নাম অনুসারে
• বৃহস্পতিবার হচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহের নাম অনুসারে
• শুক্রবার হচ্ছে শুক্র গ্রহের নাম অনুসারে
• শনিবার হচ্ছে শনি গ্রহের নাম অনুসারে
• রবিবার হচ্ছে রবি বা সূর্য দেবতার নাম অনুসারে

বাংলা সনে দিনের শুরু ও শেষ হয় সূর্যোদয়ে । ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির শুরু হয় যেমন মধ্যরাত হতে ।
৫৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বরাহমিহির পঞ্চসিদ্ধান্তিকা নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটি পাঁচটি খণ্ডে সমাপ্ত। এই গ্রন্থটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চসিদ্ধান্তিকার পাঁচটি খণ্ডের নাম– এই সিদ্ধান্তগুলো হলো– সূর্যসিদ্ধান্ত, বশিষ্ঠসিদ্ধান্ত, পৌলিশ সিদ্ধান্ত, রোমক সিদ্ধান্ত ও ব্রহ্ম সিদ্ধান্ত। প্রাচীন ভারতে দিন, মাস, বৎসর গণনার ক্ষেত্রে 'সূর্যসিদ্ধান্ত' একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বরাহমিহিরের পরে ব্রহ্মগুপ্ত নামক অপর একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী (জন্ম ৫৯৮) একটি সিদ্ধান্ত রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটির নাম ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত। এই গ্রন্থটি খলিফা আল-মনসুরের আদেশে সিন্দহিন্দ নামে আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে সৌর-মাস নির্ধারিত হয়, সূর্যের গতিপথের উপর ভিত্তি করে। সূর্যের ভিন্ন অবস্থান নির্ণয় করা হয় আকাশের অন্যান্য নক্ষত্রের বিচারে। প্রাচীন কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যের বার্ষিক অবস্থান অনুসারে আকাশকে ১২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এর একটি ভাগকে তাঁরা নাম দিয়েছিলেন রাশি। আর ১২টি রাশির সমন্বয়ে যে পূর্ণ আবর্তন চক্র সম্পন্ন হয়, তার নাম দেওয়া হয়েছে রাশিচক্র। এই রাশিগুলোর নাম হলো– মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। সূর্যের বার্ষিক অবস্থানের বিচারে, সূর্য কোনো না কোন রাশির ভিতরে অবস্থান করে। এই বিচারে সূর্য পরিক্রমা অনুসারে, সূর্য যখন একটি রাশি থেকে অন্য রাশিতে যায়, তখন তাকে সংক্রান্তি বলা হয়। এই বিচারে এক বছরে ১২টি সংক্রান্তি পাওয়া যায়। একেকটি সংক্রান্তিকে একেকটি মাসের শেষ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪] যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সূর্য্য ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে প্রবেশ করে তার পরদিনই ১ বৈশাখ (পয়লা বৈশাখ) হয়। যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সংক্রান্তি হয় তার পরদিনই মাসের প্রথম দিন।[৫] মূলত একটি সংক্রান্তির পরের দিন থেকে অপর সংক্রান্ত পর্যন্ত সময়কে এক সৌর মাস বলা হয়। লক্ষ্য করা যায় সূর্য পরিক্রমণ অনুসারে সূর্য প্রতিটি রাশি অতিক্রম করতে একই সময় নেয় না। এক্ষেত্রে মাসভেদে সূর্যের একেকটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগতে পারে, ২৯, ৩০, ৩১ বা ৩২ দিন। সেই কারণে প্রতি বছর বিভিন্ন মাসের দিনসংখ্যা সমান হয় না। এই সনাতন বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছর ঋতুভিত্তিক থাকে না। একেকটি মাস ক্রমশঃ মূল ঋতু থেকে পিছিয়ে যেতে থাকে।
(By: Dr. Kathak Das)

Wednesday, July 31, 2013

Can ELECTRICITY pass through flash light of the digital camera to your body?

This is a true incidence reported of a boy aged 19, who was studying in 1st year of engineering, who died in Keshvani Hospital, Mumbai. He was admitted in the Hospital as a burned patient. Reason ??????

This boy had gone to Amravati (a place located in State of Maharashtra ) on a study tour, on their return they were waiting at the railway station to catch the train. Many of them started taking pictures of their friends using "Mobile Phones" and / or "Digital Camera". One of them complained that, he was unable to capture the full group of friends in one frame in the Digicam.
This boy moved away to a distance to get the whole group.

He failed to notice that at an angle above his head, 40,000 volts electrical line was passing through.
As soon as he clicked the digital camera? 40,000 volt current passed through the camera flash light to his camera and then from his camera to his fingers & to his body. All this happened within a fraction of a second. His body was half burned.
They arranged for an ambulance & his burned body was brought to Keshavani Hospital, Mumbai.

For one & half days or so he was conscious & talking. Doctors did not have much hopes as there was a lot of complex issues in his body. He passed away later.
Now how many of us are aware about these technical threats & dangers? Even if we are, how many of us are adhering??

* Please avoid mobile phones on petrol outlets.
* Please avoid talking on mobile phones while driving.
* Change that "Chalta Hai Yaar Attitude".
* Please avoid talking on mobile phones while kept in charging mode without disconnecting from wall socket.
* Please do not keep mobile phones on your bed while charging and / on wooden furniture.
* Avoid using mobile phones / Digital cameras near high voltage electrical lines like in railway stations and avoid using flash.
 
(collected)

Tuesday, July 30, 2013

Tonoscope-এ ওঁ


একুশ শতকের উদ্ভাবন টোনোস্কোপ (Tonoscope) এ তৈরী হল হাজার বছরের পুরনো বৈদিক সংকেত "ওঁ"!!!

ছবিটি দেখে চিনতে পারছেন তো? একটি বৃত্তের ভেতর কয়েকটি ক্রিসেনট্রিক আকারের গঠন সম্বলিত রেখাসমষ্টি হিন্দুধর্মে যন্ত্র মন্ডল বা শ্রীচক্র নামে খ্যত। এ চিহ্নটি সকলের কাছেই পবিত্র বলে গৃহীত। বৈষ্ণবরা একে শ্রীগোবিন্দের বৈকুন্ঠের আকৃতি হিসেবেও বিশ্বাস করে!

কিন্তু আসলে কি তাই?

সুইস বিজ্ঞানী Dr. Hans Jenny, যিনি আকার গঠন বিদ্যা (Cymatics) জগতের একজন পথিকৃত হিসেবে স্বীকৃত, তিনি আজীবন শব্দসমূহের প্রতিচ্ছবি নিয়ে গবেষনা করেছেন। তিনি টোনোস্কোপ (Tonoscope) নামক এক যন্ত্র আবিস্কার করেন যার মধ্য দিয়ে শব্দ প্রবেশ করালে তার একটি ছবি তৈরী হয়।

তিনি টোনোস্কোপ এর ভেতর দিয়ে শুদ্ধ উচ্চারন এ ওঁ ধ্বনি প্রবেশ করান এবং যে ছবিটি পান তা হল যন্ত্র মন্ডল বা শ্রীচক্র এর ছবি!

অলৌকিক ক্ষমতাবলেই বৈদিক ঋষিগন ওঁ ধ্বনির প্রতিচ্ছবি আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন যা আধুনিক বিজ্ঞানের কৃপায় আমরা আজ জানতে সক্ষম হয়েছি।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

(By-Niloy Arya)

Monday, July 15, 2013

সনাতন হিন্দুধর্মের উৎপত্তি


হিন্দুধর্ম প্রায় ২০,০০,০০০ বৎসর প্রাচীন একটি ধর্ম। তিন প্রধান দৈবপুরুষ, পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাণীর প্রবক্তা ছিলেন। এরা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। ব্রহ্মার জন্ম মধ্যভারতে, বিষ্ণু (যাঁর অপর নাম নারায়ন বা ভগবান বেঙ্কটেশ্বর বা ভগবান বালাজী) ছিলেন দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী এবং মহেশ্বর (যাঁর অপন নাম শিব/রুদ্র/শংকর) কাশ্মীর অর্থাৎ উত্তর ভারত থেকে এসেছিলেন।
এই ত্রয়ীর দৈব-প্রবচন এত শক্তিশালী এবং তাঁদের দান এত বিশাল যে তাঁদের ঐশ্বরিক বাণীসমূহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অন্যান্য বহু দেশকেও প্রভাবিত করেছিল। সেই প্রাচীন যুগেও যখন যে-কোনও প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অতি অনুন্নত, তাঁদের ঐশ্বরিক ঘোষণা দিকে দিকে বিস্তৃত হয়ে সনাতন ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠালাভ করে।

এই তিন ঈশ্বর পুরুষ আদি দেবতা নামে হাজার হাজার বছর ধরে শ্রদ্ধা পেয়ে আসছেন। এরাই এই সনাতন ধর্মের প্রবর্তক। পরবর্তীকালে এই ধর্মের নাম হয় হিন্দুধর্ম। এই তিন আদি দেবতার মাধ্যমে বেদ প্রকাশ হয়।
হিন্দুধর্মে কোনও একটি গ্রন্থের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং কোনও একটি মানুষকে এর প্রবর্তক বলে গণ্য করা হয় না। হিন্দুরা বেদকে বলেন অপৌরুষেয়ম্। পুরুষ অর্থাৎ মানুষের রচিত নয়, বেদ ঈশ্বরপ্রেরিত মনুষ্য জীবনযাপনের মূলমন্ত্র।
সিন্ধু নদেও পূর্ব তীরের সভ্যতাকে মধ্য এশিয়ার আক্রমনকারীরা হিন্দু বলত। তারা 'স-' এর উচ্চারণ করত 'হ' এবং সিন্ধু নদের পূর্ব তীরের অধিবাসীদের তারা বলত 'হিন্দু'।
প্রকৃতপক্ষে হিন্দুধর্মের আদি নাম ছিল সনাতন ধর্ম এবং তার প্রধান দর্শন বৈদিক ধর্ম অর্থাৎ বেদ প্রদত্ত ধর্ম। আক্রমণকারী এবং শাসক হিসাবে যারা ভারতে আসে তারা কালক্রমে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে মিশে যায় এবং হিন্দু দর্শনের মূলতত্ত্বসমূহ গ্রহণ করে। তাদের বিদেশী পরিচয় লুপ্ত হয়ে যায়।
হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার নাম ঈশ্বর। ঈশ্বর এক পরম পুরুষ, সর্বব্যাপী, অনাদি-অনন্ত। তিনি নিরাকার, বর্ণহীন। তিনি সৃষ্টিকর্তা, সকল কারণের আদি কারণ। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর ইচ্ছাপালনের জন্য কোন অধীনস্থ সহায়কের প্রয়োজন নেই।
ঈশ্বর তাঁর মহত্ত্বের প্রতিফলন স্বরূপ দৈবপুরুষ অথবা দেবতাদের পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ রূপে প্রেরণ করেন। এঁদের কোনও কোনও ভারতীয় ভাষায় দেবতা বলা হয়।
ভক্তেরা ঈশ্বরের উপসনা করেন এবং মন্দিরে দেবতাদের জীবন, কীর্তি ও উপদেশাদি স্মরণ করে উৎসব পালন করেন। দেবতা অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ। তবে তাঁরা কীভাবে প্রকাশিত হবেন সেটা নির্ভর করে দেশ-কাল ও সামাজিক পটভূমিকার ওপর।
সাধারণ মানুষেরা মন্দিরে দেবতাদের মূর্তির কাছে যান। মূর্তি শুধুমাত্র ভক্তের পূজার পাত্র নয়, ঈশ্বরের ধ্যানের জন্য মূর্তি অখন্ড মনঃসংযোগের কেন্দ্রে পরিণত হন।
যিনি বেদ অধ্যয়ন করেছেন এবং অন্তরে তাকে সত্যরূপে উপলব্দি করেছেন, অর্থাঃ ধর্ম-দর্শনের গূঢ় তাৎপর্য যিনি অবগত হয়েছেন, মূর্তিপূজা তাঁর কাছে অনাবশ্যক। যিনি ঈশ্বরের প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞাত হয়েছেন।
মনে রাখতে হবে একমাত্র ঈশ্বরের উপাস্য। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, সর্বশক্তিমান এবং পৃথিবী ও সৌরলোকের সীমার অতীত। তাঁর অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস করে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সকল মানুষ আসেন পূজার্চনা নিয়ে। যে নামেই পূজা হোক বা যে ভাবেই অর্চনা করা হোক, ঈশ্বর তা গ্রহণ করেন।
সনাতন ধর্মের ইতিহাসের আদিপর্বে হিন্দুরা একেশ্ববাদী ছিলেন, এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তাঁরা মূর্তিপূজা শেখেন হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারের চাকচিক্যময় নাগরিক সভ্যতা থেকে। মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার অধিবাসীরা সূর্যদেবতার, ভগবান শিবলিঙ্গের, মাতৃমূর্তির এবং কয়েকটি পশুপ্রতীকের পূজা করতেন।
মূর্তিপূজা মেসোপটেমিয় (মিশর) এবং সুমেরুরীয় (পারস্য) সভ্যতার প্রভাবের ফল। সে যুগে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে 'কিউনিফর্ম' লিপি ব্যবহার করা হত। কিউনিফর্মে অনেক মূর্তি চিহ্ন ব্যবহার হত। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর সভ্যতার চরম উন্নতি ঘটৈছিল খ্রীষ্টপূর্ব ১৪৭৫ এর পূর্বে। হিন্দু পূরাণের বর্ণনা অনুযায়ী ১৪৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সমূদ্রতলে এক প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। তার ফলে বিপুল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়, যার দ্বারা সিন্ধুর তটভাগ প্লাবিত হয়। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো প্রভৃতি স্থান কর্দমে আবৃত হয়।প্রায় নিমেষের মধ্যে মানুষ, জীবজন্তু, বৃক্ষলতাদি বিনষ্ট হয়ে যায় এবং জল অপসৃত হওয়ার পরে এই সব সভ্যতা কর্দমের স্থূল আস্তরণের নিচে সমাধিস্থ হয়ে যায়।
হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারের নাগরিক সভ্যতায় গৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের জন্যে প্রচুর কাঠের ব্যবহার হত। তার ফলে অরণ্যগুলি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অরণ্যের ধ্বংস প্রকৃতির অভিশাপ স্বরূপ হয়ে, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর বিলোপ ত্বরান্বিত করেছিল।
মূর্তিপূজা প্রকৃতপক্ষে দেবতার পূজা অর্থাৎ বীরপূজা। দেবতারা প্রকৃতপক্ষে মানুষ এবং সেই কারণে, এক অঞ্চলের দেবতা কখনও কখনও অন্য অঞ্চলে পূজিত হন না। তবে, যেভাবেই হোক এবং যে নামেই হোক, যে মাধ্যমেই শ্রদ্ধা নিবেদিত হোক, ঈশ্বর সে পূজা গ্রহণ করেন।
বেদের যুগে বর্ণভেদ ব্যবস্থা,শিশু বিবাহ কিংবা সতীদাহ প্রচলন ছিল না, যদিও শ্রমবিভাগ প্রচলিত ছিল। একই পরিবারের অর্ন্তভূক্ত বিভিন্ন সদস্য কেউ গুরু, কেউ শিক্ষক, কেউ যোদ্ধা অথবা কেউ কারিগর বৃত্তি অবলম্বন করতে পারতেন। বিভিন্ন বৃত্তির এবং পেশার মানুষেরা মধ্যে বিবাহ এবং এক বৃত্তি থেকে আরেক বৃত্তিতে প্রবেশ সাধারণ ঘটনা ছিল।
নারীও পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে বেদচর্চা করতেন। অপালা, ঘোষা, বিশ্ববরা, লোপমুদ্রা, বিশাখা প্রভৃতি নারীরা বৈদিকযুগের আদি পর্বে বৈদিক শাস্ত্রে বিদূষী হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর স্বামী নির্বাচনের এবং মতামত প্রকাশের অধিকার ছিল। শস্ত্র বিদ্যাতেও নারীরা পারদর্শীতা লাভ করতেন, যুদ্ধেও যোগদান করতেন। উদাহরণস্বরূপ, বৈদিক কালের এক যুদ্ধে একজন খ্যাতনাম্নী নারী সেনাপ্রধান ছিলেন মুদ্গলনি। নারীরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁদের স্বামীর সঙ্গিনী হতেন।
মূলতঃ হিন্দুরা একেশ্বরবাদী এবং এক সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাসী। দক্ষিণ ভারতে ঈশ্বর দেবতে/ দেবাড়ু/ঈশ্বরণ/কাডাভু/ইরাইবন, এইসব নামেও অভিহিত। দেবতাদের অলৌকিক ক্ষমতাবিশিষ্ট মানবকুলকে বীর ও বীরাঙ্গণ হিসাবে শ্রদ্ধা করা হয় এবং হিন্দু বিশ্বাস করেন যে তাঁরা ঈশ্বরপ্রদত্ত বিশিষ্ট কোনও কোনও গুণের অধিকারী।



