Showing posts with label স্ব-দর্শন. Show all posts
Showing posts with label স্ব-দর্শন. Show all posts

Monday, December 10, 2012

আর কত বিশ্বজিতদের মরতে হবে?

মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছি। প্রকৃতির এক অকাট্য নিয়ম আমাদের মরতে হবে। সাধারণভাবেই সেই মৃত্যুটা যাতে স্বাভাবিক মরণ হয় - এমনটাই কামনা করি আমরা সকলে। কিন্তু ক'জনায় সেটা পাই? কারো সড়ক দুর্ঘটনায়, কারো খুনের মাধ্যমে, কারো আবার বোমাবাজির কবলে মরণকে বরণ করে নিতে হয়। কয়জন আমরা স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত রোগে মরার ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেই? হয়ত কেউ কেউ বলবেন, সে তো অনেকেই। কিন্তু বাকিরা কি মনে করেন? আসলেই কি তাই?

বাংলাদেশ ছেড়ে নিউইয়র্কে পাড়ি দিয়েছি প্রায় দশ বছর আগে। এতদিনে অনেক পালা বদল ঘটেছে রাজনীতি তথা সামাজিক নানা বিষয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন যদি বলতে হয় তা হলো আজ যখন ফেইসবুকে দেখলাম আমার বাংলাদেশে অবস্থাণরত বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে প্রায় ৯০%-র স্ট্যাটাসে লেখা - "বাড়ি কি ফিরতে পারব ভালো মতো?" ঠিক একই লেখা না হলেও এই হলো মূল বিষয়।

গতকালই অনলাইনের এইযুগে জানতে পারি বিশ্বজিৎ দাস নামক এক পথচারীর নির্মমভাবে মধ্যযুগীয় বর্বর স্টাইলে হত্যার কথা। যতগুলো ছবি, ভিডিও দেখতে পারলাম এত দূরে বসে, তাতে বুঝলাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (ছাত্রলীগের) লোকজনই এতে দায়ী। কতটা সত্য, কতটা মিথ্যা - সেটা যারা দেশে আছেন, তারাই ভালো জানবেন। কিন্তু যতদূর বুঝলাম, ছাত্রলীগের মিছিলে যারা ছিলো, তারাই পরবর্তীতে বিশ্বজিতের হত্যার জন্য দায়ী।




ভিডিওর যতটুকু দেখেছি, তাতে মহাভারতে অভিমন্যুর মৃত্যুর কথা বারে বারে মনে পড়লো। কতগুলো বন্য কুকুর ঘিরে ধরে আছে একটা মানুষকে কামড়াবে বলে। মানুষটি বাঁচার তেষ্টায় চিৎকার করে বলতে থাকে "আমি হিন্দু, আমি হিন্দু।" কিন্তু না। সেই বন্য কুকুরগুলো শুনলো না সেই পথচারীর আর্জি।



কিছু লেখা পড়লাম যেগুলো পড়ে নিজের বিবেককে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলাম না যে হয়ত আমার বন্ধুগুলোর মাঝে কারো কালকের হরতালে এরকম হতে পারে। সেইসব লেখাগুলোর কিছুগুলো নিচে তুলে ধরলাম -

_________________________

বিশ্বজিত এর মত হাজার খুন আমরা শুনে এড়িয়ে চলে জাই। রাস্তা-ঘাটে নিরবিকার কুপিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে, কর্তবরত ডাক্তার কে ধর্ষন এর পর হত্যা করে ফেলাও আজকালের টাটকা খবর। এগুলো কেবল মাত্র দু’দিনের সংবাদ হয়ে খানিক মুহূরতে হারিয়ে যায়। আমরাও এসব নিয়ে পরে আর মাথা ঘামাইনা । “এ দেশটাই এরকম, এখাণে এসব কি নতুন কিছু” বলে সব ভুলে যাই।

আমিও হয়ত ভুলে যাব বিশ্বজিত কে। পরশু আরেক বিশ্বজিত এর লাশ দেখে মন টা একটু খারা
প হবে, তারপর সব ভুলে যাব। কারণ আমার জীবনটা চলমান ।

বিশ্বজিত আলোচণার কেন্দ্রবিন্দু আজ। নির্মম হত্যাকারী দের ছুরিকাঘাতে তার সকল আকুতি মিনতি ও হার মানিয়েছিল। হয়ত আমি ও আপনি এখন এটা মনে করতে পারি যে, সময় শুধু তার জন্য ভুল ছিল। না হলে এত মানুষ থাকতে বিশ্বজিত কে কেন প্রান দিতে হল ।

হত্যা চলাকালীন সময় সকল প্রত্যক্ষদশীদের সাথে এদেশের সবচেয়ে মূল্যবান নাগরিকরাও উপস্থিত ছিলেন। হ্যা, আমাদের সাংবাদিক দের কথা বলছি। যারা তখন জীবনবাজি রেখে ব্যস্ত ছিলেন রক্তমাখা বিশ্বজিত এর কয়েকটি কোটি টাকার ছবি তুলতে। এসব ছবি যে পরদিন সংবাদ মাধ্যমে তুমুল ঝড় তুলবে। ডজনখানেক সাংবাদিকরা তখন ব্যস্ত ছিলেন একটি হত্যাকাণ্ডের প্রমানসহ রচনা লিখতে। এরমধ্যে কেউ একজন রচনা বাদ দিয়ে যদি সাহসিকতার পরিচয় দিতেন, হত্যাকাণ্ডে বাঁধা দিয়ে বাঁচাতে পারতেন একটি তরতাজা প্রাণকে, হয়ত সংবাদ মাধ্যমে তার এ রচনা আসতনা, হয়ত তার চাকরি হারানোর আশংকা বহুগুনে বেড়ে যেত, কিন্তু প্রানে বেচে যেত একটি বিশ্বজিত ।

এসব সহিংসতা চলবেই, রাস্তা-ঘাটে ভাংচুর হবেই। অবাধে চলবে ধর্ষন, হত্যা । আর এসব টাটকা সব সংবাদ আমরা পাব কেবল সাংবাদিক দের কাছ থেকেই। অথচ আজ একটি সাংবাদিক মারা গেলে দৃশ্যপট হত পুরো উল্টো। রাস্তা-ঘাট ভরে যেত প্রতিবাদ আর অ্নশনে । মামলাও হতো, অপরাধীরা শাশ্তিও পেত। কিন্তু বিশ্বজিত এর মত অসহায় জনতার হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেনা। বিশ্বজিত এর মত টাটকা প্রান বাঁচাতে একটি সাংবাদিকও এগিয়ে আসবেনা। ফলাফল, সংবাদমাধ্যম গুলোর ব্যবসা জমজমাট !

পরিশেষে এটুকুই বলব, আমার মত একটি আমজনতার ক্ষমতাও নেই এর বিরুদ্ধে কিছু করার। হয়ত দু’তিন টা স্ট্যাটাস দিয়ে খানিকটা প্রতিবাদ এর প্রচেষ্টা করতে পারি। কিন্তু আজ কোটি জনতার হয়ে একটি দাবী-ই রাখতে চাই, যেসব সাংবাদিকরা ব্যবসা বাদ দিয়ে একটি পাশবিক হত্যাকাণ রুখতে পারেনা, একটি অসহায় তাজা প্রান বাচাতে পারেনা, তাদের সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ বা অ্নশনের কোন অধিকার নেই। ধিক্কার তোমাদের !

-বিকাশ ভট্টাচার্য
 

________________________________


আজকে বিশ্বজিত যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাবুয়েটের কোন ছাত্র হত, তাহলে ছাত্ররা দফায় দফায় মিছিল করত, গাড়ি ভাঙচুর করতো।
আজকে যদি বিশ্বজিত ছাত্র দলের কোন কর্মী হত, তাহলে আরও একদিন হরতাল দিত বিএনপি।
আজকে যদি বিশ্বজিত শিবির এর কোন কর্মী হত, তাহলে তার আব্বুর গর্বে বুক ভরে যেত সন্তান শহিদ হয়েছে বলে।
আজকে যদি বিশ্বজিত ছাত্র লীগের কোন কর্মী হত,তাহলে পুলিস তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেত, এভাবে বিনা চিকিৎসায় সে মরত না। হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী তাকে দেখতে আসতেন। পরিবার বিশাল অঙ্কের অনুদান পেতো।
কিন্তু বিশ্বজিত এসবেরকিছুর মধ্যেই ছিল না। বিশ্বজিত ছিল সাধারণ মানুষ। অসাধারণ মানুষ গুলো সাধারণ মানুষকে হত্যা করলে তার কোন বিচার হয় না।
-N.c. Neel

_________________________________


আবার এও দেখলাম যেখানে শাকিল নামক ছেলেটি যে বিশ্বজিতের হত্যায় যুক্ত ছিলো তার পুরোনো কিছু কান্ডকীর্তির খবর -



_________________________________
(৯ এপ্রিল ২০১০)
এবার দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কাওরান বাজার মোড়ে কালের কণ্ঠ ও মানবজমিন পত্রিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জসীম রেজা ও সোলাইমান সালমানের ওপর এ হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়
েছেন ওই দুই সাংবাদিক।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হন 'সাপ্তাহিক' পত্রিকার প্রতিবেদক আনিস রায়হান ও সাপ্তাহিক 'বুধবার' প্রতিবেদক আহম্মেদ ফায়েজ।
জসীম রেজা ও সোলাইমান সালমান বলেন, 'অফিসে যাওয়ার জন্য মিরপুরগামী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্বাণ বাস থেকে কাওরান বাজার মোড়ে নামলে ওই বাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী নেমে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লেগেছে কোন সাংবাদিক, শাকিল ও রানার বিরুদ্ধে নালিশ করেছে কারা, তাঁদের ধর, সাংবাদিকতা শিখিয়ে দিই_এমন কথা বলে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকে ওই কর্মীরা।'
_________________________________

