বুয়েটের সুনামখ্যাত চমক হাসানের লেখাটা ঠিক আমার এ সপ্তাহের আগের লেখাটারই সূত্র ধরে বলা কিছু কথা ...
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts
Showing posts with label Bangladesh. Show all posts
Friday, April 08, 2016
Thursday, April 07, 2016
Sunday, April 03, 2016
প্রতিবেশী প্রতিবেশীতে এতো ঘৃণা কেন?
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এই বিষয়টা নিয়ে লিখব, কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না। যাক, আজ T20 ক্রিকেট বিশ্বকাপের সমাপ্তির পর ভাবলাম এ নিয়ে লিখে ফেলি।
Sunday, March 20, 2016
বাংলাদেশের fan-রা আসলেই উন্মাদ
মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তরুণ বোলার তাসকিন আহমেদের একটি ছবি যাতে ও ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনীর কাটা মাথা নিয়ে বিজয় উৎসব করছে দেখে গেছে, তারই সপ্তাহখানেক হতে না হতেই সামনের বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশী সমর্থকরা এবার স্টিভেন স্মিথের কাটা মাথার একটি ছবি ফেইসবুকে ছড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, এই লেখাটি লেখার সময়কালে তাসকিন আহমেদ ইতিমধ্যে আইসিসির দ্বারা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেটে খেলা থেকে। সেটি অবশ্য ওর বোলিং এ্যাকশনকে ঘিরে। কিন্তু বাংলাদেশী সমর্থকদের আবারও এমন হীনতর স্বভাব সত্যিই নিজেকে বাংলাদেশী বলতে লজ্জা লাগে। জানি না তাসকিন নিজে এসব বিষয়ে কতটা অবগত আছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সংস্লিষ্ট মহলের ওকে জানানো উচিত। আর জেনে থেকেও এসবকে প্রশ্রয় দেওয়া ওর ব্যক্তিগত চরিত্রকেই ফুটিয়ে তোলে না কি?
Saturday, March 05, 2016
বাংলাদেশী সমর্থকদের এই কি নমুনা?
বিভিন্ন ভারতীয় পেইজগুলোতে দেখলাম তাসকিনের এই ছবিটা ছড়াচ্ছে। ওদের কথা বাংলাদেশী কোনো সমর্থক মজা করার উদ্দেশ্যে এমন ছবিটি ফটোশপে করেছে। পূর্বেও মুস্তাফিজের আরেকটি ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে যা এমনকি একটি বাংলাদেশী পত্রিকাই (প্রথম আলো) প্রথমে ছড়িয়েছে । যদি বাংলাদেশীরা সত্যিই এমন আচরণ করে থাকে, তাহলে সত্যিই লজ্জা লাগে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থক বলতে। উন্নতির আহরণে এমন চিন্তা-চেতনা কোনো ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর জন্য শুভ বার্তা বহন করে না। ভুলে গেলে চলবে না যতোই উপরে উঠি না কেন, আমাদের ছায়া সবসময় মাটিতেই পড়ে। আবেগের সাথে সাথে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই হলো প্রকৃত স্থিতপ্রজ্ঞের লক্ষণ.........
Friday, January 15, 2016
এমন রাষ্ট্রপতি কোথায় পাবেন?
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বরাবরই রসিক মানুষ। উনি যখন স্পীকার হিসেবে ছিলেন তখন সংসদে অনেক মজা করতেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী পরিষদের সবাই তখন হাসতেন, আমরা সাধারন মানুষেরা ব্যাপারটা খুব উপভোগ করতাম। এরপর উনি যখন রাষ্ট্রপতি হলে তখন এভাবে কথা বলার সুযোগ কমে গেল। আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতিদের বেশি কথা বলার সুযোগ থাকে না, বিভিন্ন ইস্যুতে মাপা মাপা অল্প কথা বলতে হয়। তাই সাধারন মানুষ অনেকদিন উনার সাধারন কথাবার্তা আর হাস্যরস থেকে দূরে ছিলো।
অবশেষে তিনি এই প্রোগ্রামে মজা করে কথা বলার সুযোগ পেলেন এবং সেটার সদ্ব্যবহার করলেন। আমরা আবারো উনার হাস্যরসের সাথে নতুন করে পরিচিত হলাম। উনি একদম মাটির মানুষ, কথা বললে মনে হয় আমাদের পরিবারেরই একজন। উনার কথা শুনলেই মন ভাল হয়ে যায়।
(সংগৃহীত)
Saturday, August 29, 2015
আসল 6-pack একেই বলে
চরে নৌকা থামতেই আবুল কাশেম ভাই দৌড়ে দৌড়ে এলেন কেন এসেছি, কী উদ্দেস্য এইসব জানতে। পাখির খোঁজে এসেছি শুনেই নিয়ে গেলে নিজের ডেরায়। তাঁর তোলা এই ছবিটি দেখাতেই লাজুক হাসি দিয়ে বললেন "এই হাড় জিরজিরে ছবি তুললেন ক্যান !!"
