Showing posts with label cheating. Show all posts
Showing posts with label cheating. Show all posts

Friday, April 19, 2013

গোলাম আযমের ১৯৭১ সালের কিছু কুকর্মের প্রমাণ


১৯৭১ সালে রাজাকার গোলাম আযমের দেওয়া বিবৃতিসহ শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনীর বিবৃতির মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিয়মিত প্রকাশ করেছে জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা। সেখান থেকে সংকলিত কিছু বিবৃতি তুলে ধরা হলো।

৮ এপ্রিল ১৯৭১
একাত্তরে জামায়াত ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মওলানা নুরজ্জামান ও জামায়াতের অন্যতম নেতা গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আযম বলেন, ‘ভারত পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। ভারতীয় বা পাকিস্তান বিরোধী এজেন্টদের বা অনুপ্রবেশকারী যেখানেই যাবে, সেখানেই পূর্ব পাকিস্তানের দেশ প্রেমিকরা তাদের নির্মূল করবে।’

৯ এপ্রিল ১৯৭১
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তনে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে ভারত প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশপ্রেমের মূলে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশ এ প্রদেশের মুসলমানদের কাজেই আসবে না।’

১০ এপ্রিল ১৯৭১
ইসলামীর ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে এই দিন বলা হয়, ‘দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারীদরে হাত থেকে পূণ্য ভূমি পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য ছাত্র সংঘের প্রতিটি কর্মী তাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যাবে। হিন্দুস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্তের দাঁতভাঙা জবাব দেবার জন্য ছাত্র সংঘ কর্মীরা সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

১২ এপ্রিল ১৯৭১, বায়তুল মোকাররম, বাংলাদেশ
গোলাম আজমের নেতৃতের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মিছিল বিরোধী বের হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে। মিছিলে বহন করা পোস্টার, ফেস্টুনে লেখা ছিলো "দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ।" "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।" "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর।" "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।" মিছিলে পাকিস্তানের জন্য মুনাজাতও করেন গোলাম আজম।

১৩ মে ১৯৭১
ইসলামী ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের বর্তমান দুরবস্থার জন্য ছাত্রসমাজকে দায়ী করা হয়। অথচ ছাত্র সংঘের কর্মীরাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন ও (পাকিস্তান) সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বেশি তত্পর। ছাত্রনামধারী ভারতের সাম্রাজ্যবাদের যে সমস্ত চর তথকথিত “বাংলাদেশ”-প্রচারণা চালিয়েছিল তারা ছাত্র সমাজের কলঙ্ক। তাদের জন্য সমুদয় ছাত্র সমাজকে দায়ী করা ঠিক নয়।’

১৭ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম তার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা এখনও তাদের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত করা। পূর্ব পাকিস্তানের এমন নিভৃত অঞ্চল রয়েছে যেখানে দুষ্কৃতকারীরা জনগণকে পাকিস্তান রেডিও শুনতে দেয় না।’

১৯ জুন ১৯৭১, লাহোর, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইহায়িহা খানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "কেবলমাত্র দেশপ্রেমিক জনগনের সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা যেতে পারে। (এ দেশপ্রেমিকরাই রাজাকার, আল বদর, আস শামস)

২০ জুন ১৯৭১
গোলাম আযম লাহোরের বিমানবন্দরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে অধিক সংখ্যক অমুসলমানদের সহায়তায় শেখ মুজিবুর রহমানের হয়তো বিচ্ছিন্নতার ইচ্ছা থাকতে পারে।...অবশ্য তার ছয় দফা স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলতে পারত।...সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় সকল দুষ্কৃতকারীদের উত্খাত করেছে এবং বর্তমানে এমন কোন শক্তি নাই যা সেনাবাহিনীর প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।’

২২ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম আযমের এক সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানরা ইসলামকে কখনও পরিত্যাগ করতে পারে না। এ কারণে তারা পাকিস্তানকেও ত্যাগ করতে পারবে না। পূর্ব পাকিস্তান ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দুষ্কৃতিকারী ও রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেন।