24 Nov 2011
চাদা চেয়ে জবিতে এক ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে সাধারন ছাত্রছত্রী মানববন্ধন করেছে আজ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঘটিকায় প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পর মানববন্ধন করে ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয পরিবহন (উল্কা-১) বাসে শাকিল ও সৈকত নামে ছাত্রলীগ নামধারী দুইজন ছাত্র ইংরেজি বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতের কাছে নেশা করার জন্য টাকা চায়। রহাত টাকা দিতে আস্বিকার করলে তাকে ব্যাপক মারধর করে ঐ ছাত্ররা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ মানবব›ধন করে ছাত্রছাত্রীরা। শাকিল ইসলামিক ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ ব্যাচ এবং সৈকত নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ ব্যচের ছাত্র। এদিকে আজ সকালে শাকিল এবং সৈকত রাহাতকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য খুন করার ভয় দেখায়। এঘটনা জানার পর ছাত্রছাত্রীরা তীব্র নিন্দা জানায় এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায়।
শাকিলের নামে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আসামাজিক কাজের আভিযোগ আছে বলে জানা যায়। ছাত্রলীগের নাম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর এবং আশেপাশে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ও আভিযোগ পাওয়া যায়।
_________________________________

আর যে লেখাটি সবচেয়ে বেশী হৃদয়স্পর্শী বলে বোধ হয়েছে এবং যেটি পড়েই চোখে জলে এসে গেছে সেটা এটি


আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কিংবা জামায়াত বুঝি না। আজ যদি ছেলেটি বিশ্বজিৎ না হয়ে শহীদুল হতো কিংবা যোশেফ হতো সেক্ষেত্রেও এতটাই কষ্ট লাগত এমন মৃত্যুতে যতটা আজ বিশ্বজিতের মৃত্যুতে হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি আদৌ বদলাবে কিনা জানিনা কারণ ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীনরা এই কাজের দায় নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাছাড়া সাগর-রুনীর মতো হাই-প্রোফাইল সাংবাদিকদের মৃত্যুরই কোনো হদিস হয় না, আর আমার-আপনার মতো সাধারণ পাবলিক। তাও আবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ফলে ভয়ের চোটেই চুপ হয়ে যাবেন বিশ্বজিতের পরিবার যাতে তাদের আরেক সন্তান না হারাতে হয়। 

দেশ ছেড়ে এসে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি - সকল দলের প্রতিই এক ক্ষোভ জন্মায়। এক সাধারণ নাগরিক হিসেবে (আমেরিকা ও বাংলাদেশের দ্বিনাগরিক) এসব দলগুলোর একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ির রীতি হয়ত আর যাবে না। ফলে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা বা ভোট ব্যাংক বাড়ানোর দল জামায়াত রাস্তা অবরোধ করে সকাল ১০:২৯ মিনিটে কুমিল্লায় নামাজ আদায় করে? সাধারণ মানুষ কি বোঝে না এই সকালে কোনো নামাজের বিধি নেই? নাকি মনে করে এতটুকু বোঝার ক্ষমতা নেই পাবলিকের? 


প্রশ্ন হলো আর কত বিশ্বজিতদের মরতে হবে? অঝরে ঝড়তে হবে? কত প্রাণ গেলে এই সংস্কৃতি, এই রীতি-নীতি, এই আচার-ব্যবহার পরিবর্তন হবে? কত দিতে হবে রক্ত? কত বিচার অপূর্ণ রয়ে যাবে? কত মায়ের বুক শূণ্য হবে? কত আর্তনাদ উত্তরের আশায় পড়ে থাকবে? কবে আসলেই বদলাবে বাংলাদেশ?

Friday, November 02, 2012

হারিকেন স্যান্ডীর কারণে কি কিছু বাংলাদেশীরা আসলেই খুশী?

আমার নিজের তেমন বেশী বাংলাদেশে বসবাসকারী বন্ধু-বান্ধব নেই। বিদেশে আছি, বিদেশী বন্ধু-বান্ধবই বেশী। ফেইসবুকেও তাই। কিন্তু যে ক'জন বাংলাদেশী বন্ধু-বান্ধব আছে বাংলাদেশে অবস্থাণকারী, তাদের মধ্যে কারো কারো থেকে জানতে পারলাম, সাম্প্রতিককালে আমেরিকার পূর্বপ্রান্তে যে হারিকেন আঘাত হানল তা নাকি আল্লাহর গজব বলে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের কিছু বাঙালীরা। কিসের গজব? স্যাম ব্যাসিলের মতো লোকের মুসলিমদের নবীজীকে নিয়ে তৈরি ছায়াছবির কারণে।

http://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gifhttp://www.sherv.net/cm/emo/lol/lol-laugh-smiley.gif

প্রথমত কিছুক্ষণ হেসে নেই। কতখানি গর্দভমার্কা হলে এমন মন্তব্য করে এসব লোকজন! আরে ভাই, একটা দেশের দুর্যোগ কি একজন ব্যক্তির কি এক ছবি বানিয়েছে তার উপর নাকি নির্ভর করে? তাহলে পাকিস্তানে ভূমিকম্প কেন হয়? বাংলাদেশে আইলা, সিডর কেন হয়? এফডিসিতে কি যীশুকে নিয়ে কিছু বানানো হয়েছে নাকি?

তার উপরে আবার শুনেছি এসব লোকজন নাকি আমেরিকায় আসারও স্বপ্ন দেখে। ডিভি লটারী কিংবা স্টুডেন্ট ভিসা কিছু না কিছুর মাধ্যমে স্বপ্নভূমিতে যেতে চায়। কেন? তখন কি স্যান্ডী, ক্যাটরিনা বা আইরিন আসবে না? তাছাড়া যে অঞ্চলে স্যান্ডী আঘাত হেনেছে, সেই নিউইয়র্ক বা প্রত্যন্ত অঞ্চলেই তো বাংলাদেশীদের বেশীরভাগেরই বাস। যদিও এই স্যান্ডী বাংলাদেশী কমিউনিটি যেদিক দিয়ে সেই স্থাণগুলোতে তেমন আঘাত করে নাই। তবুও ক্ষতি যদি হয়, তাহলে তো এমন বাংলাদেশীদেরও হতে পারত, নাকি? মরলে তো নিরপরাধ বাংলাদেশী ভাই-বোনেরাও মরত, নাকি?

আর স্যাম ব্যাসিলের বিষয়ে বলব, একটা লোককে দিয়ে তো সারা দেশ/জাতিকে মাপা যায় না। এই লোক যদি খারাপ মনোভাব নিয়ে তার ছবি তৈরি করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি তো ওই লোকই পাবে। হয়ত ইহলোকে, নয় পরলোকে। ইসলামেই তো আছে শুনেছি কেয়ামতের দিন, যখন সকলকে দাঁড় করানো হবে আল্লাহর সামনে পাপ-পুণ্য বিচার করার জন্য। তখনই তো আল্লাহ এমন দুষ্টলোকেদের চরম শাস্তি দেবেন। তাছাড়া শুনেছি স্যাম ব্যাসিল নাকি প্রাক্তন এক মুসলিমই ছিলেন। যদি তা সত্য হয়, তাহলে তো উনি আরও শাস্তি পাবেন, তাই নয় কি? তাহলে কেন এইসব বাংলাদেশীগুলো এমন দুর্মনোভাব প্রকাশ করে ইসলামের মতো একটা শান্তির ধর্মে কালো দাগ ফেলছে?

Wednesday, October 10, 2012

প্রমাণিত: এক মুসলিমই ইসলামকে অপমান করেছে

আমি আগের এক লেখাতে উল্লেখ করেছিলাম যে, এক মুসলিমই রামুতে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার পেছনে ছিল। অনেকে আমাকে বিশ্বাস করেছে। অনেকে না। যারা করেনি তারা সেই 'উত্তম কুমার বড়ুয়া'-কেই দোষারোপ করতে থাকেন যেহেতু তার ফেইসবুক প্রোফাইলে ইসলাম অপমানের ছবি ট্যাগ হয়েছিল।

অবশেষে গ্রেফতার হলেন সেই মুসলিম ব্যক্তিটি। নাম: মোহাম্মদ আবদুল মোক্তাদির আরিফ; পিতা: শাহাবউদ্দিন; বাড়ি: শ্রীকুল গ্রাম, রামু। বাকি বিস্তারিত আমি আর পুনর্ব্যক্ত করছি না। সংবাদের রিপোর্টেই পড়ে নেবেন। নিচে শুধু রিপোর্টগুলো কপি-পেস্ট করে দিলাম।

চট্টগ্রাম, অক্টোবর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রামুর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনায় পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ফেইসবুকে থাকা অবমাননাকর ছবি নামিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখিয়েছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার মো. আব্দুল মোক্তাদির আরিফ (১৮) রামুর শ্রীকূল গ্রামের শাহাবউদ্দিনের ছেলে।

তিনি চট্টগ্রামের শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপ্লোমা বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র বলে এএসপি জানান।

তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়েছে।”

উত্তম বড়–য়া নামে রামুর এক যুবকের ফেইসবুক প্রোফাইলে কোরআন অবমাননাকর ছবি থাকার অভিযোগ তুলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় র্র্ধমীয় উগ্রপন্থীরা। রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।

এএসপি বাবুল আক্তার জানান, ঘটনার দিন বিকালে আরিফ রামু বাজারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে বসে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তম বড়–য়ার প্রোফাইলে যায় এবং সেইসব ‘অবমাননাকর’ ছবি স্থানীয় লোকজনকে দেখায় ও ডাউনলোড করে।

পরে রাতে এর প্রতিবাদ জানিয়ে রামু বাজারে সমাবেশ করে পাঁচ শতাধিক লোক। সেই সমাবেশ থেকেই মিছিল নিয়ে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা চালানো হয়।

ঘটনার পর ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ নামে ওই দোকানের মালিক ফারুককে আটক করা হয়। কিন্তু মুক্তাদির পালিয়ে ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতার বলেন, “মুক্তাদিরকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সে ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকারও করেছে।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ইউএস/প্রতিনিধি/জেকে/১৭০৫ ঘ.



বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে সহিংসতার সূচনাকারী সেই আবদুল মুক্তাদির আরিফকে আটক করা হয়েছে। তিনি অবমাননাকর ছবিটি ফেইসবুক থেকে নিয়ে প্রিন্ট করে বিলি করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাপুলিশ তাকে আটক করে। বুধবার মুক্তাদিরকে কক্সবাজারে নেওয়া হয়।

মুক্তাদির ফেনীর শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। মুক্তাদির রামু উপজেলার শ্রীকুল এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর ফকিরাবাজারের ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ নামের দোকানে এসে মুক্তাদির নামের পলিটেকনিক কলেজের এক শিবিরনেতা উত্তম কুমার বড়ুয়ার ফেইসবুক পরিদর্শন করে বির্তকিত সেই ছবিটি বের করেন। এরপর ছবিটি শত শত কপি প্রিন্ট করে সরবরাহ করা শুরু হয়। এ কাজে অংশ নেন আবদুল হক, রোহিঙ্গা জঙ্গি হাফেজ আহমদ, শিবিরের কর্মী খোরশেদ আলমসহ অনেকেই ।
ইতিমধ্যে ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ এর মালিক ফারুককে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার দোকানের কম্পিউটারসহ অন্য মালামালও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রামু, উখিয়া ও টেকনাফে  প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের অনেককেই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এরা প্রাথমিকভাবে ব্যাপক তথ্য প্রকাশও করছে বলে জানা গেছে।

আদালত সূত্র বলেছে, এ ঘটনায় আটক ৫ জন ইতিমধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিও দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে অনেকের নামও উঠে এসেছে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বাংলানিউজে ‘রামুর হামলার পরিকল্পনাকারীরা শনাক্ত’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

এবারে দেখুন তাহলে কি রকম ধর্মপ্রাণ(!) মুসলিম এরা। অপরের ধর্ম তো দূরের কথা, এরা নিজের ধর্মকেই সম্মান করতে জানে না। এইরকম অধার্মিক (সে যে ধর্মেরই হোক না কেন) পুরো ধর্মাবলম্বী জাতিরই লজ্জার কারণ। এদেরকে চিনুন। আপনার আশেপাশে থাকলে চিহ্নিত করুন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। আরেকটা রামুর ঘটনার মতো নেক্কারজনক কিছু ঘটার আগে এদেরকে সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করুন। এটা মুসলিম হিসেবে মুসলিমদের, হিন্দু হলে হিন্দুদের, বৌদ্ধ হলে বৌদ্ধদের - সকলেরই দায়িত্ব। এক্ষেত্রে আমি মনে করি সকলেরই বাংলার সেই প্রবাদ পালন করা উচিত - "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো"।

Wednesday, October 03, 2012

মোহাম্মদ হলে অসুবিধা, দুর্গা হলে কিছুই না?








ধর্মীয় আঘাত দেয়াটা এখন একটা রীতিমত স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে দেখছি। স্যাম ব্যাসিলের মোহাম্মদ নবীজীকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিও চিত্রটি সারা বিশ্বের মুসলিমদের ক্রোধিত করে তুলেছে। এটা সত্যিই নেক্কারজনক বিষয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবাদের ফুটেজ আমেরিকার টিভিতেও দেখিয়েছে।

কিন্তু ফেইসবুকে আজ কিছু মাস ধরে দেবী দুর্গাকে নিয়ে অসভ্য পেইজ/গ্রুপ খোলা আছে। কই এ নিয়ে তো কিছুই হচ্ছে না? বরং যেসব হিন্দুরা/মুসলিম বা যারা সভ্য প্রজাতির তারা সবাই এগুলোকে রিপোর্ট করেছে। এর চেয়ে বেশী কিই বা করবে? নাকি মিছিল-মিটিং, প্রতিবাদ, সমাবেশ - এসব করলে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এসবগুলোকে সরাবে?

আমি নিজেও info@facebook.com এ ইমেইল করেছি। তারপরও এগুলোকে সরানো হয়নি। কারণ হিসেবে বুঝতে পারি এগুলো বাংলায়/বাংলিশে লেখা। ফলে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ কতটা এগুলোর অর্থ বুঝতে পারে/পারছে, সেটা বলা যায় না।

কিন্তু আমার বলার বিষয় হলো, এই যে বিশ্বব্যাপী মুসলিম দুনিয়া একটা ভিডিওকে নিয়ে যা শুরু করেছে (বাংলাদেশসহ), কই হিন্দুদের দেবীকে নিয়ে (ঈশ্বরসম) অকথ্য গ্রুপ/পেইজকে নিয়ে তো বাংলাদেশ/অন্য কোনো স্থাণে এতো প্রতিবাদ, সমাবেশ হচ্ছে না। বরং শান্তিপূর্ণভাবে ফেইসবুকের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে।

এর মানে কি এই দাঁড়ায় যে, হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ আর মুসলিমরা নয়? হতে পারে। আবার এও হতে পারে, ধর্মতে আঘাত দিলে মুসলিমদেরই বেশী লাগে, হিন্দু/অন্যদের হয়ত এতটা না। সহনশীল ধার্মিক যারা তারা ধর্ম তার নিজেরই হোক বা অপরের হোক তাকে সম্মান করতে জানে। স্যাম ব্যাসিল বা এইসব ফেইসবুকের গ্রুপ/পেইজের তৈরিকারকরা শুধু নিজেদের ধর্মকেই বড় করে দেখে। পরধর্মকে শ্রদ্ধা করতে এতটুকুও জানে না।

Monday, October 01, 2012

রামুতে সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য

সাম্প্রতিককালে রামু, পটিয়াসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৌদ্ধ ও হিন্দুসম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, ভাঙচুর, জ্বালানো-পোড়ানোর ঘটনা মন্ত্রীসহ সকলে বলছে এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু তাতেই কি শেষ? হয়ত মামলা যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত হবে, কিন্তু বাংলাদেশে আদৌ কি প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পায়? আইনের ফাঁক-ফোকরে ঠিকই বের হয়ে যায় কোনো না কোনোভাবে।

কিন্তু আসলে এক মুসলিমই "Instant Allah" নামের  ফেইসবুক আইডি দিয়ে ফেইসবুক থেকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার হাইটুপী গ্রামের উত্তম কুমার বড়ুয়া নামক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর ফেইসবুক প্রোফাইলে আপত্তিকর ছবি ট্যাগ করা হয়। ছবিতে 'কোরআনের উপর মহিলার দুটি পা', 'আল্লাহ শব্দের বিকৃতি', 'পবিত্র কাবা শরীফে কেউ নামাজ পড়ছেন, কেউ পূজা করছেন' এমন দেখানো হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো, দোষ কার? উত্তম কুমার বড়ুয়াকে যে ট্যাগ করেছে? নাকি উত্তম কুমার বড়ুয়ার? এর পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দুদের বাড়ি-ঘরেও হামলা হয়েছে। এর দোষ কার?

মুসলিমরা যদি শান্তিপ্রিয় হয়ে থাকে তাহলে অশান্তির কেন এমন কাজ করবে? আর যদি প্রকৃত মুসলিমরা মনে করেন এসব অপকর্ম যারা করেন তার আসলে মুসলিমই নন, তাহলে এদেরকে টার্গেট করে প্রকৃত মুসলিমরা কোনো ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না? মায়ানমারে যখন বৌদ্ধরা মুসলিমদের অত্যাচার করে, তখন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মুসলিমরা (সেটা প্রকৃতই হোক আর অপ্রকৃতই হোক) সোচ্চার কন্ঠে এর নিন্দা, প্রতিবাদ, সমাবেশ, নানা কিছু করে। কিন্তু কই, যখন নিজের দেশে বৌদ্ধ-হিন্দুরা নির্যাতিত হয়, তখন বেশীরভাগ মুসলিমই চুপ কেন?