(লেখক: পলাশ নাথ)

Monday, July 01, 2013

ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায়

 
কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?
পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়। প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।

► কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?
খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।
(সংগৃহীত)

Thursday, June 06, 2013

এই পৃথিবী কি পূর্বে ভারতবর্ষ ছিল ??


কখনো কি প্রশ্ন জাগে না যে, বিচিত্র রকমের স্থান বা দেশ কেন হল । কেনই বা প্রতিটি দেশ ইউরোপ আফ্রিকার মত প্রাচুর্যময় নয় । কোথাও সমৃদ্ধশালী কোথাও কোন প্রাচুর্যের ছোঁয়া নেই । এর পেছনে কিই বা কারণ থাকতে পারে । আরও একটা প্রশ্ন থাকতে পারে তা হল এসমস্ত বিচিত্র দেশের নামকরণ নিয়ে ।

তাই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বৈদিক শাস্ত্র থেকে এর সঠিক রহস্য গ্রুপের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল । বৈদিক শাস্ত্র মতে এক সময় সমগ্র পৃথিবীকেই ইলাবৃত বর্ষ বা ভারতবর্ষ নামে ডাকা হত । এই পৃথিবীর শাসনভারের দায়িত্ব ছিল ইতিহাস বিখ্যাত অনেক অনেক রাজাদের হাতে ।

এক সময় ধীরে ধীরে সেই ভারতবর্ষ ভেঙ্গে গড়ে সাতটি পৃথক মহাদেশ এবং বহু দেশ । মূলত, ককেশাস নামক স্থানকে বলা হয় শ্বেত মানবদের উৎপত্তি উৎস হিসেবে । বর্তমান বিশ্বের পশ্চিমা জগতের যেসব সাদা লোকদের দেখতে পাওয়া যায় তাদের উত্তরসূরীদের বসতি ছিল এই ককেশাস (coucasus) নামক স্থানে ।

জিউস, মোসলেম এবং খ্রিষ্টানদের মতে এ স্থানেই ছিল স্বর্গের উদ্যান এটি হল আব্রাহামের বসতভূমি । যেটিকে ইন্দো ইউরোপীয়ান ককেশিয়ানদের পিতৃভূমি হিসেবে মনে করা হয় । তৈত্তিরীয় (Aitareya) উপনিষদে এ বিষয়ে বলা হয়েছে । ব্রহ্মার পুত্র মরিচীর পুত্র ছিল কশ্যপ মুনি । ১২০ মিলিয়ন বছর পূর্বে কশ্যপ মুনি ইন্দো-ইউরোপীয়ানদের পিতা হয়েছিলেন ।

এসমস্ত ইন্দো-ইউরোপীয়ানদের কিছু পৃথিবীর পশ্চিমে গেল আর কিছু গেল পূর্বে । কশ্যপ মুনি স্বয়ং ক্যাসপিয়ান সাগরের নিকটে ধ্যান মগ্ন হয়ছিল । যার বর্তমান নামকরণ অর্থাৎ ক্যাসপিয়ান সাগর ঐ কশ্যপ মুনির নামেই নামকরণকৃত । সূর্যদেব বিবস্বান ছিলেন কশ্যপ মুনির পুত্র যার স্ত্রী ছিলেন অদিতি । সূর্যদেবের অস্থিত্ব যে পশ্চিমা দেশেও ছিল তার প্রমাণ এখন পৃথিবীর অনেক স্থানে সূর্যদেবতাকে পূজার প্রচলন ।

কশ্যপ মুনি এবং দিতি থেকে সৃষ্ট দৈত্যরা তখন ইউরোপ জুড়ে বিস্তার লাভ করেছিল । বর্তমানের টাইটানস (Titans) এবং টিউটনস (Teutons) ডাচ এবং ডিউটস্চল্যান্ড (Deutschland) এ নামগুলো দেয়া হয়েছে ‘দৈত্য’ শব্দ থেকে । এ থেকে দৈত্যদের অবস্থান যে একসময় ছিল তার প্রমাণ মেলে । ব্রহ্মার আরেক পুত্র অত্রি থেকে সোম বা চন্দ্র হয় । চন্দ্রের পুত্র বুদ্ধের পুত্র ছিল পুরুরভ ।

এভাবে বংশানুক্রমে আয়ু নহুম এবং পরে যথাতির জন্ম হয় । যথাতির পাঁচ সন্তান ছিল । ‘যদু’ থেকে বেড়ে উঠে যদুবংশ যেখানে কৃষ্ণ বলরাম আবির্ভূত হয় এবং পুরু থেকে বেড়ে উঠে পুরুবংশ (যে বংশে কৌরব এবং পান্ডবরা জন্মেছিল) যারা হল ভীষ্ম, ধৃতরাষ্ট্র, অর্জুন, যুদিষ্টির, ভীম, দূর্যোধন এবং মহারাজ পরিক্ষিত জন্ম নেয় । পুরু তখন বর্তমান মিশর স্থানটি পেয়েছিলেন তার রাজ্যের শাসনভার হিসেবে । পুরুর পুত্র ছিল প্রভির এবং প্রভিরের পুত্র ছিল মানুষ্য (Manasyu) যাকে মেনেস নামে ডাকা হত । যিনি পশ্চিমা ইতিহাসবিদদের মতে মিশরের প্রথম বংশের প্রতিষ্ঠাতা । পুরুর বংশ এভাবে ফারাও রাজা পর্যন্ত অতিবাহিত হয়েছিল ।

মিশরকে অজপতি নামে নামকরন করা হয় । এই অজ জাতের পুত্র ছিল অজপতি । অপরদিকে অজ ছিল ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের পিতামহ রামচন্দ্র আবির্ভূত হয়ছিল সূর্যবংশে, সূর্যদেবের আরেক নাম রবি । ‘র’ তখন মিশরে সূর্য বংশের একটি শাখার অন্তর্গত ছিলেন । সেখানকার রাজা হলেন রামেস । যেটি রাম-ইস ভগবান শ্রী রামচন্দ্র থেকেই নামকরণকৃত । পান্ডব পরিবারবর্গও একসময় মিশর এবং ইউরোপে এসেছিল যা এখন সাগরে নিমজ্জিত হয় । এভাবে পিরামিডের গায়ে বৈদিক সংস্কৃতির ছোঁয়া এখনও দেখতে পাওয়া যায় তার বিবরণ আমি পরবর্তী পোষ্টে দিব ।

পরবর্তীতে তারা বর্তমানের ইসরাইলে গমন করে । যেটিকে বিশ্লেষন করলে দাঁড়ায় ইশ্বরাভলয় (ভূমি) তার অর্থ ইশ্বরের বাসস্থান । সুতরাং ইসরাইল ও তখন বৈদিক সংস্কৃতির সুরে নামকরণকৃত হয়েছিল ।

যযাতির তিনজন পুত্র বর্তমান ভারতের বাইরে যে দুটি রাজ্য পেয়েছিল সেগুলো হল তুর্কি এবং তুর্বাসা । যবনরা পেয়েছিল তুর্কি এবং তুর্বাসা পেয়েছিল ফার্সিয়া ইত্যাদি । মহাভারত অনুসারে (আদিপর্ব ৮৫.৩৪) তুর্বাসা দুর্যোধনের হয়ে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিল ।

অপরদিকে অনু পেয়েছিল গ্রীক এবং ইতালী । পরশুরামের বংশদূতরাও একসময় মিশরের রাজা ছিলেন । পরশুরাম ও যদু বংশজাত যাদের কিছু ইউরোপ এবং এশিয়াতেও এসেছিল । এর পরবর্তীতে বৈদিক সংস্কৃতির প্রধান নীতি বর্ণাশ্রম ধর্ম বিভিন্ন কারনে হারিয়ে যায় । মহাভারত (আদিপর্ব ১৭৪.৩৮) অনুসারে ভীম এবং সহদেব পুলিন্দ (গ্রীকদের) জয় করেছিল কেননা তার ধর্ম পরিত্যাগ করেছিল এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে বর্তমান ক্ষেত্রেও সংস্কৃতির ব্যবহারটাও অপরিসীম ।

বর্তমান ‘নরওয়ে’ দেশটির নাম সংস্কৃত শব্দ ‘নরক’ থেকে এসেছে । ‘সোভিয়াত’ এসেছে ‘শ্বেত’ থেকে । ‘রাশিয়া’ ‘ঋষি’ থেকে এসেছে, এভাবে সাইবেরিয়া শব্দটিও সংস্কৃত থেকে আগত । ‘স্ব্যান্দিনাভিয়া’ ‘স্কন্দ’ থেকে এসেছে । যিনি দেবতাদের প্রধান কমান্ডার হিসেবে ছিলেন ।

(Viking এবং king) শব্দ দুটি এসেছে সিংহ থেকে পশ্চিমা দেশগুলোতে যে বৈদিক সংস্কৃতির বিদ্যমান ছিল তার প্রমাণ ইউরোপ জুড়ে আবিষ্কৃত কৃষ্ণ, শিব, সূর্যদেব সহ আরও বিভিন্ন মূর্তি । একসময় দেবতা এবং অসুরদের সঙ্গে প্রায় বার বার যুদ্ধ হয়েছিল । পরে ককেশাসের পূর্বদিক দেবতাদের এবং পশ্চিম দিক অসুরদের দেয় । কিছু অসুর সেখানে অবস্থান করেছিল ।

ময়দানব তখন অসুরদের রাজ ছিলেন । তার স্থায়ী বসতি ছিল আলাতল লোক (ভূমন্ডলের ১০,৮৮,০০০ কি.মি. দক্ষিনে) যেখানে ফ্লায়িং সসার নির্মিত হয় । ময়দানবের অনুসায়ী মগরা তাদের সেই বসতির স্থানকে ‘অমরক’ (Amaraka) নামে ডাকত । কেননা অসুরেরা প্রয়ই মনে করে মূত্যু তাদের কিছুই করতে পারবে না । তাই তারা তাদের মাতৃভূমিকে স্বর্গ মনে করত । আর এজন্যই এই নাম পরবর্তীতে আমেরিগো ভেসপুচ্চি (Amerigo vespucci) এটিকে বর্তমানে আমেরিকা নামে পুনস্থাপন করে ।

এভাবে বংশগত দিক বিবেচনা করলে আমরা সবাই শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের গোত্রের অন্তর্ভুক্ত । কেননা ব্রহ্মা উৎপত্তির উৎস তাই বলে । আর এ সমগ্র পৃথিবী যে একদম পুরোটাই ভারতবর্ষ ছিল তারও প্রমান খুব সহজেই পাওয়া যায় শাস্ত্র থেকে । উপরোক্ত গবেষণামূলক প্রতিবেদন থেকে অনেক গবেষকগণ স্বীকার করতে এখন আর দ্বিমত করে না ।


(বিঃ দ্রঃ- এই প্রতিবেদনটি ছাপা হয় টাইম ম্যাগাজিন ও হিন্দু নিউসে……… তার বঙ্গানুবাদটি এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হল।)

(লেখক - Susanta Banda)

Monday, February 04, 2013

চোরাবালিতে আটকে গেলে কি করবেন?



