Showing posts with label Pakistan. Show all posts
Showing posts with label Pakistan. Show all posts

Monday, April 11, 2016

মেয়েদের জিন্স পড়া থেকেই ভূমিকম্প

মেয়েদের জিন্সের প্যান্ট পড়ার কারণে নাকি আল্লাহর গজব পরে ভূমিকম্প হয়েছে - এমনটাই মন্তব্য পাকিস্তানী এক মওলানা ফজলুর রহমান। তার মতে পাক সরকারের উচিত মিলিটারী নিয়োগ করে মেয়েদের জিন্স পড়া রোখার কাজ কার্যকরী করা। এমনকি মুদ্রাস্ফীতির কারণও নাকি মেয়েদের জিন্স পড়ার ফলে হয়েছে। মেয়েদেরকে বস্তায় পুরে ঘরের মধ্যে রেখে দেওয়ার মাধ্যমে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা হবে আর এর ফলেই তালিবানী ভাইয়েরা আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে।

এ কোনো কৌতুক পোস্ট নয়। বাস্তবেই এমনটি ঘটেছে। নিজ দায়িত্বে পড়ে দেখবেন বিস্তারিত। কৌতুক আবিষ্কারের জন্য এখন আর বানিয়ে কিছু বলা লাগে না। খবরের পাতাতেই প্রতিনিয়ত কিছু চরিত্র বাস্তব জীবনের কিছু কৌতুক নিয়ে হাজির হয়।

Saturday, February 06, 2016

Tuesday, December 23, 2014

BEING AN INDIAN ABROAD

Last time when I reached SFO Airport, there has been a very long queue to reach the immigration counters. A security personnel was guiding the passengers to form the queue. The moment she went to other side, a man suddenly came out of the queue and ran towards the front, out of turn. I have noticed the passport in his hand - it was a Pakistani Passport.

A bearded westerner (obviously not an American as this was a queue for non-citizens) made a comment: "He must be an Indian..."

I got angry. I told him: "No, he is a Pakistani"

Thursday, September 04, 2014

History & Fraud


১৯৫১ সালের সেন্সান অনুসারে পশ্চিম বঙ্গে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল--৭৯.৪০%।
মুসলমানদের সংখ্যা ছিল--১৮.৬৩%।
২০০১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হয়েছে--৭২.৯০%।
মুসলমানদের সংখ্যা হয়েছে ২৫.৩৭%।

Saturday, August 02, 2014

আরেকটি গাজার মতো ঘটনা রুখতে আজই এগিয়ে আসুন

[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: সমালোচনা গ্রহণ করার মনোবৃত্তি নিয়ে যদি পড়ার সাহস থাকে তাহলেই শুধু পড়বেন, নতুবা উল্টা-পাল্টা গালিগালাজ করে নিজের এবং লেখকের সময় নষ্ট করবেন না]

George Orwell এর "1984" যখন ১৯৪৮ সালে লেখা হয়, তখন অনেকেই এটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলো। বলেছিলো এ সম্ভব নয়। লেখক অনেক সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু বেশীদিন লাগেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে শীতল যুদ্ধের সময়কালীন পর্যায়েই George Orwell এর কথাগুলো সত্য হতে থাকে। আর আজ ২০১৪ সালে তো এ বিষয় এমনই সত্য যে, এ ভিন্ন সমাজকে কল্পনা করাও প্রায় অসম্ভব। একেবারে যেন আমাদের আমাদের সামাজিক জীবনের অংশেই ঢুকে গেছে যে এ নিয়ে এখন আর আমাদের মাথা ব্যথাই আর নেই। যা হোক, পাঠক যদি এ বই না পড়ে থাকেন, নিজ দায়িত্বে পড়ে নেবেন আর তখনই বুঝবেন কোন ভবিষ্যতবাণীগুলো George Orwell করেছিলেন যা পরবর্তীতে সত্যরূপে ফলতে থাকে।

Friday, August 01, 2014

Where does blasphemy end in Islam?

For the last few years, we have seen how Facebook posts (whether true or not) have caused so much chaos, rage, assault in minority communities in Bangladesh. The fact that if these posts are true or not have almost never been verified by the angry Muslim mobs when attacking minority Hindu families. It even did not occur to the media that in a country where very few villagers use Facebook, how can they be so sure as to whether the alleged Hindu person(s) have really insulted Islam or its prophet. If law & order were to be held true in a democratic nation like Bangladesh, how can police be bystanders when such events take place? How can the government never be able to punish those who instigated such attacks by either framing those alleged Hindu individual(s) or making the posts by themselves & then selling it to the mass illiterate villagers as performed by a Hindu person?

Wednesday, July 16, 2014

আজ গাজায় নিহত শিশুদের নিয়ে যেসব হিন্দু স্ট্যাটাস দিচ্ছে তারা কি ভারতে হিন্দু হওয়ার অপরাধে ভারতীয় মুসলিমদের হাতে নিহত এই শিশুদের কথা জানে?