বললাম- আপনি জানেন না, এই ছবি দেখেই বাংলাদেশে লাখ লাখ মেয়ে বলবে- এমন ন্যাচারাল সিক্স প্যাক কেন দেখি না আশে পাশে!
-- কী পাক বললেন ভাই?
-- কিছু না, কোন পাক , প্যাঁক না, কিন্তু চেষ্টা করতেছি যেন আমার পেটটাও আপনার মত হয় !!
(Source)
Saturday, August 08, 2015
বাংলাদেশী মুসলিমরাও ভারতকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয়
সুব্রত শুভ দাদার একটা লেখা পড়ে জানলাম ভারতেও আজকাল বাংলাদেশী মুসলিমরা আশ্রয় নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ও তার নিকটবর্তী প্রদেশগুলোতে বাংলাদেশে থেকে আগত নিষ্পেষিত হিন্দুরাই নন, মুসলিমরাও ভালো জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে বসবাসে উদ্যত হচ্ছেন। বলা বাহুল্য, গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বলেছিলেন ভারতে বাংলাদেশে থেকে আগত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তিনি আশ্রয় দেবেন না। বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে যারা আশ্রয় চাইবে (মূলত হিন্দুদেরই) তাদের বসবাসের অধিকার দিতে তার দলের আপত্তি নেই।
গত বছর কলকাতায় এক বাঙালি ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে পরিচয় হয়। নাম সেলিম। বাড়ি চট্টগ্রাম। তার বাবা-মা ১৯৯০ দিকে ভারত চলে যায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। স্থানীয়রা জানে সে ভারতীয়। যদি ফাঁস হয় বাংলাদেশ থেকে এসেছে তাহলে ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট সহজে মেলে না। যাই হোক তিনি সবকিছুই পেয়েছেন। প্রতিবছর বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন। এই কথাগুলো এই জন্য বললাম বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভারতের নাগরিক হতে মনস্থির করছে। কেউ বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। শুধু হিন্দুরা নয় মুসলিমরাও বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। ৯৩% মুসলিম দেশে তারা নিজেরাও আসতে রাজি হচ্ছে না। গত নির্বাচনের আগে মোদীর একটা কথা বারবার বলছিল; ভারতে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে অনুপ্রবেশকারীদের নয়। এখানে মোদির দল অনুপ্রবেশকারী বলতে বাংলাদেশের মুসলিমদের বোঝালেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮% মতন ভিন্ন ধর্মালম্বী আছে। চার দিকে যেভাবে ভিন্নধর্মালম্বীদের জায়গা দখল হচ্ছে তাতে দশ বছরের মধ্যে ১০০ মুসলিম দেশে আমরা পরিণত করতে পারব বলে আশা রাখি। তবে মজার বিষয় এখানেই যে, এই দেশ থেকে শুধু ভিন্নধর্মালম্বীরা না মুসলিমরাও চলে যায় আর অনেকে সুযোগ পেলেও আসে না।
সূত্র
Wednesday, July 08, 2015
কেন বলি বাংলাদেশে হিন্দুদের আর স্থাণ নেই...
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সিরিজে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কিছু ব্যাটসম্যান (সৌম্য সরকার, লিটন দাস) যখন ভারতের বোলারদের তুলোধনা করছিলো চার-ছয় মেরে, তখন বাংলাদেশেরই কিছু সমর্থক এমনতর মন্তব্য করছিলো...
কেন যে বলি বাংলাদেশে আর হিন্দুদের জায়গা নেই, এবার বুঝছেন তো পাঠক? যেখানে VIP হিন্দু star-দেরই এমনতর অবস্থার শিকার হতে হয়, তখন সাধারণ জনগণের কথা নাহয় নাইবা বললাম।
[সংগৃহীত]
কেন যে বলি বাংলাদেশে আর হিন্দুদের জায়গা নেই, এবার বুঝছেন তো পাঠক? যেখানে VIP হিন্দু star-দেরই এমনতর অবস্থার শিকার হতে হয়, তখন সাধারণ জনগণের কথা নাহয় নাইবা বললাম।
[সংগৃহীত]
Sunday, July 05, 2015
কোথায় এগোচ্ছে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম?
সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ৩-ম্যাচের ODI ক্রিকেট সিরিজের টানা দুই ম্যাচে ভারতের হারের পর পুরো বাংলাদেশ যেন আনন্দে ফেটে পড়ে। স্টেডিয়াম থেকে রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় যেন আনন্দের মিছিল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরই মাঝে ঘটে যায় নিকৃষ্ট একটা ঘটনা। ভারতের সুনামখ্যাত একজন দর্শক, সুধীর কুমার গৌতম, যিনি প্রায় সকল ভারতের ম্যাচেই উপস্থিত থাকেন গ্যালারীতে দল জিতুক আর হারুক শেষ পর্যন্ত, আর সেটা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা যেকোনো দেশেই হোক না কেন, ছিলেন সেদিনকার ম্যাচেও। খেলার শেষে তিনি যখন গ্যালারী থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন, তখন আনন্দরত দর্শকের মধ্য থেকে তার উদ্দেশ্যে ইট-পাথড় ছুড়ে মারা হয়। তিনি কোনো মতে যানবাহন করে তার হোটেল অবদি পৌঁছান। কিন্তু সেসব অতর্কিত ইট-পাথড়ে তিনি খানিকটা আহত হন।
এ তো গেলো ঘটে যাওয়া ঘটনা। এরপরে বাংলাদেশের মিডিয়া এই খবরকে নিয়ে নানা মারপ্যাচ লাগাতে থাকে। ভারতীয় মিডিয়া যখন এই খবরকে ফলাও ভাবে প্রচার করছে, তখন বাংলাদেশের গণমাধ্যম কোনো না কোনো ভাবে চেষ্টা করছিলো কিভাবে ঘটনাটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ফলাও করা যায় সে নিয়ে ব্যস্ত। প্রসঙ্গত, নিচের ভিডিওটি দেখলেই এটি আরো পরিস্কার হবে। বাংলাদেশী সাংবাদিক কথা বলার সুযোগই দিচ্ছেন না সুধীর গৌতমকে তার পুরো বক্তব্য বলার। সাংবাদিক টেনে টেনে এনে যতটুকু শোনালে এটি প্রমাণ হবে যে সুধীর বাবু আহত হননি, ততটুকুই চেষ্টা করছিলেন এই অংশটি জুড়ে। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অপমান করতে চাচ্ছি না। কিন্তু এমনতর যদি একটা প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকতার নমুনা হয়, তাহলে তো মানুষ সত্য কখনোই জানবে না। যেমনভাবে দর্শককে গেলাবে, তেমনটাই দর্শক গিলবে - সে যদি কোনো খুনও হয়, তাতেও খুনীকে ভূয়সী প্রশংসার পাত্র বানাতে কোনো অসুবিধাই হবে না এমন সাংবাদিকদের।
পরিশেষে এটুকুই বলবো, বাংলাদেশে দিন বদলের পালা চলছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার কাজ চলছে। উন্নতির শিখায় উঠতে উঠতে নিজের আগের অবস্থাকে ভুলে গেলে ভবিষ্যত খুব সুখকর হবে না। যতই বড় হোক না কেন দেশ, যতই উন্নত হোক না কেন ক্রিকেট, যতই আধুনিক হোক না কেন মানুষ - নিজের পেছন ইতিহাস ভুলে গেলে ক্রিকেটার নাসিরের ফেইসবুক নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, রমনায় বর্ষবরণে নারীদের প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানির যে ঘটনা ঘটেছে - এমন ঘটনা আরো বাড়বে। আগের কিছু লেখায় দিয়েছিলাম যে, যারা বুঝতে পারছে তারা নিজেদের মেয়েদের এমন দেশে বড় করতে সাহস পাবে না, কিংবা আগেই এমন ভবিষ্যতবাণী দিয়ে ফেলতে পারে যে ক্রিকেট ক্রেইজ থেকে নানা নোংরামীর সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রবণতা যদি আরো বেশী চলতে থাকে তাহলে ভারতে কেন, বাংলাদেশেও কোনো প্রবাসীনী, বিদেশীনীরা পা ফেলতে এগোবে না। ধর্ষণ-শ্লীলতাহানি, নোংরা মন্তব্য, আবেগপ্রবল আঘাত - এসব যদি সামনের নব্য প্রজন্মকে বর্ণনা করে, তাহলে এমন ডিজিটালের চেয়ে সেই আগেকার গ্রাম্য থাকাই মন্দ না। যেই বাংলাদেশ, বাঙালীরা আতিথেয়তার জন্য অন্যান্য সমাজের কাছে প্রসিদ্ধ, তাদের যদি এমন ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়, তাহলে নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতেও দু'বার চিন্তা করে নেব।
