Showing posts with label government. Show all posts
Showing posts with label government. Show all posts

Saturday, August 03, 2013

HSC পরীক্ষার্থীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ

এবারের ২০১৩ সালের বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত HSC (Higher Secondary Certification) পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় ফলাফল সর্বোপরি খারাপ হয়েছে। গত বছর যেখানে ৭৮% ছাত্র-ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছিলো সেখানে এবছর সেই পাসের হার ৭৪%। প্রায় তিন হাজার কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী GPA-5 পেয়েছে। 

প্রশ্ন হলো কেন এই ফল বিপর্যয়? কেন তুলনামূলক অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ফলাফল খারাপ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের? 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, লাগাতার হরতাল-সহিংসতা ইত্যাদি থাকার ফলে ছেলে-মেয়েদের মনে স্বাভাবিকভাবেই একটা ভয় বিরাজ করেছে পুরো পরীক্ষার সময়। শুধুমাত্র প্রথম পরীক্ষাই কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচী বাদে পরিচালিত হয়েছে। পরবর্তীতে নয় দিন পরীক্ষা পিছিয়েছে। ফলে ছেলে-মেয়েদের মানসিক যে প্রস্তুতি সেটা বারংবার ব্যাহত হয়েছে। এর দায় বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম এড়াতে পারবে না। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, যেই মহিলা নিজেই HSC পাস করতে পারেননি, তিনি কেন চাইবেন দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা তার চেয়ে বেশী শিক্ষিত হোক।

সে যাই হোক। একদিকে যেমন সরকারী পক্ষ বিরোধীদের দোষারোপ করছে। আবার বিরোধীরা দুষছে সরকারী পক্ষকে। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, সরকারপক্ষ তাদের নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধীদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। সেটার সাথে আবার বিরোধী সমর্থকরা একমতই পোষণ করছে।

আমার আবেদনটা মূলত HSC পরীক্ষার্থী/শিক্ষার্থীদের কাছে। তারা (তোমরা) যে যেই ফলাফল করেছ না কেন বেশীরভাগেরই আশানুরূপ ফলাফল হয়নি। সবাই চেয়েছিল Golden GPA-5 পেতে, কিন্তু ক'জনায় তা পেরেছে? দোষ দাও বিএনপিকে, জামায়াতকে, হেফাজতকে কিংবা আওয়ামী লীগকে, তারা কেউই কিন্তু প্রকৃতভাবে তোমাদের ফলাফলে কোনো মাথাব্যথা করছে না। আজ যদি সরকারীপক্ষ আওয়ামী লীগ না হয়ে বিএনপি হতো এবং এমন হরতাল-অবরোধ-সহিংসতা ঘটতো, তাহলে লোকজন বিরোধীদের দুষত। 

আমার পয়েন্ট হলো, আওয়ামী-বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এরা কেউই প্রকৃতভাবে দেশের আপামত জনসাধারণের ভালো চায় না। ফলে একটা ছেলের ভবিষ্যত যদি নষ্ট হয়ে যায় তাদের হরতাল-অবরোধের কারণে তাতে তাদের কিছুই আসে যায় না। হয়ত সেই পরিবারের লোকজনরা সেই ছেলেটির ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে ছিলো যেন ছেলে ভালো ফল করলে ভালো কাজে ঢুকতে পারবে, সংসারে টানা-পোড়েন থাকবে না। কিংবা হয়ত সেই মেয়েটি যে বাবা-মায়ের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো যে সে যদি পরীক্ষায় পাস করে তাহলে তাকে বিয়ে না দিয়ে আরো পড়াশোনা করাবে বাবা-মা। সেই মেয়েটির স্বপ্ন হয়ত স্বপ্নই রয়ে যাবে। এমন নানা ঘটনাই হয়ত আমাদের অজান্তেই থেকে যাবে। কই এনে দেবে কোনো চাকরী সেই ছেলেটার জন্য যে তার পরিবারের আশার আলো দেখানো স্বপ্ন নিয়ে Golden GPA-5 এর লক্ষ্যে পড়াশোনা করেছিলো? এনে দেবে কোনো সরকারী-বিরোধী কিংবা ইসলামী কোনো দল-গোষ্ঠী? বন্ধ করতে পারবে সেই মেয়েটির বিয়ে যে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ফলে বাবা-মার কাছে মুখ তুলে তাকাতে পারবে না? পারবে কোনো দল-পার্টি এই ক্ষেত্রে কিছু করতে? পারবে যদিওবা, কিন্তু করবে না। করছে না। আজ পর্যন্ত করেনি। ভবিষ্যতেও করবে কিনা সন্দেহ।

মনে যদি শান্তি না থাকে তাহলে দেহে শান্তি মেলে না। আর দেহ-মন দুটোই যদি খারাপ থাকে তাহলে পরীক্ষায় যতই পড়াশোনা, প্রস্তুতি থাকুক না কেন, ফলাফল সচরাচর ভালো হয় না। আমি নিশ্চিত সেটাই ঘটেছে বাংলাদেশে এবারের ২০১৩ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের বেশীরভাগের ক্ষেত্রে।

একটা ছেলের ভবিষ্যত ধ্বংস করতে একটা রাজনৈতিক দলই যথেষ্ট। একটা মেয়ের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করতে একটা সরকারী-বিরোধী পার্টিই যথেষ্ট। কেউ সেই ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত-স্বপ্ন নিয়ে চিন্তা করে না। কমপক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের মতো দেশগুলোর রাজনৈতিক কোনো দল তো নয়ই। 

তাই আমার আহবান, যেসব পরীক্ষার্থীরা খারাপ করেছে, মন মতো ফলাফল করোনি, তারা সামনের নির্বাচন বর্জন করো। বয়কট করো। কি ফলাফল এনে দেবে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যায়? কি সুফল বয়ে আনবে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে? কি লাভ হবে তোমাদের নিজেদের? বরং ক্ষতির পরিমাণটাই বেশী। হয়ত সামনের বার তোমার না হোক, তোমার কোনো ভাই-বোন, কিংবা আত্মীয়-স্বজনের এরকমভাবে ভবিষ্যত স্বপ্ন নষ্ট হবে। 

প্রশ্ন করবে কী হবে আমি একজন বয়কট করলে? তুমি একজনের দেখাদেখি আরেকজন করবে যে নিজেও হয়ত এমন ভুক্তভোগী। আর তাছাড়া, নিজের বিবেকের কাছে তো বলতে পারবে সামনের বার যখন এমন ফলাফল ঘটবে যে, না, আমি ওই স্বার্থান্বেষী মহলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনিনি। কিংবা আমি ওই ক্ষমতালোভীদের বাক্যের জালে পড়িনি।

আমাকে হয়ত অনেকেই ভুল বলবেন। আমি বলাতে কে ভোট দিলো কি না দিলো তাতে কি যায় আসে। যে ক্ষমতায় যাবে, সে ঠিকই যাবে এই ক'জন ভোট দিক আর না দিক। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি নিশ্চিত সেইসব খারাপ ফলাফল করা ছেলে-মেয়েরা মনের দিক থেকে নিশ্চয়ই একটা শান্তি অনুভব করবে।