আসলে হুমায়ুন আজাদের একটা কথা মনে পড়ছে ---
মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবী করে তারা ধার্মিক; আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই, তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।

এক্ষেত্রে আমার এক বন্ধুর বন্ধু (তাশফি মাহমুদের) ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জামায়াতের সংস্পর্শের ইঙ্গিত পেলাম ---

রামুতে ধর্মীয় যে সহিংসতা ঘটলো তাতে জড়িয়ে গেছে ফেসবুক। এবং এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বেশ ক'জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মন্তব্য ছিলো যে এটা স্বাভাবিক এবং তেমন কোনো ঘটনা নয় কারণ বার্মাতে বৌদ্ধরা মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচার করেছে, বাঙালীরা এত নির্দয় না। যে এবং যারা বলেছে তাদের এসব মন্তব্য যে কত নির্দয় তা হয়তো এরা ভেবেও দেখেনি। আর এই নির্মমভাব, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা এদের মধ্যে সিস্টেমেটিকালি ছড়ানো হয়েছে মিথ্যা ছবি দিয়ে মিথ্যা নিউজ দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাইলাই হত্যাকান্ডের ছবি চালানো হয়েছে বার্মায় মুসলমান হত্যা বলে। থাইল্যান্ডের উপকুলে আটক জেলেদের (যাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দাত কেলিয়ে হাসছিলো) চালানো হয়েছে গণহত্যার শিকার বলে। ফেসবুকে যেসব পেইজ এই জঘন্য মিথ্যাচার চালিয়েছে তারা আল্লাহর নামে ইসলামের নামে এই মোনাফেকি এবং কবিরা গুনাহ করে যাচ্ছে সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে। তাদের স্পনসর জামাতে ইসলামী। রোহিঙ্গাদের তাদের দরকার। কারণ রোহিঙ্গারা থাকলে তাদের দেখিয়ে সাহায্য আনতে পারবে বিদেশ থেকে, বাঙালী পাসপোর্টে বিদেশ পাঠিয়ে বায়তুল মালের চাদা নিশ্চিত করতে পারবে, আর এদের ঘাতক ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তাই ভাইয়েরা। ধর্ম কর্ম করতে ফেসবুকে আসার দরকার নাই। ওইটার জন্য আল্লাহর ঘর আছে, মসজিদ আছে, জায়নামাজ আছে। মোনাফেকদের ফাদে পড়ে মোনাফেক হইয়েন না। কবিরা গুনাহর ভাগীদার হইয়েন না। বর্জন করেন এইসব ছাগু পেইজ। আর প্রতিহত করেন এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরে। উস্টার উপর রাখেন, রাস্তায় পাইলে রাস্তায়, ফেসবুকে পাইলে ফেসবুকে। এদের বন্ধু বানাইছেন তো আমার বন্ধুত্ব হারাইছেন। খিয়াল কইরা...
এই প্রশ্নটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ যে- ইসলামের কোন তরিকানুযায়ী বা কোরআনের কোন আয়াতে বলা হয়েছে অন্যের ঘরবাড়িতে অগ্নিসঙযোগ কিঙবা লুটপাট করার কথা? যদি তা না হয়- তবে কেনো এই নীরবতা? কিছুদিন আগেও যারা জিহাদি জোশে নানা পন্থায় রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেবার বিষয়ে উচ্চকিত ছিলেন তাদের তো কোনো দেখা পাই না, ভুল ছবি-ভুল তথ্য দিয়ে যারা বার্মার ঘটনাকে বাঙলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে সঙশ্লিষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন রামুর ঘটনায় তাদের কোনো রা নেই। একেই বলে সভ্যতা!
অন্য দেশের ‘মুসলিম’ আক্রান্তের ঘটনায় মুমিন মুসলমানরা যতোটা সোচ্চার হয়েছিলেন, নিজের দেশের ‘মানুষ’ আক্রান্তের ঘটনায় তাদের এই বিভৎস নীরবতা সত্যিই সন্দেহজনক। যারা শুধু ‘মুসলমান’ চেনেন কিন্তু ‘মানুষ’ চেনেন না- তাদের আসলে রিটায়ার্ড করার টাইম চলে আসছে।
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে তৎকালীন সময়েই নানা জনে নানা জিহাদি বক্তব্য দিয়েছে, রামুতে বৌদ্ধ বসতি আক্রান্ত হবার ঘটনায় তাদের প্রচ্ছন্ন মদদ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক যে নয় তার দুটো কারণের একটি হলো- ওইসব জিহাদি স্ট্যাটাসধারীদের নীরবতা, আর অন্যটি হলো- রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে সরকার ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’র কূটচালের বাড়া ভাতে ছাই ছুড়ে দিলো। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে বাঙালি শ্রমিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবঙ সবশেষে ‘দাড়িপাল্লা’ ভারি করে।
সেই ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’র নাম জামায়াতে ইসলাম। অনলাইন গণমাধ্যম পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে-
“জামায়াতের লোকজন হামলার জন্য আবার জড়ো হওয়া চেষ্টা করছে।”
অতএব সাধু সাবধান!
 
 

Wednesday, September 26, 2012

ICC T20 World Cup in Sri Lanka ... was it a good choice?

The ICC T20 World Cup has already begun in full swing with the Group stage already over. But what is noticeable is ICC's decision to pick Sri Lanka as the host for this year's T20 World Cup. Was Sri Lanka a good choice? Or, at least at this time of monsoon season.

So far, several matches have been affected by rain. Interestingly, West Indies are through to Super-8 without winning any match. That is because they lost to a lesser margin to Australia than the Irish team. Really? Is that so? Maybe Ireland could've beaten West Indies. Or maybe Windies could have beaten both Australia & Ireland and take on top position in their group. Thus, India would have been playing Windies on Friday than Australia.

Also, the other match that was critically criticized was South Africa vs Sri Lanka. In a rain-affected 7 over per side match, it doesn't make sense to have 11 men playing. Also, a score of 78 in 7 overs does not display how good or weak a team is.

In addition, the Duckworth-Lewis method is not effective for a 20-20 match. It may have been efficient for ODI format of the game, although I personally think otherwise. In effect, D/L method has aided team batting second most to all the time. A new formula or method needs to be adopted for T20 format of cricket to balance the game between two sides. Even ESPN Cricinfo's Siddarth Monga agrees with my point.

Now it's up to ICC to decide how or whether would do it or not.

Wednesday, August 08, 2012

ধর্ম কি বাধ্যগত?

ইসলাম বলি কিংবা হিন্দুধর্মই বলি, খ্রীষ্টধর্ম অথবা বৌদ্ধধর্ম। ধর্ম কি আমাদের জীবন চলার পাথেয় নিয়ম-প্রণালী, নাকি অন্যকিছু? যতটুকু জানি, অনেকেই বলেন ধর্মের উৎপত্তি হলো আমাদের প্রতিনিয়ত জীবন চলাকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করা। কিন্তু আসলেই কি তাই? একটা একটা করে বলি।

রোজা/উপবাস:
মুসলিমরা সিয়াম সাধনার মাস, রমজানে, তিরিশ দিন যাবত রোজা রাখে। অর্থাৎ ভোর সকালে নামাজের সময় খাবার পরে আবার বিকালে নামাজের সময় খাওয়া হয়। কিন্তু কয়জন মুসলিম আসলে রোজা রাখতে চায়? আর ক'জন বাধ্য হয়ে রোজা রাখে? কেন এমনটি বলছি? কারণ আমার চেনা-জানা কিছু প্রবাসী মুসলিম বন্ধু আছে যারা বড় জোরে রোজা পালন করে। তাছাড়া, যেহেতু পশ্চিমা দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে সূর্য তুলনামূলকভাবে পরে ডুবে, ফলে রোজা ভাঙাও হয় পরে। কেমন করে জানলাম এদের এমন চিন্তাধারা রোজা সম্পর্কে? তাদের ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে। যেমন, 'ইসস, কখন যে নামাজ হবে', 'খাবার নিয়ে বসে আছি, আর একটু সময়', 'আজকে ইফতারীতে ফাটায়া দিছি, সাগর রেস্টুরেন্ট থেকে স্পেশাল অর্ডার দিছি'। আমি যতটা জানতাম, রোজা রাখা হয় সংযম পালনের জন্য। যদি সংযমই না আসে, তাহলে তা পালনেরই দরকার কি? এত কষ্ট করে, বাবা-মায়ের কথা রাখার জন্য বাধ্য হয়ে এমন ধর্ম রক্ষা না করে কি না করাটাই উত্তম না?
এবারে আসি হিন্দুদের কথায়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে জীবনে একবার হলেও নাকি উপবাস করতে হয় - বাবা-মার কাছ থেকে এমনই শুনে এসেছি। কিন্তু প্রবাসে দেখি, এতটুকু ছোট ছোট বাচ্চাগুলো (৫-৭ বছরের হবে হয়ত), এদের দিয়ে উপবাস করানো হচ্ছে। আবার এদেরই বাবা-মায়েরা সেইসব মন্দিরগুলোতেই যায় যেগুলোতে অন্যান্য মন্দিরগুলোর আগে অঞ্জলি হবে, ফলে উপবাসও ভাঙা যাবে। এমন উপবাসের দরকারই বা কি? এটিও তো একটি সংযমের প্রথা। সংযমই যদি না হয়, তাহলে এমন বাধ্য-বাধকতামূলক প্রথা পালনেরই প্রয়োজন কি? আর শুধু জন্মাষ্টমীই না, সরস্বতী পূজার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়। প্রকৃত শ্রদ্ধা সহকারে যদি উপবাস না করা হয়, তাহলে এর ফলাফলটাই বা কেমন হবে?