এ তো গেলো ঘটে যাওয়া ঘটনা। এরপরে বাংলাদেশের মিডিয়া এই খবরকে নিয়ে নানা মারপ্যাচ লাগাতে থাকে। ভারতীয় মিডিয়া যখন এই খবরকে ফলাও ভাবে প্রচার করছে, তখন বাংলাদেশের গণমাধ্যম কোনো না কোনো ভাবে চেষ্টা করছিলো কিভাবে ঘটনাটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ফলাও করা যায় সে নিয়ে ব্যস্ত। প্রসঙ্গত, নিচের ভিডিওটি দেখলেই এটি আরো পরিস্কার হবে। বাংলাদেশী সাংবাদিক কথা বলার সুযোগই দিচ্ছেন না সুধীর গৌতমকে তার পুরো বক্তব্য বলার। সাংবাদিক টেনে টেনে এনে যতটুকু শোনালে এটি প্রমাণ হবে যে সুধীর বাবু আহত হননি, ততটুকুই চেষ্টা করছিলেন এই অংশটি জুড়ে। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অপমান করতে চাচ্ছি না। কিন্তু এমনতর যদি একটা প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকতার নমুনা হয়, তাহলে তো মানুষ সত্য কখনোই জানবে না। যেমনভাবে দর্শককে গেলাবে, তেমনটাই দর্শক গিলবে - সে যদি কোনো খুনও হয়, তাতেও খুনীকে ভূয়সী প্রশংসার পাত্র বানাতে কোনো অসুবিধাই হবে না এমন সাংবাদিকদের।
পরিশেষে এটুকুই বলবো, বাংলাদেশে দিন বদলের পালা চলছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার কাজ চলছে। উন্নতির শিখায় উঠতে উঠতে নিজের আগের অবস্থাকে ভুলে গেলে ভবিষ্যত খুব সুখকর হবে না। যতই বড় হোক না কেন দেশ, যতই উন্নত হোক না কেন ক্রিকেট, যতই আধুনিক হোক না কেন মানুষ - নিজের পেছন ইতিহাস ভুলে গেলে ক্রিকেটার নাসিরের ফেইসবুক নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, রমনায় বর্ষবরণে নারীদের প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানির যে ঘটনা ঘটেছে - এমন ঘটনা আরো বাড়বে। আগের কিছু লেখায় দিয়েছিলাম যে, যারা বুঝতে পারছে তারা নিজেদের মেয়েদের এমন দেশে বড় করতে সাহস পাবে না, কিংবা আগেই এমন ভবিষ্যতবাণী দিয়ে ফেলতে পারে যে ক্রিকেট ক্রেইজ থেকে নানা নোংরামীর সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রবণতা যদি আরো বেশী চলতে থাকে তাহলে ভারতে কেন, বাংলাদেশেও কোনো প্রবাসীনী, বিদেশীনীরা পা ফেলতে এগোবে না। ধর্ষণ-শ্লীলতাহানি, নোংরা মন্তব্য, আবেগপ্রবল আঘাত - এসব যদি সামনের নব্য প্রজন্মকে বর্ণনা করে, তাহলে এমন ডিজিটালের চেয়ে সেই আগেকার গ্রাম্য থাকাই মন্দ না। যেই বাংলাদেশ, বাঙালীরা আতিথেয়তার জন্য অন্যান্য সমাজের কাছে প্রসিদ্ধ, তাদের যদি এমন ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়, তাহলে নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতেও দু'বার চিন্তা করে নেব।
Thursday, July 02, 2015
বাংলাদেশ কোন দিকে এগোচ্ছে?
অনেকেই আগে ধারণা করেছিলেন বাংলাদেশের এমন নিচু সামাজিক বিকৃতির বিষয়ে। প্রশ্ন হলো সমাজ হিসেবে কি কিছু করা হয়েছে এ নিয়ে?
Source
ফেসবুকে ইদানিং দেখি আমরা "বাংলাদেশ লাভার" প্রজন্ম তৈরি করতে গিয়ে আসলে "অন্য দেশের হেটার" প্রজন্ম তৈরি করছি! squint emoticon
কিছুদিন আগে দেখলাম এক ছেলে অতি আবেগী হয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে,
"ভারতের আছে লতা মুঙ্গেশকর আমাদের আছে সাবিনা ইয়াসমিন, (মানতে কষ্ট হলেও মানলাম)
ভারতের আছে টেন্ডুলকার আমাদের আছে সাকিব (মনে হলো ঠিক আছে, চলে) তারপর যেটা লিখলো সেটা দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম,
ভারতের আছে এ আর রহমান আমাদের আছে তাহসান! unsure emoticon (তাহসান নিজে শুনলেও ভয়ানক লজ্জা পাবে। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হলেও মানতাম।)
