Showing posts with label business. Show all posts
Showing posts with label business. Show all posts

Thursday, May 02, 2013

বাংলাদেশে ‘শ্রম দাস’ প্রথার নিন্দায় পোপ


সাভারে গত সপ্তাহে রানা প্লাজা ধসে কয়েকশ’ মানুষ নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ-পরিস্থিতিকে শ্রম দাস প্রথার সঙ্গে তুলনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

রানা প্লাজার ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা ৪শ’ ছাড়িয়েছে।ওই প্লাজায় কয়েকটি পোশাক তৈরির কারখানা ছিল।

বুধবার মে দিবস পালনকালে ভ্যাটিকানের বাসভবনে সমবেত দর্শনার্থীদের পোপ বলেন, ঢাকার বহু শ্রমিকই মাসে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার বেতন পায় এমন শিরোনামের খবর দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।

‘একেই শ্রম দাস প্রথা বলা যায়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পোপের উদ্ধৃতি দিয়ে ভ্যাটিকান বেতার এ খবর দিয়েছে।

“সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সৃজনশীলতা, কাজ করা এবং সম্মনিত হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আজ এ ধরনের দাসত্ব চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে,” বলেন পোপ।

মে দিবসে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব আর কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সাভারের ঘটনায় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পোপ বলেন, “কতজন ভাই-বোনকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে!

তিনি আরো বলেন, “সঠিকভাবে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না, চাকরি জুটছে না। কারণ, আপনারা শুধু লাভের দিকটা দেখছেন।এ ধরনের কর্মকান্ড সৃষ্টিকর্তারই বিরুদ্ধাচরণ করা।”

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে নির্বাচিত পোপ ফ্রান্সিস দরিদ্রদের পক্ষে এক সরব ও বলিষ্ঠ কণ্ঠ।তার দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় তিনি গরিবদের পক্ষেই সোচ্চার হয়েছিলেন।

মার্চে নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চকে গরিবদের পাশে দাঁড়ানোরই আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

মে দিবসে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের ভাষণে ৭৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ‘স্বার্থপর লাভ’ এর পথ পরিহার করে বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানান।

“আমি শ্রম বাজার নতুন করে ঢেলে সাজানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাচ্ছি”, বলেন তিনি।


(সংগৃহীত

Tuesday, April 30, 2013

ধ্বংসস্তুপ থেকে আর্তনাদ

’হ্যালো বাবা, হ্যালো মা, হ্যালো হ্যালো... কেউ আছেন? ভেতরে কেউ আছেন?’ সরু অন্ধকার সুরঙ্গের ভেতরে এভাবেই জীবিতদের খুজেছেন লিজা। ধ্বংস স্তপের ভেতর নিজেই আবার হারিয়ে না যান, সেই জন্য কোমড়ে দড়ি বেধে পৌছে গেছেন দুর্গম অনেক কক্ষে। তার মাথায় কখনও খসে পড়ছে পলেস্তারা, কখনও আহতদের ফোটা ফোটা রক্ত। কখনও ধ্বংস স্তুপের খাজে খাজে ঝুলে থাকা গলিত লাশ ঠেলে ভেতরে গেছেন, কখনও শাবল হাতে ভেঙ্গেছেন কংক্রিটের দেয়াল, সন্ধান করেছেন জীবিতদের। উদ্ধার করেছেন অন্তত অর্ধশত নারী পুরুষ।

‘দুর্ঘটনার পরের দিন নয় তলা’র সরু সুড়ঙ্গ পথে হামাগুড়ি দিয়ে পাঁচ তলা পর্যন্ত পৌছতে পেরেছিলাম। মানুষের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একটা রুম থেকে দেয়ালের ক্ষীন কন্ঠে এক নারী চিঁতকার করে বলতে থাকে, বাচান, আমারে একটু বাচান। আমি বকুল। বাড়ি বগুড়া। বাচান’। শাবল দিয়ে সেই রুমে একটু ছোট গর্ত করি। টর্চ মারতেই দেয়ালে ঝুলে থাকতে দেখি মুখের ভেতর রড ঢুকে থাকা এক নারীর লাশ। পাশে তাও দুটো মৃতদেহ। সেই ফুটো দিয়ে একজন নারী আমার হাত চেপে ধরে। তাকে বের না করলে সে কিছুতেই আমাকে ছাড়বেনা। কিন্তু তখন আমার আশপাশে আর কেউ ছিলোনা। আর দেয়ালটিও আমার একার পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব ছিলোনা। টানাটানি করায় হাতের টর্চটি পড়ে যায়। ভয় পেয়ে জোরে হাত টান দিলে, বকুলের হাতের চুড়িটি খুলে আসে আমার হাতে।” বলছিলেন লিজা। সেই সুড়ঙ্গ বেয়ে উপরে আসতে আসতে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