প্রথমেই আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন করি, ২০০২ সালে গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দিরের শান্তির ধর্মের অনুসারীদের হামলার কথা আপনারা কজন জানেন? মনে হয়না খুব বেশি সংখ্যক মানুষ জানেন বা মনে রেখেছেন।এই আত্মবিস্মৃত হিন্দু জাতি ২০০২ সালের কথাই মনে রাখতে পারে না তারা কি করে শত শত বছর আগে ধ্বংস করা মন্দির গুলোর কথা মনে রাখবে??? দিনটা ছিল ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০২,ভারতের গুজরাট রাজ্যের গান্ধী নগরে অবস্থিত সুবিখ্যাত এবং অনিন্দ্য সুন্দর অক্ষরধাম মন্দিরে প্রতিদিনের মত হাজার হাজার পুন্যারথি আর দর্শনার্থী হাজির হয়েছেন। তখন বেলা ৩টা।মধ্যাহ্ন ভোজনের পর আবারও ধিরে ধিরে ভিড় জমে উঠছে মন্দিরে। মুর্তজা হাফিজ ইয়াসিন আর আশরাফ আলি মুহাম্মদ ফারুক নামে দুজন শান্তির ধর্মের অনুসারী অক্ষরধাম মন্দিরের ৩ নম্বর ফটক দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করল।তাদের শরীরের কাপড়ের আড়ালে লুকান একে ৪৭ আর গ্রেনেড। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীদের কারনে তারা ঢুকতে পারল না গেট দিয়ে।এভাবে যখন আর সম্ভব হচ্ছিল না তখন মরিয়ে হয়ে দেয়াল টপকে ঢুকেই শুরু করল গুলি বর্ষণ। সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের বুক স্টলের কাছে লুটিয়ে পড়লেন একজন মহিলা দর্শনার্থী এবং একজন মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবক।এরপরই এই মুসলিম জঙ্গিদ্বয় প্রধান মন্দির কমপ্লেক্সে ঢুকতে চেষ্টা করল।কিন্তু মন্দির রক্ষিগণ আটকে দিল প্রধান ফটক।ব্যর্থ হয়ে জঙ্গিরা দৌড়ে ঢুকতে চেষ্টা করল মাল্টিমিডিয়া থিয়েটারে।কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হল। অবশেষে তারা ঢুকে পড়ল ১ নম্বর একজিবিশন রুমে।সেখানে তারা নিরবিচারে গুলি বর্ষণ করল। হতাহত হল প্রচুর।এরপর জঙ্গিরা উঠল মন্দিরের ছাদে। বিকাল ৫ টা নাগাদ সমস্ত এলাকা পুলিশ ও বিশেষ বাহিনী ঘিরে ফেলে।কিন্তু তারা জঙ্গিদের ধরতে ব্যর্থ হয়।রাত ১১ টা নাগাদ ‘ব্লাক ক্যাট’ ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোরস এসে দায়িত্ব নেয়।এরপর শুরু হয় আসল অপারেশন যার নাম দেয়া হয় ‘বজ্রশক্তি’।সকাল ৬টা নাগাদ জঙ্গিদ্বয় গুলিতে নিহত হয়।কিন্তু এর মধ্যে জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণে মারা গেছেন ৩০ জন সাধারন মানুষ আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন।জঙ্গিরা নিষ্পাপ শিশুদেরও মারতে দ্বিধা বোধ করেনি।এই অপারেশনের সময় গুরুতর আহত হন সিকিউরিটি ফোরসের সদস্য সুরজান সিং ভাণ্ডারী। প্রায় দুই বছর কোমাতে থাকার পর ২০০৪ সালে তিনি মারা যান। পরবর্তীতে গুজরাট রাজ্য সরকার, ভারত সরকার,ইন্টারপোল,সি আই এ এবং আরও কিছু দেশি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বের হয়ে আসে এই হামলা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই হামলার পরিকল্পনা করে জইশ ই মুহাম্মদ নামক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন। আশরাফ আলি আর মুর্তজা ইয়াসিনের সাথে আইয়ুব খান নামক জঙ্গি পাকিস্তানের লাহোর পিণ্ডি হতে খালী হাতে গুজরাটের আহমেদাবাদে হাজির হয়।সেখানে তাদের কে আশ্রয় দেয় সেলিম হানিফ শেখ ও আদম সুলেমান আজমেরি নামক ভারতীয় মুসলমান যারা ভারত মাতারই ক্রোড়ে লালিত হয়েছিল সারাটি জীবন। আজমেরি তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকার জায়গা করে দেয় এবং আরও কিছু ভারতীয় মুসলিম জঙ্গির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যারা পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আগেই এনে রেখেছিল। ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে আজমেরি, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম, মুহাম্মদ শেখ সহ ৬ জনকে আটক করে।সর্বশেষ ২০১০ সালে গুজরাট আদালত ৩ জনকে ফাসি এবং ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাগারে দণ্ডিত করে। এভাবেই ভারতের মাটিতে জন্ম নেয়া,ভারত মাতার ক্রোড়ে লালিত মুসলিম সন্তানদের সাহায্যে পাকিস্তানি ইসলামি জঙ্গিরা ভারতের মাটিতে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসের বিষ দাঁত বসিয়েছে ঐতিহাসিক কাল থেকে।


(সংগৃহীত

Saturday, July 05, 2014

এ কেমন শান্তির নমুনা?


পাকিস্তানে হিন্দু বাস করে মাত্র ২ শতাংশ। জরিপে দেখা গেছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার এই পাকিস্তানী হিন্দুরা। এবার সেই পাকিস্তান হিন্দুধর্মের উপর সরাসরি আঘাত করল। পাকিস্তানী একটি জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানী "OM" লেখা জুতা বাজারে ছেড়েছে। জুতা প্রস্তুতকারীদের দাবি, জুতাতে ওমঃ চিহ্ন থাকায় তাদের ব্যবসা ভাল হবে।

