Showing posts with label Buddhist. Show all posts
Showing posts with label Buddhist. Show all posts

Thursday, September 11, 2014

গৌতম বুদ্ধ বনাম যীশুখৃষ্ট


পাশ্চাত্যে স্বামী বিবেকানন্দকে একজন বলেছিলেন যে, তিনি তথাগত বুদ্ধের জীবনী খুব ভালবাসেন, কিন্তু বুদ্ধের মৃত্যুটি তাঁর পছন্দ নয়। খৃস্টের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, 'আমাদের যীশুর মৃত্যুটি কেমন মহিমান্বিত! কত অত্যাচার সহ্য করে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন মানুষের মুক্তির জন্যে। তুলনায় বুদ্ধের মৃত্যুটি খুব সাদামাটা, ম্যাড়ম্যাড়ে।' স্বামীজি উত্তর দিলেন, 'এখানেই তোমাদের সাথে হিন্দুদের পার্থক্য। ভারতে ধর্মক্ষেত্রে কেউ বিপরীত কিছু বললেই অমনি ঢাল তলোয়ার বেরিয়ে আসেনা। ভারতে ধর্মক্ষেত্রে পূর্ণস্বাধীনতা বর্তমান।

প্রাচীনকালে চার্বাকরা মন্দিরের দ্বারদেশে এসে সনাতন ধর্ম ও বেদের নিন্দা করেছে কিন্তু কেউ জোর করে তাদের কণ্ঠরোধ করেনি। বুদ্ধদেব বেদকে অস্বীকার করে প্রায় অর্ধেক ভারতকে নিজের ধর্মে আনতে সমর্থ হয়েছিলেন কিন্তু তাকে খৃষ্টের মতো ক্রুশবিদ্ধ হতে হয়নি। যেখানে স্বাধীনতা নেই সেখানে অগ্রগতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। ভারতে ধর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল বলেই ধর্মক্ষেত্রে ভারতের প্রভুত উন্নতি সম্ভব হয়েছে।'


(সংগৃহীত

Friday, August 08, 2014

Peaceful Hypocrisy?


প্রথমে আমি বলতে চাই আমি মানবতা বিরোধী কাজকে পছন্দ করি না হোক সে যে ধর্মের আর ইসরাইলকে প্রনাম করতে চাই কারন ৩ ইসরাইলিকে খুনের কারনে তারা হাজার ফিলিস্তানিকে খুন করে বদলা নিয়েছে । কিন্তু ইসরাইলের মোকাবেলার জন্য কোন মুসলিম দেশ এগিয়ে আসেনি এসেছে পুতিনের ধর্ম কিন্তু খ্রিস্টান। তাও আবার Orthodox Christian (গোঁড়া খ্রিস্টান)।গাজার "মুসলিমদের" বাঁচাতে আরবের কোন খোদার খাসি সহ কোন মুসলিম এগিয়ে আসেনি, এসেছে গোঁড়া খ্রিস্টান পুতিন । এখন দেখুন ইসলামী জুঙ্গিরা নাকি পুরা পৃথিবীতে মুসলিম রাজ্য প্রতিস্তাপন করবে । কিন্তু কি ভাবে তারা করেবে যারা নিজ মুসলিম উম্মাদের বাঁচাতে পারেনা কোথাই গেল পাকিস্তানী হারামির বাচ্চারা তারা নাকি ভারকে এক ঘণ্টায় শেষ করে দিতে পারবে কিন্তু কেমনে ভারত + রাশিয়া + ইসরাইল + আমেরিকা ======= তাহলে বুজেন পাকিস্তানী জারজদের কোন মার দিবে ভারত । কিন্তু আমরা হিন্দুরা বা ভারতীয়রা মানবতা বাদী , আর শান্তির বানী মেনে চলি আর সে কারনে হয়তো বার , বার ভারত মুসলিমদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । ভারতের ভিতর বসে ভারতের মুসলিমেরা বোমা বাজী করছে আর তাদেরকে সহযোগিতা সিকুলার হিন্দুরা অথচ বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি এই রকম কাজ একটা করি তাহলে আমি নিশ্চিত একজন হিন্দু বাংলাদেশে বাস করতে পারবেনা কারন কোন অন্যায় ছাড়া প্রতিদিন হিন্দুদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছি । বাংলাদেশের মোল্লারা facebook এই খালি বাল চিরে কিন্তু বাস্তবে কিছু করতে পারে না । তারা জিহাদ করে নিজ ভাইদের খুন করে , তারা জিহাদ করে নিজ মুসলিম ভাইদের রক্ত রঙ্গিত করে । আমি সে কাঠ মোল্লাদের বলতে তোরা যদি বাল চিরতে পারিস তাহলে ইসরাইলকে করে দেখ তাহলে বুজবো তোরা সত্যিকারের জিহাদি ।কিন্তু কুকুরের মত নিজ ঘরের সামনে নিজ ভাইদেরকে মেরে তোরা শান্তি ফিরে আনতে পারবিনা । কোথায় আল কায়েদা,কোথায় তালেবানকোথায় হিযবুত তাওহীর,কোথায় আনসারুল্লাহ টিম কোথায় বোকো হারাম, কোথায় জামাত,ফেহাজতী ইসলাম। কোথায় গুলাবীর তিন নাম্বার বাচ্ছারা????কেউই নাই কারণ এরা আমেরিকারই ছুপা এজেন্ট এরা জিহাদের নামে নিজ দেশের মুসলিম হত্যা করতে পারে কিন্তু ইসরাইলকে কিছু বলতে পারে না।