’বকুলের আর্তনাদ আমার কানে সারাক্ষন বাজছে। কিছুতেই ভুলতে পারছিনা, অজ্ঞান না হয়ে গেলে আমিই তাকে বের করতাম। পরে শুনছি সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে বকুল আছে কিনা তা আমি জানিনা,” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে লিজা”।

”আরেকটি দৃশ্য মনে করলে হাউ মাউ করে কান্না আসে। একটি গর্ভবতী নারীর পেটের ওপর পিলার পরেছে, পেট ফেটে অনাগত শিশুটির মাথা বের হয়ে আছে।’ লিজা সত্যিই হেইমাউ করে কেদে ওঠে।

থিয়েটার কর্মী আসমা আখতার লিজা ২৫ এপ্রিল থেকে লিজা নিজ তাগিদে নেমেছিলেন উদ্ধার অভিযানে। ধ্বংস স্তপের যেসব দুর্গম কক্ষে পুরুষ উদ্ধারকর্মীরাও যেতে সাহস পায়নি, লিজা সেখানে পৌছে গেছেন অসীম সাহস নিয়ে। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সহযাত্রীদের প্রশংসা-’লিজা আপার সাহস আর শক্তি দশ জনের সমান। এমন সাহসী মেয়ে কখনও দেখি নাই,” বলছিলেন একজন সেনা সদস্য। তার কথায় সায় দেন আরও কয়েকজন সাধারন উদ্ধারকর্মি। অচেনা-অজানা এই উদ্ধারকর্মিদের কাছে লিজা এক অসিম সাহসের নাম।

’উদ্ধার করতে গিয়ে কখনও ভয় লাগেনি। মাঝে মাঝে বড় বেশি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছি, সেই জন্যই আসলে নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে কাজ করতে পেরেছি। বাচার আকুতি কত মানুষ ধ্বংস স্তপের ভেতর অপেক্ষা করছে, তাদের বাচানোর চেষ্টা সাধ্য মতো করাই তো মানুষের কাজ। আমরা কেবল সেই টুকুই করার চেষ্টা করেছি, তবু অনেক মানুষকে বাঁচাতে পারিনি-কষ্ট হয়,’ বলছিলেন লিজা।

(সূত্র: Rnews24.com)

Monday, April 29, 2013

The blood stains of our clothes

Recently, in Bangladesh, an 8-story building collapsed, causing one of the worst disasters in the history of the country. The building, known as Rana Plaza, was located in Savar, just outside the capital Dhaka. With the death toll rising everyday, who knows how many will be the total deaths of this terrible calamity?

But my point is on something else. While we all know Bangladesh is now a forefront player in global manufacturing of clothing industry. The rising garments industry has enticed world-class clothing brands like GAP, Tommy Hilfiger, Disney & many more to produce their products from Bangladesh at one of the cheapest labor cost. Like Bangladesh, there are many more 3rd world countries that are producing these goods for these world-class brands at a very low pay.

What are these labors making? In Bangladeshi taka, these labors are demanding for 8000 tk. a month. That would equate to roughly $102 (USD). Mark my words. That is what they are demanding. So that means their actual pay is much less than that. Is that really sufficient? In this world of rising food, housing, living costs, is this salary enough to sustain a family of 4 members, let's say?

Yes. Critics will say that we need to look at the other side as well. As CEO, businesses have to look for profit & any means to cut costs. But would that mean suppressing your very workers who are building the empire you are residing on? Would that mean forcing the labors to enter into a building where the chief engineer inspected cracks the previous day, but the owner feels it's okay to continue the production? Does these business owners' greed ever end?

I leave with a image that caught my eyes few days ago. It's a manufacturing tag with a "Made in Bangladesh" written on it. In addition, there is a blood stain. The symbolism itself should be sufficient.