আমরা সব জায়গায় যেকোন মূল্যে বিদেশিদের গালি দিতে খুব পছন্দ করি। কিছু একটা হলে এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র, এটা ভারতীয় ষড়যন্ত্র ইত্যাদি। আরেকটা হেটার প্রজন্ম তৈরি করছে ক্রিকেট, মুভি ইত্যাদি রিলেটেড গ্রুপগুলো। অন্য দেশের খেলোয়ারদের নাম বিকৃত করে, গালি দিয়ে যে যেভাবে পারে অসম্মান প্রদর্শনের চূড়ান্ত প্রকাশ তারা দেখিয়ে যায়। তাদের কাছে কোহলির নাম হয় "কুলি" squint emoticon , ব্রেন্ডন টেইলর হচ্ছে "দর্জি", আফ্রিদি হচ্ছে "ডাকরিদি" ইত্যাদি। এমন ঘৃণা চর্চার কারণে যে বাজে ব্যাপারটা ঘটে তা হলো সব জায়গায় তারা হেট প্রথা চালাতে থাকে। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সাপোর্টাররা নিজেরা মারামারি করে একেবারে খুন করে ফেলে! তারা মার্ক জাকারবার্গের ছবিতে গিয়ে কেলেংকারী ঘটিয়ে আসে। জিম্বাবুয়ের অফিশিয়াল ক্রিকেট পেজে গিয়ে এমন গালিগালাজ করে আসে যে তারা অফিশিয়াল নোটিশ দিতে বাধ্য হয়। সাকিবকে না নেয়ার কারণে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স পেজে অস্ট্রেলীয়রা আমাদের গালি দেখে নিজেরাই লজ্জা পেয়েছে। তারাই সাকিব-মুশফিকের বউ নিয়ে হেট মার্কা কমেন্ট করতে থাকে। এগুলো হলো নেগেটিভ এফেক্ট। হেটার্স প্রজন্ম তৈরি করার নেগেটিভ এফেক্টগুলো এরা বুঝে না।
"হেটার্স প্রজন্ম" তৈরি করে লাভটা কি আমি জানিনা; তবে ক্ষতি অনেক অনেক অনেক বেশি। অলরেডি আন্তর্জাতিক কিছু ফেসবুক পেজে বিশ্বের মানুষ এটা জেনেছে যে, বাংলাদেশিরা কোন কারণ ছাড়াই খুব গালি দিতে পারে। আমরা "লাভার্স প্রজন্ম" তৈরি করি। সেজন্যে অন্যকে গালি দেবার দরকার নেই। নিজের দেশের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করতে হলে অন্যকে ঘৃণা করতে হবে এই থিওরী খুবই ক্ষতিকারক। চর্চা এক জায়গায় শুরু হলে অবচেতন মনেই সব জায়গাতে তার প্রভাব পড়ে। ফেসবুক সেলিব্রিটিদের কোন মতের বিরোধীতা করলে তারা ব্লক করে দেয়। আস্তে আস্তে ব্যাপারটা ক্ষুদ্র গন্ডিতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন নিজের বন্ধুদের বাইরে কেউ ভিন্নমত দিলে তাকে গালি দেয়া হয়। সময় থাকতে সবার সতর্ক হওয়াটা খুব জরুরি।
বটমলাইন হচ্ছে, আমাদের সবার কাছেই নিজের দেশ সবার আগে। যেকোন জায়গায় নিজেদের দেশকে বেশি ভালোবাসবো, সমর্থন করব। কিন্তু তার জন্য অন্যকে ঘৃণা করব না, তাদেরও সম্মান করব।
- শেখ মিনহাজ হোসেন
Source
Tuesday, June 30, 2015
দুঃখিত নাসির ... ক্ষমা করে দিও
সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেন তার বোনকে নিয়ে একটা ছবি তার ফেইসবুকে দেয়ার পরপরই যেভাবে নোংরা মন্তব্য উঠে আসতে থাকে তার ভক্ত(!)দের কাছ থেকে তার পরিপ্রেক্ষিতে উপরের সোলায়মান সুখন ভাইয়ের ভিডিও যথেষ্ট। ক্ষমা করে দিও নাসির, ক্ষমা করে দিও আপু (নাসিরের বোন)। বাংলাদেশে কোনো মেয়েই নিরাপদ নয় আর, সে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হোক, আদিবাসী সমাজের হোক, সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠদের হোক, কিংবা কোনো VIP ব্যক্তির মা-বোন-স্ত্রী বা মেয়েই হোক।
Source
Saturday, June 13, 2015
Friday, June 12, 2015
খালেদা বনাম মোদী
কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে ভ্রমণে এসে বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়াকে এই প্রশ্নগুলো করেন -
- ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে যেদিন পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাতের কর্মসূচি ছিলো সেদিন কারা ঢাকায় হরতাল ডেকেছিলো।
- ২০০৪ সালে চীন থেকে আসা দশ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধভাবে খালাস করে ভারতীয় সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে আয়োজন করা হয়েছিলো সেটা ঘটেছিলো আপনার প্রধানমন্ত্রীত্বের আমলে। আর সেই গোপন আমদানির সঙ্গে আপনার ক্যাবিনেটের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র ও শিল্পমন্ত্রী জড়িত ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আপনি এবং আপনার দল ওই ঘটনার তদন্তে খুব একটা সাহায্য করেননি।
- বর্ধমানের বিস্ফোরণকাণ্ডে তার দলের ও জোটসঙ্গী জামায়াত নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ তদন্তে উঠে আসছে। বিএনপি ও তার জোটসঙ্গীদের ওইসব দোষীদের আড়াল না করে তদন্তে সহায়তা করা তার (বেগম খালেদা জিয়ার) নৈতিক দায়িত্ব।