Saturday, May 11, 2013

এতে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হবে না

এই ছবির ক্যাপশনে যা লেখা ছিলো:
নবীজী বলেছেন-ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।
কথাটা নিজ ধর্ম ও অন্যের ধর্ম উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ভাবতেই খারাপ লাগছে একজন মুসলিম এমন কাজ করতে পারে, "Muslim Brotherhood" শব্দটা উচ্চারণ করতেই এখন থেকে দ্বিধা বোধ হবে...এমন কাজ আমার ভাই করতে পারে না।

মুসলিম ভাইদের বলছি-দেখুন এটাই জামাত-শিবির-হেফাজতের আসল রুপ...তারা কতটা নিচু মনের মানুষ। একবার ভেবে দেখুন কোন হিন্দু যদি নবীজীকে নিয়ে কটুক্তি করতো,তার কোন কাল্পনিক ছবি একে কোন প্রোপাগান্ডা ছড়াতো,আপনি কি করতেন?? নিশ্চয় তাকে খুন করে ফেলতে চাইতেন,সেটাই স্বাভাবিক...নিজের ধর্মের অপমান কেউি সহ্য করতে পারেনা। এখন এই ছবি দেখে কোন হিন্দু যদি কিছু বলে আপনার উত্তর কি হবে?? কেউ যদি এটার প্রতিশোধ নিতে যায় তবে কি হবে???একবার ভেবে দেখুন তারা আমাদের ধর্মকে কিভাবে অন্যের চোখে ছোট করছে?! নবিজীকে নিয়ে বাজে ভিডিও বের হলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করছিলাম,কিন্তু এর প্রতিবাদে কি আমরা শামিল হবো না?এটা কি আমাদের ধর্মের অপমান নয়???আর আপনি যদি আই ছবি দেখে মনে মনে বলেন "ভালোই হইছে/ঠিক আছে" তবে আপনি মুসলিম না। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর,মুসলিম রুপী এই ভন্ডদের হাত থেকে আমাদের ধর্মকে বাচাতেই হবে।

হিন্দু ভাইদের বলছি-প্রথমেই ক্ষমা করবেন এমন পোস্টের জন্য,আপনরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাতে পারেন,কিন্তু এতে কি লাভ হবে জানিনা,হয়তো সরকার উলটো আপনাকেই ধরবে...কিছুই করতে পারবেন না।আমরা দূর থেকে অনেক সান্তনা দিবো,অনেক কথা বল্বো,হয়তো কেউ কেউ প্রতিবাদও করবো কিন্তু কোন কাজ হবেনা এতে...কোনো ধার্মিক এমন কাজ করতে পারে না,দাঙ্গা বাধাতেই তাদের এই প্রচার,তারা চায় আপনারা ক্রুদ্ধ হয়ে কিছু করুন,তারপর তারা আবার আপনাদের উপর জুলুম চালানোর একটা ইস্যু পাক।

যারা এটা করছিস তাদের কিছু বলার নেই...তোদের জন্ম ডাস্টবিনে,তোদের মৃত্যুও সেখানে হবে,মরার পর তোদের স্থানও সেখানে হবে।

পুর্বে এমন অনেক ঘটনা দেখেছি,সামান্য কথা কাটাকাটিতেও গেঞ্জাম বেধে একে অন্যের বিরুদ্ধে পেজ/আইডি খুলে বাজে প্রচার চালাইছে। দয়া করে এসব থেকে বিরত থাকুন।অনেকে এসব পোস্ট দেখলেই ভারতের কথা টানেন,বলেন ভারতে ওরা আমাদের ধর্মকে গালি দেয় তাই আমরাও দিছি। আমি বলি-ভাই ভারত নিয়ে কেনো এতো মাথা ব্যাথা??নিজের দেশ নিয়ে ভাবুন,ওরা কুত্তা হলে আমরাও হবো??যে দেশগুলাতে ধর্মের টানাহিচড়া নেই সেগুলোর কথা তো কখনো বলেন না...আগে নিজে ভালো হন,তারপর অন্যের কথা ভাবুন।

আল্লাহ্‌ এদের ক্ষমা করো,এদের তুমি সঠিক পথ দেখাও।
এখন এ নিয়ে আমি নিজে একজন হিন্দু হয়ে কী আর বলব! শুধু এটুকুই জানি যে, যত কুরুচিপূর্ণ, কটাক্ষপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর, অশ্লীল ছবি, ভিডিওই হোক না কেন, তা যদি হিন্দুধর্মকে নিয়ে করে কমপক্ষে বাংলাদেশে এর জন্য কোনো প্রতিবাদ হবে না। প্রতিবাদ এই অর্থে বোঝাচ্ছি যে, আজ কোনো হিন্দুরা দল-বল, লাঠি-সাটা নিয়ে মুসলিমদের ঘর-বাড়ি জ্বালানো, পোড়ানো, ভাঙচুর করবে না। কোনো হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচী কেউ ঘোষণা করবে না। সেটা হিন্দু কোনো সংগঠন হোক, কিংবা হিন্দুদের পার্টি বলে আখ্যা দেয়া আওয়ামী লীগও করবে না। উল্টো হিন্দু ভোট পেতে বিএনপি বা জাতীয় পার্টিও কিছু করবে না। 

প্রশ্ন হলো, এমনটি তো করছে আমাদের চারপাশের লোকজনরাই। কই সচেতন মুসলিম হিসেবে, পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক'জন মুসলিম এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে? ধর্মীয় অনুভূতি জিনিসটা কি শুধু বিশ্বে মুসলিমদেরই আছে? কিংবা খ্রীষ্টানদের? আজ নবীজীকে নিয়ে কার্টুন প্রচারের ফলে বাংলাদেশে ফেইসবুক, ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে। অথচ এসব ছবির কারণে তো কখনো ফেইসবুক বন্ধ হয় না। এসব ছবি তো শুধু এই একটা না, আরো নানান ফেইসবুক পেইজ, গ্রুপে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর জন্য কি কোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণের কোনো দিক দিয়েও আঘাত লাগে না? নাকি তারা ধরেই নিয়েছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতি বলে কিছু নেই?

নবীজী তো একজন মানুষ ছিলেন। আর এখানে যাকে রূপায়ন করা হয়েছে তিনি তো একজন দেবী যার স্থাণ কোনো ধর্মীয় গুরু, যাজক, পন্ডিত বা ধর্মপ্রবক্তার চেয়ে বড়। তাহলে সেই স্থাণের কাউকে নিয়ে কটুক্তি বা এমন ছবি তৈরি করে ফেইসবুকে প্রচার সেটাতে বুঝি কারো কিছু লাগে না? 