চোরাবালি পানি ও তরলকাদা মিশ্রিত এমনই একটি গর্ত। এর ফাঁদে একবার পা দিলে মানুষের আর নিস্তার নেই। আস্তে আস্তে ডুবে যেতে হয় বালির ভেতরে সাধারণত নদী বা সমুদ্র তীরে কাদা মিশ্রিত বালির ভেতরে লুকানো অবস্থায় থাকে চোরাবালি। কোনও মানুষ যদি সেই গর্তের ধারে কাছে যায়, তা হলে শরীরের চাপে ওই বালি ক্রমে সরে যেতে থাকে। ফলে মানুষ শত চেষ্টা করেও আর ওপরে উঠে আসতে পারে না। চোরাবালিতে পড়ার পর সেখান থেকে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করলে শরীরের চাপে আর ও দ্রুত ডুবে যেতে হয়। সময়মত কেউ এগিয়ে না এলে ওই মানুষ নিশ্চিত মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। তবে অধিকাংশ চোরাবালি সাধারণত মারাত্মক নয়। কিন্তু এটি প্রকৃতির একটি অদ্ভুত বিস্ময়। চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোন ও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে। বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।

Sunday, February 03, 2013

সিগারেট যদি "গু" হত?

আসুন দেখি যদি সিগারেটের নাম ''গু'' হত তাহলে সবাই কি বলত :
  • দোকানদারকে কাস্টমার: মামা বেনসন/গোল্ডলিফ গু আছে?
  • অনেকদিন পর বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হলে: কিরে দোস্ত তুই গু খাস? আগে না ভালো ছিলি গু খাওয়া ধরলি কবে?
  • গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডকে: সেকি কিছলু তুমি আবার গু খেয়ে আমার ঠোঁটে কিস করেছ?
  • স্ত্রী স্বামীকে: হয় গু খাওয়া ছাড়বে না হয় আমাকে ! ল্যাও ঠ্যালা...
  • সন্তান মাকে: আম্মু দেখ বাবা আবার টয়লেটে বসে গু খাচ্ছে!
  • চলন্ত বাসে জনৈক মহিলা: উঃ গুয়ের গন্ধে বমি আসতেছে!
  • জনৈক আঁতেল: শুনলাম বাজেটে গুয়ের দাম বাড়াচ্ছে! ভাবছি কয়েকশো প্যাকেট গু কিনে রাখুম!
  • জনৈক মাতাল: এত গু দিয়ে কি করবি ! কিছু গুয়ের প্যাকেট আমাকেও দিস না হলে ড্যাম হয়ে যাবে!
  • জ্ঞানী গুণীরা কহেন- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: গু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!

Saturday, January 26, 2013

Why We Shout?

A Hindu saint who was visiting river Ganges to have a bath found a group of family members on the banks, shouting at each other. He turned to his disciples, smiled and asked, 'Why do people shout at each other?'

The disciples thought for a while, one of them said, 'Because we lose our calm, we shout.'

'But, why should you shout when the other person is just next to you? You can as well tell him what you have to say in a soft manner.' said the saint.

The disciples gave some other answers but none satisfied the other disciples.

Finally the saint explained.

'When two people are angry at each other, their hearts are very distant. To cover that distance they must shout to be able to hear each other. The angrier they are, the stronger they will have to shout to hear each other to cover that great distance. What happens when two people fall in love? They don't shout at each other but talk softly, because their hearts are very close. The distance between them is either non-existent or very small...'

The saint continued, 'When they love each other even more, what happens? They do not speak, only whisper and they get even closer to each other in their love. Finally they even need not whisper, they only look at each other, that's all. That is how close two people are when they love each other.'

He looked at his disciples and said, 'So when you argue do not let your hearts get distant, do not say words that distance each other more, Or else there will come a day when the distance is so great that you will not find the path to return.'



(collected)

Thursday, January 24, 2013

Sachin phenomenon

MAXIMUM TIMES TOP SCORERS IN TEAMS TOTAL

1. SACHIN TENDULKAR: 129 Times
2. Sanath Jayasuriya: 84 Times
3. Jaques Kallis: 78 Times
4. Brian Lara: 70 Times
5. Arvinda de Silva: 66 Times
6. Ricky Ponting: 64 Times
7. Sourav Ganguly: 61 Times

129 out of 463 means he top scored every 4th innings he played...phenomenal considering we almost every time have 7 batsmen in the team for most countries.

Tuesday, January 22, 2013

Some Cooking Tips (A-Z)

 Almonds: To remove the skin of almonds easily, soak them in hot water for 15-20 minutes.

 Ants: Putting 3-4 cloves in the sugar container will keep the ants at bay.

 Biscuits: If you keep a piece of blotting paper at the bottom of the container, it will keep biscuits fresh for a longer time.

 Butter: Avoid the use of butter. If it is essential to use, use a butter containing low saturated fat or with plant stanols (which avoid absorption of cholesterol by our body) or similar substitutes.

 Apples: Apply some lemon juice on the cut surface of the apple to avoid browning. They will look fresh for a longer time.

 Banana: Apply mashed banana over a burn on your body to have a cooling effect.

 Bee and Scorpion Sting Relief: Apply a mixture of 1 pinch of chewing tobacco and 1 drop of water. Mix and apply directly and immediately to the sting; cover with band aid to hold in place. Pain will go away in just a few short minutes

 Bitter Gourd (Karela): Slit Karelas at the middle and apply a mixture of salt, wheat flour and curd all round. Keep aside for 1/2 an hour and then cook.
Stuffed Karela

 Celery: To keep celery fresh for long time, wrap it in aluminium foil and place in the refrigerator.

 Burnt Food: Place some chopped onion in the vessel having burnt food, pour boiling water in it, keep for 5 minutes and then clean.

 Chilli Powder: Keeping a small piece of hing (asafoetida) in the same container will store chilli powder for long time.

 Chopping: Use a wooden board to chop. It will not blunt the knife. Don't use a plastic board, small plastic pieces may go with the vegetables.

 Coriander/Mint: You can use dried coriander and mint leaves in coarse powder form in vegetable curry or chutney, if fresh ones are not available.
To keep them fresh for a longer time, wrap them in a muslin cloth and keep in a fridge.

 Cockroaches: Put some boric powder in kitchen in corners and other places. Cockroaches will leave your house.

 Coconut: Immerse coconut in water for 1/2 an hour to remove its hust.

 Dry Fruits: To chop dry fruits, place them in fridge for half an hour before cutting. Take the fruits out and cut them with a hot knife (dip it in hot water before cutting).

 Dough/Rolling pin: If the dough sticks to the rolling pin, place it in freezer for a few minutes.

 Egg peeling off: Make a small hole in the egg by piercing a pin before boiling it. You will be able to remove its skin very easily.

 Egg fresh: Immerse the egg in a pan of cool salted water. If it sinks, it is fresh; if it rises to the surface, it is certainly quite old.

 Garlic: Garlic skin comes off easily if the garlic cloves are slightly warmed before peeling.

 Ghee: Avoid the use of ghee. If it is necessary, substitute it with canola oil. Even for making halwa, you can partly substitute it with oil.

 Green Chillies: To keep the chillies fresh for a longer time, remove the stems before storing.

 Green Peas: To preserve green peas, keep them in a polythene bag in the freezer.

 Idlies: Place a betel (paan) leaf over the leftover idli and dosa batter to prevent them sour.
Do not beat idli batter too much, the air which has been incorporated during fermentation will escape.
If you add half a tsp of fenugreek seeds to the lentil and rice mixture while soaking, dosas will be more crisp.


 Fruits: To ripen fruits, wrap them in newspaper and put in a warm place for 2-3 days. The ethylene gas they emit will make them ripe.

 Frying: Avoid deep frying. Substitute deep frying with stir frying or oven bake. Don't pour the oil, but make a habit of spraying the oil in the utensil for cooking. Heat the utensil first, then add oil. This way oil spreads well. You will use less oil this way.

 Left Over: Don't throw away the foods left over. Store them in Fridge. Use them in making tasty dishes.

 Lemon/Lime: If the lemon or lime is hard, put it in warm water for 5-10 minutes to make it easier to squeeze.

 Lizards: Hang a peacock feather, lizards will leave your house.

 Milk: Moisten the base of the vessel with water to reduce the chances of milk to stick at the bottom.
Keep a spoon in the vessel while boiling milk at medium heat. It will avoid sticking the milk at the bottom of the vessel.
Adding half a tsp of sodium bicarbonate in the milk while boiling will not spoil the milk even if you don't put it in the fridge.

 Mixer/Grinder: Grind some common salt in your mixer/grinder fro some time every month. This will keep your mixer blades sharp.

 Mosquitoes: Put a few camphor tablets in a cup of water and keep it in the bed room near your bed, or in any place with mosquitoes.

 Noodles: When the noodles are boiled, drain all the hot water and add cold water. This way all the noodles will get separated.

 Onions: To avoid crying, cut the onions into two parts and place them in water for 15 minutes before chopping them.
Wrap the onions individually in a newspaper and store in a cool and dark place to keep them fresh for long time.

 Oven: Watch from the oven window to conserve energy because the oven temperature drops by 25 degrees every time its door is opened,
To clean the oven, apply a paste of sodium bicarbonate and water on the walls and floor of the oven and keep the oven on low heat for about half an hour. Dried food can easily be removed.

 Paneer: To keep paneer fresh for several days, wrap it in a blotting paper while storing in the refrigerator.
Do not fry paneer, immerse it in boiling water to make it soft and spongy.

 Papad: Bake in microwave oven.
Wrap the papads in polythene sheet and place with dal or rice will prevent them from drying and breaking.

 Pickles: To prevent the growth of fungus in pickles, burn a small grain of asafoetida over a burning coal and invert the empty pickle jar for some time before putting pickles in the jar.

 Popcorn: Keep the maize/corn seeds in the freezer and pop while still frozen to get better pops.

 Potato: To bake potatoes quickly, place them in salt water for 15 minutes before baking.
Use the skin of boiled potatoes to wipe mirrors to sparkling clean.
Don't store potatoes and onions together. Potatoes will rot quickly if stored with onions.

 Refrigerator: To prevent formation of ice, rub table salt to the insides of your freeze.

 Rice: Add a few drops of lemon juice in the water before boiling the rice to make rice whiter.
Add a tsp of canola oil in the water before boiling the rice to separate each grain after cooking.
Don't throw away the rice water after cooking. Use it to make soup or add it in making dal (lentils).
Add 5g of dried powdered mint leaves to 1kg of rice. It will keep insects at bay.
Put a small paper packet of boric powder in the container of rice to keep insects at bay. Put a few leaves of mint in the container of rice to keep insects at bay.


 Samosa: Bake them instead of deep frying to make them fat free. Don't fry the filling potato masala.
Preserve the samosas in freezer. For eating, take out of the freezer two hours in advance and bake them over low temp.

 Sugar: Put 2-3 cloves in the sugar to keep ants at bay.

 Tadka: Use sprouted mustard seeds (rayee) and fenugreek (methi) seeds for your tadkas. Both of them when sprouted have more nutritional values. Also this add flavour to the dish and can be more beneficial, besides giving decorative look to the dish. 

 Tomato: To remove the skin of tomatoes, place them in warm water for 5-10 minutes. The skin can then be easily peeled off.
When tomatoes are not available or too costly, substitute with tomato puree or tomato ketchup/sauce.
Place overripe tomatoes in cold water and add some salt. Overnight they will become firm and fresh.

 Tamarind: Tamarind is an excellent polish for brass and copper items. Rub a slab of wet tamarind with some salt sprinkled on it on the object to be polished.
Gargles with tamarind water is recommended for a sore throat.

 Utensils: Use nonsticking utensils. Use thick bottom utensils, they get uniformly heated. For electric stoves, use flat bottom utensils.
Add a little bit of common salt to the washing powder for better cleaning of utensils.

 Vegetables: Don't discard the water in which the vegetables are soaked or cooked. Use it in making soup or gravy.
To keep the vegetables fresh for a longer time, wrap them in newspaper before putting them in freeze.
Chop the vegetables only when you are ready to use them. Don't cut them in too advance. It would spoil their food value.

 Sink (Blocked): To clear the blocked drain pipe of your kitchen sink, mix 1/2 cup sodium bicarbonate in 1 cup vinegar and pour it into the sink, and pour about 1 cup water. In an hour the drain pipe will open.

 Soup Salty: Place a raw peeled potato in the bowl, it will absorb the extra salt.

 Yogurt (Home Made): To set yogurt in winter, place the container in a warm place like oven or over the voltage stabliser.

 Yogurt: If the yogurt has become sour, put it in a muslin cloth and drain all the water. Then add milk to make it as good as fresh in taste. Use the drained water in making tasty gravy for vegetables or for basen curry.
To keep the yogurt fresh for many days, fill the vessel containing yogurt with water to the brim and refrigerate. Change the water daily..