Wednesday, June 10, 2015
ফেইসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার রোহিঙ্গ্যাদের ব্যবহার করে
Labels:
Bangladesh,
Buddhist,
facebook,
Muslim,
pagoda
Wednesday, April 15, 2015
পহেলা বৈশাখ প্রসঙ্গ
সেদিন এক ভাইয়ের শেয়ার করা লিংক থেকে পড়ে বিস্তারিত জানলাম আজকের পহেলা বৈশাখের অসংগতির বিষয়ে। মুঘল সম্রাট আকবর কর আদায় করার সুবিধার্থে হিন্দু প্রজাগণের সাথে তাল মিলিয়ে পন্ডিতের পরামর্শে ইসলামিক পঞ্জিকার সাথে মিলিয়ে হিন্দু পঞ্জিকা একত্র করেই বর্তমান বাংলা পঞ্জিকার এখনকার রূপ দেন। মজার বিষয় হলো এটি যদিও আকবর সেসময় চেয়েছিলেন হিন্দু-মুসলিম সকল বাঙালীই পালন করবে, কিন্তু পরবর্তীকালে, বিশেষকরে বর্তমান সময়ে হিন্দুদেরই প্রধান পঞ্জিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পূজা-পার্বণ থেকে শুরু করে বিয়ে-অন্নপ্রাশন, সৎকারাদি সকল কিছুতেই হিন্দু সমাজ আজকের ১৪২২ সনেও বাংলা পঞ্জিকাই ব্যবহার করে। কিন্তু বাঙালী মুসলিমরা তাদের ঈদ, শব-এ-বরাত ইত্যাদি অনুষ্ঠানাদি ঠিক আরবি পঞ্জিকা অনুসারেই করে। এ থেকে কি বোঝা যায় না আকবর নিজে যদিও চেয়েছিলেন বাঙালী হিন্দু-মুসলিমরা একত্রে বাস করুক, একই ধরণের ক্রমানুসারে, কিন্তু আজকালকার মুসলিমরা (বিশেষকরে বাংলাদেশের একসংখ্যক মুসলিমরা) তা একেবারেই চায় না। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছেলে-মেয়ে, পুরুষ-নারীরা যেসব পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার, আচার-আচরণ পালন করে তা কিছু মুসলিমের কাছে একদমই গুণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং ক্রমাগত এদের সংখ্যা বাড়ছেই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। দেখার বিষয় কতদিন এই নিয়ম-নিষ্ঠা বাংলাদেশের বাঙালীরা পালন করে?
আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম, হায় রে......
গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম......
Saturday, February 21, 2015
Sunday, November 30, 2014
Thursday, November 20, 2014
মনে কি পড়ে?
This picture is from "90s. It never gets old in Bangladesh! If you are a human, please say something!
পঞ্চাশের দশকে "কাফেরদের হত্যা কর" কোরান খতম দিয়ে নোয়াখালীতে লক্ষ লক্ষ হিন্দু হত্যা করা হয়েছিল ! নব্বই এর দশকে ঠিক একই ভাবে "কাফেরদের হত্যা কর" কোরান খতম দিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়েই প্রথম দেখা হিন্দু বিমল দাসকে হত্যা করে মোল্লারা ! হাতজোড় করেও ক্ষমা পায়নি বিমল দাস ! খুনির চরিত্র কখনো বদলায় না ! এই ছবিটা দেখে মুসলিম জিহাদী নামক সন্ত্রাসীদের মায়া কান্না হয়না ! কিন্তু ফিলিস্তিনের জিহাদী সন্ত্রাসীদের দেখে তাদের মায়াকান্নার গঙ্গা বয়ে যায় !
(সূত্র)
Tuesday, November 18, 2014
ভন্ডামীর শেষ কোথায়?
ছাগুসম্রাট দস্তার রাজদরবার লিখেছে,
//হিন্দুরা প্রায়ই ফাপড় নেয় যে, ফেসবুক
হলো গিয়ে এক ইহুদির তৈরী,
সুতরাং মুসলমানরা তা ব্যবহার
করতে পারে না।
কিন্তু কোন মুসলমান
হিন্দুদেরকে পাল্টা বলে না যে,
তোরা যেই দুর্গাপূজা,
সরস্বতী পূজা আর শিবের
**পূজা করিস, তা করিস বাদশাহ
আকবরের সভাসদ ফতেহউল্লাহ
সিরাজীর বানানো ক্যালেন্ডার
অনুসরণ করে । এখন মুসলমান
হলে যদি ইহুদিদের বানানো ফেসবুক
ব্যবহার করা ঠিক না হয়,
সেক্ষেত্রে তোরা মুসলমানদের
আবিষ্কৃত ক্যালেন্ডার ব্যবহার
করে করা তোদের সমস্ত পূজাটুজা বাদ
দিয়ে দে।//
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=794024160642981&id=100001062146408&refid=17&_ft_
এটা কি কোনো যুক্তির পর্যায়ে পড়ে? এদের কেন ছাগু উপাধী দেওয়া হয়েছে বোঝা যাচ্ছে!