আমি ধন্যবাদ দিতে চাই Voice of 71 - ৭১ এর কন্ঠ পেইজের সমন্বয়ককে। তিনি বা তারা কমপক্ষে বিষয়টি প্রচার করে মানুষের চিন্তা-চেতনা যে কতটা নীচ, কুৎসিত হতে পারে তার উদাহরণ স্বরূপ এটি প্রকাশ করেছেন। তারা বোঝাতে চেয়েছেন জামায়াত-এ-ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের মতো গ্রুপ কতখানি হীনমস্তিষ্কধারী হলে এমন ছবি প্রকাশ করে। আসলে এদের মতো সমন্বয়করা আছেন বলেই হয়ত ৯০ শতাংশেরও বেশী মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে হিন্দুরা কোনো মতে টিকে আছে।

Monday, May 06, 2013

Investigation of late Ruma Rani Das case by BDMW


Ms. Ruma Rani Das (15) was a student of standard six. Her father’s name is Purno Robi Das (45) and Mother’s name is Maloti Rani Das. She was the first daughter of her parents. They used to live in the village of Danga Bazar, Police Station- Polashpur, District- Norshingdi since many years. However, due to financial crisis they sold their land and shifted to the village of Volavo, Police Station- Rupganj, District- Narayanganj one and half years back. After coming here, Md. Dalim, son of Shiraj Compani started teasing victim Ms. Ruma Rani in indecent way. When victim’s mother Ms. Maloti came to know about the fact, she tried to coax her daughter but she failed to do so and Ms. Ruma rani did fall in love with perpetrator Dalim. After knowing their love affair, parents of Ms. Ruma Rani Das decided to shift the place and eventually they shifted to the village of Konabari, Gajipur District and asked to Ms. Shundari Rani Das (70), mother of Purno Robi Das to reside in their present house. On 30.09.11 at afternoon Ms. Ruma rani Das went to visit the abode of Abul kader, son of late Tukka Mishri who is her father’s friend at Volavo. After that the following day on 01.10.11 (Saturday) at afternoon she went to see her grandmother to their house at Volavo. At this time Perpetrator Md. Dalim and his Friends Md. Rafiqul Islam and Md. Shamim Mia silently entered into bedroom of Ms. Ruma Rani Das and raped her and hanged her to death. Soon after the incident took place the members of destitute families did not dare to file a case as they were threatened by perpetrators. After that on 03.10.11 Mr. Purno Robi Das lodged First Information Report (FIR) at Volavo Police Station being Case No. 06 dated 03.10.2011 under Section 9(1) of the Nari-O-Shisu Nirzatan Daman Ain, 2000 (as amended 2003) against the perpetrators on the direction of the police. Type of Violation: Violation against personal Integrity and right to life ; Date of occurrence: 1st of October, 2011 Date of investigation: 28th of October, 2011 Place of occurrence: Within the bedroom of the victim of Volavo of Rupganj P.S. Narayanganj District, Bangladesh. The incident of gang rape has been published in the Daily “Sangbad” and “Ittefaq” dated 3 October 2011. Name of the victim: Ms. Ruma Rani Das (15) Religion: Hindu Name of the Perpetrators: 1. Md. Dalim (22), son of late Shiraj Compani 2. Md. Rafiqul Islam (23), son of Shahajahan Mia 3. Md. Shamim Mia (25), son of Majnu Mia, all of village Volavo of Rupgonj Police station, Narayangonj District.
Ruma Rani Das's mother holding her daughter's photo in rememberance

A crying mother of Ruma Rani Das


Supporting documents:
FIR 1
FIR 2
FIR 3
Daily Ittefaq report


(Source)

Thursday, May 02, 2013

বাংলাদেশে ‘শ্রম দাস’ প্রথার নিন্দায় পোপ


সাভারে গত সপ্তাহে রানা প্লাজা ধসে কয়েকশ’ মানুষ নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ-পরিস্থিতিকে শ্রম দাস প্রথার সঙ্গে তুলনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

রানা প্লাজার ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা ৪শ’ ছাড়িয়েছে।ওই প্লাজায় কয়েকটি পোশাক তৈরির কারখানা ছিল।

বুধবার মে দিবস পালনকালে ভ্যাটিকানের বাসভবনে সমবেত দর্শনার্থীদের পোপ বলেন, ঢাকার বহু শ্রমিকই মাসে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার বেতন পায় এমন শিরোনামের খবর দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।

‘একেই শ্রম দাস প্রথা বলা যায়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পোপের উদ্ধৃতি দিয়ে ভ্যাটিকান বেতার এ খবর দিয়েছে।

“সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সৃজনশীলতা, কাজ করা এবং সম্মনিত হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আজ এ ধরনের দাসত্ব চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে,” বলেন পোপ।

মে দিবসে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব আর কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সাভারের ঘটনায় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পোপ বলেন, “কতজন ভাই-বোনকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে!

তিনি আরো বলেন, “সঠিকভাবে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না, চাকরি জুটছে না। কারণ, আপনারা শুধু লাভের দিকটা দেখছেন।এ ধরনের কর্মকান্ড সৃষ্টিকর্তারই বিরুদ্ধাচরণ করা।”

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে নির্বাচিত পোপ ফ্রান্সিস দরিদ্রদের পক্ষে এক সরব ও বলিষ্ঠ কণ্ঠ।তার দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় তিনি গরিবদের পক্ষেই সোচ্চার হয়েছিলেন।

মার্চে নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চকে গরিবদের পাশে দাঁড়ানোরই আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

মে দিবসে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের ভাষণে ৭৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ‘স্বার্থপর লাভ’ এর পথ পরিহার করে বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানান।

“আমি শ্রম বাজার নতুন করে ঢেলে সাজানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাচ্ছি”, বলেন তিনি।


(সংগৃহীত

Tuesday, April 23, 2013

মাহমুদুর রহমানের আমলনামা দেখতে কেমন হবে? চেষ্টা করা যাক...


একজন ইঞ্জিনিয়ার

বৈবাহিক সূত্রে মুন্নু সিরামিকে ইঞ্জিনিয়ারের চাকুরি করেন।

আলাদিনের চেরাগ পেলেন- বিএনপি সরকারের আমলে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন।

পরে হলেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

জাতীয় সম্পদ কয়লা নামমাত্র দামে টাটা কোম্পানির কাছে বেচতে চাইলেন। ফুলবাড়ি- বড় পুকুরিয়াবাসী প্রতিরোধ করেলন।

ভুল জ্বালানি নীতির কারণে দেশ জুড়ে জ্বালানি সংকট।

সেই মহাজাগতিক কোটেশন- "তেল সংকট নিয়ে মিডিয়ার অপপ্রচার রাষ্ট্রবিরোধী"।

অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।

উইকিলিকসে তার বিষয়ে তথ্য প্রকাশ

উত্তরা কেলেঙ্কারি

সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ছড়াই ‘দৈনিক আমার দেশ’-এর পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক

২০১০-এ আদালত অবমাননার কারণে জেলে- আদালত তাকে বলে, ‘চান্স এডিটর’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের মামলা

স্কাইপ কেলেঙ্কারি

নিজ কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ

গণজাগরণ মঞ্চের কঠোর সমালোচনা, বিভ্রান্তিকর উপস্থাপন।

ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মাঝে নাস্তিকতার নামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো।

গ্রেফতার-রিমান্ড

এই নাহলে বর্ণাঢ্য চরিত্র? বাংলাদেশে কজন আছে এমন নাটকীয়তা পূর্ণ মানুষ?
গায়ে একাডেমিক সার্টিফিকেট , জ্বালানি উপদেষ্টার পদের গৌরব , একজন টেকনোক্র্যাট, সুলেখকের আড়ালে তিনি একজন উচ্চাভিলাষী, চতুর ও ধূর্ত প্রকৃতির ব্যক্তি।

এই ধরণের চরিত্র সব সময় ভয়ংকর। উপরের তালিকাত তার কর্মকাণ্ডের অতি সামান্য ও চুম্বক অংশই আছে।
এদের শত্রু হলে আপনার ভয় পেতেই হবে।

(Courtesy - Mahbub Rashid)

Monday, April 22, 2013

স্বদেশপ্রেমী এক মালাউন

-বাবা! এনেছ তো?
-আজ তো দোকান বন্ধ বাবা, হরতাল!
-কে বলেছে দোকান বন্ধ? সামিনকে দেখলাম কিট-ক্যাট খেতে!
-সামিনের বাবা হয়ত কাল কিনে রেখেছে।
-তুমি কেন কিনে রাখোনি?
-তুমি তো আমাকে আগে বলোনি বাবা!