Sunday, July 20, 2014

শান্তির ধর্ম

সিরিয়ায় ১,৭০,০০০ জন নিহত হয়েছে গত ৩ বছরের যুদ্ধে। মুসলিমের হাতে মুসলিম মরলে কোন মুসলিম উম্মার ক্ষতি হয় না , যেমন বাঙ্গালী ৩০ লক্ষ মানুষের উপর গণহত্যা চালিয়ে ফাকিস্তান মোল্লাদের কাছে প্রিয় দেশ
আচ্ছা ইসলাম অর্থ কি?
আমি তো জানি 'শান্তি'!
এবার বল, পৃথিবীতে সবথেকে শান্তির দেশ কোনটা? অবশ্যই নরওয়ে! তাহলে ইসলামের দেশ কোনটা হবে?নরওয়েই তো হওয়ার কথা! অর্থাত্ বিশ্বে কোনো মুসলীম দেশকেই আমরা ইসলামের দেশ বলছি না !!! বিশ্বজুড়ে শান্তি !
প্রতিপক্ষ- মুসলিম বনাম নাস্তিক (বাংলাদেশ),
মুসলিম বনাম হিন্দু (কাশ্মীর),
মুসলিম বনাম ইহুদি (ফিলিস্তিন),
মুসলিম বনাম বৌদ্ধ (মায়ানমার),
মুসলিম বনাম খ্রিষ্টান (আফগানিস্তান),
মুসলিম বনাম কম্যুনিস্ট (চেচনিয়া)
স্বভোজী :-
মুসলিম বনাম মুসলিম (পাকিস্তান + মিশর + সিরিয়া), শিয়া বনাম সুন্নি (ইরাক),
মোহাম্মদিয়া বনাম আহমদিয়া (পাকিস্তান),
শরিয়ত বনাম ত্বরিকত (বাংলাদেশ), তারপরেও তুমি কীভাবে অস্বীকার করবে,ইসলামই একমাত্র শান্তির ধর্ম



(সূত্র

Sunday, May 18, 2014

!!ক্ষমা করো হজরত!! (কাজী নজরুল ইসলাম)


তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ, ক্ষমা করো হজরত্‌।
ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমার দেখানো পথ
ক্ষমা করো হজরত্‌।।

Saturday, August 10, 2013

এই না হলে বাঙালী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত


দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। সবাই রোজাদার দরিদ্র মানুষ। ধর্মপ্রাণ এই মুসলমানরা একে একে এগিয়ে আসছেন আর তাঁদের হাতে ইফতারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ এক বিরল দৃষ্টান্ত! সম্প্রীতির বন্ধনে ইফতার বণ্টনের এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা গেল গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে।