মুসলিমরা নিজেরায় বলছে ইহুদি পণ্য বর্জন কর বর্জন কর আবার সত্যিকারের ইহুদি পণ্য বর্জন করতে গেলে ওরা পিলে চমকে যাচ্ছে! কারণ বাস্তবে ওরা জানে যে বিশ্বে একমাত্র সন্ত্রাসবাদ ছাড়া এই দেড়শো কোটি মুসলমানের আর কোনো ক্ষেত্রেই নূন্যতম অবদান নেই। তবুও ওরা নিজেদের ধর্মগ্রন্থের হিংসাত্বক বাণীগুলো পালন করার প্রয়াস করে যাচ্ছে।
কোরানের ৫/৫১ আয়াতে বলা হয়েছে, "হে ঈমানদার বান্দারা! তোমরা মুসলমান ব্যতীত ইহুদী-খ্রীষ্টানদের তোমাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।মনে রেখ তারা একে অপরের বন্ধু।
আর তোমরা কাফিরদের সন্মান করো না তবে আল্লাহকে অসন্মান করা হবে।তোমরা কাফিরদের কোনোকিছু গ্রহণ করো না তবে তোমরা কাফিরদের দলভুক্ত হবে।মনে রেখ আল্লাহ সর্বশক্তিমান।"
দেখুন কতোটা জঘন্য ও হিংসাত্বক এই কোরানের বাণী! আল্লাহ বলছেন কাফির অর্থাৎ অমুসলিমদের কোনো কিছুই যেন মুসলিমরা গ্রহণ না করে।একজন অমুসলিম যতোই সৎ হোক না কেন তবুও তাকে সন্মান জানাতে কঠোর হুশিয়ারী করেছে তথাকথিত সর্বশক্তিমান আল্লাহ! আল্লাহ নিজেই মুসলমানদের সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তবে মুসলমানরা এখন কাফিরদের সাহায্য কামনা করে কেন?
যায় হোক এবারে মূল কথায় আসা যাক! ছাগুদরবারের ছাগুমার্কা যুক্তি হল একজন মুসলমান বাংলা ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছে তাই হিন্দু পূজা করতে পারবে না!!!!
এখানে বলে রাখি হিন্দুশাস্ত্রে কোথাও কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ রাখতে বলা হয়নি। হিন্দুশাস্ত্রের কোথাও বলা হয়নি যে নিজ গোষ্ঠীভুক্তদের ব্যতীত বাকিদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবে না বা তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা যাবে না!
এখন বাংলা ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস থেকে ঘুরে আসা যাক!
বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গৌড়সম্রাট শশাঙ্কের আমলে।তার রাজত্বকালের হিসাবেই বাংলা সন গণনা হয়ে থাকে।তার রাজত্বকালের হিসাবেই এখন ১৪২১ বঙ্গাব্দ চলছে।
তবে দস্যু আকবর কি করেছিলেন?
মহান (!) শাসক হিসাবে খ্যাত আকবর বাংলা সন কে হিজরি সনের সাথে মেলাতে চেয়েছিলেন।তাই তিনি ইরানী ফতুল্লা সিরাজীকে দিয়ে বাংলা সনের হিসাব পরিবর্তন করেন। শুধু তাই নয়, এই মহান সম্রাট (!) বাংলা ১২ মাসের নামগুলি পর্যন্ত পরিবর্তন করে পারসি ভাষায় নাম রাখেন। কারণ বাংলা মাসের নামগুলি হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী ছিল।যদিও আকবরের এই ঘৃণ পরিবর্তন কেউ মেনে নেয়নি তাই আজও রাজা শশাঙ্কের প্রদত্ত বর্ষপঞ্জিই স্বীকৃত রয়েছে।এছাড়া বাংলা সনের সাত দিনের নামও হিন্দু দেবতাদের নামেই রয়েছে। যেমনঃ শনিদেবের নামানুসারে শনিবার, সূর্যদেবের নামানুসারে রবিবার ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে আকবর কুচক্রী কর্মকান্ড একেবারেই বিফল হয়েছে। বাংলা ক্যালেন্ডারের আবিষ্কারক কখনোই কোনো মুসলমান নয় তাই পূজা বন্ধের প্রশ্নই আসে না। বরং কুরান মতে তোদেরই উচিত বাংলা ত্যাগ করা!
(সূত্র)
//হিন্দুরা প্রায়ই ফাপড় নেয় যে, ফেসবুক
হলো গিয়ে এক ইহুদির তৈরী,
সুতরাং মুসলমানরা তা ব্যবহার
করতে পারে না।
কিন্তু কোন মুসলমান
হিন্দুদেরকে পাল্টা বলে না যে,
তোরা যেই দুর্গাপূজা,
সরস্বতী পূজা আর শিবের
**পূজা করিস, তা করিস বাদশাহ
আকবরের সভাসদ ফতেহউল্লাহ
সিরাজীর বানানো ক্যালেন্ডার
অনুসরণ করে । এখন মুসলমান
হলে যদি ইহুদিদের বানানো ফেসবুক
ব্যবহার করা ঠিক না হয়,
সেক্ষেত্রে তোরা মুসলমানদের
আবিষ্কৃত ক্যালেন্ডার ব্যবহার
করে করা তোদের সমস্ত পূজাটুজা বাদ
দিয়ে দে।//
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=794024160642981&id=100001062146408&refid=17&_ft_
এটা কি কোনো যুক্তির পর্যায়ে পড়ে? এদের কেন ছাগু উপাধী দেওয়া হয়েছে বোঝা যাচ্ছে!