ছেলেটা অস্ফুট স্বরে কি একটা বলে চলে যায় বারান্দায়। চোখের কোণে একটু জল উঁকি দেয়। আর বাবার বেরিয়ে আসে চাপা দীর্ঘশ্বাস। কিন্তু কে বলবে বাবার কথার সবটুকু ছিল মিথ্যা? কার দেখার সময় আছে যে বাবা অভাবের কারণে ছেলেটাকে বোকা বানিয়ে রেখেছে আজ কয়েকদিন। হরতালের অজুহাতে অফিস খুলছে না। বেতনটাও আটকে গেছে। আটকে গেছে বলাটা ভুল! তিনি কেরাণী বলে তার বেতনের দিকে কারো খেয়াল নেই। বড় ছেলের কোচিংয়ের বেতন এ মাসেও বাকি পড়ে গেল...
কষ্টে-সৃষ্টে একটা রুমে বাবা-মা, দুই ছেলে থেকে, আরেকটা রুম সাবলেট দিয়েছে, অভাবটা যাতে একটু কমে! কিন্তু সব বৃথা চেষ্টা! অভাব যায়না! তার উপর বাড়িওয়ালার নোটিশ এ মাস থেকে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। চোখে সর্ষেফুল-ই শুধু দেখা যায়! আবার নতুন জ্বালা হয়েছে শ্বশুর বাড়ির দাওয়াত। কিছু একটা না নিয়ে গেলে যে মান সম্মান বাঁচে না। মাসের মাত্র ১০ তারিখ। কীভাবে চলবে আর ২০ টা দিন?

সামনে আবার পহেলা বৈশাখ! বড় ছেলে বায়না ধরবে নতুন পাঞ্জাবির। বউ চাইবে ইলিশ মাছ। এগুলো না দিয়ে কি করে তাকাবেন তাদের চেহারার দিকে?

কড়া রোদ উপেক্ষা করে বের হয়ে গেলেন সুজিত বাবু। কিছু একটা কাজ করে আজকের দিনের বাজারটা জোগাড় করতে হবে। পাড়ার হেকমত ভাইয়ের কাছ থেকে রিকশা নিলেন একটা। মুখে রুমাল বেঁধে সেই রিকশা নিয়ে বারিধারা গেলেন একটু বেশি ভাড়া পাবার আশায়! এক বড় সাহেবকে উঠিয়ে কিছুদূর চালিয়ে নেবার পর হঠাৎ করেই রিক্সা থামিয়ে দিল পুলিশ! "লুঙ্গি পরে বের হয়েছেন যে তিনি!!" এটা ছোটলোকের পোশাক! এখানে মানায় না...

বড় সাহেব দাঁত মুখ খিঁচিয়ে নেমে গেলেন রিক্সা থেকে। একটা পয়সাও দিলেন না... হতাশ হয়ে দেখলেন এক প্যান্ট পরিহিত রিক্সাওয়ালার রিক্সায় উঠে যেতে... রিক্সাটা যতক্ষণ দেখা যায় ততক্ষণ চেয়ে থাকলেন। এবার চিন্তা পল্টনের দিকে যাবেন। ওদিকে সাধারণ মানুষ বেশি।

কাকরাইল মোড়ে কিছু পাঞ্জাবি পরা মানুষ দেখি রিক্সা থামাচ্ছে!

-ওই খালি যাবি?
-কই যাবেন?
-বনশ্রী!
-নাহ যামু না!
-ক্যান যাবি না?
-এমনি!
-সমিস্যা কি তোর? ওই কাদের এদিকে আয় তো! এই হালারে ধর!!!

-কিরে কিচ্ছে তোর? না গেলে কলেমা পড়তে হইব! নাইলে ছাড়া পাবি না! কলেমা পড়!

বুক প্রচুর কাঁপছে। সাথে তীব্র তৃষ্ণা। মুসলমানদের ভালো জানতেন তিনি। এ কোন মুসলমান? দেশে কি হচ্ছে এসব? রঞ্জিত বাবু কোলকাতা যাবার সময় বলে গেছেন, "সুজিত দাদা, এদেশ ৪৭-এর পরের সময়ে ফিরে গেছে। আমার সাথে চলুন। এখানে থাকলে যেকোন সময় মরবেন!"

-কিরে কলেমা পড়স না ক্যান?
-আমি হিন্দু!
-ওই মালাউন পাইছি রে! ধর!!!

এরপর শুধু ভেসে আসে অবিরত লাঠির আঘাতের শব্দ। চাপা আর্তনাদ।

আর তিনি গহীন অন্ধকারে ডুবে যেতে যেতে বলেন, বাবা সুদীপ, বাবা সুব্রত! আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা! এদেশে তোদের জন্ম দিয়ে আমি ভুল করেছি। বউ, তুমি ছেলে দুটোর খেয়াল রেখো। পারলে এদেশ ছেড়ে চলে যাও! দেশকে অনেক ভালোবেসেছিলাম। দেশ আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। এখানে আর না! আমি চললাম....

(Courtesy - Rkz Shuvo)