হিজাব/ঘোমটা:
মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে যাতে পরপুরুষরা তাদের রূপ/চুল না দেখে - এমনটাই শুনে এসেছি। কিন্তু এটা কি তারা স্বেচ্ছায় করে, নাকি বাধ্য হয়ে? আমার চেনা (প্রবাসের কথাই বলছি) কিছু মুসলিম মেয়ে আছে, যারা হিজাব পরে, কিন্তু আবার প্রকাশ্যে শ্বেতাঙ্গ ছেলেটার সাথে হলওয়ের কোণায় দাঁড়িয়ে প্রেম করে। তাও কি আবার একটি ছেলের সাথেই। ওই মেয়েকেই দেখা যায়, অন্য ছেলের সাথে প্রেম করে। যদি না একটি ছেলের সাথেই সম্পর্ক থাকত, তাহলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তা তো নয়। এমন আধুনিক পশ্চিমা চলন-চালন, তাহলে কেন আবার এই হিজাব। যেটি পরার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শালীনতা বজায় রাখা একজন নারী/মেয়ে হিসেবে?
হিন্দুদের কথায় আসি। হিন্দু বিবাহিত মহিলারা নাকি ঘোমটা ছাড়া শ্বশুর বা ভাসুরের সামনে আসতে পারে না। এ কেমন কথা? ভাসুর কি সেই মহিলার বড় ভাইয়ের মতো না? শ্বশুর কি নিজের বাবার মতো না? কার্যত, শ্বশুরকে মেয়ের দায়িত্ব দিয়ে দেন কন্যার বাবা বিয়ের সময়। তাহলে, এমন অযুক্তিসংগত নিয়ম-কানুন কেন? এমনকি এদের (ভাসুর, শ্বশুর) নামও বলা যায় না সেই বধুর দ্বারা।

এমন অনেক নিয়মই আছে যা হিন্দু-মুসলিম সমাজে চলে এসেছে বহু বছর ধরে প্রচলিত প্রথা হিসেবে। এগুলোর প্রকৃত ভিত্তি কতটুকু সে বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এগুলো আসলে এসব ধর্মগুলোর ধর্মগ্রন্থেই লেখা থাকে তাহলে বলব, ঈশ্বর/আল্লাহ অন্যায্যকারী। তাঁরই নিয়মে কেন তিনি এমন অযুক্তিসংগত নিয়ম লিখে যাবেন বা বলে যাবেন? আর তা যদি না হয়, তাহলে দাঁড়ায় যে, এগুলো মানুষেরই লেখা। ফলে যারা এগুলো লিখেছে বা প্রথাগুলোর প্রচলন করেছে, তারা একটা বিশাল সংখ্যার মানুষদের দাবিয়ে রাখার জন্যই এমন কাজগুলো করেছেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এগুলো মানুষেরই তৈরি। আগেকার মানুষরাই এসব প্রথা, নিয়ম-কানুনের প্রচলন করেছিলেন বহু বছর আগে। আমি যদি ধর্ম-কর্ম পালন করি, তাহলে তা আমার নিজে থেকেই তো আসতে লাগবে। আমার ভেতর থেকে না আসলে তো এমন ধর্ম পালনের আর প্রয়োজনই নেই। বাধ্য করে কিছু করালে তার ফল ভালো হয় না। কিংবা এতে প্রকৃত সাফল্য আসে না। সেটা ধর্মচর্চা হোক বা কোন পরীক্ষা/প্রজেক্টই হোক।

Saturday, January 16, 2010

হায়রে পাশ্চাত্য!

অনেকদিন ধরেই এই লেখাটি লিখব লিখব করে আর লেখা হচ্ছিল না। অবশেষে ভাবলাম ভার্সিটি আবার খোলার আগেই লিখি। আর সেই সাথে একটু বুঝে নেই এ সম্পর্কে ফোরাম/ব্লগ মহলগুলো কি ভাবছে। ঠিক আছে, আর ভূমিকা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসি।

প্রত্যেকটি জাতিই তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে সম্মান করে চলে। প্রত্যেকের কাছে ধর্ম যেমন (অন্তত আস্তিকদের কাছে) গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সংস্কৃতিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। এমনি আমাদের বাঙালী সমাজেরও দীর্ঘ আচার-সংস্কৃতি বহুকাল থেকে বিদ্যমান আছে। বৃটিশ শাসন, পাকিস্তান শাসন আমাদের বাংলা ভাষা কেড়ে নেবার মতো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে আমাদের সংস্কৃতির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা-ভক্তির কাছে।

কিন্তু সম্ভবত গত ২০০০ পরবর্তী সময় থেকে বা হয়ত এর কিছুটা আগে থেকেই আমাদের বাঙালী সমাজে পাশ্চাত্যের প্রভাব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। বর্তমান সময়ে এর প্রভাব আরো বেশী করে চোখে পড়ার মত। যেখানে বিজয় দিবসের দিন রাস্তা-ঘাটে হিন্দি গান চলে কিংবা নতুন ঢাকায় ছেলে-মেয়েদের কাপড়-চোপড় পশ্চিমা ধাচের পড়ে ঘোরে তখন কি করে আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি সামনের দিনে টিকে থাকবে?

তাছাড়া, আজকাল পশ্চিমা ধাচের মতো বাংলাদেশেও বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক এবং এর ফলে রমনা পার্কে বা ওইরকম স্থাণগুলোতে যুবক-যুবতী খোলামেলাভাবে যে সব আচরণ করে, তা তো আজ থেকে ২০ বছর আগেও বাঙালী কল্পনাও করতে পারেনি। যে কোনো প্রাচীন সময়ের চেয়ে আজকাল কিশোর-কিশোরী রাস্তায় যেভাবে ঘুরে বেড়ায়, তাতে মুরুব্বীরাও লজ্জা পাবার অবস্থা দাঁড়ায়।

তাছাড়া, ইংরেজীর কথা তো এখনো বলাই হয়নি। আজকাল ইংরেজীর ব্যবহার বাংলার বদলে যে হারে বাড়ছে, তাতে আমার তো শঙ্কাই হয় কোনদিন জানি বাংলা ভাষাটাই বিশ্ব থেকে বিলীন হয়ে যায়! একবার একটা সেমিনারে শুনেছিলাম, যে হারে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে গর্ভপাত হয় বছরে, তাতে ২০৩৮ সালের মধ্যে নাকি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো কৃষ্ণাঙ্গই আর খুঁজ়ে পাওয়া যাবে না। আমার তো মনে হয়, বাঙালীদের মধ্যে যদি বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে কোনো সমীক্ষা করা হয়, তাতে এরকম একটা ফলাফল পাওয়াটা আশ্চর্য্যের কিছু হবে না।

যা হোক, অনেকে বলবেন, সময়ের তালে, যুগের পরিবর্তনের সাথে চলতে গেলে, বিশ্বায়নের সময়ে এইসব হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তাই বলে কি আমার বাংলা সংস্কৃতিকে ভুলে গিয়ে? আমার মায়ের ভাষাকে ফেলে দিয়ে? একবার এক বাংলা ছবিতেই এক প্রবীণ অভিনেতা বলেছিলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মানে নিজের আচার-সংস্কৃতিকে ভুলে যাওয়া নয়, বরং নিজের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে পথ চলা। যেমন করে সাগরে জাহাজ ডুবলে এক টুকরো কাঠের প্রয়োজন হয় ভেসে থাকবার জন্য, তেমনি করে এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলেও আমাদের সেই কাঠের জায়গায় আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রেখেই এগোতে হবে।

Monday, December 28, 2009

একটা বিষয় জানতে চাই

আসলে এ বিষয়টা বহুদিন ধরে মনের মধ্যে ছিল। কিন্তু কাকে যে জিজ্ঞেস করব সেটাই আসলে ভেবে উঠতে পারছিলাম না। অবশেষে চিন্তা করলাম ফোরামিক/ব্লগার ভাই-বোনদেরকেই জিজ্ঞাসা করি। হয়ত এ বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞ লোককে জিজ্ঞেস করলে ভালো উত্তর পাওয়া যেত, কিন্তু আপাতত চেনা-জানা মানুষগুলোর কাছেই প্রশ্নটা রাখি না।
যা হোক, আর ভূমিকা না বাড়িয়ে জানতে চাচ্ছি প্রশ্নটা। প্রশ্নটা হলো মূলত মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে। যেহেতু আমি একজন অমুসলিম তাই প্রশ্নটা জেগেছে। প্রশ্নটি হলো, যেকোনো মিলাদ মাহফিল, ঈদ, শব-এ-বরাত ইত্যাদি মুসলিম উৎসবগুলোতে বা যেকোনো মুসলিত অনুষ্ঠানের শেষে প্রার্থনা করা হয় আল্লাহর কাছে যেন বিশ্বের সকল মুসলিম ভালো থাকে, কল্যাণ হয়, মঙ্গল হয়। আমার প্রশ্নটা হলো, কোরআন বা হাদিসে কি উল্লেখ আছে যেকোনো অনুষ্ঠান শেষে আল্লাহর কাছে সকল মুসলিমদের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করার জন্য? এই মঙ্গল কামনার মধ্যে কি অমুসলিম, পশু-পাখি, তথা সকল জীবসমূহ স্থাণ পায় না?
প্রশ্নটা জেগেছে যে মূল কারণে তা হলো, সেদিন বড়দিনের উৎসবের পরেও দেখলাম একজন আর্চবিশপ বিশ্বের সকল প্রাণী তথা সকল জীবসমূহের কল্যাণের কথা বলেছেন। হিন্দুদের যেকোনো পূজা-পার্বণেও দেখা যায় পুরোহিত বা সাধু-সন্তজন সকল মানবজাতি তথা সকল জীবের মঙ্গলের কথা বলেন। তাহলে কি ধরে নেব অন্যান্য সকল ধর্ম (মুসলিম বাদে) সকল জীবের কল্যাণ চায় আর মুসলিমরা চায় না? নাকি অন্য কিছু? যদি কোনো সাধারণ মুসলিম এই প্রার্থনা করত, তাহলে এ বিষয়ে প্রশ্ন জাগ্রত হতো না। কিন্তু ঈদ বা এ ধরনের মুসলিম অনুষ্ঠানে আলেম, মোল্লা বা হুজুররাই এই প্রার্থনা করেন যে, বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ যেন শান্তি পায়।

[বি.দ্র. - আমি কোনো ধর্মীয় তর্কে যেতে চাই না, শুধু বিষয়টুকু কোরআন বা হাদীসের মতো মুসলিম ধর্মগ্রন্থে কি বলেছে সে বিষয়ে জানতে চাই। সাথে যদি আপনারা মুসলিম হিসেবে এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন সেটিও যদি বলেন, তাহলে খুশী হব।]