২৩ জুন ১৯৭১
এক কর্মিসভায় গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানিরা সর্বদাই পশ্চিম পাকিস্তানি ভাইদের সাথে একত্রে বাস করবে।...নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছয় দফা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। যেসব দল খোলাখুলিভাবে বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন শুরু করেছিল এবং স্বাধীন বাংলা গঠনের জন্য জনতাকে উত্তেজিত করেছিল সেসব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’

৩ আগস্ট
এই দিনে মাদ্রাসা শিক্ষা সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের যুদ্ধ নয়, আদর্শিক যুদ্ধ। আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই দেশকে বাঁচিকে রাখার জন্য যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
এ ছাড়া ২৫ মার্চের বর্বরোচিত হামলা সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘২৫ মার্চের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা ছিল এদেশের মাটি রক্ষার জন্য।’

২৬ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
রাজাকারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যদি তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তুলে দেয়া হয়, তাহলে তারা দুষ্কৃতিকারীদেরকে নিজেরাই খতম করে দিতে পারবে।

২৭ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
গোলাম আজম পাকিস্তান সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা দুষ্কৃতিকারী বিচ্ছিন্নবাদীদের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে সহযোগিতা করছি।

১ লা ডিসেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে ৭০ মিনিট বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে গোলাম আজম বলেন, "এদেরকে ধ্বংস করার জন্য রাজাকার বাহিনীই যথেষ্ট।"

Saturday, February 23, 2013

প্রকৃত নাস্তিক জামাত-শিবির নিজেরাই

ব্লগার রাজীব হায়দার মারা যাবার পর থেকে জামাত-শিবির সাধারণ মানুষের মাঝে একটা রব তুলছিলো যে, ব্লগার রাজীব একজন নাস্তিক ছিলেন। অন্যান্য সকল ব্লগারও নাকি নাস্তিকই। শাহবাগের আন্দোলনরত পাবলিক নাকি নাস্তিক। দেশটা নাকি নাস্তিকে ভরে গেছে।

একটা অংশের মানুষ এটা বিশ্বাস করতে লাগলো। বাংলাদেশের মানুষ আর যাই হোক, নিজ ধর্মকে অবমাননা কিছুতেই সহ্য করে না। আর সেটারই সুযোগ নিয়ে জামাত-শিবির তান্ডবলীলা চালালো সারা দেশব্যাপী। যখনই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ঘোষণা এলো এবার আন্দোলন প্রতি শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে হবে, ২৪ ঘন্টা নয়, তখনই রাতের মধ্যে মাস্টার প্ল্যান রচনা করলো শিবিরের দল।

শুক্রবার জাতীয় পতাকা পুড়ালো, ভাষা শহীদদের স্মরণে গঠিত শহীদ মিনার ভাঙলো, এমনকি এবার বায়তুল মোকাররমে ঢুকে গালিচাতেও আগুন দিলো ছাগুগুলা। ককটেল বিস্ফোরণ করলো। কাঁটাবনে এ্যাম্বুলেন্সে করে এসে গোলাগুলি, বোমা ফাটাফাটি করলো। একুশে হল, এশিয়াটিক সোসাইটিতেও হামলা করলো। সাংবাদিকদেরও রেহাই দিলো না।

এদের জন্য যদি কোনো গালিও দেয়া হয়, তাতে গালিরও অপমান হয়। নর্দমার ঘোলা পানি যে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তার চেয়ে দুর্গন্ধময় এসব কুলাঙ্গারগুলো। বাসি, পচা খাবার কিংবা বস্তির নালা, খাল-বিল থেকে যে ময়লার গন্ধ তৈরি হয়, এর চেয়ে নিকৃষ্ট এসব ছাগুগুলো।