(collected)

Monday, January 14, 2013

ধর্মে অলৌকিকত্ব বনাম আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

অতীতের রাষ্ট্র বিজ্ঞান আজকের দিনে ইতিহাস, আর আজকের দিনের রাষ্ট্র বিজ্ঞান অনাগত দিনগুলিতে ইতিহাস হিসাবে পাঠ্য থাকবে। পৌরনীতি বিষয়ে পাঠদানরত শিক্ষক মহোদয় কর্তৃক শ্রেণী কক্ষে তার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এখনো বিরোধী দলীয় নেত্রী, এটা বর্তমান এবং তিনি দেশের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন, এটা অতীত। ঠিক তেমনি আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আজকের দিনের শাসন ব্যবস্থা একদিন অতীত হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেবে।

আজকের বিশ্ব প্রযুক্তি সুপার কম্পিউটারের যুগে প্রবেশ করেছে। প্রতিদিনই নিত্য নতুন প্রযুক্তি নতুন নতুন সুবিধা নিয়ে আসছে, পাশাপাশি বিদ্যমান প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা খর্ব করে ক্রমান্তয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে। অধিক সুবিধা সম্পন্ন প্রযুক্তিকে আমরা গ্রহণ করি আর পুরোনো প্রযুক্তিকে ফেলে দিই। একই ভাবে আজকের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একদিন আমাদের অনাগত প্রজন্মের কাছে পুরোনো হয়ে যাবে। আমরা যেমন আমাদের বাবা দাদাদেরকে মান্ধাতা আমল বা মান্ধাতার প্রযুক্তি বলে তিরস্কার করছি, ঠিক একইভাবে একদিন আমাদের সন্তানগুলোও আমাদের শাসনামলকে মান্ধাতার শাসনামল বলবে এবং আমার আমাদের আজকের দিনের কথিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটিকে মান্ধাতা প্রযুক্তি বলে তিরস্কার করবে। সুতরাং প্রযুক্তি সব সময়ই ছিলো এবং এখনো আছে, ভবিষ্যতে নিত্য নতুন প্রযুক্তি বের করবে আমাদের অনাগত প্রজন্ম। এধারা সৃষ্টি থেকে শুরু হয়েছে আর অনাদিকাল অবধি চলবে।

আমরা যদি আজকের শুধু কম্পিউটার প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে দেখি, তাহলে দেখতে পাই, কম্পিউটার মার্কেটে সকাল বেলায় যে ডিভাইসটি এসেছে, বিকেলের মার্কেটে আরো অধিকতর ক্ষমতা সম্পন্ন ডিভাইস এসে সকাল বেলার ডিভাইটিকে পুরোনো করে দিচ্ছে। এধারণা থেকে আমরা ভাবতে পারি বর্তমান কাল কত ক্ষস্থানী। কিংবা একই বিষয়ে প্রযুক্তির পরপর আবিস্কার কোনটিকেই বেশীক্ষ স্থায়ী করছে না বলে অতি দ্রুত পুরোনো হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং বিজ্ঞানের অতি ঘন ঘন আবিস্কারের দিকে তাকালে আমরা বলতে পারি বর্তমান কাল বলে কোন কাল নেই। যা আছে, তাহলো কিছুক্ষ আগে ঘটা সেটা “অতীত”, এবং অতিদ্রুত আর একটি আসতে যাচ্ছে, সেটি “ভবিষ্যৎ”। বিজ্ঞানের আবিস্কারে বর্তমান কাল নেই বললেই চলে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মহাগ্রন্থ হলো মহাভারত। এটিকে মহাপুরান হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। এ মহাপুরানে উল্লেখ্যযোগ্য চরিত্র গুলোর মধ্যে একটি হলো শ্রীকৃষ্ণ, যাকে আমরা ভগবান বলি, অন্যটি হলো কৃষ্ণা, যাকে আমরা পঞ্চপান্ডবের স্ত্রী দৌপদী নামে জানি। এ দুজনের আলাপচারিতায় শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বিষয়ে বলেছিলেন সময় বা কাল বলতে দু প্রকারের হয়। প্রথমত অতীত ও দ্বিতীয়ত ভবিষ্যত। বর্তমান কাল বলতে কিছুই নেই। কারণ বর্তমান কাল এত বেশী ক্ষস্থায়ী যে এটির নাম উচ্চারণ করতে করতে অতীত হয়ে যায়। আজের দিনের প্রযুক্তিও একই কথা বলে। যে বিষয়টি নতুন আবিস্কৃত হয়েছে, এটি দেখতে না দেখতে একই উদ্ভাবক আরেকটি প্রযুক্তি মানুষকে উপহার দিয়ে চলেছেন। তাই বর্তমানে প্রযুক্তি বলে কিছু থাকছে না।

এমনি ভাবে দেখলে দেখা যায় কাল বা সময় হলো দুটি অতীত এবং ভবিষ্যত। বর্তমানকাল বলতে কিছু নেই। অথচ বাংলা কিংবা ইংরেজী ব্যাকরণ পড়ানো সময় আমাদের মাষ্টার মশাইরা আমাদের সময় বা কালের তিন বিভাগ পড়িয়েছেন - অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত।

যে প্রযুক্তিটি এই মাত্র মানে ক্ষণকাল আগে এসেছে, এটি সব সময় দামী হয়। সাধারনের ক্রয় সীমা বা ব্যবহারের উর্ধ্বে। এ কারণে যারা এ প্রযুক্তিটি ব্যবহার না করতে পারে, এরপ্রতি আগ্রহ ও এর কার্যকারিতা দেখে অত্যাশ্চর্য্য হবেন - এটাই স্বাভাবিক। এ অতি আধুনিক সদ্য প্রসূত বিজ্ঞান প্রযুক্তিটিকে যদি অতি অনগ্রসর এলাকার মানুষের সামনে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে এটিকে ঐ অনগ্রসর মানুষগুলি বিজ্ঞান প্রযুক্তি না বলে অলৌকিক ভাবাটা অসঙ্গতঃ হবে না। আবার যারা এ প্রযুক্তিটি দেখেছেন এবং ব্যবহার করেছেন, তাদের কাছে এটি সাধারণ এবং ভবিষ্যতে পরিবর্তনযোগ্য মনে হবে, অলৌকিক কিছু নয়।

আমরা আমাদের চারপাশের মানুষদের তার ধারণ করা মতাদর্শনের ভিত্তিতে হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি বলি। একটু সমালোচনা হলেও বলি এগুলি এক একটি দল বা গোষ্ঠী ভিত্তিক পরিচিতি। মানুষের আদি ধর্ম দর্শন হলো মনুষ্যত্ব, যেটি সনাতন। সে যাইহোক, আমি সকল ধর্ম বিশ্বাসী দলের জন্য ধর্মের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলির একটি উপাদান অলৌকিকত্ব নিয়ে আমার ভাবনার বিষয়টি বলার চেষ্টা করবো। পৃথিবীর কম বেশী সকল ধর্মেই ধর্ম প্রচারকরা অলৌকিকত্ব প্রকাশ করিয়ে অনুসারী বাড়িয়েছেন। ধর্ম প্রচারকের সেই অলৌকিকত্ব জনশ্রুতিতে মহিয়ান হয়ে অনন্তকাল অবধি সেই ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে বহাল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ ঐ অলৌকিকত্বের মধ্যে যুক্তি তর্ক থাকুক বা না থাকু অন্ধ অনুসারীরা সেটি নিয়ে একদমই মাথা ঘামাবেন না। আমি অন্যান্য ধর্মের অলৌকিকত্ব নিয়ে কিছু বলতে চাই না। যেহেতু আমি একজন সনাতন ধর্মানুসারী, তাই সঙ্গতঃ কারণে সনাতন (তথা হিন্দু) ধর্মের অলৌকিকত্বের সাথে বিজ্ঞানের সর্ম্পক নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। হিন্দু পুরান গুলির দিকে গভীর ভাগে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সনাতন ধর্মে অলৌকিকত্ব বলতে বুঝানো হয়েছে বিজ্ঞান ও যুক্তিকে। কোন মন গড়া, কিংবা কোন সাধারন মানুষকে চমৎকৃত কিংবা আকৃষ্ট করার জন্য ভৌতিক কিছু না।

০১) আমরা যারা হিন্দু, ত্রেতা যুগে অযোধ্যার রাজা দশর পুত্র শ্রীরামকে আমরা অবতার হিসাবে জানি। তখনকার অযোধ্যাবাসীরাও তাকে ভগবান হিসেবে জানত। তবে শ্রীরাম নিজেকে কখনো ভবান হিসাবে দাবী করেননি। কোন অলৌকিকত্ব দেখাননি। শ্রীরাম তাড়কা বধ করার পূর্বে ঋষি বিশ্বামিত্র তাঁকে যুদ্ধ অস্ত্র-শস্ত্র বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যা দিয়ে তিনি তাড়কা বধ করেন। যদি অলৌকিক ভাবে করা যেত, তাহলে ঋষি বিশ্বামিত্র রাজপুত্র শ্রীরামের সাহায্য নিতেন না। তিনি নিজেই যোগবলে করতে পারতেন। এছাড়া ঋষি বিশ্বামিত্র কর্তৃক শ্রীরামকে অস্ত্র বিদ্যা শিখিয়ে দেয়া এবং শ্রীরাম কর্তৃক তাড়কা বধ থেকে আরো একটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো, শুধু বিদ্যাধারী হলে চলবে না, এটি প্রয়োগ করার দত্ত্বা, মনোবল ও সাহস থাকা দরকার। এজন্যে ঋষি বিশ্বামিত্রের তাড়কা বধের জন্য অস্ত্র বিদ্যা জানা থাকলেও তিনি প্রয়োগ না করে শ্রীরামের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

০২) শ্রীরাম মাত্র ৮ বছর বয়সে যুদ্ধ করে তাড়কা রাক্ষসী বধ করেছিলেন। অন্য দিকে নিজ পত্নী সীতাকে লংকার রাজা রাব হরন করে নিয়ে যাবার পর তিনি যুদ্ধ করে উদ্ধার করেছিলেন। এজন্যে তিনি বানর সেনা ব্যবহার করেছেন। সমুদ্রের উপর দিয়ে বাঁধ নির্মান করেছিলেন। এগুলো রামায়ণে শ্রীরামের অলৌকিকত্ব মনে করে ভক্তকুল আবেগ আপ্লুত হন। কিন্তু ভগবান শ্রীরামের এগুলো কোনটিই অলৌকিক কাজ ছিল না। আজকের নদী ও সমুদ্রের উপর দিয়ে বড় বড় ব্রীজ নির্মানের ধারণা থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, আজকের প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমরা ব্রীজ নির্মানের যে কাজ দেখিনি, শ্রীরাম বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্রেতা যুগে সমুদ্রের উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মান করেছেন। এছাড়া Geography, Discovery, Animal Planet এর মাধ্যমে দেখতে পাই, বানরকে প্রশিক্ষিত করে ভারতের নগর রক্ষক/পুলিশ বাহিনী বন্য বানর নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করে। প্রশিক্ষিত কুকুর আমাদের দেশেও 'ড স্কোয়াড' হিসাবে আইনশৃংখলা রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে প্রশিক্ষিত ঘোড়া দিয়ে গরুর পাল নিয়ন্ত্ররা হচ্ছে। সুতরাং এগুলোর মাধ্যমে বুঝতে অসুবিধা হয় না, শ্রীরাম বান সেনা ব্যবহার করে রাবণের সাথে যুদ্ধ জয় করেছেন সেটি অমূলক কিংবা অলৌকিক। বরং স্পষ্তঃ প্রমাণিত হয়, শ্রীরাম কর্তৃক সেই যুগেই অবুঝ বানরদের কাজে লাগানোর জন্য উন্নত মনস্ত্বাত্বিক কৌশল প্রয়োগ করেছেন। যেটি আজকের উন্নত বিশ্বে কুকুর, বানর, ঘোড়া প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রয়োগ করা হয়। সুতরাং ত্রেতাযুগে শ্রীরাম বাস্তুবিদ্যা ও মনস্ত্বাত্বিক জ্ঞানে যে পরিমানে উন্নত ছিলেন, ঐ সময় একই ধরনের বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিতে তার সমকক্ষ কেহ ছিলেন না বিধায় অন্যান্যদের কাছে এ সকল জ্ঞান অলৌকিক বলেই মনে হয়।
 
রামায়নের শ্রীরাম লংকার রাজাকে পরাজিত ও নিহত করলেন। ১৪ বছর বনবাসের সময় শেষ হতে চলল। অন্যদিকে রামের অনুপস্থিতিতে ভরত অযোধ্যায় রাজার দায়িত্ব পালন করছেন। ভ্রাতৃপ্রিয় ভরত বনবাস থেকে ফিরিয়ে আনায় ব্যর্থ হয়ে শ্রীরামকে বলেছিলেন, ১৪ বছরের অধিক যদি একদিনও হয়, তাহলে তিনি রাম বিহনে স্বেচ্ছায় প্রাণ বির্জন দেবেন। শ্রীরাম ছোটভাই ভরতের সেকথা ভুলেননি বিধায় সীতাকে উদ্ধার করার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে অযোধ্যায় ফেরার তাড়া অনুভব করে বিচলিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি করে যাবেন, যে সময়টুকু তার হাতে আছে, ঐ সময়ের মধ্যে পদব্রজে, ঘোড়া কিংবা রথে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। সেজন্যে তিনি চিন্তিত ছিলেন। লংকার বিজিত ও নিহত রাবণ রাজার ছোট ভাই বিভীষণ শ্রীরামকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। তিনি শ্রীরামকে জানালেন, ভাই রাবণ আকাশ পথে দ্রুত উড়ে যেতে পারে এমন একটি যান ব্যবহার করতেন, যাকে বলা হয় পুস্পকরথ। শ্রীরামকে তিনি , তা দিয়ে সাহায্য করবেন। বিভীষণ লংকার রাজা এবং শ্রীরামের মিত্র। তাই তিনি মিত্রের এ সহযোগিতামূলক প্রস্তাব গ্রহণ করলেন এবং আকাশ পথে তিনি অযোধ্যায় ফিরলেন।