Saturday, June 21, 2014

অনিরুদ্ধ জ্ঞান শিখা



উপরে যার ছবিটি দেখছেন তাঁর নাম ছিল মুহাম্মদ আনোয়ার শেইখ।তিনি একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুদ ব্রিটিশ লেখক।তিনি ওয়েলসের কার্ডিফে বসবাস করতেন।
১৯২৮ সালের ১লা জানুয়ারি আনোয়ার শেইখ পাঞ্জাবের এক ধর্মপ্রাণ এবং মৌলবাদী সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময়কার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে আনোয়ার এবং তাঁর পিতা একদিনে দুই জন শিখকে হত্যা করেন।পরবর্তীতে আনোয়ার আরও একজন শিখকে হত্যা করে।তার শৈশব এবং যৌবন এভাবেই জঙ্গিবাদী মুসলিম চরিত্রই প্রকটভাবে ফুটে ওঠে তার বাবা এবং পরিবারের কারনে।
কিন্তু যখন তিনি ২৫ বছর বয়স অতিক্রম করেন এই বিদ্বেষপূর্ণ মতবাদ ইসলাম সম্পর্কে তাঁর অনাস্থা জেগে ওঠে এবং মানসিক ভাবে অশান্তিতে ভুগতে থাকেন।তাঁর পূর্বের করা অপরাধ তাঁর ভিতর তীব্র অনুশচনা সৃষ্টি করে। জিহাদের নামে এভাবে মানুষ হত্যা তাঁকে ইসলাম নিয়ে ঘৃণার অনুভুতি জাগিয়ে তোলে এবং ইসলামের অসারতা সম্পর্কে বুঝতে শুরু করেন।তিনি জীবনের উদ্দ্যেশ্য এবং সত্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরই মাঝে তিনি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। তিনি ওয়েলসের একজন মহিলাকে বিয়ে করেন এবং সেখানে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।সাথে সাথে চলতে থাকে তাঁর সৎ অনুসন্ধান।এভাবে একক প্রচেষ্টায়, নিজের ইচ্ছায় তিনি সনাতন বৈদিক ধর্ম নিয়ে পড়তে শুরু করেন।এরপর চর্চা শুরু করেন এবং সেখানেই তিনি সত্য খুজে পান। তিনি বৈদিক ধর্ম গ্রহন করেন তাঁর নতুন নাম হয় অনিরুদ্ধ জ্ঞান শিখা।
কিন্তু হিন্দু ধর্ম গ্রহণ এবং ইসলামের অসারতা নিয়ে কথা বলা ও বই লেখার কারনে তাঁর নিজ জন্মস্থান পাকিস্তানে তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয় এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া মাথায় নিয়ে ২৫ নভেম্বর, ২০০৬ সালে তিনি ওয়েলসে মৃত্যু বরন করেন।

• তাঁর বিখ্যাত বই 'The Clash of Fundamentalisms' to his views and the reaction they provoked’ যার মুখবন্ধ লেখেন আরেক পাকিস্তানি বিখ্যাত চলচিত্রকার ও লেখক তারিক আলী। তাঁর অন্যান্য বই গুলো হলঃ Vedic Civilization,Islam: The Arab National Movement,Islam: Sex and Violence,Islam and Human Rights ,This is Jihad,Islam: The Arab Imperialism ,Eternity,Faith and Deception,Taxation and Liberty

• তাঁর সম্পর্কিত উইকি লিঙ্ক
• তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও দেখুন এখানে:






(কৃতজ্ঞতা - আর্য ক্ষত্রিয়)

Saturday, May 04, 2013

Former Hindu Slave Woman Turns Politician in Pakistan

Veero Kolhi was a slave of landlords. She has broken the shackles of slavery and has stood up against them in the elections. When she made the asset declaration required of candidates for Pakistan’s May elections, she listed the following items: two beds, five mattresses, cooking pots and a bank account with life savings of Rs. 2,800 rupees ($28).

Her aim is to eradicate the bounded slavery in our society. She is contesting from PS-50, Hyderabad. Salute to this brave lady.
(Source)

Saturday, February 23, 2013

প্রকৃত নাস্তিক জামাত-শিবির নিজেরাই

ব্লগার রাজীব হায়দার মারা যাবার পর থেকে জামাত-শিবির সাধারণ মানুষের মাঝে একটা রব তুলছিলো যে, ব্লগার রাজীব একজন নাস্তিক ছিলেন। অন্যান্য সকল ব্লগারও নাকি নাস্তিকই। শাহবাগের আন্দোলনরত পাবলিক নাকি নাস্তিক। দেশটা নাকি নাস্তিকে ভরে গেছে।

একটা অংশের মানুষ এটা বিশ্বাস করতে লাগলো। বাংলাদেশের মানুষ আর যাই হোক, নিজ ধর্মকে অবমাননা কিছুতেই সহ্য করে না। আর সেটারই সুযোগ নিয়ে জামাত-শিবির তান্ডবলীলা চালালো সারা দেশব্যাপী। যখনই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ঘোষণা এলো এবার আন্দোলন প্রতি শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে হবে, ২৪ ঘন্টা নয়, তখনই রাতের মধ্যে মাস্টার প্ল্যান রচনা করলো শিবিরের দল।

শুক্রবার জাতীয় পতাকা পুড়ালো, ভাষা শহীদদের স্মরণে গঠিত শহীদ মিনার ভাঙলো, এমনকি এবার বায়তুল মোকাররমে ঢুকে গালিচাতেও আগুন দিলো ছাগুগুলা। ককটেল বিস্ফোরণ করলো। কাঁটাবনে এ্যাম্বুলেন্সে করে এসে গোলাগুলি, বোমা ফাটাফাটি করলো। একুশে হল, এশিয়াটিক সোসাইটিতেও হামলা করলো। সাংবাদিকদেরও রেহাই দিলো না।

এদের জন্য যদি কোনো গালিও দেয়া হয়, তাতে গালিরও অপমান হয়। নর্দমার ঘোলা পানি যে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তার চেয়ে দুর্গন্ধময় এসব কুলাঙ্গারগুলো। বাসি, পচা খাবার কিংবা বস্তির নালা, খাল-বিল থেকে যে ময়লার গন্ধ তৈরি হয়, এর চেয়ে নিকৃষ্ট এসব ছাগুগুলো।