Sunday, April 21, 2013

একটা ছেলের গল্প বলবো

একটা ছেলের গল্প বলবো। যার চোখে স্বপ্ন ছিলো। প্রচন্ড পড়ুয়া একটি ছেলে'র গল্প। পরিচয় প্রথম টিএসসি তে। বোকা ছেলে টা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ১ ঘন্টাই আমার সাথে গল্প করলো। আমি বললাম একটা সিগারেট....ওমা চিকন হ্যাংলা পাতলা ছেলেটা ধুম করে দৌড়ে একটা সিগারেট নিয়ে জ্বালিয়ে চা-টা খাইয়ে অস্থির। বাসায় এসে ওর প্রোফাইল টা একবার ঘাটলাম। ভারি ভারি সব গল্প, উপন্যাস এর কোটেশন। ঢাকা ভার্সিটির বাংলা বিভাগে পড়ে। সেইরকম বইপত্র তার পড়া। মাথা পুরা নষ্ট। হুমায়ুন আজাদের চরম ভক্ত, পেজ টা টা আমাকে ইনভাইটেশন পাঠালো। নিয়মিত ওর আপডেট দেখতাম। মাঝে মধ্যেই নক করতো- “সেলিব্রটি, কেমন আছেন” আমি রেগে যেতাম-“ আমি সেলিব্রিটি না.... হ্যান ত্যান” ওর সাথে পুরোপুরি মেশা উত্তাল শাহবাগে। একসাথে বসতাম স্লোগান দিয়ে জাকিরের দোকানে। আমি, মহামান্য কহেন,আনিস রায়হান, মিতু আপু, ফোড়িং ক্যামেলিয়া আর ও। হ্যা, আন্দাজ করে নিয়েছেন বোধহয় এই প্রচন্ড চুপচাপ ছেলেটির নাম, সুব্রত শুভ। তার ভেতর কোন উগ্রতা ছিলোনা, কখোন আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি সে আমি আস্তিক না নাস্তিক। ওর সব কাজ গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে আমি দেখেছি। ওর স্টাটাস দেখবেন
“আজ যখন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম তখন খবর শুনলাম জামাত-শিবির আমার দেশের জাতীয় পতাকা পোড়াচ্ছে!!!তারা কী এই বাঙলাদেশ চেয়েছিল? প্রিয়ভাষিণীরা আমাদের ক্ষমা করুন। আমরা আপনারদের সম্মান রাখতে পারি নি।"

কাজ করেছে জামাত বিরোধী, যুদ্ধাপরাধ নিয়ে। নাস্তিকতা কি আর ধর্মান্ধতা কিংবা ধর্মাদ্বেষ কি তা বুঝিয়েছে লেখা দিয়ে। কোথাও তো ওর ধর্মীয় উষ্কানীমূলক লেখা নেই যাতে আমার আস্তিক মনে লাগবে। কোন দিন আমার সাথে ধর্ম নিয়ে তর্ক পর্যন্ত করেনি সে। তার আসল অপরাধ টা কোথায়, ঠিক ধরতে পারি না। যেদিন সুব্রত কে উপস্থিত করা হল মিডিয়ার সামনে, এক কোনা ভিজে গিয়েছিলো সেদিন। কাকে ধরে নিয়ে গেলা তোমরা, এ কি করেছে ? এই শান্ত শিষ্ট ছেলে টা কিসের বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। তবুও ধৈর্য ধরে ছিলাম।গতকাল তাদের জামিনের শুনানী ছিলো। অনেক খবরের ভেতর থেকে বের করতে হয়েছিলো, তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। হুমম, পরে হিসাব টা মেলালাম, ঠিকই আছে। তাদের জামিন হবে কিভাবে, ওরা প্রচন্ড ক্ষমতাশালী কেউ নয়। ওদের অঢেল টাকা নেই। পেছনে প্রচন্ড ক্ষমতার আস্ফালন নেই। অসহায় সুব্রত হয়তো গতকাল আশায় ছিলো, জামিন হয়ে যাবে। কিন্তু......নাহ।

লেখা টা আমার বিবেকের থেকে লেখা, একজন বন্ধুর জন্য লেখা, একজন ছোট ভাইয়ের জন্য লেখা। গুটিকয়েক মানুষ তার পাশে আছে, একজন ছোটাছুটি করছে আইনজীবী দের কাছে, একজন টাকা জোগাড় করছে। আমরা আস্তে আস্তে তাদের কথা ভুলে যাচ্ছি। মনে হলো, সুব্রত দের ভুলতে দেয়া যায় না। সুব্রত শুভ দের তোমরা ৪০ বছর পর কিংবদন্তি বলবে, তার আগে আমি বলবো তার পাশে দাড়িয়ে আমি ছিলাম।

পরিশেষে একটা ঘটনা, হাংরি জেনেরেশনের কবি মরয় রায় চৌধুরী একটি কবিতা রেখেন ৬০ এর দশকে, নাম "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার।" অশ্লীলতা এবং রাষ্র্রদ্রোহীতার অপরাধে মাজায় দড়ি বেধে কবি মলয় রায় চৌধুরী কে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিপক্ষে সাক্ষি দেন শক্তি চট্টপোধ্যায়, মুচলেকা দিয়ে অনেক কবি কানে ধরেন আর মলয়ের সাথে মিশবেন না। কিন্তু কবি মলয়ের পক্ষে সেদিন সাক্ষি দিয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপধ্যায়, তিনি কবিতা টি পড়ে বলেছিলেন – “ না এতে কোন অশ্লীলতা নেই, কবিতা কখনো অশ্লীল হয় না ” ......মলয় রায় চৌধুরী আজ কিংবদন্তি, সুনীল আজ কিংবদন্তি। ৪৫ বছর পর কবিতাটি এম ফিল ও পি এইচ ডি গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে ।

আমি সিডাটিভ হিপনোটিক্স, আমি ক্ষমতাবান দের নয় দূর্বলের হাত টা ধরতে ভালোবাসি। পথের পাশে পড়ে থাকা দলা মোচড়া করা কাগজ টাই আমাকে বেশী টানে। আজ হয়তো অনেকে গালি দেবেন নীচে, ব্যাটা নাস্তিকের হয়ে কথা বলছিস। তুই নিজেও নাস্তিক। শুনে যাবো, তবুও আমি দাড়াবো সুব্রত শুভ দের পাশে, রাসেল রহমান দের পাশে। যাদের তোমরা আজ ত্যাজ্য করলে, সিডাটিভ তাদের আপন হিসেবে কাছে টেনে নিলো। দিতে পারেন এই সিডাটিভ কে গালি, সমস্যা নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে এই সমাজ অনেক আগেই। আর কয়েকটা গালি ? এ আর এমন কি......তুবও আওয়াজ তুলবো। একাই....

পুনশ্চ: সুব্রত শুভ’র একটি স্টাটাস-

“ব্লগার মাত্রই নাস্তিক নয়, টুপি মানেই জামাত নয়
নাস্তিক দেখলে জবাই নয়, ধার্মিক দেখলে ঘৃণা নয়।"
সুব্রত শুভ -ফেব্রুয়ারী ২৪,২০১৩

(Courtesy - Sedative Hypnotics)

Saturday, April 20, 2013

তবুও তো বেঁচে আছি


"সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় ফিরেছে বাবা ... তার ক্লান্ত চোখের দিকে তাকিয়ে ছেলের রাগত স্বরের প্রশ্ন, "মাসের ১তারিখ !! নেটের বিল কি দিবা নানাকি ??"

বাবা কোন কথা বলে না ... মা কে বলে, "শার্টটা একটু সেলাই করে দিও, ছিড়ে গেছে !!"

মা বলে, "এইটা তো পুরাই নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন একটা কিনো প্লিজ !!"

বাবা দীর্ঘশ্বাস আড়াল করে বলে, "না না !! এটাই সেলাই করে চলবে !!"

উত্তরের আশায় ছেলে তখনও দাঁড়িয়ে ছিলো ... বাবা তাকে বলতে গিয়েও বলতে পারে না,"চালের দাম কেজিতে আরো ৫ টাকাবাড়ছে ... আমি কিভাবে টাকা দিবো, কি খাবো, কিভাবে চলবো, কিভাবে সংসার চালাবো, বাবা??"