আগে বলা হয়েছে, যে প্রযুক্তি অতি ব্যয় বহুল ও সাধারণে ক্রয়সীমা ও ব্যবহারের ক্ষমতার বাইরে এবং যারা সে প্রযুক্তি চোখেও দেখেনি, সেটা দেখার সুযোগ পেলে প্রযুক্তিটিকে যাদুকরী, অত্যাশ্চর্য্য ও অতিপ্রাকৃত শক্তি বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এ ধরনের ধ্যান-ধারণা এখন যেমন আছে, অতীতেও ছিলো। সুতরাং ত্রেতা যুগে পৃথিবীতে সবচেয়ে অধিক ধনশালী রাবণই শুধু আকাশ যান তথা পুস্পকরথ মানের বিমান ব্যবহার করতো। আজকের অহরহ বিমান উড়াউড়ি দেখলে সে পুস্পকরথকে কখনো কল্পিত কিংবা অলৌকিক বলে মনে করার কোন কারণ থাকে না। বরং বলা যায়, আজকের দিনের প্রযুক্তিটি সে সময় রাব রাজা ব্যবহার করতে সক্ষম ছিলো বিধায় তিনি ব্যবহার করতেন।

এবারে একটু দ্বাপর যুগে আসা যাক। দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের অবতার রূপে পূজিত হন। ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের শিশুকাল হতে যৌবনের পুরো সময় পর্যন্ত অতিপ্রাকৃত শক্তি, বীর্য, তীক্ষ্ন বুদ্ধি প্রজ্ঞা দেখে অভিভূত হন। প্রথমে আসা যাক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাতা যশোদাকে তার মুখ গহ্বরের ভিতরে বিশ্বরূপ দেখানোর কথায়। আজকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করে ঘরে বসে টেলিভিশনে Discovery বা Geography চ্যালেন যখন বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের ডকুমেন্টারী দেখেন কিংবা দেখি তখন কি আমরা আশ্চর্য হই না। আজ যেমন প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডে আমাদের পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান এবং প্রকৃতির নানান দুযোর্গ গুলি দেখতে এবং অনুভব করে শিহরিত হই, তখন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসাবে আমাদের কি একদমই মনে হয় না, মা যশোদা আমাদের মতই টেলিভিশনের মত কোন পর্দায় বিশ্ব বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের জ্যান্ত ছবির কোন ডকুমেন্টরী দেখেছেন। ধরে নিন তিনি আজকের দিনের এ প্রযুক্তিটির মত কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে মা যশোদা বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের লয়, প্রলয় সহ নানান রকম প্রাকৃতিক উত্থান পতনের ডকুমেন্টরী দেখেছেন এবং তিনিই একমাত্র যোগ্যদর্শক ছিলেন আর এ প্রযুক্তি শুধুমাত্র বালক শ্রীকৃষ্ণের কাছে ছিল, যা তিনি মা যশোদাকে দেখতে দিয়েছিলেন। তখন এটা আর অলৌকিক থাকে না, যা থাকে তা হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

অন্যদিকে মহাভারতের সমগোত্রীয় আরোও একটি ঘটনার বর্ণনা আছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর পূর্বে ঋষি ব্যাসদেব অন্ধরাজা ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের বর্ণনা শোনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ব্যাসদেব ধৃতরাষ্ট্রের রথের সারথী সঞ্জয়কে দিব্য দৃষ্টি দান করলেন। তার মানে ঘরে বসে সারথী সঞ্জয় কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করবেন এবং তদানুযায়ী তিনি ধারাভাষ্য বর্ণনা করে রাজাকে শোনাবেন। এ ঘটনাকে অলৌকিক বলে মনে করা হয়। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান কি বলে। Skype, 3G, কিংবা নেহাৎ হরতালের সময় রাস্তার মারামারি আমরা ঘরে বসে দেখছি। মাঠের খেলার দৃশ্য ও ধারা বিবরণী আমরা ঘরে টিভির বদৌলতে ঘরে বসে উপভোগ করছি। অতি সম্প্রতি বিশ্বজিত নামের ছেলেটির মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনা শুধুদেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আজকের টেলিভিশনে দেখা এধরনের ঘটনা গুলির সাথে সাথে ধৃতরাষ্ট্রের সারথী সঞ্জয় কর্তৃক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দৃশ্য দেখার ক্ষমতা মেলালে কি সারথী সঞ্জয় কর্তৃক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দৃশ্য দেখা ঘটনাবলী অলৌকিক বলে মনে হয় না। যা মনে হয় তা হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। অর্থাৎ আমরা বিশ্বের অধিক সংখ্যক মানুষ যেমন টেলিভিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে এ সুবিধা ভোগ করছি, তখন ব্যাসদেব শুধুমাত্র রাজাকে দেখতে দিয়েছিলেন। রাজা যেহেতু অন্ধ সেজন্যে সারথী সঞ্জয় সে প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে রাজাকে যুদ্ধের ধারা বিবরনী শুনিয়েছিলেন। যদি অলৌকিকই হতো তাহলে সঞ্জয় না, স্বয়ং রাজা দেখতে পেতেন।

সুতরাং ত্রেতা যুগে পুস্পকরথে করে শ্রীরামের অযোধ্যায় নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছা, শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক মা যশোদাকে মাটি খাওয়া ছলে শিশুকৃষ্ণের মুখ গহ্বরে বিশ্বরূপ (ডকুমেন্টরী) দেখানো, ধৃতরাষ্ট্রকে সারথী সঞ্জয় কর্তৃক দিব্য দৃষ্টিতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করে ধারা বিবরনী শোনানো এগুলো আপাতঃ দৃষ্টিতে অলৌকিক মনে হলেও এগুলো সবই আজকের দিনে আমাদের কর্তৃক ভোগ করা বিজ্ঞানের সুবিধা গুলিই ছিলো, যা সেই সময়ের আধুনিক বিজ্ঞান বলুন আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, যাই বলুন না কেন। 
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভিত্তিতে জানা যায় প্রতি বছর ইউরোপের প্রচুর লোক ভারতে আসেন সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে গর্ভ ভাড়া পাবার আসায়। যে পরিমান লোক এ উদ্দেশ্যে ভারতে আসেন, এরমধ্যে শুধু পশ্চিম বঙ্গে অবস্থান করে কয়েক শত কিংবা হাজার খানেক। গাড়ী ভাড়া, বাড়ী ভাড়া, বাসা ভাড়া হয়, এমনকি যে কোন ধরনের কায়িক কাজ করার জন্য লোকবল ভাড়া করা যায়। কিন্তু গর্ভ ভাড়া! শব্দটা শুনতেই আশ্চর্য হতে হয়। অথচ অবিশ্বাস্য হলেও মানুষ এখন বিশ্বাস করে গর্ভ মানে মাতৃগর্ভও ভাড়ায় চলে। বিষয়টা একটু খুলে বলা যাক। যে সকল নারী পুরুষ উভয়ের সন্তান ধারন করার জন্য স্ব স্ব ক্ষমতা আছে, যেমন স্ত্রীলোকটির প্রতিমাসে যথা নিয়মে ঋতুমতি হন, অন্য দিকে পুরুষ লোকটির বীর্যে যথাযথ পরিমানে জীবিত শুক্রানুর উপস্থিতি থাকে। অথচ উভয়ে মিলিত হবার পর কোন এক অজানা কারণে স্ত্রীলোকটির গর্ভে ডিম্বকোষ ও পুরুষের শুক্রানুর মিলনের মাধ্যমে এব্যুউলেশনটা যথামাফিক হয় না, ফলে স্ত্রী লোকটির গর্ভে সন্তান আসে না। এমন অবস্থায় স্ত্রী-পুরুষ সন্তান লাভের জন্য অন্যকোন স্ত্রী লোকের সাহায্য নিতে হয়। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মা হতে আগ্রহী স্ত্রীলোকটির ডিম্বকোষ এবং তার স্বামীর শুক্রানু বিশেষ কায়দায় গ্রহণ করে এ দুটিকে অপর কোন মহিলার গর্ভে স্থাপন করে এব্যুউলেশন ঘটনার মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী এ দুজনের বাইরে অপর মহিলার কোন ভূমিকা থাকে না, শুধুমাত্র তার নিজ গর্ভে অপর দুটি নারী পূরুষের সন্তান ৩৯ সপ্তাহ যাবৎ ধারণ করা ব্যতীত। সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর প্রকৃত বাবা মা তাদের সন্তান নিয়ে যান। সন্তান ধারণ করা মহিলাটি বিনিময়ে বড় অংকের অর্থ পায়। খরবে জানা যায়, বিশেষতঃ দরিদ্র ও পেছনে পড়া মহিলারা শুধু অর্থের বিনিময়ে এ ধরনের কাজে আগ্রহী হন।

বিগত প্রায় এক দশক ধরে চলা উপরের বর্ণনাটা শুধু জানানো জন্য অবতারনা করছি না। এর কারণ হিসাবে বলছি এ রকম ঘটনার বিবরণ হিন্দু ধর্মের অলৌকিকত্বে বিদ্যমান । আমরা আজ যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী নামে পরিচিত, তারা সবাই জানি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মা দেবকী অষ্টম গর্ভজাত সন্তান। দেবকী ব্যতীত শ্রীকৃষ্ণের বাবা বসুদেবের আরো এক স্ত্রী ছিলেন নাম রোহিনী, যিনি কংসের হাত থেকে বাঁচার জন্য আগেই পালিয়ে বৃন্দাবনের নন্দরাজ ও যশোদার আশ্রয়ে আশ্রিত ছিলেন। বলা বাহুল্য বৃন্দাবনের নন্দরাজ ও যশোদা বসুদেবের আত্মীয় ছিলেন। এদিকে কারাগারে বসুদেবের স্ত্রী দেবকীর একে একে ৬টি সন্তান জন্ম নেবার পর পরই কংস হত্যা করার পর দেবকী ৭ম বারের মত গর্ভবতী হন। কিন্তু গর্ভবতী হবার মাত্র কিছু দিনের মধ্যে দেখা গেল দেবকীর গর্ভ স্বাভাবিক মনে হতে লাগল। কংস দাইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হল, দেবকীর ৭ম গর্ভে কিছু নেই এবং কংস ও এরসাথে সবাই ধরে নিল দেবকীর ৭ম গর্ভ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে একই সময়ে বৃন্দাবনে নন্দরাজের ঘরে আশ্রিতা রোহিনীর গর্ভে সন্তানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রোহিনী এর কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক ছিলো এজন্যে যে, সে তার স্বামী বসুদেবের সান্নিধ্য থেকে অনেক দিন ধরে বঞ্চিত। কেননা বসুদেব কংসের কারাগারে বন্দি। সুতরাং তার গর্ভে সন্তান আসার কোন কারণই নেই। এমতাবস্থায় হত বিহ্বল হয়ে রোহিনী এ অস্বাভাবিক ঘটনাটি নন্দরাজ ও তাঁর স্ত্রী যশোদাকে জানালে তিনজনই তাদের কুল গুরুর শণাপন্ন হন (সম্ভবতঃ ঋষি ভাগর্ব, তবে এ মুহুর্তে সঠিক নাম মনে নেই)। কুলগুরু তিনজনকেই জানালেন এটি রোহিনীর সন্তান নয়, এটি কংসের কারাগারে আটক বসুদেবের ঔরসে একই কারাগারে আটক তার স্ত্রী দেবী দেবকীর ৭ম গর্ভ জাত সন্তান। শুধুমাত্র কংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঐশ্বরিক ভাবে রোহিনীর গর্ভে অবস্থান করছে এবং বেড়ে উঠছে। সুতরাং বুঝতেই তো পারছেন, বসুদেব আর দেবকী ৭ম গর্ভ জাত সন্তান যেভাবে রোহিনীর গর্ভে বড় হয়ে ৩৯ সপ্তাহ পর ভূমিষ্ট হয়েছেন, ঠিক তেমনি আজকের দিনে প্রসূতি ও ধাতৃবিদ্যা বিজ্ঞানে ভারতে গর্ভ ভাড়া করে সন্তান ভূমিষ্ট করানো হয়। সুতরাং দেবকী ও বসুদেবের ৭ সন্তান জন্ম নেবার ঘটনা যদিও অলৌকিক হয়, তবে একই কায়দায় আজকের দিনের বাচ্চা গুলিকে অলৌকিক না বলে বিজ্ঞানের উন্নতির ফসল বলা হচ্ছে। তার মানে কি এই হচ্ছে না, এ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞান একবিংশ শতাব্দিতে আমরা ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছি, সেটি আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে আমাদের পূর্ব পূরুষরা ব্যবহার করেছেন, যেটি আমাদের পুরান মহাভারতে উল্লেখ আছে।
বিগত প্রায় দেড় দশক আগে থেকে বিশ্বে একটি শব্দ বহুল প্রচলিত হয়ে আসছে, সেটি হল ক্লোনিং (cloning)। ক্লোনিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা প্রথম ডলি নামে একটি ভেড়া জন্ম দিয়েছিল। ক্লোনিং হল এমন একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি শুক্রানুকে বহু খন্ডে বিভক্ত করে একই ধরনের বহু জন্ম দেয়া সম্ভব। একটু শুক্রানু খন্ডিত করে এর অংশ রেখে দিয়ে পঞ্চাশ বছর পর সমপরিমান বর্ষের আগে জন্ম জন্তুটির মত আরো অনেক গুলি প্রাণী তৈরী করা সম্ভব। এভাবে নাকি মানুষ তৈরী করাও সম্ভব।  