আমার বাবা একটা জিনিস সবসময় বলেন। যে আসলে একটা মতাদর্শে বিশ্বাসী, সে আসলে অন্যকেও সেটাই মনে করে। সেটা ভালো হোক বা খারাপই হোক। যেমন, কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর উপর সন্দেহ করেন পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাহলে মনে করতে হবে ওই স্বামীই এতে লিপ্ত। উদাহরণটি দেয়ার কারণ হলো, আজ যে জামাত-শিবির দেশের আপামর জনসাধারণকে (যারা তাদের পক্ষে নেই) নাস্তিক বলে আখ্যা দিচ্ছে, আসলে সেটা তারাই। নাহয় কোন ধর্মের মানুষ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে আগুন লাগায়? ভাঙচুর করে? কোরআনে একটা কথা আছে, ﴾سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ أَسۡتَغۡفَرۡتَ لَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ لَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٦﴿ [المنافقون: ٦] অর্থ, তুমি তাদের জন্য ক্ষমা করো অথবা না করো, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। অবশ্যই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না। এসব বাণী কি ভুলে গেছেন জামাতের আমীর, আলেমগণ? এক্ষেত্রে হুমায়ূন আজাদ স্যারের একটা কথা খুব মনে পড়ছে - "মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক"।

আমি আগেরদিনের একটা লেখায় সাবধানতাস্বরূপ বলেছিলাম শুক্রবার জামাত-শিবির কিছু একটা নাশকতামূলক করতে পারে, আর ঠিকই সেটা ঘটলো। যদিও ফেইসবুকে বসে প্রজন্ম চত্বরের খবরাদির মাধ্যমেই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু এতটা আঁচ করতে পারিনি যে ছাগুগুলো শহীদ মিনার বা জাতীয় পতাকার উপরেও হামলা করবে। এখন যদি কিছু কিছু মানুষের সতর্কতা এড়িয়ে যাই, তাহলে দেখা যাবে সেটাও ঘটবে। কেউ কেউ বলছেন, কালকের হরতালে নাকি জামালপুর আর কুষ্টিয়ায় কোরআন শরীফ পুড়িয়ে জামাত-শিবির দোষ চাপাবে তাদের ভাষায় তথাকথিত নাস্তিক ব্লগারদের উপর। আর আল-জাজিরা (ছাগুদের আন্তর্জাতিক মিডিয়া পার্টনার) নাকি বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করবে। তাহলে বুঝুন অবস্থা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বরাহের বাচ্চাগুলো?

শুক্রবারের এই তান্ডলীলা সম্পর্কে তথাকথিত বরেণ্য সাংবাদিক, সম্পাদক (বিএনপি, জামায়াতের ভাষায়) মাহমুদুর রহমান তার 'আমার দেশ' পত্রিকার সহকর্মীদের ইমেইলে লিখেছিলেন -
Dear friend,
we will be success to crush the Shahbagh movement soon by the Grace of Almighty Allah. I request you to stay at home during tomorrow’s JUMA PRAYER (22/02/2013). Our activists are ready to blast bombs during aforesaid Prayer time at many mosque throughout the country including Dhaka and Shahbagh.
Pray for me.”
এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে এক্ষণি ওয়ারেন্ট এনে বেটারে গ্রেফতার করুক সরকার। যে ব্যক্তি কিনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করার প্রসঙ্গ তোলে তাকে হয় ফাঁসী নাহয় পাকিস্তানে প্রেরণ করা উচিত।


আরেকটি বিষয় দেখা উচিত সাধারণ মানুষের। সেটা হলো, আগামীকালকের হরতালে বিএনপি যখন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, তার অর্থ কি এই দাঁড়ায় না যে তারাও শহীদ মিনার ভাঙা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো, মসজিদে হাঙ্গামার সাথে লিপ্ত? তারাও জামাত-শিবিরের মতোই দেশদ্রোহী? জনগণ আশা করি সেটা ভুলবে না নির্বাচনের সময়।

এই আন্দোলনের ফসল হয়ত নিচের কোনো একটা হবে -

১ . আমরা জিতে যেতে পারি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এইবারও পরাজিত হবে। আমি বলতেছি না দেশের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ তখনও গরীব থাকবে। দুর্নীতি থাকবে। মন্ত্রীসভায় আবুলের মতো দেশপ্রেমিক আর মুহিতের মতো মাল থাকবে। ৭২ এ জাসদের বাঞ্চদরা দেশের সাথে যে চূড়ান্ত বেঈমানি করছে, সেরকম একটা গ্রুপও উঠে মাথাচারা দিতে পারে। অবশেষে এই মিথ্যে জয় দিয়ে আমরা কী করবো ( ৭২ এর "এই মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কী করবো"; একই মদ, শুধু বোতলটা নতুন ) নিয়ে অনেকে হা হুতাশও করতে পারে। মোল্লা তখনও থাকবে। ৪২ বছরের জঞ্জাল ৪২ দিনে যাবে না। চোরাগুপ্তা হামলা হবে। শীতকালে রাতের বেলা ধর্মের নামে হাউকাউ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যেই চেতনায় লোকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলো সেটা জীবিত থাকবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার যে মাস্টারপ্ল্যান জামাত করছে সেইটা আরো দু'শ বছর পিছায়ে যাবে। ব্যাপার না, এইবার পুন্দাইতে পারলে দু'শ বছর পরেও পারবো। ছাগলদের একটা ব্যাপার ভালো, পেটে একাডেমিক বিদ্যা থাক না থাক, সব ছাগলই এক। খেয়াল করে দেখবেন ৪২ বছর আগের ম্যাৎকার আর এখনকার ম্যাৎকারের মধ্যে কোন বেসিক ডিফারেন্স নাই। জামাত প্রধান বিরোধী দল হবে, তারা মাঝেমাঝে মাথাচারা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। কিন্তু এই জয় পাবার পর আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে পারবো, সরকারও আমাদের সাহায্য করবে। আপনি বাংলায় কথা বলতে পারবেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন, বাংলা গান গাইতে পারবেন, কপাল ভালো থাকলে নাস্তিকও হতে পারবেন।