সারাদিন সুলভ মূল্যে চাল কিনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লান্ত বাবা মাথা ব্যথার জন্য একটু চা চায় ... দীর্ঘশ্বাস আড়াল করে মা বলে,"ক্লান্ত হয়ে আসছো, ঘুমাও এখন... চা খেলে ঘুম হবে না ... তোমারঘুম দরকার !!"

বাবা-মা দুজনেই বুঝতে পারে তাদের মাঝে ঘটে যাওয়া এই ছোট্ট নাটকটার সংলাপের মর্ম... দু'দিন ধরেই চিনি নেই ঘরে ... চা হবে কী করে ??

বাবা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যায়... মা রান্নাঘরে কাজ করতে থাকে ... এভাবেই দিন চলে যায় !!

ঘরের বড় ছেলেটাকে কেউ চাকরি দেয় না ... বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করেই চলছিলো এতদিন... এখন বাবার পকেটও ফাঁকা থাকে ... ছোট বোনের বিয়ে সামনের মাসে ... উপায় না পেয়ে লোকাল বাসে উঠে পকেট মারে ছেলেটা !!

রুদ্ধশ্বাসে দৌড়াতে দৌড়াতে একটা টিভির দোকানের সামনে জিরাতে থাকে ছেলেটা ... রাতের খবর হচ্ছে ... মাননীয় মন্ত্রী বলছেন, "৪০০০ কোটি টাকা কোন টাকা না, দেশের অবস্থা এখন অনেক ভালো !!"

প্রচন্ড আক্রোশে ইট ছুড়ে মারে টিভির দিকে ... আবারো দৌড়াতে থাকে সে ... সামনে অনেক মানুষ জড় হয়ে আছে ... কাল হরতাল... বাসে আগুন দিয়েছে জানি কারা ... ৩ জন অগ্নিদগ্ধ ... এদেরমধ্যে একজন তার ছোটবোন, টিউশনি করিয়ে বাড়ি ফিরছিলো !!

হাসপাতালে নেয়ার পরের দিন মৃত্যু হয় বোনের ... ঝাপসা চোখে হাসপাতালের টিভির দিকে তাকায় ছেলেটা ... এক দলের নেত্রী বলছেন, "জনগণ হরতাল মেনে নিয়েছে, সফল করেছে !!" ... আরেক দলের নেত্রী বলছেন,"মানুষ এ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশের মানুষ সুখে আছে!!"

আমি জানি না এরপর ছেলেটার কেমন অনুভূতি হয়েছিলো ... আমি জানি না কতটুকু ঘৃণায়, কতটুকুকষ্টে, কতটুকু অসহায়তায় ছেলেটার ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিলো !!

একটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলে ছেলেটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতো না... চাইতো, "আমাদের দেশের সব রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীকে কয়েকমাসের জন্য এরকম একটা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য বানিয়ে দাও!!"

তবুও দিন শেষে বেঁচে আছি, এই তো জরুরি খবর !!"

(Courtesy: Mushfiqur Rahman Ashique)

Friday, April 19, 2013

গোলাম আযমের ১৯৭১ সালের কিছু কুকর্মের প্রমাণ


১৯৭১ সালে রাজাকার গোলাম আযমের দেওয়া বিবৃতিসহ শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনীর বিবৃতির মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিয়মিত প্রকাশ করেছে জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা। সেখান থেকে সংকলিত কিছু বিবৃতি তুলে ধরা হলো।

৮ এপ্রিল ১৯৭১
একাত্তরে জামায়াত ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মওলানা নুরজ্জামান ও জামায়াতের অন্যতম নেতা গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আযম বলেন, ‘ভারত পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। ভারতীয় বা পাকিস্তান বিরোধী এজেন্টদের বা অনুপ্রবেশকারী যেখানেই যাবে, সেখানেই পূর্ব পাকিস্তানের দেশ প্রেমিকরা তাদের নির্মূল করবে।’

৯ এপ্রিল ১৯৭১
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তনে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে ভারত প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশপ্রেমের মূলে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশ এ প্রদেশের মুসলমানদের কাজেই আসবে না।’

১০ এপ্রিল ১৯৭১
ইসলামীর ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে এই দিন বলা হয়, ‘দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারীদরে হাত থেকে পূণ্য ভূমি পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য ছাত্র সংঘের প্রতিটি কর্মী তাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যাবে। হিন্দুস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্তের দাঁতভাঙা জবাব দেবার জন্য ছাত্র সংঘ কর্মীরা সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

১২ এপ্রিল ১৯৭১, বায়তুল মোকাররম, বাংলাদেশ
গোলাম আজমের নেতৃতের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মিছিল বিরোধী বের হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে। মিছিলে বহন করা পোস্টার, ফেস্টুনে লেখা ছিলো "দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ।" "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।" "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর।" "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।" মিছিলে পাকিস্তানের জন্য মুনাজাতও করেন গোলাম আজম।

১৩ মে ১৯৭১
ইসলামী ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের বর্তমান দুরবস্থার জন্য ছাত্রসমাজকে দায়ী করা হয়। অথচ ছাত্র সংঘের কর্মীরাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন ও (পাকিস্তান) সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বেশি তত্পর। ছাত্রনামধারী ভারতের সাম্রাজ্যবাদের যে সমস্ত চর তথকথিত “বাংলাদেশ”-প্রচারণা চালিয়েছিল তারা ছাত্র সমাজের কলঙ্ক। তাদের জন্য সমুদয় ছাত্র সমাজকে দায়ী করা ঠিক নয়।’

১৭ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম তার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা এখনও তাদের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত করা। পূর্ব পাকিস্তানের এমন নিভৃত অঞ্চল রয়েছে যেখানে দুষ্কৃতকারীরা জনগণকে পাকিস্তান রেডিও শুনতে দেয় না।’

১৯ জুন ১৯৭১, লাহোর, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইহায়িহা খানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "কেবলমাত্র দেশপ্রেমিক জনগনের সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা যেতে পারে। (এ দেশপ্রেমিকরাই রাজাকার, আল বদর, আস শামস)

২০ জুন ১৯৭১
গোলাম আযম লাহোরের বিমানবন্দরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে অধিক সংখ্যক অমুসলমানদের সহায়তায় শেখ মুজিবুর রহমানের হয়তো বিচ্ছিন্নতার ইচ্ছা থাকতে পারে।...অবশ্য তার ছয় দফা স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলতে পারত।...সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় সকল দুষ্কৃতকারীদের উত্খাত করেছে এবং বর্তমানে এমন কোন শক্তি নাই যা সেনাবাহিনীর প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।’

২২ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম আযমের এক সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানরা ইসলামকে কখনও পরিত্যাগ করতে পারে না। এ কারণে তারা পাকিস্তানকেও ত্যাগ করতে পারবে না। পূর্ব পাকিস্তান ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দুষ্কৃতিকারী ও রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেন।

২৩ জুন ১৯৭১
এক কর্মিসভায় গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানিরা সর্বদাই পশ্চিম পাকিস্তানি ভাইদের সাথে একত্রে বাস করবে।...নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছয় দফা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। যেসব দল খোলাখুলিভাবে বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন শুরু করেছিল এবং স্বাধীন বাংলা গঠনের জন্য জনতাকে উত্তেজিত করেছিল সেসব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’