একই ধরনের ঘটনার বিবরণ মহাভারতেও বর্ণিত আছে। যারা হিন্দু তারা কম বেশী জানেন, যুবরাজ যুধিষ্ঠির ও যুবরাজ দূর্যোধন হলেন জেঠাতু খুড়াতো ভাই। ঐ সময়ের রীতি অনুযায়ী বংশের যে বড় হবেন সেই হবে পরবর্তী রাজা। পান্ডু ও অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র দুজনে ভাই। পান্ডুর স্ত্রী কুন্তী যখন অন্ত্বঃসত্তা, ঠিক একই সময়ে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারীও ঠিক একই সময়ে অন্ত্বঃসত্তা। ধৃতরাষ্ট্র মনে প্রাণে চেয়েছিলেন তার সন্তান আগে ভূমিষ্ট হয়ে জ্যেষ্টত্ব অর্জন করুক, যাতে পরবর্তীতে রাজা হতে কোন অসুবিধে না হয়। কিন্তু বিধিবাম, পান্ডুর স্ত্রী কুন্তী প্রথম সন্তান যুধিষ্ঠির জন্ম নিয়েছে - এমন বার্তা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে পৌঁছা মাত্র ধৃতরাষ্ট্র রেগে তার স্ত্রী গান্ধারীর পেটে লাথি মারলেন। সঙ্গে সঙ্গে গান্ধারী পেট থেকে অকালে মাংস পিন্ডরূপ সন্তান ভূমিষ্ট হল। আজকাল হাসপাতাল গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় মাতৃগর্ভে ২৮ সপ্তাহের অবস্থান করার পর যে সন্তান ভূমিষ্ট হয়, তা পরিপুষ্ঠ না হলেও ইনকিউভেটরের (incubator) মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। সুতরাং রাজা ধৃতরাষ্ট্র তার অকালে ভূমিষ্ট হওয়া অপরিপুষ্ঠ সদ্য জন্ম নেয়া মাংস পিন্ডরূপ সন্তান দুর্যোধনকের বাঁচিয়ে রাখার সব রকম ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিলেন। সদ্য জন্ম নেয়া সন্তান এতই বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা এ নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তখন মাংস পিন্ডরূপ দুর্যোধনের শরীর হতে একটু একটু করে বিভিন্ন ভাবে সংরন করতে করতে শত ভাগে সংরক্ষণ করা হয় এবং এভাবে এক দুর্যোধনের মাংস পিন্ড থেকে ধৃতরাষ্ট্রের শত পুত্রের জন্ম হয়। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে আপনারা কি ভাবছেন, এ যুগের বিজ্ঞানীরা ক্লোনিং এর ধারণাটা কি মহাভারত থেকে ধার করে নিয়েছেন? নাকি মহাভারতের রচয়িতা ব্যাসদেব আজকের যুগের বিজ্ঞানীদের থেকে নিয়েছেন?  
এবারে একটু যুদ্ধ বিগ্রহের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের দিকে আসা যাক । অতি সংক্ষেপে এর শিরোনাম দেয়া যায় বৈদিক অস্ত্রশস্ত্র বনাম আধুনিক সমর সরঞ্জাম (modern weaponology)। এ পর্বে বৈদিক অস্ত্রশস্ত্রের সাথে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সর্ম্পক বা মিল গুলি অতি সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

বৈদিক অস্ত্রশস্ত্র বনাম আধুনিক সমর সরঞ্জাম (মর্ডান উইপনোলজী)

আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে উন্নত বিশ্ব জুড়ে (ইউরোপ ও আমেরিকার কথা বলছি) গবেষণাগারে যে বিষয়ে বেশী গবেষণা হয়, তা হল টিস্যু কালচার গবেষণা। এর কারণ হল বিশ্বে মানুষ যে হারে বাড়ছে সে হারে খাদ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ না হয়ে কিভাবে অধিক খাদ্য ফলানো যায় এবং ভবিষ্যতে কি করে আরো অধিক খাদ্য ফলানো যাবে এ নিয়ে নিত্য নতুন গবেষণার শেষ নেই। কারণ মানুষের food chain তথা খাদ্য সরবরাহের ধারাবাহিকতা যদি বন্ধ হয়, তাহলে মুহুর্তে সমগ্র বিশ্বে হানাহানি, মারামারি কাটা কাটি বেড়ে যাবে। বিশ্ব সভ্যতা খুব দ্রুতই পেছনের দিকে মোড় নেবে বলে এতদ বিষয়ে গবেষকদের ধারণা। সুতরাং বিজ্ঞান সর্বাগ্রে ভাববে খাদ্য নিয়ে।

উন্নত বিশ্ব জুড়ে (বলতে ইউরোপ, আমেরিকার ও চীন সহ ধনী দেশ গুলির কথা বলছি) খাদ্য উৎপাদন নিয়ে চিন্তা বা গবেষণার পাশাপাশি নিজেদের শক্তি সামর্থ প্রদর্শন ও নিজ দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা হয়। এটি সম্ভবতঃ উন্নত বিশ্বগুলিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কি করে মারনাস্ত্র তৈরী করা যাবে এ নিয়ে কোন কোন দেশ খাদ্য উৎপাদন গবেষণার চাইতে বেশী গুরুত্ব দেয়। কেননা তারা জানে অত্যাধুনিক ও বেশী পরিমানে মারনাস্ত্র উৎপাদন বিশ্বে ঐ দেশকে শক্তিশালী মর্যাদার আসন যেমন দেবে ঠিক তেমনি ঐ অস্ত্র বিপননের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা তথা প্রয়োজনীয় খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানী করা যাবে। সুতরাং মারনাস্ত্র গবেষণা, উৎপাদন ও বিপননে আমেরিকা, চীন, ইসরাইল ও ইউরোপের কিছু দেশের নাম সর্বাগ্রে নেয়া যেতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল থেকে বলা যায় আমেরিকা এক্ষেত্রে খুব বেশী এগিয়ে আছে। এর প্রমা হিসাবে বলা যায়, এরাই প্রথম আণবিক বোমা সফল প্রয়োগ করে জাপানের দুটি শহরকে ধ্বংস করার পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তাড়াতাড়ি পরিসমাপ্ত হয়। আমেরিকা নতুন নতুন অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদনের এখনো অবধি পারমঙ্গম এবং এর সফ প্রয়োগ করতে পারে সেটা বিশ্ববাসীকে ১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ, পরবর্তীতে আমেরিকার উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাকে প্রয়োগ, অতিসম্প্রতি আফগানিস্থানে ওসামা বিন লাদেন দমন নামে বিচিত্র সব অস্ত্রশস্ত্রের সফল প্রয়োগ করে অস্ত্রগুলির দত্ত্বার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে।

১৯৯০ সাল হতে এ যাবৎ অবধি বিশ্ববাসী নতুন নতুন অস্ত্রশস্ত্র দেখেছে এগুলোর মধ্যে cruise ক্ষেপনাস্ত্র, cluster বোমা, laser-guided missile, চালক বিহীন বিমানে করে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ drone ইত্যাদি উল্লেখ করার মত। cruise ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে অনেকটা ঘরে বসে শত্রুর বাড়ির ঠিক নিশানায় নির্ভুল ঠিকানা লাগানোর মত অব্যর্থ একটি যন্ত্র। অন্যদিকে cluster বোমা হলো যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে শত্রুর বাড়ির উপরে ছেড়ে দেয়া একটি বোমা, যা মাটিতে পড়ার পূর্বে এক থেকে বহুতে পরিনত হয়ে শত্রুর বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জান ও মালের ক্ষতি করতে সক্ষম অস্ত্র। laser-guided missile হলো এমন একটি অস্ত্র যা লক্ষ্য বস্তুকে আকাশে স্যাটেলাইট দ্বারা নজরে রাখা হয় এবং মিসাইলটি আকাশে ওড়ার পর কোন কারণে লক্ষ্য বস্তু নির্ধারিত স্থান হতে অন্যত্র নড়ে চড়ে গেলেও সমস্যা নেই, মিসাইলটি আকাশে বাক নিয়ে সময়মত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আধুনিক সমরাস্ত্র গুলি এ ধরনের বর্ণনা দেয়া আমরা জন্য বাতুলতা মাত্র। আমার বিশ্বাস ছোট থেকে বড় শত সহস্র রকমের মারনাস্ত্র প্রতিদিনই ভয়ংকর হয়ে উঠছে এ সংক্রান্ত গবেষকদের গবেষণা কার্যের ফলে।

আমি উপরের যে কয়টি ভয়ংকর অস্ত্রের বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, এগুলোর সাথে বৈদিক যুগের অস্ত্রের মিল গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রথমে বৈদিক যুগের যুদ্ধের বর্ণনায় যে সকল অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি সমরাস্ত্রের নাম বলব। যেমন - বরুন বান, পশুপতি বান, ব্রম্মাস্ত্র, নাগপাশ, পাতাল বেদী, শব্দ বেদী, ইত্যাদি।

১. বিমান: আমরা জানি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অতি অল্প পরিমানে আকাশ পথে যুদ্ধ হয়েছিল। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আগে স্থল ও জল পথে শত্রুপক্ষের উপর আক্রম করা হয়েছিল। কালক্রমে নতুন নতুন সমরাস্ত্রের উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্থলপথ জল পথ ও আকাশ বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে যুদ্ধ কৌশল শুরু হয়। রামায়নে আমরা রাম চন্দ্রের অনুজ লক্ষণে সাথে রাব পুত্র মেঘনাদের যুদ্ধের বর্ণনাতে দেখতে পাই, মেঘনাদ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যুদ্ধ করত। এখন প্রশ্ন হল আকাশে ভেসে থাকতে না পারলে কি করে যুদ্ধ করা যাবে? সুতরাং আকাশে ভেসে থাকার যানটি হল বিমান। এ বিমান শব্দটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুরান রামায়ন ও মহাভারতে আছে। তাহলে রামায়নের রাবণ পুত্র মেঘনাদের মেঘের আড়াল হতে যুদ্ধ করার মানে মেঘনাদ আজদের দিনের মত হেলিক্প্টার কিংবা জঙ্গী বিমানের মত কোন যান ব্যবহার করেছেন।

আজকাল বিশ্বের সামরিক ক্ষমতাশালী প্রতিটি দেশের নিজস্ব যুদ্ধ বিমান বাহিনী আছে। আছে প্রতিটি দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিগত উৎপাদন ব্যবস্থা। যে সকল দেশের যুদ্ধ বিমান উৎপাদনের ক্ষমতা নেই, এ সকল দেশ অন্ততঃ তাদের আর্থিক ক্রসীমার মধ্যে যুদ্ধ বিমান বহর কিনে ব্যবহার করেছে। আবার যে সকল দেশের আর্থিক ও বিমান উড়ানোর মত যথেষ্ঠ অবকাঠামো নেই সে সকল দেশকে স্থল পথের সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয় এবং এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। বিমান বাহিনীর আক্রম থেকে বাঁচার জন্য যুদ্ধ বিমান নেই এমন দেশ স্থল ভাগ থেকে আকাশ পথে আক্রম করা যুদ্ধ বিমান গুলিকে গোলার মাধ্যমে ভূপাতিত করে নিজ অবস্থান রক্ষা করবে এটাও তেমন একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

রামায়নের রাম ও লক্ষণ সীতাকে উদ্ধার করার জন্য লংকায় অত্যন্ত দীনহীন ভাবে অথচ নীতিগত অধিক মানসিক শক্তি নিয়ে লংকা আক্রম করেছেন। একদিকে লংকার রাজা, সৈন্য সামন্ত, অস্ত্রশস্ত্রের অভাব নেই। সুতরাং লংকার রাজার রাজপুত্র মেঘনাদ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে ব্যয় বহুল ও আধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে - এটাও স্বাভাবিক ঘটনা। সুতরাং এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, আজকের বিমান দিয়ে আক্রম বিংশ শতাব্দির প্রযুক্তি নয়, এ প্রযুক্তি ত্রেতা যুগে রাব রাজপুত্র মেঘনাদ তথা ইন্দ্রজিৎ ব্যবহার করেছিল লক্ষণের সাথে যুদ্ধ করার সময়, আর লক্ষণ এখনকার স্থল বাহিনীর মতো ভূমিতে থেকে ইন্দ্রজিতকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও আমরা জানি আজকের যুগে বিমান যে গোলা ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয় এটিকে শেল (shell) বলা হয়। রামায়নের লক্ষণ ও ইন্দ্রজিতের যুদ্ধের ফলাফল হিসাবে বর্ণিত আছে লক্ষণ শেল বিদ্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সুতরাং আজকের এ শেল শব্দটিও সেই রামায়ন থেকে নেয়া।

২. Cluster Bomb: আমেরিকায় আফগানিস্তান যুদ্ধে ক্লাষ্টার বোমার ব্যবহার করেছে। আগেই বলা হয়েছে এ ক্লাস্টার বোমা জঙ্গী বিমানের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানে নিচের দিকে একটা ছুড়ে মারলে মাটিতে পড়ার পূর্বেই এক থেকে বহুতে পরিণত হয়ে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জন-মানুষ ও সম্পদের ক্ষতি করে। রামায়ন ও মহাভারতের বর্ণিত যুদ্ধ গুলিতে যে সব বৈদিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, দেখা গেছে শ্রীরাম, লক্ষ, অর্জুন ও অন্যান্য পান্ডবগন একটি মাত্র তীর (ক্ষেপনযোগ্য অস্ত্র) নিক্ষেপ করেছে, আর ঐ অস্ত্র মাটিতে পড়ার পর বহু হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রেত্রুপক্ষের ব্যাপক এলাক জুড়ে অনেক যোদ্ধা হতাহত হয়েছেন। যারা মহাভারত ও রামায়ন পড়েছেন, সেই বৈদিক যুগের ঐ অস্ত্রটির সাথে ক্লাষ্টার বোমার মিল পা কিনা?