২ . সরকার পিছু হটতে পারে। জনগনের কাছে আওয়ামীলীগ চিরদিনের মতো বেঈমান আর কাপুরুষের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। মোল্লারা মাথা উচু করে হাটবে, আমরা মাথা নিচু করে হাটবো। ধর্ম পাঠ্যবই এর পেট মোটা হবে, সমাজ বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ সেকশনটা তুলে নেয়া হবে। স্বাধীন ইসলামী বাংলাদেশের রুপকার গোলাম আজমের জন্মদিনে শিশুদিবস পালিত হবে। বেপর্দা মেয়েদের রেপটেপ করলে কোন কেসটেস হবে না। দেশ সহী মুসলিম কান্ট্রিতে পরিণত হবে, কারন অমুসলিমদের হয় মুসলমানে পরিণত করা হবে, অথবা দেশত্যাগে বাধ্য করা হবে অথবা খুন করা হবে। জামাত রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি প্রধান বিরোধী দল হয়ে থাকবে। চুরি করলে হাত কেটে দেয়া, ধর্ষণে ৪ জন সাক্ষী যোগাড় করে আনাসহ সহী মুসলিম আইন সংসদে পাস হবে। যেদিন দেশে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করা হবে, যেদিন পতাকায় চানতারা যোগ করা হবে, জাতীয় সংগীত বলে কিছু থাকবে না এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠিত হবে সেদিন আমরা হরতাল টরতাল ডাকবো। এবং বলা বাহুল্য হরতাল নির্মমভাবে প্রত্যাখ্যাত হবে। আমরা আস্তে আস্তে আবার পূর্বপাকিস্থান হয়ে যাবো। কিন্তু যেহেতু শেখ মুজিব নাই, তাজউদ্দীন নাই, ওসমানী নাই; সুতরাং সেখান থেকে আর পরিত্রান পাবো না।

In either case, BNP is doomed. Forever.

তাই,  এতোদিন যারা চুপ ছিলেন, এতোদিন যারা মেনে নিয়েছিলেন যে শাহবাগে নাস্তিকরা সমাবেশ করছে, এই আন্দোলন ইসলামকে বাংলাদেশ থেকে হটানোর পাঁয়তারা হচ্ছে, তারা আজ আর চুপ থাকতে পারেন না। কারণ আজ ওরা আপনার দেশের পতাকার উপর হামলা করেছে। আজ ওরা যেই ভাষায় আপনি, আপনার সন্তান কথা বলছে, সেই ভাষা যারা এনে দিয়েছিলো সেই ভাষা শহীদদের স্মরণীতে আঘাত করেছে। আর দেশের প্রতি যদি এতটুকুও মমত্ববোধ না থাকে তাহলে নিজ ধর্মের কথা চিন্তা করুন। ৯০ শতাংশ মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশে ওরা আজ কতটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ হলে আগুন জ্বালায়, ভাঙচুর, বোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে? সামনে হয়ত কোরআন শরীফ পুড়িয়ে সেটার দায়ও দেবে শাহবাগের ব্লগারদের উপর। এতো কিছুর পরেও কি আপনি চুপ করে থাকতে পারেন? আপনার দেশ, আপনার দেশের মা, আপনার ধর্মের প্রতি আপনার কি কোনো দায়িত্ব নেই? কোনো উত্তরদায়ীত্ব নেই কি আপনার?

নইলে কিন্তু ইংরেজদের divide and rule policy-ই আবার ঘটবে। এ নিয়ে একটা গল্প দিয়ে শেষ করলাম -
এটি আমাদের বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদ্রাসা, আল জামি'য়া আল ইসলামিয়া, পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত মহাপরিচালক, আমাদের অনেকেরই উস্তাদ, আল্লামা মুফতী আবুল হালিম বোখারী সাহেব এক বয়ানে আমাদেরকে বলেছিলেন।

একজন কৃষক তার জমিনে আখ চাষ করত। পাশে এক রাস্তা। একদিন দুপুরে পাশে দিয়ে ৩ জন মানুষ যাচ্ছেন। একজন মাওলানা, একজন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত আর একজন সাধারণ বাংলাদেশী মানুষ।
তাদের মধ্যে একজন বলল, এক কাজ করি, পাশে তো কোন দোকানপাট নাই, খাবারের কোন ব্যবস্থাও নেই। আর এই ক্ষেতের মালিককেও দেখা যাচ্ছে না। চলেন, আমরা ৩ জন ৩টা আখ হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। এ সময় হঠাৎ কৃষক এসে হাজির।

দেখল এরা ৩ জন, আর সে একা। সে একা তাদের সাথে পেরে উঠবে না। তখন তার মাথায় খেলল, ইংরেজদের সেই কুখ্যাত divide and rule policy. অর্থাৎ প্রথমে মানুষকে বিভক্ত কর এবং অতঃপর তুমি শাসন কর।