Saturday, October 10, 2009

Obama's Nobel Peace Prize Win - My Viewpoints

Well, it's now another achievement that the current president of the United States, Barack Obama has won. This time it's from the Nobel Committee which is considered to be one of the highest, elegant and prestige organization in the world that recognizes individual or a group's efforts in the globe in various fields, ranging from literature, science to peace. The Nobel Committee has announced that this year, 2009, the Peace Prize will be awarded to Barack Obama. This is all over the news. Let me come to my point of view about this.
From the campaign that Obama ran to achieve the presidency from George W. Bush has marked a new era in world politics, if not at least in US politics. The enthusiasm that people showed towards politics in the US, especially among the newly-turned voters of young ages, is a milestone that this country has not seen for years. Generally, when young people listen to politicians, they simply ignore the talks and turn to music or something else. It's been a general notion to ignore politics among the US young adults. That has really changed from the start of the campaign to the election of the first African-American president of the US. What has caused this change? Many would argue that the inspirational words by Obama was a major factor in his winning the presidency over Hillary Clinton or John McCain.
After the election, it all came down to action. If a person just talks about change and then does nothing to change, then there's no point in choosing that candidate. Obama initialized his change from former Bush policy to wrap up the prison camp in Guantanamo Bay to start bringing troops back from Iraq. Even though situation in Afghanistan is deteriorating since he took office, the solution to that problem is yet to be discussed and determined. We may not like the current unemployment rate in the US due to the fragile economy's ups-and-downs. But we are sure about this that the initiative that the president has taken to create jobs, (or green jobs, perhaps) is slowly coming into light. It is not like the economy of the US will be back on track just after Obama took office as he applies some magic spells or something to soothe the crisis. If it were, then he would be Christ or a savior. As a human, he is trying to cause the change that he promised during his campaign. But it is about the common people who are actually responsible for bringing that change. If it's a one man's job, then what are all the citizens for?
In addition, when he tried to legislate the health care reform bill, he is being criticized and teased by critics, especially from the Republican party, for socializing the country. If my Congressman can get the benefit of free health insurance and get the best available care that can be given, isn't it also fair to ask that why can't I get the same benefit as well. After all, they are actually supposed to be representing the constituents who are common people like me. Don't people hold more power in democracy? Or is this country not in the path of democracy but brags about bringing democracy to other non-democratic nations? Whatever the case may be, it can be said that the critics of Obama don't want people to benefit from all the available care but wants their share of the pie.
Now, talking in terms of the world point of view, Obama has said during various speeches and conferences that he would like to strengthen the relationship that US has with all the Muslim nations, unlike George W. Bush. He even opened his door to diplomatic talks with Iran. In regards to Iran's nuclear proliferation, he is not taking the necessary steps on his own, but rather discussing the matter with Gordon Brown or such world leaders around the globe. He even sat down with Russian president recently to calm the tension that existed between the Sovient Union and the US for decades during the Cold War. In regards to the Israeli-Palestinian conflict, he is trying to bring the two leaders from these conflicting regions into talks to end the battle and come to a lasting peace.
Although many of these actions are just in the beginning steps, it is not like that he is giving up on the obstacles faced when solving these crisis. It would definitely take time to soothe the scar that was left by his predecessor. But if we just conclude from his actions of nine or ten months that he is not deserving to win such a prestigious prize, we are actually hindering in the progress of actual peace that he is trying to achieve. From his words after hearing the news of Peace Prize, "humble" and "a call of action" demonstrates that he himself thinks he might not be suited to earn the prize yet, but the decision by the Nobel Committee puts him into more pressure to carry out his words into actions. It may very likely be that he might not be completely successful when he tried to deliver his words into actions, but the effort shown by this president is something extraordinary and no one can dare to argue that.
Since the news came out, I have seen in Twitter, Facebook and other news media that people are just hating the fact that Obama has won the Nobel prize. In some instances, it is the very same people who have casted their vote for him just less than a year ago. This is the situation not only at home, but also overseas. Foreigners who have supported Obama during his rise as president from all over the world to bring change to the ways things were going for the past few months or years, just can't take this Nobel prize victory of Obama by any means. Some are even saying that if Obama can win it, why can't they? To those, my question is, if you think you are eligible for winning Nobel prize, then why didn't you take the burden of a fragile economy, two wars overseas, broken healthcare system from Bush?
Finally, I just want to conclude by saying that those who are haters will hate someone that they can't stand for whatever reason it may be. But when the light of change will eventually illuminate, it will brighten them as well. Then, they might still be haters or lovers but it may be late. I'm saying this from the long legacy of popular presidents being assassinated in the US that it may not be very surprising to find out Obama being shot or bombed by some of his haters one day. Then, the achievements may be completed but the person may not be available anymore. So, even though the time may not seem right for some people who supports Obama, I say that let the man earn what he will eventually earn. Maybe this will prove to be one more encouraging factor to his list of accomplishments.

Tuesday, July 14, 2009

No one to understand?

{I'm writing this post as a translated copy of my previous blog entry in Bengali. The post seemed very appealing which is why I decided to translate it.}

I was discussing with some issues in a Bengali forum which is when I got involved in this. I was thinking about the issue for some time and later decided to write about it.
Now coming to the point...

According to Sanatan Dharma (Hinduism), the Supreme being is many and/or one. HE can be formless and/or with form. HE can have a face and/or not. HE can be infinite and/or finite. And, I repeat, HE can be one and/or many. Otherwise, would HE be considered the Supreme being? Most powerful? Omniscient? HE is the one who can claim that position of the highest possible because HE can be what he wants to be.
Back in the days, people used to worship their deity with form. Even though it still occurs, but most people nowadays prefer to worship formless, unseen being. I want to make something clear here that the followers of Sanatan Dharma consider their deity in the same respect as Muslims' Allah or Christians' God. Because Allah or God are both formless, they (Hindus) also consider the supreme being's both formless and form-full appearance. Just like Muslims or Christians believe their Allah or God to be one and only one, they (Hindus) also know the all-powerful being to be one and only one while also can be many and infinite.
I think, my readers already got the gist of my saying the followers of Sanatan Dharma rather than Hindus. The reason for that (even though they may seem the same) is the word "Hindu" came from the ancient Persians/Greeks (westerners). When the westerners arrived in the Sindhu River, they called the locals "Shindus". But because they could not pronounce the letter "S", they opted out to say "Hindus". It is believed that the word "India" also came in a similar manner. The river valley of the ancient civilization of the area, "Indu" (Plural- Indus) was the original word. The word "India" derived from that origin. It is very similar to Christopher Columbus' calling the locals in the Americas "Red Indians", believing he reached India from Europe. Though we now know that he actually got to the Americas and the locals were never from India but from Europe long time ago, we refer to them now as "Native Americans" since that title applies to them correctly. Now if we call Hindus still today, we would be mistaking again like Columbus. Rather we can call Hindus by their Sanatan Dharma belief, "Sanatani".
Anyways, my point was not this. I want to make this clear that every religious beliefs were originated from their own point of views. But they all come together at the center of all. Just like rivers, lakes all come to the same ocean, we all Muslims, Christians, Sanatanis are also worshiping the same being. If a flood or cyclone hits an area today, just as a Muslim will pray to Allah, Sanatani will pray to Eishwar as well. Then, if the flood or cyclone ceases, will be be credited to Allah or Eishwar? Or both are the same? Isn't it true that through both Muslim's and Sanatani's prayer, the same being is called for help. Then, HE comes for aid.
If I continue, I can go for long. But I'll try to be concise.
I'm trying to explain this with an example: A Muslim had a car accident for which he needs immediate blood. Let's say, his blood group is A-negative. Now for urgent blood donation a Sanatani comes in to help. They both have the same blood type. Will Sanatani's blood not work for the Muslim? Isn't both their blood red? Or is it different based on their religious differences? Will we say that the Muslim came from Sanatani or vice-versa? Or is it that we all are part of the same human race that is our connection to everyone?
Now if humans are related scientifically and mentally, then can we not conclude that Eishwar/Allah/God are the same? Just like Eishwar has the power to stop flood/cyclone, Allah has the same strength. Then where is the difference? Or is it that we, humans, cause the difference?
Ask yourself. You'll see what I've said is turning out to be true.

[This is not intended to hurt someone's religious feelings. Just attempting to merge the difference that we all share. If it creates more divergence, then I'll consider that my writing was not only wasted but also pointless.]

Monday, July 13, 2009

কেউই কি বুঝলো না?

একটা ফোরামে কিছু ভাইদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে কিছু কথা আসে। যা আমি পরে চিন্তা করে কোনোকিছু ভেবে-চিন্তে বের করতে পারলাম না।
মূলকথায় আসি...

সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে ধরা হয় ঈশ্বর বিভিন্ন আবার এক। তিনি যেমনি সাকার আবার তেমনিই নিরাকার। তাঁর যেমনি কোনো রূপ নেই আবার তেমনি বহুরূপী। তাঁর যেমন আদি নেই তেমনি অন্তও নেই। আবারও বলছি তিনি যেমনি অদ্বিতীয় তেমনি বহুবিধ। তা না হলে কি তিনি ঈশ্বর? সর্বশক্তিমান? পরমেশ্বর? সর্বোচ্চ আসনটিতে অধিষ্ঠিত তো তিনিই হতে পারেন যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। তিনি যেমনি চাইবেন তেমনিই হতে পারবেন।
আগেকার দিনগুলোতে মানুষজন ঈশ্বরকে রূপ দিয়ে পূজা-আরাধনা করত। এখনকার দিনে যদিওবা তা হয়, তবে বর্তমান কালে বেশীরভাগই নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনায় মগ্ন। পাঠককে একটা বিষয় আমি এখানে জানিয়ে দিতে চাই, তা হলো, বর্তমান সময়ের মুসলমানদের 'আল্লাহ' বা খ্রীষ্টানদের 'গড' সবাই কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতেও ঈশ্বরই দাঁড়ায়। কারণ 'গড' বা 'আল্লাহ' যেমন নিরাকার তেমনি সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও মনে করে ঈশ্বর সাকারও হতে পারে আবার নিরাকারও। খ্রীষ্টানরা বা মুসলমানেরা যেমন তাদের নামকরণে 'গড' বা 'আল্লাহ'কে সর্বশক্তিমান মানে, অদ্বিতীয়, এক, অভিন্ন মানে, তেমনি সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও কিন্তু ঈশ্বর/ভগবানকে এক বা অভিন্ন জ্ঞানে জানে।
পাঠক এখানে একটা বিষয় হয়ত লক্ষ্য করবেন যে আমি 'সনাতন ধর্মাবলম্বী' বলছি 'হিন্দু ধর্মাবলম্বী' না বলে। কারণ, 'হিন্দু' শব্দটিই এসেছে প্রাচীন পারস্য/গ্রীকদের (পশ্চিমাদের) ভারতবর্ষ ভ্রমণকালে সিন্ধু নদের উপত্যকায় বসবাসকারী লোকজনকে উদ্দেশ্য করে। যেহেতু তারা (পশ্চিমারা) 'স'-এর উচ্চারণ করতে অসক্ষম ছিল তাই তারা এর স্থলে 'হ' এনে "হিন্দু" শব্দের উৎপত্তি ঘটায়। এর ইংরেজী নাম দেয় তারা "Indu" (Plural- Indus)। ধারণা করা হয়, এ থেকেই India শব্দটির উৎপত্তি। যেমনভাবে ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কারের পর সেখানকার স্থাণীয়দের নাম দেয় "Red Indian" (কারণ তিনি মনে করেছিলেন তিনি ইউরোপ থেকে ইন্ডিয়াতে এসে পড়েছেন, তাই লোকজনকে Red Indian লাল বর্ণের জন্য নামকরণ করে)। তাই বলে কি ইতিহাস দেখেনি এইসব লোক আসলে কোথাকার ছিল? এদেরকে পরবর্তীকালে বই-পুস্তকে Native Americans বলে সম্বোধন করা হয়েছে। তেমনিভাবে আজ যদি আমরাও সেই প্রাচীন পারস্যদের ন্যায় সিন্ধু নদের উপত্যকায় বসবাসকারী লোকদের "হিন্দু" বলে থাকি, তাহলে কি আমরাও একই ভুল করছি না?
যা হোক, আমার মূল কথা এ নিয়ে ছিল না। আমি এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই যে, প্রত্যেকটি ধর্ম-বিশ্বাস তাদের নিজেদের মতাদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেছে। কিন্তু তাদের সন্ধিক্ষণ সেইখানেই যেখানে আমরা সকলে এক। যেমনভাবে নদী-নালা সকলে গিয়ে সেই সাগরে গিয়ে মেশে, তেমনি করে আমরা (মুসলিম, খ্রীষ্টান, সনাতন ধর্মীরা) সকলেই কিন্তু একই সর্বশক্তিমানের আরাধনা করছি। আজ যদি আপনার এলাকায় বন্যা-সাইক্লোন শুরু হয় তখন একজন মুসলিম যেমন আল্লাহর নাম নেবে তেমনি একজন সনাতন ধর্মীও ভগবানের নাম নেবে। তখন যদি বন্যা-সাইক্লোন বন্ধ হয়ে যায় ওপরওয়ালার কৃপায় তখন কি এটা আল্লাহর গুণে হয়েছে নাকি ভগবানের? নাকি এটা সত্য যে, তারা সবই তো এক যেকারণে মুসলিমের নামাযে বা সনাতন ধর্মীর প্রার্থনায় একইজনের শরণাপন্ন হয়েছে মানবজাতি। তখন তিনি সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন।
এ নিয়ে লিখলে অনেকই লেখা যায় কিন্তু আমি যতটা পারি সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করব।
একটা উদাহরণ দেবার চেষ্টা করছি এখানে: একজন লোক (মুসলিম) যদি এ্যাক্সিডেন্ট করে তখন তার জরুরী রক্তের প্রয়োজন পড়ল। এখন যদি তার রক্তের গ্রুপ এ-নেগেটিভের সাথে আরেকজন লোকের (সনাতন ধর্মী) রক্তের মিল পাওয়া যায়, তখন কি তার রক্ত মুমূর্ষ লোকটির কাজে লাগবে না? রক্তের বর্ণ কি মুসলিম বা সনাতন ধর্মীর ভিন্ন। নাকি দুইই লাল? তাই বলে কি বলব এ ওর থেকে এসেছে (ধর্মানুসারে) নাকি বলব আমরা সকলেই তো একই মানবজাতির অংশ তাই আমাদের সকলই এক হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তাহলে যদি মানবজাতির একাত্মতা থাকে দেহে, মনে (বৈজ্ঞানিক ও মানসিকভাবে) তখন কি আমরা এও বলতে পারি না যে, ঈশ্বর/আল্লাহ/গড একই। যেমনি করে ঈশ্বরের ক্ষমতা আছে বন্যা-সাইক্লোন হঠাৎই বন্ধ করে দেবার তেমনি আল্লাহরও তো আছে একই শক্তি। তাহলে পার্থক্যটা কোথায় থাকল? নাকি আমরা মানবজাতিই নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদটা তৈরি করেছি?
নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন। দেখবেন কথাগুলো যা বললাম তা সত্যই।

[কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবার জন্য এ লেখা নয়। শুধুমাত্র আমাদের মানুষদের মধ্যে যে দূরত্ব সে দূরত্বকে যতটুকু পারি ঘুচানোর চেষ্টা। যদি এতে আরো ধর্মীয় বিভেদ তৈরি হয় তাহলে আমার প্রচেষ্টা শুধু বৃথাই হবে না, অনর্থক ধরে নেব।]

Monday, March 30, 2009

তাহলে কি সেই ঘুরে ফিরে আবার সনাতন ধর্মেই ফিরছি?

ইদানীং কালে একটা বিষয় খুব মাথায় খেলে। যারা মনে করেন আমাদের সকলের ইসলামে/খ্রীষ্টধর্মে আসা উচিত তারা কি কিছু বিষয় লক্ষ্য করেছেন? বিষয়গুলোর মধ্যে যেগুলো আমার এখন মনে পড়ছে সেগুলো আপাতত লিখছি।

- এত শত ইসলামী নাম থাকতে কেন হিন্দু/খ্রীষ্ট টাইপের নাম রাখেন আপনার সন্তানের? জর্জ, রোহিত, জন, বা এমনকি কৃষ্ণকলি (কৃষ্ণ শব্দটা কি হিন্দু এক অবতার নাম না?) নাম দিতেও এদের বাধে না। তাই যদি হয়, তাহলে কেন মুসলিম হয়ে অমুসলিম নাম দেন?
- মহানবী কি বলেছেন ভয়-ভীতি আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে ইসলামে আনতে লোকজনদের? আমি যদিও কোরআন পড়িনি, তবুও এটুকু বলতে পারি, কোনো ধর্মই হিংসা, মারামারি, সহিংসতা শিক্ষা দিতে পারে না। তাহলে কেন ধর্মের নাম ভাড়িয়ে সন্ত্রাসীপনা করা হয়? অথচ এটা কি বোঝেন না, আপনারা আপনাদের ধর্মকেই হেয় করছেন অন্যদের কাছে?
- মার্কিনসহ বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলোতে খ্রীষ্টানরা সহকারে অন্যান্যরাও এখন মৃতদেহকে দাহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৎকার করেন। যদিও আগেকার সময়ের মতো কাঠ কুড়িয়ে এনে শবকে আগুনে জ্বালানো হয় না, তবুও electric furnace এর মাধ্যমে দেহ পোড়ানো হয়। সনাতনীদের মৃতদেহকে দাহ করার প্রথা বহু প্রাচীন।
- মৃতদেহের পোড়ানো অংশের ধুলি লোকজন আজকাল সংগ্রহ করে নদীতে ছিটিয়ে দেন। ঠিক এমনই প্রথা হিন্দুধর্মাবলম্বীরা পালন করে গুরুজন বা পরিবারের কারো মৃতদেহের ধুলি নিয়ে। সাধারণত গঙ্গাতেই ধুলি ছিটিয়ে দেয়া হয়। সাথে যদিও পিন্ডসহ অন্যান্য রীতি-নীতি পালন করা হয়।
- 'Yoga' বা 'যোগব্যায়াম' আজকাল পশ্চিমা দেশগুলোতে খুবই সুপ্রচলিত একটি প্রাত্যহিক নিত্যকর্ম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতসহ অন্যান্য হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলের চেয়ে এখন আমেরিকা, ব্রিটেনে এই যোগের প্রচলন অনেক বেশী।
- হিন্দু পঞ্জিকা হিসেবে ধরা হয় বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র - এই মাসগুলোকে। কিন্তু আজ বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলোতে এই হিন্দু ক্যালেন্ডার আজ "বাংলা ক্যালেন্ডার" হিসেবে পালিত হয়। 'পয়লা বৈশাখ' বাঙালীরা পালন করে সার্বজনীন আঙ্গিকে। এতে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে পালন করে দিনটিকে উৎসবের সাথে।

এছাড়াও অনেক উদাহরণ তুলে ধরা যায় যার মাধ্যমে আমরা দেখতে পারি আজকালকার মানুষজন কিভাবে সনাতনী হয়ে উঠছে প্রথাগত কিংবা রীতি-নীতিগত নানা দিক থেকে দেখলে।