৩ আগস্ট
এই দিনে মাদ্রাসা শিক্ষা সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের যুদ্ধ নয়, আদর্শিক যুদ্ধ। আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই দেশকে বাঁচিকে রাখার জন্য যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
এ ছাড়া ২৫ মার্চের বর্বরোচিত হামলা সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘২৫ মার্চের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা ছিল এদেশের মাটি রক্ষার জন্য।’

২৬ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
রাজাকারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যদি তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তুলে দেয়া হয়, তাহলে তারা দুষ্কৃতিকারীদেরকে নিজেরাই খতম করে দিতে পারবে।

২৭ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
গোলাম আজম পাকিস্তান সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা দুষ্কৃতিকারী বিচ্ছিন্নবাদীদের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে সহযোগিতা করছি।

১ লা ডিসেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে ৭০ মিনিট বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে গোলাম আজম বলেন, "এদেরকে ধ্বংস করার জন্য রাজাকার বাহিনীই যথেষ্ট।"

Tuesday, April 16, 2013

'মূর্তি' ও "মূর্তি পুজা"

আমাদের মহানবী (সা.) কাবা শরিফের ৩৬০টি মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেয়ালের সব ফ্রেসকো নষ্ট করার কথাও তিনি বললেন। হঠাৎ তাঁর দৃষ্টি পড়ল কাবার মাঝখানের একটি স্তম্ভে। যেখানে বাইজেন্টাইন যুগের মাদার মেরির একটি অপূর্ব ছবি আঁকা। নবীজী (সা.) সেখানে হাত রাখলেন এবং বললেন, ‘এই ছবিটা তোমরা নষ্ট কোরো না।’ কাজটি তিনি করলেন সৌন্দর্যের প্রতি তাঁর অসীম মমতা থেকে। মহানবীর (সা.) ইন্তেকালের পরেও ৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ খলিফাদের যুগে কাবা শরিফের মতো পবিত্র স্থানে এই ছবি ছিল, এতে কাবা শরিফের পবিত্রতা ও শালীনতা ক্ষুণ্ন হয়নি। মহানবীর (সা.) প্রথম জীবনীকার ইবনে ইসহাকের (আরব ইতিহাসবিদ, জন্ন: ৭০৪ খৃষ্টাব্দ মদিনা, মৃত্যু: ৭৬৭ খৃষ্টাব্দ বাগদাদ) লেখা দি লাইফ অব মোহাম্মদ গ্রন্থ থেকে ঘটনাটি বললাম। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত বইটি অনুবাদ করেছেন আলফ্রেড গিয়োম (প্রকাশকাল ২০০৬, পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৫২)। আমরা সবাই জানি, হজরত আয়েশা (রা.) নয় বছর বয়সে নবীজীর (সা.) সহধর্মিণী হন। তিনি পুতুল নিয়ে খেলতেন। নবীজীর তাতে কোনো আপত্তি ছিল না, বরং তিনিও মজা পেতেন এবং কৌতুহল প্রদর্শন করতেন। (মুহাম্মদ আলী আল-সাবুনী, রাওযাইউল বয়ন, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৩) ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে হজরত ওমর (রা.) জেরুজালেম জয় করেন। প্রাণীর ছবিসহ একটি ধুপদানি তাঁর হাতে আসে। তিনি সেটি মসজিদ-ই-নব্বীতে ব্যবহারের জন্য আদেশ দেন। (আব্দুল বাছির, ‘ইসলাম ও ভাস্কর্য শিল্প: বিরোধ ও সমন্বয়’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ পত্রিকা, জুলাই ২০০৫ জুন ২০০৬) পারস্যের কবি শেখ সাদীকে কি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু আছে? উনি হচ্ছেন সেই মানুষ যার ‘নাত’ এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মিলাদে সব সময় পাঠ করে থাকেন। ‘বালাগাল উলা বি কামালিহি কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি…’ মাদ্রাসার উত্তেজিত বালকেরা শুনলে হয়তো মন খারাপ করবে যে, শেখ সাদীর মাজারের সামনেই তার একটি মর্মর পাথরের ভাস্কর্য আছে। সেখানকার মাদ্রাসার ছাত্ররা তা ভাঙেনি। ইসলামের দুজন মহান সুফিসাধক, যাঁদের বাস ছিল পারস্যে (বর্তমান ইরান) এঁদের একজনের নাম জালালুদ্দীন রুমি। অন্যজন ফরিদউদ্দীন আত্তার (নিশাপুর)। তাঁর মাজারের সামনেও তাঁর আবক্ষমূর্তি আছে। (বরফ ও বিপ্লবের দেশে, ড. আবদুস সবুর খান, সহকারী অধ্যাপক, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।) কঠিন ইসলামিক দেশের একটির নাম লিবিয়া। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে বিশাল একটা মসজিদ আছে। মসজিদের সামনেই গ্রিকদের তৈরি একটি মূর্তি স্বমহিমায় শোভা পাচ্ছে। সেখানকার মাদ্রাসার ছাত্ররা মূর্তিটা ভেঙে ফেলেনি। আফগানিস্তানের তালেবানরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি (যা ছিল বিশ্ব-ঐতিহ্যের অংশ) ভেঙে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা ভাঙছি সাঁইজির মূর্তি। যাঁর জীবনের সাধনাই ছিল আল্লাহর অনুসন্ধান।

ভাষ্কর্যের কিছু নমুনা: 

(সংগৃহীত)

Monday, April 15, 2013

নতুন বাংলা নববর্ষের এই দিনে এমন প্রতিজ্ঞাই হোক সবার


 
প্লিজ সবাই লিখাটি সম্পূর্ণ পড়বেন ...... যদি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একটু বদলাতে চান , আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই জীবন বদলে যাবে ......বদলাবে সমাজ ...... আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ... থাকবে না বৈষম্য ...দূর হবে ভেদাভেদ ...

নববর্ষের প্রথম দিনটা বাসায় বসে অলস ভাবেই পার করছিলাম, হটাৎ জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হলাম বিকালে, ভালবাসা দিবস নাকি পহেলা বৈশাখ ঠিক বুঝতে পারলাম না । পার্থক্য শুধু ভালবাসা দিবসে কপোত-কপতিরাই বের হয় আর এই দিন পরিবারের সবাই ... গালে আঁকা রঙ বেরঙের ট্যাটু , বড়ই সৌন্দর্য ... ভালই লাগছিলো মানুষের আনন্দ দেখে ... ঠিক তখন প্রায় ৭০ বৎসরের এক বদ্ধ মহিলা আমাকে এসে বলল বাবা আমি সারা দিন কিছু খাইনাই , অনেক খিদা লাগছে তখন অনেক কষ্ট পাইলাম ...তখন নিজের দায়াবধ্যতা থেকে তাকে নিয়ে গেলাম ফার্মগেইট প্লাজা হোটেল এ … মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে ভাত খাওালাম মাংস দিয়ে পেট ভরে ………তাতে আমি বৎসরের প্রথম দিন যে আনন্দ পেলাম আমার মনে হয় লাল পাঞ্জাবি কিংবা থ্রি-পিস পড়ে কেও এতো আনন্দ পায় নাই, আমরা সবাই যদি আজ সবাই রিকশায় না ঘুরে কিংবা একটা বাঁশি না কিনে কিংবা ৫০০ টাকা দিয়ে পান্তা না খেয়ে একজন ক্ষুধারত মানুষ কে খওয়াতাম তাহলে আজকের দিন অন্তত বাংলায় কোন মানুষ অনাহারে থাকতো না …… আমরা যারা facebook ব্যবহার করি তারা সকলেই কিন্ত প্রতি মাসে অন্তত ১ বেলা গরিব মানুষকে খাওাবার ক্ষমতা রাখি । আসুন আজ থেকে আমরা শপথ করি মাসে অন্তত একদিন ওদের পেট ভরে খাওয়াবো...... ভাই কতো টাকাই তো আমরা অযথা মোবাইল কিংবা সিগারেট পান করে নষ্ট করি...... নিচ্ছয়ই আল্লাহ্‌ ইচ্ছে করলে আমাদেরকেও ওদের মত গরিব করে দিতে পারেন।।
 