আমার বাবা একটা জিনিস সবসময় বলেন। যে আসলে একটা মতাদর্শে বিশ্বাসী, সে আসলে অন্যকেও সেটাই মনে করে। সেটা ভালো হোক বা খারাপই হোক। যেমন, কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর উপর সন্দেহ করেন পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাহলে মনে করতে হবে ওই স্বামীই এতে লিপ্ত। উদাহরণটি দেয়ার কারণ হলো, আজ যে জামাত-শিবির দেশের আপামর জনসাধারণকে (যারা তাদের পক্ষে নেই) নাস্তিক বলে আখ্যা দিচ্ছে, আসলে সেটা তারাই। নাহয় কোন ধর্মের মানুষ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে আগুন লাগায়? ভাঙচুর করে? কোরআনে একটা কথা আছে, ﴾سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ أَسۡتَغۡفَرۡتَ لَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ لَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٦﴿ [المنافقون: ٦] অর্থ, তুমি তাদের জন্য ক্ষমা করো অথবা না করো, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। অবশ্যই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না। এসব বাণী কি ভুলে গেছেন জামাতের আমীর, আলেমগণ? এক্ষেত্রে হুমায়ূন আজাদ স্যারের একটা কথা খুব মনে পড়ছে - "মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক"।

আমি আগেরদিনের একটা লেখায় সাবধানতাস্বরূপ বলেছিলাম শুক্রবার জামাত-শিবির কিছু একটা নাশকতামূলক করতে পারে, আর ঠিকই সেটা ঘটলো। যদিও ফেইসবুকে বসে প্রজন্ম চত্বরের খবরাদির মাধ্যমেই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু এতটা আঁচ করতে পারিনি যে ছাগুগুলো শহীদ মিনার বা জাতীয় পতাকার উপরেও হামলা করবে। এখন যদি কিছু কিছু মানুষের সতর্কতা এড়িয়ে যাই, তাহলে দেখা যাবে সেটাও ঘটবে। কেউ কেউ বলছেন, কালকের হরতালে নাকি জামালপুর আর কুষ্টিয়ায় কোরআন শরীফ পুড়িয়ে জামাত-শিবির দোষ চাপাবে তাদের ভাষায় তথাকথিত নাস্তিক ব্লগারদের উপর। আর আল-জাজিরা (ছাগুদের আন্তর্জাতিক মিডিয়া পার্টনার) নাকি বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করবে। তাহলে বুঝুন অবস্থা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বরাহের বাচ্চাগুলো?

শুক্রবারের এই তান্ডলীলা সম্পর্কে তথাকথিত বরেণ্য সাংবাদিক, সম্পাদক (বিএনপি, জামায়াতের ভাষায়) মাহমুদুর রহমান তার 'আমার দেশ' পত্রিকার সহকর্মীদের ইমেইলে লিখেছিলেন -
Dear friend,
we will be success to crush the Shahbagh movement soon by the Grace of Almighty Allah. I request you to stay at home during tomorrow’s JUMA PRAYER (22/02/2013). Our activists are ready to blast bombs during aforesaid Prayer time at many mosque throughout the country including Dhaka and Shahbagh.
Pray for me.”
এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে এক্ষণি ওয়ারেন্ট এনে বেটারে গ্রেফতার করুক সরকার। যে ব্যক্তি কিনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করার প্রসঙ্গ তোলে তাকে হয় ফাঁসী নাহয় পাকিস্তানে প্রেরণ করা উচিত।


আরেকটি বিষয় দেখা উচিত সাধারণ মানুষের। সেটা হলো, আগামীকালকের হরতালে বিএনপি যখন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, তার অর্থ কি এই দাঁড়ায় না যে তারাও শহীদ মিনার ভাঙা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো, মসজিদে হাঙ্গামার সাথে লিপ্ত? তারাও জামাত-শিবিরের মতোই দেশদ্রোহী? জনগণ আশা করি সেটা ভুলবে না নির্বাচনের সময়।