বৌদ্ধ মহাবিহারে কথা হলো বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহসভাপতি সুজিত কুমার বড়ুয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, এই বৌদ্ধ মহাবিহারে মাঝেমধ্যেই আসেন সিঙ্গাপুরের নাগরিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ী মি. ভিক্টর লি। বিহারের এতিম শিক্ষার্থী ও এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি চাল, ডালসহ নানা খাদ্যদ্রব্য দান করেন প্রায়ই। সারা দিন রোজা রেখে এলাকার গরিব মানুষগুলো ভালোভাবে ইফতার খেতে পারে না শুনে দয়ার্ত হয় ভিক্টরের মন। তাই তিনি এবার দরিদ্রদের মাঝে ইফতার বিতরণের এই ব্যবস্থা করেন। মাসব্যাপী এই বণ্টনের দায়িত্ব তো আর যাকে-তাকে দেওয়া যায় না, তাই এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন বৌদ্ধ মহাবিহারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরকে। ১ রমজান থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ জন দরিদ্রকে তিনি নিজ দায়িত্বে ইফতার বণ্টন করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহায্য করছেন বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের। অন্যদিকে শেষ রমজান পর্যন্ত ইফতার বণ্টনের এই ব্যবস্থা করে নিজ দেশে ফিরে গেছেন মি. ভিক্টর লি।

বিহার থেকে ইফতার হাতে নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন এলাকার নাইট গার্ড জামাল উদ্দিন (৭২)। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষদের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই ভালো। এ রকম তো অন্য জায়গায় দেখা যায় না। এমন ব্যবস্থা যে করেছেন আল্লাহ তাঁর ভালো করবেন অবশ্যই। আমরা খাস দিলে তার জন্য দোয়া করি।’

নিজের ছোট মেয়ে ফারজানা আক্তারকে নিয়ে ইফতার নিতে এসেছিলেন দিনমজুর মো. ফারুক হোসেন (৬১)। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষ আমরা, ভালোভাবে ইফতার কিনতে পারি না। বিহারে এ ইফতারের ব্যবস্থার ফলে আমরা ভালোভাবে ইফতার করতে পারছি। আমরা খুবই আনন্দিত। যে মানুষ এমন ব্যবস্থা করে দিয়ে গেছেন তিনি নিশ্চয়ই দয়ালু ও দানশীল। তাই তিনি যে ধর্মেরই হোক, আল্লাহ তাঁকে পছন্দ করেন। আল্লাহ তাঁকে ভালো রাখুন, আরো সম্পদ দিক, এভাবে আরো দান করার তৌফিক দান করুক।’

সবাই যাতে সুষ্ঠুভাবে ইফতার নিয়ে ফিরে যেতে পারে তার দেখভাল করছিলেন বিহারের শিক্ষার্থী দীপানন্দ ভিক্ষু। তিনি বলেন, ‘বিহারে ঢোকার সময় সবাইকে একটি করে কার্ড দেওয়া হয় এবং ইফতার দেওয়ার সময় সেই কার্ডটি নেওয়া হয়। ফলে কেউ দুবার ইফতার নিতে পারে না। তবে মূলত গরিব, দুস্থ মানুষের জন্য এই ইফতারের ব্যবস্থা করা হলেও কখনো কখনো সচ্ছল মানুষও ঢুকে পড়ে। আমরা অবশ্য তাদেরও ফিরিয়ে দিই না।’

ইফতার না পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোছা. মমতাজ বেগমসহ (৪২) আরো কয়েকজন নারী-পুরুষ। জানা গেল তাদের জন্য আলাদাভাবে তাৎক্ষণিক আরো ৫০ প্যাকেট ইফতারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে শুদ্ধানন্দ মহাথেরের নির্দেশে। তাঁরা জানান, প্রথম রমজান থেকেই তাঁরা এখান থেকে ইফতার করেন। এমন সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা অন্য কোথাও দেখা যায় না। কেউ ইফতার না নিয়ে ফিরে যায় না। কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই, মারামারি নেই। মমতাজ বেগম বলেন, ‘পুরো রমজানজুড়ে আমাদের আর ইফতার নিয়ে ভাবতে হবে না। আল্লাহ তাঁর ভালো করুক।’

প্রতিবার আস্থা হারাতে হারাতে এভাবেই আবারো মানুষের কাছে ফিরে আসি। আবারো মনে হই পুরটা হারিয়ে যায়নি। ধন্যবাদ তোমাদের, মানুষ মরেনি কথাটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

(সূত্র: কালের কন্ঠ)