কৃষকটি এসে প্রথমে বাংলাদেশীটাকে ধরল। বলল, উনি মাওলানা সাহেব। উনি আমার হুজুর। সারাদিন কোরআন হাদীস পড়েন। আমার তো উচিত ছিল উনার কাছে গিয়েই আখ দিয়ে আসা। আমি দিতে পারি নাই তাই উনি নিজে এসে আখ নিয়েছেন। উনি আসাতে তো আমার ফসলে বরকতও হয়ছে।

আর উনি হলেন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত। উনি হিন্দুদের গুরু। উনি উনার ধর্ম পালন করেন, পুজা করেন, ভাল কাজ করেন। উনিও মেহেরবানী করে আখ নিয়েছেন, ভালই করেছেন।

কিন্তু তুই বাংলাদেশী কেন আখ নিলি ? তুই তো কোন ভাল কাজ করছ না, সারাদিন আউল ফাউল কাজ নিয়ে পড়ে থাকস। তোর তো কোন অধিকার নেই আমার ক্ষেতের আখ খাওয়ার। এই বলে সে তাকে মারা শুরু করল এবং কুপোকাৎ করল। এদিকে মাওলানা সাহেব আর ব্রাক্ষণ পণ্ডিত চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই ভেবে যে তাদেরকে অন্তত সে কিছু করবে না।

এরপর কৃষক ধরল ব্রাক্ষণ পণ্ডিতকে এবং বলল, উনি মাওলানা সাহেব, আমাদের ইসলাম ধর্মের গুরু, আমার হুজুর । তুই তো আমার ধর্মের কেউ না। তুই কোন সাহসে আমার আখ খেতে আসলি ? এতে ব্রাক্ষণ পণ্ডিত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকেও কৃষক কুপোকাত করে ফেলল। মাওলানা সাহেব এবারও কিছু কইলেন না, ভাবলেন তিনি নিশ্চিত পার পেয়ে যাচ্ছেন।

২ জন শেষ। এবার মাওলানা একা। কৃষক বলল, সাধারণ বাংলাদেশী মাসয়ালা জানে না। সে জন্যই আখ নিছে। ব্রাক্ষণ পণ্ডিতও ইসলামের মাসয়ালা জানে না, এজন্যও সেও আখ নিছে। তুমি তো আলেম, তুমি তো মাসয়ালা জান, কোরআন হাদীস পড়ছ, তুমি কেন আরেকজনের ক্ষেতে এসে আখ খেতে আসছ ! এই বলে সে তাকেও কুপোকাত করল।

মূলত ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এই divide and rule policy টাই প্রয়োগ করেছিল। সর্বপ্রথম মানুষদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দিল এবং একে অপরকে তাদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিল। আর তারা সিংহাসনের গদিতে বসে বসে নিশ্চিন্তে দেশ শাসন করতে লাগল।

আজ দেশের পরিস্থিতি দেখে আমার আবুল হালিম বোখারী হুজুরের সেই বয়ানের কথা মনে পড়ে গেল। কত মানুষ যে কত ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে, দিক বিদিক জ্ঞানশূণ্য হচ্ছে, ঈমান হারা হচ্ছে, তার কোন হিসাব নেই। আর কিছু সুবিধালোভী মানুষ তার সিংহাসনের আরামের গদিতে এসি রুমে বসে এর সুফল ভোগ করছেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমাদের ঈমানী শক্তিকে আরও সতেজ করুন, ঈমানী বল দান করুন এবং সত্যের বিজয় ঘটান। আমিন।

Thursday, February 21, 2013

আমার সোনার বাংলা, আমি কি ভুলিতে পারি?

...আমার ৪ বছর বয়সী বড় কন্যাকে বললাম, ‘বাবা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটা গাও তো’;
সে গাওয়া শুরু করলো...
“আমার সোনার বাংলা
আমি কি ভুলিতে পারি”

আমি বললাম, “থামো থামো, বাবা তুমি ‘২১শে ফেব্রুয়ারির গান’ আর ‘জাতীয় সঙ্গীত’ দুটোতে প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলেছো”।

সে কান্না কান্না চেহারা করে, দৌড় দিয়ে অন্য রুমে চলে গেলো।

উপরের ঘটনাটা দুই মাস আগের ঘটনা অবশ্য। আজকে... আজকের দিনে, আপনি আমার কন্যাকে ডেকে যদি বলেন, “আঙ্কেল তোমাকে বেলুন কিনে দিবো, তুমি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটা গেয়ে শুনাও তো একটু...”।

সে এতো সুন্দর করে; নির্ভুল সুরে গাইতে পারবে যে, আপনি আমাকেও খুশি হয়ে কয়েকটা বেলুন কিনে দিবেন!

সত্যি বলতে, এই বেলুন বা ধন্যবাদ কিন্তু আমার পাওনা না; “পাওনা হলো, ক্ষ ব্যান্ডের”।

তাদের কারণেই, আমি বাবা আজকে এতদিন পর, জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ ফিরে পেয়েছি... তাদের কারণেই আমি আমার চার বছরের কন্যাকে, ইংলিশ-রাইমস (স্কুলের হোমওয়ার্ক) মুখস্ত না করিয়ে, জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করিয়েছি।

এখন তাকে যদি তার স্কুলে; জাতীয় সংগীত গাইতে বলা হয়, তাহলে সে অবশ্যই সেটা, গানটির সাংবিধানিক সুরেই গাইবে। আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হলো, আমার জন্য, ক্ষ ব্যান্ডের কাজটি ছিলো একটি “wake up call”… বলতে দ্বিধা নেই, এদের কারণেই; আমার নিজের, স্কুল জীবনের assembly শেষ করে আসার প্রায় ১৭ বছর পর, জাতীয় সংগীতের কয়েকটা লাইন শোনা হলো!