এই আন্দোলনের ফসল হয়ত নিচের কোনো একটা হবে -

১ . আমরা জিতে যেতে পারি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এইবারও পরাজিত হবে। আমি বলতেছি না দেশের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ তখনও গরীব থাকবে। দুর্নীতি থাকবে। মন্ত্রীসভায় আবুলের মতো দেশপ্রেমিক আর মুহিতের মতো মাল থাকবে। ৭২ এ জাসদের বাঞ্চদরা দেশের সাথে যে চূড়ান্ত বেঈমানি করছে, সেরকম একটা গ্রুপও উঠে মাথাচারা দিতে পারে। অবশেষে এই মিথ্যে জয় দিয়ে আমরা কী করবো ( ৭২ এর "এই মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কী করবো"; একই মদ, শুধু বোতলটা নতুন ) নিয়ে অনেকে হা হুতাশও করতে পারে। মোল্লা তখনও থাকবে। ৪২ বছরের জঞ্জাল ৪২ দিনে যাবে না। চোরাগুপ্তা হামলা হবে। শীতকালে রাতের বেলা ধর্মের নামে হাউকাউ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যেই চেতনায় লোকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলো সেটা জীবিত থাকবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার যে মাস্টারপ্ল্যান জামাত করছে সেইটা আরো দু'শ বছর পিছায়ে যাবে। ব্যাপার না, এইবার পুন্দাইতে পারলে দু'শ বছর পরেও পারবো। ছাগলদের একটা ব্যাপার ভালো, পেটে একাডেমিক বিদ্যা থাক না থাক, সব ছাগলই এক। খেয়াল করে দেখবেন ৪২ বছর আগের ম্যাৎকার আর এখনকার ম্যাৎকারের মধ্যে কোন বেসিক ডিফারেন্স নাই। জামাত প্রধান বিরোধী দল হবে, তারা মাঝেমাঝে মাথাচারা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। কিন্তু এই জয় পাবার পর আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে পারবো, সরকারও আমাদের সাহায্য করবে। আপনি বাংলায় কথা বলতে পারবেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন, বাংলা গান গাইতে পারবেন, কপাল ভালো থাকলে নাস্তিকও হতে পারবেন।

২ . সরকার পিছু হটতে পারে। জনগনের কাছে আওয়ামীলীগ চিরদিনের মতো বেঈমান আর কাপুরুষের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। মোল্লারা মাথা উচু করে হাটবে, আমরা মাথা নিচু করে হাটবো। ধর্ম পাঠ্যবই এর পেট মোটা হবে, সমাজ বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ সেকশনটা তুলে নেয়া হবে। স্বাধীন ইসলামী বাংলাদেশের রুপকার গোলাম আজমের জন্মদিনে শিশুদিবস পালিত হবে। বেপর্দা মেয়েদের রেপটেপ করলে কোন কেসটেস হবে না। দেশ সহী মুসলিম কান্ট্রিতে পরিণত হবে, কারন অমুসলিমদের হয় মুসলমানে পরিণত করা হবে, অথবা দেশত্যাগে বাধ্য করা হবে অথবা খুন করা হবে। জামাত রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি প্রধান বিরোধী দল হয়ে থাকবে। চুরি করলে হাত কেটে দেয়া, ধর্ষণে ৪ জন সাক্ষী যোগাড় করে আনাসহ সহী মুসলিম আইন সংসদে পাস হবে। যেদিন দেশে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করা হবে, যেদিন পতাকায় চানতারা যোগ করা হবে, জাতীয় সংগীত বলে কিছু থাকবে না এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠিত হবে সেদিন আমরা হরতাল টরতাল ডাকবো। এবং বলা বাহুল্য হরতাল নির্মমভাবে প্রত্যাখ্যাত হবে। আমরা আস্তে আস্তে আবার পূর্বপাকিস্থান হয়ে যাবো। কিন্তু যেহেতু শেখ মুজিব নাই, তাজউদ্দীন নাই, ওসমানী নাই; সুতরাং সেখান থেকে আর পরিত্রান পাবো না।

In either case, BNP is doomed. Forever.

তাই,  এতোদিন যারা চুপ ছিলেন, এতোদিন যারা মেনে নিয়েছিলেন যে শাহবাগে নাস্তিকরা সমাবেশ করছে, এই আন্দোলন ইসলামকে বাংলাদেশ থেকে হটানোর পাঁয়তারা হচ্ছে, তারা আজ আর চুপ থাকতে পারেন না। কারণ আজ ওরা আপনার দেশের পতাকার উপর হামলা করেছে। আজ ওরা যেই ভাষায় আপনি, আপনার সন্তান কথা বলছে, সেই ভাষা যারা এনে দিয়েছিলো সেই ভাষা শহীদদের স্মরণীতে আঘাত করেছে। আর দেশের প্রতি যদি এতটুকুও মমত্ববোধ না থাকে তাহলে নিজ ধর্মের কথা চিন্তা করুন। ৯০ শতাংশ মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশে ওরা আজ কতটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ হলে আগুন জ্বালায়, ভাঙচুর, বোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে? সামনে হয়ত কোরআন শরীফ পুড়িয়ে সেটার দায়ও দেবে শাহবাগের ব্লগারদের উপর। এতো কিছুর পরেও কি আপনি চুপ করে থাকতে পারেন? আপনার দেশ, আপনার দেশের মা, আপনার ধর্মের প্রতি আপনার কি কোনো দায়িত্ব নেই? কোনো উত্তরদায়ীত্ব নেই কি আপনার?