Thursday, November 27, 2008

মুম্বাইতে হামলা সম্পর্কে কিছু কথা

মুম্বাইতে গতকাল হামলা হয়ে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায়। হোটেল, ক্যাফে থেকে শুরু করে হাসপাতালে পর্যন্ত আততায়ীরা হামলা চালায় নিরীহ লোকজনদের ওপর। পুলিশের জিপ হাইজাক করে নিয়ে সেটা ব্যবহার করে যত খুশী লোক মারতে পারে এই পণে মাঠে নামে সন্ত্রাসী বাহিনী "ডেকান মুজাহিদীন"। জানিনা কতটুকু সত্য যে এরাই ঘটনাটা ঘটিয়েছে, তবে এটুকু নিশ্চিত যে, পূর্ব-পরিকল্পনা করে কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীই এই কাজ করেছে। কাপুরুষোচিত বললেও মনে হয় কম হবে এসব নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য মানুষরূপী পশুদের অপকর্মের তুলনা করতে গেলে। এদের না সাহস আছে সশস্ত্র কোনো বাহিনীর (পুলিশ, আর্মি) বিরুদ্ধে সামনাসামনি যুদ্ধ করার, কিন্তু মূর্খের মতো মগজ আছে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার। ধর্মকে ব্যবহার করে এরা নিজেদেরকে বেহেস্ত তো দূরের কথা, দোযখেও স্থাণ পাবার জন্য রাখছে কিনা সন্দেহ। কোনো ধর্মের কোনো পুস্তক বা কোনো ঈশ্বরের বাণী হিংস্রতাকে প্রশ্রয় দিতে পারে না - সে যত পন্ডিত, আলেমরাই বোঝাক না কেন। আল্লাহর নামকে ব্যবহার করে এরা অন্য প্রকৃত আল্লাহর বান্দাদের অমুসলিমদের কাছে ছোট করছে। মনে হচ্ছে, মাদ্রাসা ব্যাপারটাকেই বন্ধ করে দেয়া উচিত, বা কমিটি করে দেখভাল করার জন্য প্রকৃত মুসলিমের প্রয়োজন এসব ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাবার।
যদিও এই ঘটনা নতুন নয়, তবুও আমার মনে হলো, প্রকৃত মুসলিমদেরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। রাজা রামমোহন রায় যেমন করে হিন্দু সমাজে পরিবর্তন এনেছেন শতাব্দীর প্রাচীন সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ উঠানোর জন্য কাজ করে, মুসলমানদের মধ্যেও আমার মতে আমুল পরিবর্তন প্রয়োজন। সমাজ ব্যবস্থায় এইসব মৌলবাদীমনা আলেম, হুজুরদের বহু বছরের প্রাচীন ব্যবস্থাসমূহকে নতুন করে একটি একবিংশ শতাব্দীর মতো করে উপযোগী করার। যাতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলেই সকলে মুসলমানদের দিকে আঙুল না তুলে দেখায়। আর এতে সকলের জন্যই মঙ্গল হবে।

Saturday, August 09, 2008

কিছু কথা

কিছু কথা বলার ছিলো আমার। কিন্তু কাকে বলবো? কে শুনবে আর বুঝবে আমার কথা? কাকে কথাগুলো বললে বুঝতে পারবে ঠিকমতো? প্রশ্নের পর প্রশ্ন। এর শেষ যে কোথায়? জানিনা।

কেঊ কি ভাবতে পারেন আমার কথাগুলো? হয়তো বা ভাবছেন কি বলতে চায় লোকটা? সত্যি বলছি, একটু আপনার চারপাশে তাকিয়ে দেখুন। বোঝার ক্ষমতা যদি থেকে থাকে হয়তো বা বুঝতে পারবেন। জানিনা।

তাহলে শুরু করি।
জীবন মানে কি? কেনই বা আমরা মানুষ নামক প্রাণীগুলো অন্যান্য জীবদের মতো এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছি? জীবনের মূল উদ্দেশ্যটা কি? কোন পথে চলেছি আমরা? কোথায় এর শেষ? কিসের মায়ালীলায় ঘূর্ণিপাক খাচ্ছি আমরা? নাকি জীবন একটা স্বপ্ন? না বুঝে শুনে শুধু এতে মগ্ন হয়ে আছি?

এর শেষ কোথায়? প্রশ্নের পর প্রশ্ন করা যাবে। কিন্তু ফুরোবে না। নানা ঋষি, মুনী, ওঝা, পন্ডিত, বিজ্ঞানী, দার্শনিক এসব প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা নানাভাবে দিয়েছেন। লিও টলস্টইয়ের ব্যাখ্যা পড়ার সৌভাগ্য এখনো যদিও আমার হয়নি, আমি তাও বলব কিছু কথা-যা পুরোপুরি আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা।
যেহেতু সেই মহান ব্যক্তির War and Peace পড়িনি সেহেতু, এখনকার ব্যাখ্যা পরবর্তীতে পরিবর্তিত করতে হতে পারে।

বিধাতা বা অজানা কোন এক শক্তির মায়াজালে আমরা আবদ্ধ। যে ধর্ম যেভাবেই বলুক না কেন, ঐশ্বরিক শক্তির প্রভাব যে আমাদের জীবনে বিরাজিত তা কেউই হয়ত অস্বীকার করতে পারবে না। সেই ঐশ্বরিক শক্তির কারণেই আমাদের জীবন এভাবে চলে। একে অনেকে ভাগ্য বলে আখ্যা দেন। আমিও মনে করি সেই ভাগ্যর এক বিরাট প্রভাব আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানা কাজে পরিলক্ষিত হয়।
এতো গেলো সৃষ্টির উৎস সম্পর্কে একটা ব্যাখ্যা।

কিন্তু জীবন মানেটা কি? আমার মতে জীবন হলো এক শক্তি যা ঐশ্বরিক শক্তিরই অংশ। সেই ঐশ্বরিক শক্তির নাম নানান লোকে নানা ভাবে ডাকে। কেঊবা বলে ভগবান, কেঊ আল্লাহ, কেঊ যীশুখ্রীস্ট, বা গৌতমবুদ্ধ। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো সেই শক্তির উৎসটা কি? কোথা থেকে তাহার উৎপত্তি হলো? কোথা থেকে সেই শক্তি এলো? বিজ্ঞানের ধারণা মতে যতদূর শিখেছি তা হলো, হাইড্রোজেনের থেকে সকল পদার্থের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই যে সে তত্ত্বকে বিশ্বাস করবো। তাই এমন প্রশ্ন।
আরেকটা ব্যাপার আমার মাথা ঘামায় যা হলো, আসলে সত্য কি? সত্যের সংজ্ঞাটাই বা কি? নানা লোকে নানাভাবে সত্যের ব্যাখা নানা রকম করে দিয়ে থাকে। তাই আমি আসল সত্য জানতে চাই। গণিত শাস্ত্রের মতো ২+২=৪, তা আমার কাছে সত্য না। কেননা এটা তো মানুষের তৈরি সত্য। আসল সত্য না। আমি সেই আসল সত্যের অন্বেষণে…

এবার থেকে আমার মানসিক কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলবো।

পৃথিবীতে তো কত মানুষই জন্ম নেয়। ক’জনায় তাদের স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখে। সেই রবীন্দ্র, নজরুল, সুকান্ত, সেক্সপীয়ার, ওয়াশিংটন, সক্রেটিস তারা তো অমর হয়ে থাকবে বিশ্ব দরবারে মানুষের মাঝে। আবার হিটলার, লেনিন, স্ট্যালিন, লাদেন, মীরজাফর, অমরচাঁদ তারাও থাকবে মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে যুগে যুগে। আমি নিজে মনে করি, ইহলোকে যখন এসেছি তখন কিছু করে না দিয়ে গেলে জন্ম বৃথা হয়ে যাবে। আমার এক গুরুজনও বলেছিলেন, পৃথিবীতে যখন এসেছিস, তখন দাগ কেটে যাবি, নাহয় মানুষ মনে রাখবে কিভাবে? আমিও বিশ্বাস করি তাঁর কথা। তবে সেই দাগ মানে ভালো অর্থেই বুঝিয়েছিলেন তিনি। যা হোক, আমি তাঁর ওই কথার সাথে আরো
মনে করি মানুষ বা অন্য যে কোন প্রাণী এই ভুবনে জন্ম নেয় কিছু কর্ম সম্পাদন করতে, যখন সেই কর্ম সম্পাদিত হয়, তখনই তার চলে যেতে হয় জগৎ ছেড়ে। এই হলো আমার জন্ম-মৃত্যু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা।

আমার রাজনীতি সম্পর্কে কিছু বক্তব্য আছে। শুনতে হাস্যকর লাগলেও আমি সরকার পছন্দ করি না, সে প্রজাতন্ত্রী হোক, সমাজবাদী হোক,
একনায়কতন্ত্র হোক কিংবা গণতান্ত্রিক হোক। তবে direct democracy বলে Athens যে সরকার গঠিত হয়েছিল প্রাচীনকালে তাকেই মনে হয় সর্বোত্তম বলা যাবে। যদি representative democracy স্থাপণ করে সেই representativeরা নিজেদের ইচ্ছামত সরকারকে চালায়, তবে democracy আখ্যা দিয়ে লাভটা কি? যদি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি সেই
জনগণকে শোষণ করে ক্ষমতায় যাবার পরে তাহলে ভোটিং ব্যবস্থার প্রয়োজন কি আদৌ আছে? এ অবস্থা তো বিশ্বের প্রায় সকল গণতান্ত্রিক দেশে।
জনগণকে ঠকানোর এই রাজনীতি যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করা উচিত, নয়তো ছলচাতুরীর খেলার ফলাফল পরে পরকালে গিয়ে ভোগ করতে হবে।