কয়েকদিন থেকে দেখছি, এটা নিয়ে হাউকাউ শুরু হয়ে গেছে। কেউ বলছে, তারা ‘জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করেছে’... কেউ বলছে... ‘এদের বাইন্দা পিটানো দরকার’। অনেক অনেক যুক্তি শুনলাম, তার মধ্যে একটা যুক্তিও আমার কাছে যুৎসই লাগলো না!

একজন বলছে, “একজন বিদেশী তথা এক পাকিস্তানী এই গানটিতে তবলা বাজিয়ে আমাদের দেশকে অসম্মান করেছে”। আমি বুঝি না, সব কিছুর মধ্যে নেগেটিভ খুঁজে বেড়াই কেন আমরা? এটাতো, পজিটিভ ভাবেই নিতে পারি এই ভেবে যে, ‘আমরা একজন পাকিস্তানীকে দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এর কয়েকটা লাইন বাজিয়েছি’। হাউকাউ শুরু করলে তো পাকিস্তানী জাতিদের করা উচিত, আমাদের তো বাপ মুচকি হাসি দিয়ে বসে থাকা উচিত।

অলিম্পিকের সময় বা আমাদের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের বাইরে রাষ্ট্রীয় সফরে যায়, তখন সেদেশের মাটিতে যখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন কি বাংলাদেশ থেকে বাদক দল নিয়ে যাওয়া হয়? উত্তর দেন!

আরেকজন বলছে, “জাতীয় সঙ্গীতকে বিকৃত করা হয়েছে”। আরে ভাই, এটা জাতীয় সংগীত হবার আগে তো এটা একটা রবীন্দ্রসংগীত। তো worst case scenario ধরেও বিষয়টা এভাবে কেনও নিচ্ছেন না যে, ‘ক্ষ’ এটিকে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত করেছে! তারপরেও বলেন, গানটি শুনে কি আপনার মনে হয়েছে যে এখানে সুর বিকৃত হয়েছে? এখানে কি নতুন কথা জুড়ে দেয়া হয়েছে? যদি তা না হয়, “আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এতে কিভাবে বিকৃত হয়”?

অন্যদের কথা জানি না...আমার কথা simple ... আমার কাছে মনে হয়েছে, এটির মাধ্যমে তারা, মূল জাতীয়সঙ্গীতের আবেদন, পুনরায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে সবার মাঝে। ...যেটা, আমি নিজে দেখেছি এবং আমার নিজের ক্ষেত্রেই হয়েছে... আর সেটার উদাহরণ দিয়েই তো লেখাটা শুরু করলাম

আসলে, এখন বুঝা যায়, পৃথিবীতে ১৯৬ টি জাতি থাকার পরেও, শুধু আমাদের জাতিকে নিয়ে এরকম একটা জোকস; ‘বাঙ্গালীদের দোজখের ডেকচিতে কোনও দারোয়ান লাগবে না...’ কেন প্রচলিত
 
 
(লেখক: Arif R Hossain)

Saturday, February 09, 2013

ব্লগাররাও পারে

মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার-এর জ্বালাময়ী বক্তব্য ... প্রজন্ম চত্বরের মহাসমাবেশে, তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে ...
আজ আমি এসেছি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য!
আমি পত্রিকায় লিখেছি- যে এই নতুন জেনারেশন খালি
ফেসবুকে লাইক দেয়, এরা আর কিছু করে না।
আমি লিখেছি- এরা খালি ব্লগ করে, এরা আর কিছু করে না-
এরা রাস্তায় নামে না।
তোমরা আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছো।
এই দেখো এখানে ব্লগার রা আছে, এই ব্লগাররা
সারা পৃথিবীতে যেটা হয় নাই এরা সেইটা ঘটিয়ে দিয়েছে।
তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই! আমাকে ক্ষমা করেছো সবাই?
আজকের মত আনন্দের দিন আমি আমার জীবনে কোনোদিন পাই নাই!!
২০১৩ সাল ১৯৭১ হয়ে গিয়েছে!! তোমরা যারা ১৯৭১ দেখো নাই
সুযোগ পেয়েছ ২০১৩ সাল কে আবার ১৯৭১ হিসেবে দেখার জন্য।
বাংলাদেশের মত সুন্দর দেশ পৃথিবীতে নাই!
উপরে তাকাও কী সুন্দর আকাশ!!
তাকাও কত সুন্দর গাছ!!
একজন আরেকজনের দিকে তাকাও কত সুন্দর মানুষ!!
তোমাদের মত সুন্দর মানুষ পৃথিবীতে নাই।
আমরা অনেক সৌভাগ্যবান! যখন যেটা দরকার সেটা পেয়েছি।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কে পেয়েছি।
যখন যুদ্ধের সময় হয়েছে, তাজউদ্দীন আহমেদ আমাদের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তখন মুক্তিযোদ্ধাদের ­ জন্ম হয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
এখন তোমাদের দরকার, তোমাদের জন্ম হয়েছে।
জাহানারা ইমাম এখানে আন্দোলন করেছিলেন, জাহানার ইমামের ছবি আছে।
আমি শিউর, উনি উপর থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন- আর আনন্দে হাসছেন!!
ত্রিশ লক্ষ শহীদ উপরে আছে, তাঁরা আমাদের দিকে দেখছে
আর বলছে- “থ্যাংক ইউ”,“থ্যাংক ইউ”-তোমাদের কে ধন্যবাদ!
একটা সময় ছিল যেখানে হানাদার বলতে হত পাকিস্তান বলা যেত না।
টেলিভিশনে রাজাকার কথাটা মানুষের মুখ থেকে বলা যেত না।
তখন হুমায়ুন আহমেদ টিয়া পাখির মুখ দিয়ে বলেছিল “তুই রাজাকার”!!
আমি বলব, তোমরা বলবে, হুমায়ুন আহমেদ উপর থেকে দেখছে-
হুমায়ুন আহমেদ দেখো-
কাদের মোল্লা! কাদের মোল্লা!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
সাঈদী! সাঈদী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
সাকা চৌধুরী! সাকা চৌধুরী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
কামরুজ্জামান! কামরুজ্জামান!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
নিজামী! নিজামী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
গোলাম আযম! গোলাম আযম!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
বাংলাদেশে যত শহীদ হয়েছিলো তাঁরাসবাই এখন উপর থেকে তাকিয়ে আমাদের দেখছে, আর বলছে-
এই বাংলাদেশ কে আর কেউ কোনোদিন পদানত করতে পারবে না!
তোমাদের কে আমি অনুরোধ করি-
যখন লেখাপড়ার কথা তখন লেখা পড়া করবে।
যখন গান গাওয়ার কথা তখন গান গাইবে।
যখন কবিতা লেখার কথা কবিতা লিখবে।
ছবি আঁকার কথা ছবি আঁকবে।
ভাস্কর্য বসানোর কথা ভাস্কর্য বসাবে।
প্রেম করার কথা প্রেম করবে।
বাংলাদেশ কে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে তৈরি করবে।
নোবেল প্রাইজ আনবে।
যখন রাস্তার নামার দরকার পড়বে তখন রাস্তায় নামবে।
তোমাদের কাছে সারা বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। যত শহীদ আছে সবাই কৃতজ্ঞ,আমারা সবাই কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকে।
ব্লগার দের কে আলাদা ভাবে ধন্যবাদ! তাঁরা যেটা করেছে তার কোন তুলনা নাই। সবাইকে ধন্যবাদ!!