নইলে কিন্তু ইংরেজদের divide and rule policy-ই আবার ঘটবে। এ নিয়ে একটা গল্প দিয়ে শেষ করলাম -
এটি আমাদের বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদ্রাসা, আল জামি'য়া আল ইসলামিয়া, পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত মহাপরিচালক, আমাদের অনেকেরই উস্তাদ, আল্লামা মুফতী আবুল হালিম বোখারী সাহেব এক বয়ানে আমাদেরকে বলেছিলেন।

একজন কৃষক তার জমিনে আখ চাষ করত। পাশে এক রাস্তা। একদিন দুপুরে পাশে দিয়ে ৩ জন মানুষ যাচ্ছেন। একজন মাওলানা, একজন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত আর একজন সাধারণ বাংলাদেশী মানুষ।
তাদের মধ্যে একজন বলল, এক কাজ করি, পাশে তো কোন দোকানপাট নাই, খাবারের কোন ব্যবস্থাও নেই। আর এই ক্ষেতের মালিককেও দেখা যাচ্ছে না। চলেন, আমরা ৩ জন ৩টা আখ হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। এ সময় হঠাৎ কৃষক এসে হাজির।

দেখল এরা ৩ জন, আর সে একা। সে একা তাদের সাথে পেরে উঠবে না। তখন তার মাথায় খেলল, ইংরেজদের সেই কুখ্যাত divide and rule policy. অর্থাৎ প্রথমে মানুষকে বিভক্ত কর এবং অতঃপর তুমি শাসন কর।

কৃষকটি এসে প্রথমে বাংলাদেশীটাকে ধরল। বলল, উনি মাওলানা সাহেব। উনি আমার হুজুর। সারাদিন কোরআন হাদীস পড়েন। আমার তো উচিত ছিল উনার কাছে গিয়েই আখ দিয়ে আসা। আমি দিতে পারি নাই তাই উনি নিজে এসে আখ নিয়েছেন। উনি আসাতে তো আমার ফসলে বরকতও হয়ছে।

আর উনি হলেন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত। উনি হিন্দুদের গুরু। উনি উনার ধর্ম পালন করেন, পুজা করেন, ভাল কাজ করেন। উনিও মেহেরবানী করে আখ নিয়েছেন, ভালই করেছেন।

কিন্তু তুই বাংলাদেশী কেন আখ নিলি ? তুই তো কোন ভাল কাজ করছ না, সারাদিন আউল ফাউল কাজ নিয়ে পড়ে থাকস। তোর তো কোন অধিকার নেই আমার ক্ষেতের আখ খাওয়ার। এই বলে সে তাকে মারা শুরু করল এবং কুপোকাৎ করল। এদিকে মাওলানা সাহেব আর ব্রাক্ষণ পণ্ডিত চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই ভেবে যে তাদেরকে অন্তত সে কিছু করবে না।

এরপর কৃষক ধরল ব্রাক্ষণ পণ্ডিতকে এবং বলল, উনি মাওলানা সাহেব, আমাদের ইসলাম ধর্মের গুরু, আমার হুজুর । তুই তো আমার ধর্মের কেউ না। তুই কোন সাহসে আমার আখ খেতে আসলি ? এতে ব্রাক্ষণ পণ্ডিত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকেও কৃষক কুপোকাত করে ফেলল। মাওলানা সাহেব এবারও কিছু কইলেন না, ভাবলেন তিনি নিশ্চিত পার পেয়ে যাচ্ছেন।

