ঘটনা আমি টের পেয়েছিলাম কনফেডারেশন কাপের সময়েই। আমরা ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের
ছবি আপ করছি, ব্রাজিলের বিজয় কামনা করছি। ব্রাজিল থেকে আমার বন্ধু
ক্যামেলো Antonio Camelo বলছে, কী তোমরা ফুটবল ফুটবল করছ, আমরা তো সবাই
ব্যস্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে। ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা
ব্রাজিল এখন বিক্ষোভ করছে।
দুদিন বাদে বিশ্বকাপ, ব্রাজিলে এখনও ধর্মঘট চলছে। মেট্রো রেলের কর্মচারীরা ধর্মঘট করছে। এমন কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিও ধর্মঘট করেছে। বিক্ষোভ করেছেন আদিবাসীরা। যার যা দাবি আছে তা পূরণ করে নেওয়ার এটাই সবচেয়ে মোক্ষম সময়।
ব্রাজিলে পৌঁছানো বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা অবাক। কোথাও ফুটবলের চিহ্নমাত্র নেই।
এখানেই বাংলাদেশ জিতে গেছে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। একেবারে ৫-০ বিজয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় দেখি, কারওয়ানবাজারের পিঠার দোকান, চায়ের দোকানগুলো নেই। একজন দোকানিকে পেলাম, বললাম, আপনার দোকান কই? বললেন, বিশ্বকাপের সময়টা ফুটপাত পরিষ্কার করতে বলেছে, আমরা করেছি। তার মনে বিন্দুমাত্র ক্ষোভ নেই। এইটা নিয়ে গল্প লিখেছিলাম জামাল ও তার পিঠাবিক্রেতা মায়ের কিরকেট। জামালদের পিঠার দোকান বন্ধ, ওরা গ্রামে ফিরে গেছে, মাকে বলছে জামাল, মা তোমার সবুজ শাড়িটা দাও, খলিফা চাচা লাল কাপড় দিয়েছেন, সবুজ শাড়িটার একটা হাত পেলেই আমার লাল সবুজ পতাকা হবে মা। সাকিব আগামীকাল ভালো খেলবে মা।
স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ সত্যিই দুবারই খুব ভালো করেছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ক্রিকইনফো লিখেছিল, বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে তার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় তখন মানুষ। কোনো কারণ নেই, ঢাকাবাসী স্টেডিয়ামের সামনে রাতের বেলা দাঁড়িয়েছিল, তারা বিশ্বকাপের আলোকসজ্জা দেখছে। সর্বত্র ক্রিকেট আর ক্রিকেট। বাংলাদেশ যখন ইংল্যান্ডকে হারাল, পুরো দেশ মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিল। টিটুয়েন্টিতে ২য় পর্বে আমরা একটা ম্যাচেও জিতিনি বটে, কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে আমাদের উৎসাহ আর আনন্দের সীমা ছিল না। সিলেটে মেয়েদের বিশ্বকাপেও গ্যালারি ভর্তি থাকত।
বাংলাদেশের মানুষ আসলেও মেজবান হিসেবে খুবই ভালো, তাদের আন্তরিকতার কোনো তুলনা হয় না। বিদেশিরা নাক-মুখ কুচকে এদেশে আসে, যাবার সময় চোখ মুছতে মুছতে যায়, যদি জিগ্যেস করা হয়, এই দেশের কী তোমাদের সবচেয়ে ভালো লেগেছিল, তারা বলে, এই দেশের সবচেয়ে ভালো হলো মানুষ। মানুষের আন্তরিকতা!
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
(লেখক - আনিসুল হক)
দুদিন বাদে বিশ্বকাপ, ব্রাজিলে এখনও ধর্মঘট চলছে। মেট্রো রেলের কর্মচারীরা ধর্মঘট করছে। এমন কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিও ধর্মঘট করেছে। বিক্ষোভ করেছেন আদিবাসীরা। যার যা দাবি আছে তা পূরণ করে নেওয়ার এটাই সবচেয়ে মোক্ষম সময়।
ব্রাজিলে পৌঁছানো বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা অবাক। কোথাও ফুটবলের চিহ্নমাত্র নেই।
এখানেই বাংলাদেশ জিতে গেছে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। একেবারে ৫-০ বিজয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় দেখি, কারওয়ানবাজারের পিঠার দোকান, চায়ের দোকানগুলো নেই। একজন দোকানিকে পেলাম, বললাম, আপনার দোকান কই? বললেন, বিশ্বকাপের সময়টা ফুটপাত পরিষ্কার করতে বলেছে, আমরা করেছি। তার মনে বিন্দুমাত্র ক্ষোভ নেই। এইটা নিয়ে গল্প লিখেছিলাম জামাল ও তার পিঠাবিক্রেতা মায়ের কিরকেট। জামালদের পিঠার দোকান বন্ধ, ওরা গ্রামে ফিরে গেছে, মাকে বলছে জামাল, মা তোমার সবুজ শাড়িটা দাও, খলিফা চাচা লাল কাপড় দিয়েছেন, সবুজ শাড়িটার একটা হাত পেলেই আমার লাল সবুজ পতাকা হবে মা। সাকিব আগামীকাল ভালো খেলবে মা।
স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ সত্যিই দুবারই খুব ভালো করেছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ক্রিকইনফো লিখেছিল, বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে তার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় তখন মানুষ। কোনো কারণ নেই, ঢাকাবাসী স্টেডিয়ামের সামনে রাতের বেলা দাঁড়িয়েছিল, তারা বিশ্বকাপের আলোকসজ্জা দেখছে। সর্বত্র ক্রিকেট আর ক্রিকেট। বাংলাদেশ যখন ইংল্যান্ডকে হারাল, পুরো দেশ মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিল। টিটুয়েন্টিতে ২য় পর্বে আমরা একটা ম্যাচেও জিতিনি বটে, কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে আমাদের উৎসাহ আর আনন্দের সীমা ছিল না। সিলেটে মেয়েদের বিশ্বকাপেও গ্যালারি ভর্তি থাকত।
বাংলাদেশের মানুষ আসলেও মেজবান হিসেবে খুবই ভালো, তাদের আন্তরিকতার কোনো তুলনা হয় না। বিদেশিরা নাক-মুখ কুচকে এদেশে আসে, যাবার সময় চোখ মুছতে মুছতে যায়, যদি জিগ্যেস করা হয়, এই দেশের কী তোমাদের সবচেয়ে ভালো লেগেছিল, তারা বলে, এই দেশের সবচেয়ে ভালো হলো মানুষ। মানুষের আন্তরিকতা!
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
(লেখক - আনিসুল হক)