৩. পাতাল বেদী: আমরা জানি আফগানিস্তানন যুদ্ধে বিন লাদেনকে মারার জন্য আমেরিকা আকাশ থেকে এমন সব শেল/ক্ষেপনাস্ত্র ফেলেছে যে গুলি ২০/২৫ ফিট মাটির গভীর গিয়ে ফেটেছে। বৈদিক যুগে পাতাল বেদী বানের নাম, ব্যবহার ও এটির ক্ষমতার সাথে এরা মিল আছে কিনা একটু ভাবুন তো। পাতাল বেদী বান, মাটি ফুটে পাতালে গিয়ে শত্রু নিধন করত। বৈদিক পুরান গুলোতে আমরা দেখি কোনো দেবতা যোদ্ধার ভয়ে কোনো কোনো দানব পাতাল নগরী গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পুরান গুলিতে পাতাল নগরীর নাম শুনে অনেককে অদ্ভূ বলে নাক শিটকিয়ে উঠতে দেখেছি। হালের লিবিয়ার নগরী সমতূল্য মাটির নিচের গাদ্দাফির প্রাসাদতূল্য বাঙ্কার, কিংবা তোরাবোরা পাহাড়ের গুহায় লাদেনের আস্তানার সাথে পুরান গুলির পাতাল নগরীর মিল আছে কি না একটু ভাবুন তো। আর তোরাবোর পাহাড়ের বাঙ্কার ধ্বংস করার জন্য যে ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেটির সাথে বৈদিক পাতাল বেদী বানের মিল আছে কি না খেয়াল করুন তো!

৪. শব্দভেরী: মহাভারত ও রামায়নে শব্দভেরী বানের কথা উল্লেখ আছে। বিপক্ষ শক্তির উপস্থিতির শব্দ লক্ষ করে এটি চালাতে হতো এবং যেখানে শব্দের উপস্থিতি সে স্থলে গিয়ে এ বৈদিক অস্ত্রটি কাজ করত। বিংশ শতকের শেষ দিকের তৈরী আমরা কিছু কিছু ক্ষেপনাস্ত্র সম্পর্কে জানি, যেগুলি আকাশ থেকে আকাশে, আবার ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া হয়। বিশেষতঃ জঙ্গী বিমান ধ্বংসের জন্য এ ক্ষেপনাস্ত্র গুলি প্রয়োগ করা হয়। Geography চ্যানেলের কল্যাণে এ সমরাস্ত্র বিষয়ে জানার সুযোগ হয়েছে, এটি যে টার্গেকটিকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়, সে টার্গেটটি যদি পেছনে তেড়ে আসা ক্ষেপনাস্ত্র থেকে বাঁচতে আকাশে দ্রুত চলার গতিতে উপর নিচ কিংবা ডান বামদিকে বাঁক নেয়, তবে পেছনে তাড়িয়ে বেড়া ক্ষেপনাস্ত্রটিও উপর-নিচ, ডান বাম মোড় নিয়ে বিমানটিকে ধ্বংসরে। এর মূল রহস্য হলো ক্ষেপনাস্ত্রটি বিমানটি টার্গেট করে না, যেটি লক্ষ্য করে ক্ষেপনাস্ত্র আমনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটি হলো ধাবমান বিমানের তাপ ও শব্দ। সুতরাং একটু ভাবুন তো, রামায়ন-মহাভাতের শব্দভেরী বানের সাথে যুদ্ধ বিমান ধবংসের জন্য ব্যবহৃত এ ধরনের ক্ষেপনাস্ত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায় কি না।

৫. বরুন বান: বরুন বান নামে মহাভারত ও রামায়নের একটি সমরাস্ত্রের বর্ণনা আছে। বিশেষতঃ প্রতিপক্ষ যখন অগ্নিবান নিক্ষেপ করত, তখন অগ্নিবান থেকে রক্ষা পাবার জন্য এ বানটির প্রয়োগ করা হত। অগ্নিবান মানে হলো আগুলে গোলা নিক্ষেপ করার ফলে সব কিছুতে আগুন ধরে যেত। আমরা জানি বরুন শব্দের অর্থ হলো জল, যা আগুন নির্বাপনে সাহায্য করে। আমাদের ঢাকায় হরতাল পিকেটিং করার সময় পিকেটাররা গাড়ী বা স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেয় কিনা? আর সে আগুন নির্বাপনের জন্য জল নিক্ষেপনের জন্য জলকামান ব্যবহার করা হয় কি না? এছাড়া পুলিশ একসাথে জড়ো হওয়া মানুষগুলো উন্মাদনার আগুন নেভানোর জন্য জড়ো হওয়া মানুষগুলোকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য জলকামান ব্যবহার করে কি না? সুতরাং আজকের জলকামান প্রযুক্তিটির সাথে বৈদিক যুগের বরুন বানের মিল আছে কি না পাঠকই বিচার করুন।

৬. ব্রহ্মাস্ত্র: বৈদিক যুগে ব্রম্মাস্ত্রের নাম শোনা যায়। এটি সকল অস্ত্রের সেরা ও সর্বশেষ অস্ত্র নামে পরিচিত। বৈদিক যুগের এ অস্ত্রটির মালিকানা যে কেহ ইচ্ছা করলেই হতো পারতো না। যারা ব্রম্মাস্ত্র লাভ করেছেন, এদের প্রত্যেকে জ্ঞান, গরিমা, চিন্তা চেতনায় উন্নতির চরম শেখরে উপনিত হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। কেননা, এ অস্ত্রটি ছিল অব্যর্থ এবং তীব্র ভয়াবহতাসহ সবকিছুকে ছাড়িয়ে যেত। এজন্য এ অস্ত্রের অধিকারী এ সকল ব্যক্তিই হতো যারা বিচক্ষণ। শুরুমাত্র অনন্যপায় হয়ে স কাজে এটি ব্যবহার করা হতো। এ ছিল বৈদিক যুগের সর্ব সেরা যুদ্ধাস্ত্র । কিন্তু বর্তমানে যত প্রকারের যুদ্ধাস্ত্র আছে এর মধ্যে সেরা নিউক্লীয়ার বোমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা জাপানের দুটি শহরে দুটি বোমা ব্যবহার করে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা বিশ্ববাসী প্রথমবারের মত পেয়েছে। এ মারনাস্ত্র পৃথিবীর সকল দেশের কাছে থাকা উচিত নয়, এ লক্ষ্যে বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী সময় এ প্রযুক্তিতে তখনকার সময়ের ক্ষমতাধর দেশের জোট গুলি এখন অবধি নিউক্লীয়ার শক্তি অপব্যবহার রোধে কাজ করে আসছে।

এবার মিলিয়ে দেখার অনুরোধ রইল, বৈদিক যুগের ব্রম্মাস্ত্রের সাথে আজকের দিনের নিউক্লীয়ার বোমা বা প্রযুক্তির মর্যাদা, ব্যবহারের কৌশল, সংরক্ষণকারী দেশ গুলির মর্যাদার সাথে মিল আছে কি না।

উপসংহার:
এভাবে চিন্তা করতে গেলে সনাতন ধর্মের পুরান গুলিতে পদ্যকাব্য ধারায় বর্ণিত সব কিছুতেই আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে। আমার বক্তব্য অনেকের কাছে হাস্যপদ হবে, তবুও বলছি আমরা অনেকেই জানি না, আমরা যাদেরকে উন্নত বিশ্ব বলছি, এরা কেহই সনাতন ধর্মানুসারী নয়, তবে তারা তাদের গবেষনা কাজে হিন্দু পুরান ও হিন্দু শাস্ত্রাধি থেকে ধারণা ও সমরাস্ত্র ও যন্ত্রের বর্ননা ধারন করে আধুনিক সমরাস্ত্রগুলির রূপ দিয়েছে এবং এখনো অবধি সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশ্বে আমেরিকার নাসা (NASA) এটি অতিপরিচিত মহাকাশ নিয়ে গবেষনার অন্যতম স্থান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নাসার প্রযুক্তিবিদগও সনাতন শাস্ত্রাধি থেকে মহাকাশ যান তৈরী সুত্র খোঁজেন। এর প্রমাহিসাবে বলতে পারি, বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে দ্রুত চলাচলের বিমান একটি নির্ভর জন্য যান হিসাবে বিবেচিত। অথচ বিমান শব্দটি ৫০০০/৭০০০ বছর আগে প্রণীত হিন্দু পুরান গুলিতে উল্লেখ আছে। তাহলে ভাবুন তো যারা এ যানটি আবিস্কার করেছেন, ঐ সকল মহিষীগন সনাতন পুরান গুলি ধারন না করলে আকাশ পথে চলাচলের এ যানটি বিমান হলো কেন?

ধর্মের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে মিথ (myth) বা অলৌকিকত্ব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বলে বিবেচিত। আধ্যাত্বিক শক্তি সম্পন্ন মানুষ গুলি অলৌককত্ব প্রকাশ করে ভক্তকুলের মাঝে প্রশংসিত হয়ে বহু দিন ভক্তের মনে বেঁচে থাকে। আমাদের প্রতিবেশী ইসলাম ধর্মেরও অলৌকিকত্ব বিষয়ে আছে নবীজি বোরাক নাম যানে চড়ে মেরাজে গেছেন। খ্রিষ্টধর্মের লাষ্ট সাপার নিয়ে তো খ্রিষ্টদের মাঝে মোটামুটি হুলস্থল ব্যাপার। এভাবে খোঁজ করলে দেখা যায়, সনাতন ব্যতীত পৃথিবীতে ক্রমান্বয়ে প্রবর্তিত ও প্রচলিত অন্যান ধর্ম গুলিতেও একই রকম অলৌকিকত্বের তত্ত্ব বিদ্যমান। সনাতন ধর্ম ছাড়াও আমাদের আপাশে প্রতিবেশীদের ধর্মে কিছু কিছু ওলামামাসায়েক, হিন্দু ধর্মের গুরুর তাদের চেলাদেরকে অলৌকিকত্ব মতা প্রদর্শন করে ভক্তদের বিমোহিত করেন। কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার হলো এধরনের চমৎকারিত্ব প্রদর্শনকারী মানুষটি কোন না কোন ভাবে সমস্যায় ভুগেছেন এবং নিজেদের জীবন যখন বিপন্ন হয়েছে, তখন এরা সে বিপন্ন অবস্থা থেকে নিজেদেরকেই মুক্ত করতে পারেননি। যে মানুষটি চমৎকারিত্ব প্রদর্শন করে অন্যের উপকার করেছেন বলে ভক্তকুলের মাঝে এতো জোড়, সে মানুষটি নিজের সমস্যা দূর করতে পারেননি, ইতিহাস স্যাদেয়। এটি শুধু এখনকার চিত্র নয়, এটি অতি পুরাতন। আমাদের চারপাশে যে সকল ধর্ম গুলি বিদ্যমান এবং তাদের মূল প্রচারকদের ব্যাপারেও একই কথা বলা চলে। মাফ করবেন, ভগবান যিশু লাষ্ট সাপারের মাধ্যমে কয়েকখন্ড মাছ ও রুটি দিয়ে কয়েক হাজার মানুষকে পেট পুরিয়ে খাইয়েছেন, ক্রন্দনরর মায়ের মৃত শিশুকে জীবনদান করেছেন, অথচ তিনি রোমান রোসানলে ক্রশবিদ্দ হয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। এখানে জীবন বাঁচানোতে তার অলৌকিকত্ব মতা কাজ করেনি। আমাকে মাফ করবেন, আমি ছোট, খ্রিষ্টদের ভগবান যিশুকে খাটো করার জন্য কথাটি বলিনি।

অথচ সনাতন ধর্মের ত্রেতাযুগের শ্রীরাম ভগবান হয়ে ত্যাগ, বৈরাগ্য, কর্ম, সাহস ও কর্তব্য পরায়নতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। কোন অলৌককত্বের জন্য নয়। দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণ, বীরত্ব, ন্যায়, কর্তব্যনিষ্ঠ কঠোরতার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার কঠোর মনোবল ও সাহসের কারণে আমাদের ভগবান হয়েছেন। সনাতন হলো চির আধুনিক, মানুষের বস্তুগত কিংবা অবস্তুগত এমন কোন ধারনা নেই, যা এ ধর্মের পৌরানিক অথচ আধুনিক ব্যাখ্যা নেই। তথাপি আমাদের যুব সমাজ হতাশায় ভোগেন শুধুমাত্র অজ্ঞানতায়। যে ধর্মের ছায়া তলে জন্ম নিয়েছেন, যে বংশে জন্ম নিয়েছেন, শুধুমাত্র অজ্ঞানতার কারণে হতাশা থেকে ধর্ম ও নিজ বংশের কুৎসা রচনা করেন। 
 
(লেখক: অরুন মজুমদার)

Sunday, January 13, 2013

Hinduism by the numbers

3 paths: 
  • Karmamarga - path of works and action 
  • Jnanamarga - path of knowledge or philosophy 
  • Bhaktimarga - path of devotion to God

3 debts:
  • debt to God
  • debt to sages and saints
  • debt to ancestors

4 stages of life: 
  • Brahmacharga - school years - grow and learn 
  • Grhastha - marriage, family and career 
  • Vanaprastha - turn attention to spiritual things 
  • Sanrgasu - abandon world to seek spiritual things

4 purposes of life: 
  • Dharma - fulfill moral, social and religious duties 
  • Artha - attain financial and worldy success 
  • Kama - satisfy desires and drives in moderation 
  • Moksha - attain freedom from reincarnation

7 sacred cities: 
  • Ayodhya 
  • Mathura
  • Gaya (Bodhgaya)
  • Kasi (Varanasi, Benares)
  • Kanci
  • Avantika (Ujjain) 
  • Dvaraka

10 commitments: 
  1. Ahimsa - do no harm
  2. Satya - do not lie
  3. Asteya - do not steal
  4. Brahmacharya - do not overindulge
  5. Aparigraha - do not be greedy
  6. Saucha - be clean
  7. Santosha - be content
  8. Tapas - be self-disciplined
  9. Svadhyaya - study 
  10. Ishvara Pranidhana - surrender to God

Thursday, January 03, 2013

১০টি শারীরিক কৌশল!