২ জন শেষ। এবার মাওলানা একা। কৃষক বলল, সাধারণ বাংলাদেশী মাসয়ালা জানে না। সে জন্যই আখ নিছে। ব্রাক্ষণ পণ্ডিতও ইসলামের মাসয়ালা জানে না, এজন্যও সেও আখ নিছে। তুমি তো আলেম, তুমি তো মাসয়ালা জান, কোরআন হাদীস পড়ছ, তুমি কেন আরেকজনের ক্ষেতে এসে আখ খেতে আসছ ! এই বলে সে তাকেও কুপোকাত করল।

মূলত ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এই divide and rule policy টাই প্রয়োগ করেছিল। সর্বপ্রথম মানুষদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দিল এবং একে অপরকে তাদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিল। আর তারা সিংহাসনের গদিতে বসে বসে নিশ্চিন্তে দেশ শাসন করতে লাগল।

আজ দেশের পরিস্থিতি দেখে আমার আবুল হালিম বোখারী হুজুরের সেই বয়ানের কথা মনে পড়ে গেল। কত মানুষ যে কত ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে, দিক বিদিক জ্ঞানশূণ্য হচ্ছে, ঈমান হারা হচ্ছে, তার কোন হিসাব নেই। আর কিছু সুবিধালোভী মানুষ তার সিংহাসনের আরামের গদিতে এসি রুমে বসে এর সুফল ভোগ করছেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমাদের ঈমানী শক্তিকে আরও সতেজ করুন, ঈমানী বল দান করুন এবং সত্যের বিজয় ঘটান। আমিন।

Sunday, January 06, 2013

হিন্দু মেয়েদের মুসলিম আসক্তি: কারণ ও পরিণাম



উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম বিস্তারের প্রধান হাতিয়ার হিন্দু মেয়ে বিবাহছলে-বলে-কৌশলে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা তাদের সকল উদ্দেশ্য সাধনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ারঅতীতে রাজ্যহারা পরাধীন হিন্দুগণ জান-মালের ভয়ে, অস্ত্বিত্ব ও জীবন রক্ষার্থে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হত অথবা নির্যাতন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন বা মৃত্যুকে স্বীকার করে নিতবর্তমানে দ্বিতীয় ঘটনাটার পুনরাবৃত্তি মাঝে মাঝেই ঘটেকিন্তু অবাক হতে হয়, হিন্দু ছেলে-মেয়েরা তাদের নিজেদের ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম কোনটা সম্পর্কেই সুস্পষ্ট ধারণা না রেখেই স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হচ্ছেকি সেই আকর্ষণ আর কেনই বা হিন্দু মেয়েরা মুসলিম ছেলেদের প্রতি এত আকৃষ্ট হচ্ছে?

Saturday, December 13, 2008

Cheating during tests!

Yes! It's not very uncommon in anywhere in the world nowadays. Cheating in tests have become more of a norm now than before. Why would I say this now? Because I just had a Chem final today during which I saw almost "open" cheating which went unnoticed.
So, it was our semester final for Chem. It was taking place in a big auditorium with almost close to 400 students and about 7 to 8 proctors. You can easily imagine how hard it would be for them to watch over all these students at the same time. But it happened.
I was sitting almost to the sixth row from the back. There were two students whom I saw cheating in this (almost easy, but not quite) test. After about an hour or so (of the two-hour exam period), the girl in front of me was exchanging her test booklet with another boy next to her. Since it was all multiple-choice and everyone had different version of the tests (basically the questions are scrambled around), they can't talk much to help each other out. So, they decided to exchange their test booklet and the scantron sheet with each other by falsely showing that they dropped something and pick up each other's exam stuff to work on the other person's exam. I believe the boy was mainly helping the girl as she was saying to him in a low-voice to do certain questions. Even though no one noticed it (as far as I can tell), but when the girl looked around she saw me looking at their actions. She must've felt that "Ooo! if this guy tells the proctors!" I didn't unfortunately. Fortunate for them. Although at one point I wanted to say it, but "who cares?" Concentrate on my own exam.
Anyways. I felt I should confess this hidden truth to someone. And my blog is that path.