মুসলিমরা নিজেরায় বলছে ইহুদি পণ্য বর্জন কর বর্জন কর আবার সত্যিকারের ইহুদি পণ্য বর্জন করতে গেলে ওরা পিলে চমকে যাচ্ছে! কারণ বাস্তবে ওরা জানে যে বিশ্বে একমাত্র সন্ত্রাসবাদ ছাড়া এই দেড়শো কোটি মুসলমানের আর কোনো ক্ষেত্রেই নূন্যতম অবদান নেই। তবুও ওরা নিজেদের ধর্মগ্রন্থের হিংসাত্বক বাণীগুলো পালন করার প্রয়াস করে যাচ্ছে।
কোরানের ৫/৫১ আয়াতে বলা হয়েছে, "হে ঈমানদার বান্দারা! তোমরা মুসলমান ব্যতীত ইহুদী-খ্রীষ্টানদের তোমাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।মনে রেখ তারা একে অপরের বন্ধু।
আর তোমরা কাফিরদের সন্মান করো না তবে আল্লাহকে অসন্মান করা হবে।তোমরা কাফিরদের কোনোকিছু গ্রহণ করো না তবে তোমরা কাফিরদের দলভুক্ত হবে।মনে রেখ আল্লাহ সর্বশক্তিমান।"
দেখুন কতোটা জঘন্য ও হিংসাত্বক এই কোরানের বাণী! আল্লাহ বলছেন কাফির অর্থাৎ অমুসলিমদের কোনো কিছুই যেন মুসলিমরা গ্রহণ না করে।একজন অমুসলিম যতোই সৎ হোক না কেন তবুও তাকে সন্মান জানাতে কঠোর হুশিয়ারী করেছে তথাকথিত সর্বশক্তিমান আল্লাহ! আল্লাহ নিজেই মুসলমানদের সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তবে মুসলমানরা এখন কাফিরদের সাহায্য কামনা করে কেন?
যায় হোক এবারে মূল কথায় আসা যাক! ছাগুদরবারের ছাগুমার্কা যুক্তি হল একজন মুসলমান বাংলা ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছে তাই হিন্দু পূজা করতে পারবে না!!!!
এখানে বলে রাখি হিন্দুশাস্ত্রে কোথাও কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ রাখতে বলা হয়নি। হিন্দুশাস্ত্রের কোথাও বলা হয়নি যে নিজ গোষ্ঠীভুক্তদের ব্যতীত বাকিদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবে না বা তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা যাবে না!
এখন বাংলা ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস থেকে ঘুরে আসা যাক!
বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গৌড়সম্রাট শশাঙ্কের আমলে।তার রাজত্বকালের হিসাবেই বাংলা সন গণনা হয়ে থাকে।তার রাজত্বকালের হিসাবেই এখন ১৪২১ বঙ্গাব্দ চলছে।
তবে দস্যু আকবর কি করেছিলেন?
মহান (!) শাসক হিসাবে খ্যাত আকবর বাংলা সন কে হিজরি সনের সাথে মেলাতে চেয়েছিলেন।তাই তিনি ইরানী ফতুল্লা সিরাজীকে দিয়ে বাংলা সনের হিসাব পরিবর্তন করেন। শুধু তাই নয়, এই মহান সম্রাট (!) বাংলা ১২ মাসের নামগুলি পর্যন্ত পরিবর্তন করে পারসি ভাষায় নাম রাখেন। কারণ বাংলা মাসের নামগুলি হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী ছিল।যদিও আকবরের এই ঘৃণ পরিবর্তন কেউ মেনে নেয়নি তাই আজও রাজা শশাঙ্কের প্রদত্ত বর্ষপঞ্জিই স্বীকৃত রয়েছে।এছাড়া বাংলা সনের সাত দিনের নামও হিন্দু দেবতাদের নামেই রয়েছে। যেমনঃ শনিদেবের নামানুসারে শনিবার, সূর্যদেবের নামানুসারে রবিবার ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে আকবর কুচক্রী কর্মকান্ড একেবারেই বিফল হয়েছে। বাংলা ক্যালেন্ডারের আবিষ্কারক কখনোই কোনো মুসলমান নয় তাই পূজা বন্ধের প্রশ্নই আসে না। বরং কুরান মতে তোদেরই উচিত বাংলা ত্যাগ করা!
(সূত্র)
Subscribe to:
Posts (Atom)