আশা করি সবার কাজে লাগবে ---

১) অনেক সময় গলার ভেতরে এমন জায়গায় হঠাৎ চুলকানী শুরু হয় যে, কি করবেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। ওই জায়গাটি চুলকে নেওয়ার কোন উপায়ও থাকে না। কিছু সময় কানে টানদিয়ে ধরে রাখুন দেখবেন চুলাকনী উধাও।
২) অনেক শব্দের মধ্যে বা ফোনে কথা স্পষ্ট শুনতে পারছেন না? কথা শোনার জন্য ডান কান ব্যবহার করুন। দ্রুত
কথা শোনার জন্য ডান কান খুব ভাল কাজ করে এবং গান শোনার জন্য বাম কাজ উত্তম।
৩) বড় কাজটি সারবেন, কিন্তু আশে পাশে টয়লেট নেই? আপনার ভালবাসার মানুষের কথা ভাবুন। মস্তিষ্ক আপনাকে চাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
৪) পরের বার ডাক্তার যখন আপনার শরীরে সুঁই ফুটাবে তখন একটি কাশি দিন। ব্যথা কম লাগবে।
৫) বন্ধ নাক পরিষ্কার বা সাইনাসের চাপ থেকে মুক্তি পেতে মুখের ভেতরের তালুতে জিহ্বা চেপে ধরুন। এরপর দুই ভ্রুর মাঝখানে ২০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। এভাবে কয়েক বার করুন, দেখুন কি হয়!
৬) রাতে অনেক খেয়ে ফেলেছেন এবং খাবার গলা দিয়ে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতেও হবে। বাম কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। অস্বস্তি দূর হবে।
৭) কোন কিছুর ভয়ে বিচলিত? বুক ধক ধক করছে? বুড়ো আঙ্গুল নাড়তে থাকুন এবং নাক দিয়ে পেট ভারে সজোরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। স্বাভাবিক হয়ে যাবেন।
৮) দাঁত ব্যথা? এক টুকরো বরফ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনীর মাঝামাঝি জায়গার উপর তালুতে ঘষুন। দেখুনতো ব্যথা কমলো কিনা!
৯) কোন কারণে চোখের সামনে পুরো পৃথিবী ঘুরছে? কোন শক্ত জায়গা বা জিনিসে কান সহ মাথা চেপে ধরুন। পৃথিবী ঘোরা বন্ধ করে দেবে।
১০) নাক ফেটে রক্ত পড়ছে? একটুখানি তুলা নাকের নিচ বরাবর যে দাঁত আছে তার মাড়ির পেছনে বসান, এবার জোরে ওখানে তুলাটি চেপে ধরুন। রক্তপাত বন্ধ।


(সংগৃহীত)

Tuesday, January 01, 2013

নতুন বছরের উদযাপনে রকমফের এক এক দেশে


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিউ ইয়ার বা নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানে সঙ্গে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। নববর্ষের কিছু প্রথা আছে অবাক করা এবং মজার । যেমন-


থাইল্যান্ডে:
একজন আরেকজনের গায়ে পানি ছিটিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানায়।

স্পেনে :
রাত ১২ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ১২ টা আঙ্গুর খেয়ে নববর্ষের প্রথম ক্ষনটি উৎযাপন করা হয়।

আর্জেন্টিনা:
আর্জেন্টিনায় নববর্ষের আগের দিন রাত্রে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে খাবার টেবিলে বসে আহার করে। তারপর বড়রা নাচের অনুষ্ঠানে চলে যায়। ভোর পর্যন্ত চলে এ নাচের অনুষ্ঠান। নববর্ষের প্রথম দিন নদী বা পুকুরে সাঁতার কেটে তারা নববর্ষ উৎযাপন করে।

ব্রাজিল:
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো সমুদ্র সৈকতে নববর্ষের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয়। এর অন্যতম আকর্ষণ চোখ ধাঁধাঁনো আতশবাজির প্রদর্শনী। এ দিন অধিকাংশ লোকই সাদা পোষাক পরিধান করে। সমুদ্রে সাতটি ডুব দিলে এবং সাতটি ফুল ছুড়ে দিয়ে তারা মনে করে বছরটি খুব ভালো কাটবে বলে। এ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটকরা যোগ দেয়।

কোরিয়া:
কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রু সাদা হয়ে যায়! রাত বারটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে টিভিতে ৩৩ বার ঘন্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয় । কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পরার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়।

মেক্সিকো:
মেক্সিকোতেও ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ১২ বার ঘন্টা বাজানো হয়। এ সময় প্রতি ঘন্টা ধবনির সঙ্গে একটি করে আঙ্গুর খাওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে এ সময় যা কামনা করা হয় তাই পূরণ হয়।

ভিয়েতনাম:
ভিয়েতনামে ভোর হওয়ার সময় প্রতি নববর্ষে সবাই গুরুজনদের কাছে দীর্ঘায়ূ কামনা করে আশীর্বাদ নেয়।

Monday, December 31, 2012

ফিরে দেখা - ২০১২

১. ম্যান অফ দ্যা ইয়ার ----(?মরহুম) ইলিয়াস আলী, even google failed to find him

২.ওম্যান অফ দ্যা ইয়ার ----মেহের আফরোজ শাওন (হেতি মাশাল্লাহ দারুন অভিনয় জানে!!!)

৩.কাপল অফ দ্যা ইয়ার ---বিলওয়াল ভুট্টো-হিনা রাব্বানী খার (ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না!!)

৩.ভিলেন অফ দ্যা ইয়ার ----বীরেন্দর শেবাগ (ইচ্ছে করে হারামীটারে "ঘেটুপুত্র কমলা" বানিয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচঞ পাঠিয়ে দিই। তারপর.........)

৪.হিরো অফ দ্যা ইয়ার -------অনন্ত জলিল (হ্যাই ম্যান, আর ইউ পম গানা?)

৫. হিরোইন অফ দ্যা ইয়ার ----উম্মে আহমেদ শিশির (সাকিব এটা কি বিয়ে করলো! এর চেয়ে আমি কতো সুন্দরী!! বোকা ছেলেরা এভাবেই ঠকে!!!)

৬. ডটার অফ দ্যা ইয়ার----মালালা ইউসুফজাই (কষ্টে আছিরে আইজউদ্দীন, পাকিস্তান নুবেল পাইয়া যাইতে পারে,এই কষ্ট কই রাখি??)

৭. বেবী অফ দ্যা ইয়ার ---আরাধ্য বচ্চন (হেতির মাথায় কয়টা চুল, হেতি ল্যাকটোজেন খায় নাকি সেরেলাক খায়, সব পাবলিকের মুখস্থ)

৮.টেনশান অফ দ্যা ইয়ার---ঐশ্বরিয়া স্যরি, আইসোরিয়া মোটা হয়ে গেছে!! টেনশান না!! (নিজের হাজব্যান্ড যে মোটা হয়ে যাচ্ছে তার কোন খবর নাই )

৯.অ্যানিমেল অফ দ্যা ইয়ার---কালো বিড়াল দ্যা ব্ল্যাক কেট (ইহা রেলওয়েতে বাস করে )

১০.দেশপ্রেমিক অফ দ্যা ইয়ার----সৈয়দ আবুল হোসেন মাদ্দেজিল্লুহিল আলাইহি (আমি দেশকে জীবনের চেয়েও ভালোবাসি- -থাপ্পর সে ডর নেহি লাগতা সাব, পেয়ার সে লাগতাহে!!!)

১১.পিছলা অফ দ্যা ইয়ার----বিশ্বব্যাংক (লুকোচোরি লুকোচোরি গল্প, তারপর হাতছানি অল্প ....)

১২.ভেঙচি অফ দ্যা ইয়ার-----ভেঙচি বাই তামিম টু লোটা কামাল আফটার ফাইভ ফিফটি)

১৩.ট্র্যাজেডি অফ দ্যা ইয়ার----ব্রিটিশ রাজবধু গেছে হাসপাতাল। হাজার সাংবাদিক এর যন্ত্রনায় মারা গেলো বেচারি নার্স (ইংল্যান্ডে হয়তো প্র্যাগনেন্সি ষ্ট্রীপ পাওয়া যায়না!! থাকলেতো হেতি ঘরে বসেই চেক কইরতে পাইরতো )

১৪.গেষ্ট অফ দ্যা ইয়ার-----আন্টি হিলারী ক্লীনটন (আমি চিনিগো চিনি তোমারে......)

১৫.না আসা গেষ্ট অফ দ্যা ইয়ার----দিদি মমতা (আসি আসি বলে জ্যোৎস্না ফাঁকি দিয়েছে)

১৬.ফ্রেন্ড অফ দ্যা ইয়ার-----ভারত (উভয় দলই তাকে পেতে চায়--কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্‌খুম তোঁয়ারে,........সিনার লগে বাধি রাইখ্খুম তোঁয়ারে..... ও ননাইরে..........)

১৭. কমিটমেন্ট অফ দ্যা ইয়ার------পদ্মা সেতু; প্রয়োজনে নিজের টাকায় হবে। ১টা না,২ টা হবে (একবার জো ম্যায়নে কমিটমেন্ট কর দিয়া, ফির মে আপনি আপ কোভি নেহি সুনতা)

১৮.স্কুল অফ দ্যা ইয়ার---ভিকারূন্নেসা (no comments!)

১৯.কলেজ অফ দ্যা ইয়ার------লালমাটিয়া মহিলা কলেজ (আমাদের prime minister এর কাজের বুয়া নাকি এখানে অধ্যয়নরত)

২০.ভার্সিটি অফ দ্যা ইয়ার------University Of South Asia........(রজনীকান্ত এখানে চান্স পায়নি!!!)

২১.রিজেকশান অফ দ্যা ইয়ার------মন্ত্রী হলেন না তোফায়েল, (আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলি.......প্রাণ কোহকিলারে.......)

২২.টাইগার অফ দ্যা ইয়ার---আরেফিন রূমী (সাবাশ বেটা, বাঘের বাচ্চা, এগিয়ে যা, আর মাত্র ২টা বাকি..........)

২৩.টক অফ দ্যা ইয়ার-----হলমার্কের ৩০০০ কোটি টাকা আর এমন কি!!!এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কি আছে!!!

২৪.উপদেশ অফ দ্যা ইয়ার------যাও তোমরা ঘুরে বেড়াও,মজা করো,সিনেমা দেখো!! মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হবেনা.........

২৫.মিস অফ দ্যা ইয়ার-----১২/১২/১২ তে যারা কোনো কিছুই করতে পারেনি..(বিয়ে, খৎনা, মুসলমানী, বাচ্চা পয়দা etc.)

২৬.গেইন অফ দ্যা ইয়ার----২১/১২ তে দুনিয়া ধ্বংস হয়নি, বাঁইচা গেছি রে!!!

২৭. আফসোস অফ দ্যা ইয়ার---এশিয়া কাপ

২৯. ডান্স অফ দ্যা ইয়ার-----গ্যাংনাম

৩০.লস অফ দ্যা ইয়ার------হুমায়ূন আহমেদ,হুমায়ন ফরিদী,গাদ্দাফী (আমরা তোমাদের ভুলবোনা)
 


(Collected)

Thursday, December 27, 2012

হরেকৃষ্ণ আন্দোলনে স্টিভ জবস



Apple কম্পিউটারের জনক ও পথপ্রদর্শক স্টিভ জবস দেহত্যাগ করলেও তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য সকলের সাথে হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের ভক্তবৃন্দ শোকবার্তা ছাড়াও পরমধাম প্রাপ্তির কামনাই বেশি করছে। কারণ ছোট বেলা থেকে এবং কর্মক্ষেত্রে তিনি হরেকৃষ্ণ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি মূলত তিন সম্পর্কে হরেকৃষ্ণ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন -

১. ছাত্রজীবনে তিনি প্রতি রবিবার Sunday Feast এ সুস্বাদু কৃষ্ণ প্রসাদ পেতেন। এর ফলে তিনি ভক্তদের সংস্পর্শে এসে মন্দিরে সেবা করতেন। বিশেষ করে রান্না করার পাত্র পরিষ্কার করা। শাস্ত্রানুসারে ভগবানের এবং ভক্ত সেবায় ভগবান অত্যন্ত প্রীত হন। ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রণোদনামূলক বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এটা বিবৃত করেন। এমনকি প্রসাদ নিয়মিত পাবার জন্য তিনি মন্দিরে স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে চেয়েছিলেন।

২. প্রাচ্য পারমার্থিকতার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে তিনি ১৯৭৩ সালে ভারত পর্যটন করেন এবং আধ্যাত্মিক গুরু নিম করোলি বাবার তত্ত্বাবধানে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করেন। শেষ দিকে নিম বাবার সান্নিধ্য না পেয়ে বৌদ্ধবাদের দিকে ঝুঁকে পড়লেও তিনি বৈষ্ণবদের মত মাথা ন্যাড়া করতেন, ঢিলেঢালা পোষাক পড়ে ভক্তদের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখতেন।

৩. Apple Product যেমন কম্পউটার, ল্যাপটপ, আইফোন, আইপড কৃষ্ণভাবনা সমৃদ্ধ হওয়াতে তা ভক্তদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়।
একারণে কম্পিউটার জগতের লোকজন তাঁকে আপলে ভক্ত এবং ম্যাক এর কটট্র ভক্ত বলতেন। সর্বোপরি Apple Product গুলোর মাধ্যমে তিনি ভগবানের নাম ও নিরামিষ আহারে অভ্যস্ত হয়ার পক্ষে প্রচারে আগ্রহী ছিলেন। একারণে সম্প্র্রতি ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা হরেকৃষ্ণ আন্দলনের সাথে যোগাযোগ করে ভজন, গীতা পাঠ, শ্লোক আবৃত্তি সংগ্রহ করছেন। কৃষ্ণ তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের কৃপা করুন। হরেকৃষ্ণ।









তথ্যসুত্র : চৈতন্য সন্দেশ পত্রিকা 

Wednesday, December 05, 2012

Chand Baori

Built back in the 10th century, the incredible well of Chand Baori, India was a practical solution to the water problem in the area. The arid climate forced the locals to dig deep for a dependable water source, one that would last throughout an entire year. Chand Baori well is 30 meters deep, it has 13 floors and 3,500 steps. Legends say that ghosts build it in one night and that it has so many steps to make it impossible for someone to retrieve a coin once it's been dropped in the well.