Wednesday, January 23, 2013

এক জানোয়ারের গল্প

(নটরডেম কলেজে গুহ স্যারের এই একটা ক্লাসে সময় থেমে গিয়েছিল। যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল পুরো ক্লাস)
১৯৭১:
বাচ্চু রাজাকার তখন দিনে দুপুরে মেয়ে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে।দশ বছরের বাচ্চার সামনে ধর্ষণ করতে তার কোন লজ্জা হয়না। ধরে নিয়ে যাওয়া মেয়েদের মধ্যে স্যারের এক শিক্ষিকা (দিদিমণি) ছিলেন।

যুদ্ধের পর:
বঙ্গবন্ধু এসে সম্ভ্রম হারানো বীরাঙ্গনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জোড়া বেঁধে দিচ্ছিলেন।বিয়ে করিয়ে দিচ্ছিলেন।
স্যারের ওই দিদিমণি ওখানে ছিলেন না।
হঠাৎ কোথা থেকে এসে বঙ্গবন্ধুর সামনে এসে জামা কাপড় সব খুলে ফেললেন।
চিৎকার করে সবার সামনে বললেন,"আমাকে যে বিয়ে দিবি, আমার সন্তানকে আমি কীভাবে স্তন্য দেব? দেখ! "

জীবনে বোধহয় এতটা ধাক্কা কক্ষনো খাইনি।

জানোয়ারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে আজ।
আমি খুশি!!! আমার চিৎকার করে হাসতে ইচ্ছা হচ্ছে,
কারণ আমি ভয় পাই, নাহলে হয়ত ওই দিদিমণির হাহাকার আমার কানে আসবে।
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা!!!

ফাঁসি চাই!!!ফাঁসি!!! 

(লেখক - Jewel Ahmed)

Tuesday, January 08, 2013

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা'র বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্যের প্রত্যুত্তর

রমিজ রাজা সাহেব বলেন ক্রিকেটে নাকি বাংলাদেশের অবদানই নাই !
( Ramiz said “The BCB has no major part in international cricket" )
হা হা হা ঠিকই তো ... বাংলা পুলাপান এতো বছর ক্রিকেট খেলে...
*সালমান স্টাইলে বালিশের নিচে টাকা নিয়ে ধরা পড়লোনা,
*আমির স্টাইলে টাকা খায়া এক হাত লম্বা নোবল করলোনা ,
*আসিফ স্টাইলে ভীনা মালিকের লগে ফস্টিনস্টি করলোনা ,
*আফ্রিদি স্টাইলে বল কামড়ায়া টেম্পারিং করলোনা,
*রশিদ লতিফ স্টাইলে মাটি থেকে বল কুড়ায়া আউট করলোনা ,
*শোয়েব আখতার স্টাইলে টিমমেটরে ব্যাট দিয়া পিটাইলোনা ,
*আসিফ স্টাইলে দুবাই এয়ারপোর্টে গাঞ্জা লইয়া ধরা খাইলোনা,
*ওয়াকার ওয়াসিম স্টাইলে সতীন ঝগড়া করলোনা ,
*সেলিম মালিক স্টাইলে জুয়াড়ি হইলোনা ,
*আখতার স্টাইলে ড্রাগ লইয়া ধরা পড়লোনা,
*আসাদ রউফ স্টাইলে ইন্ডিয়ান মাইয়ার লগে স্ক্যান্ডাল বানাইলোনা ,
*ইউসুফ ইউনুস স্টাইলে বছরে ৪ বার কইরা অবসর আর ফেরত আসার নাটক করলোনা ,
*নাসির জামশেদ স্টাইলে বিপিএলে ম্যাচ পাতাইলোনা ...
( এই ফিরিস্তির শেষ নাই )
আসলেই কোন অবদান নাই আমাদের ...
ভাগ্যিস পাকিস্তান ছিলো নাহলে ক্রিকেট অপবিত্র
করার গুরুদায়িত্ব কে নিতো ?



(সংগৃহীত)