(লেখক - Ahteramul Haque)

Saturday, April 13, 2013

ছাগু


ভূমিকা: এই মহাবিশ্বে ছাগু অতীব হাস্যকর ও বিনোদনময়ী প্রানী হিসেবে বিবেচিত।ইহা দেখিতে হুবুহু মনুষ্য প্রজাতির মত হইলেও এদের মস্তিষ্ক ছাগলের চেয়েও অকেজো।এরা এই মহাবিশ্বে নির্জীবতার এক অনন্য উদাহরন।



পেশা: ইহাদের পেশা ধর্মকে বেচিয়া নিজেদর ভূড়ি বানানো।নিজেদের ধর্মপ্রান বলিয়া দাবি করলেও ধর্মের ব্যাপারে এরা ছাগলের মত কিঞ্চিৎ জ্ঞানও মস্তিষ্কে ধারন করে না।



চেনার উপায়:মুখ দর্শন করিয়া ছাগু চিনিবার কোন যন্ত্র আজও বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করিতে পারে নাই।তবে কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করিয়া এদের চিন্নিত করা দুধ-ভাতের মতই সহজ।নিম্নে তাহা পয়েন্ট আকারে দেখানো হইল।



১.ছাগুপাল রাস্তায় হাটিতে হাটিতে হঠাৎ হিস্টোরিয়া নামক কঠিন রোগে আক্রান্ত হইয়া পড়ে এবং বাস,ট্রাক,সি.এন.জির কাঁচ ভাঙিতে থাকে।



২.ফেসবুকে তাহারা জুম্মাবার সুন্দর সুন্দর ধর্মীয় বয়ান দিলেও সপ্তাহের অন্যান্য দিন সানি লিওনের স্বল্প বসনা ছবি আপলোড করিয়া লাইক ও মন্তব্য আশা করে।



৩.পুলিশের সাথে এদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতই মিলন ও বিরহে পরিপূর্ন।প্রথমত তারা রজনীগন্ধা ফুল দিয়া তাদের ভালোবাসা জানায়।অত:পর অশান্তি বাড়িলে এরা ইট-পাটকেল ছুড়িয়া ছাগলামি করে।



৪.এরা ছবি এডিট করিয়া জনগনকে দারুনভাবে বিনুদিত করিয়া থাকে।কিন্তু তারা এই কার্যে বড়ই অপারদর্শী।তাদের এডিটেড ছবি দেখিলে তিন বছরের শিশুও হাসি থামাইতে পারে না।



৫.এরা বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের দিন “আফ্রিদী মেরী মি” কিংবা “আই লাবু পাকিস্তান” ধাচের প্লেকার্ড বহন করিয়া থাকে।..পাকিস্তান হারিয়া গেলে এরা তিন দিন শোকে দানা-পানি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে।



৬.এরা বিশ্বজিৎ হত্যা,সাগর-রুনী হত্যা,পদ্মা সেতুর দুর্নীতি,হল-মার্ক কেলেংকারীর বিচার চায় কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা শুনিলে এদের মেশিন নিস্তেজ হইয়া আসে,গায়ে ফোস্কা পড়ে এবং স্পর্শকাতর জায়গায় খাইজ্জানি বৃদ্ধি পায়।



রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য: যেদিকে বৃষ্টি পড়ে ছাগুরা সেইদিকেই ছাতা ধরিয়া থাকে।এরা ভিজিতে চায় না।কারন ভিজিলে এদের অবয়ব বর্ষাকালে মুরগির পশ্চাৎদেশের মতই রূপ ধারন করিয়া থাকে।



খাদ্য: বাঁশ ছাগুদের অতিব প্রিয় খাদ্যসমূহের একটি বলিলে অতুক্তি হবে না।বড়,ছোট,মাঝারী সব ধরনের বাঁশই তাহাদের খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত।এছাড়ও কচি ঘাসের প্রতি এদের আকর্ষন অতি তীব্র। কচি ঘাস না খাইতে দিলে এরা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেয় কিন্তু বেত্রাঘাতের ভয়ে ভীত হইয়া গৃহে বসিয়া MTV এবং 9Xn দর্শন করে।



উপকারিতা:বাংলাদেশে ছাগুরা বিনোদনের এক বিরাট উৎস।তাহাদের কথা-বার্তা, এডিটেড ছবি,মন্তব্য ও প্রশ্ন মানুষকে চরমভাবে বিনোদন দিয়ে থাকে।মাঝে মাঝে সপ্তাহের ছুটির দিনেও হরতাল ডাকিয়া তারা মানুষকে হাসায়।এক কথায় তাদর প্রতিটি কর্মকান্ডই বিনোদনময়।



অপকারিতা:বিনোদনময় প্রানী হইলেও এরা অতীব নিমকহারাম।এরা বাংলাদেশে থকিয়াও সারাদিন পাকিস্তান..পাকিস্তান বলিয়া গলা ফাটায় আর রাজাকারদের সাফাই গায়।এর ফলে মানুষ এখন খালি তাদের গদাম দেয়।



ভবিষ্যত: ছাগুদের ভবিষ্যত তাদের গুরু সাঈদীর মেশিনের মতই নিস্তেজ ও নির্জীব।তাই ছাগুরা এখন “ oil your own machine” মন্ত্রে দীক্ষিত গা বাঁচাইতে চায়।



উপসংহার:ছাগুরা বিনোদনী হইলেও তাদের ছাগুমার্কা পোস্ট জাতীয় জীবনের অন্তরায়।তাই ৭১ এর রাজকারের সাথে সাথে ছাগুমুক্ত দেশ গড়াই আজ জাতীয় শপথ।

(কৃতজ্ঞতায় - সীমান্ত চৌধুরি)


Friday, April 12, 2013

জামায়াত-এ-ইসলামী (এক ছোট্ট ইতিহাস)



১৯৭৯- ঢাকায় একটা কনভেনশনের মাধ্যমে “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ” গঠিত হয়। গোপনে গোলাম আজমকে আমীর করে আব্বাস আলী খানকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৮০- প্রথমবারের মত বায়তুল মোকারমের সামনে জামাতের সভা হয়। প্রকাশ্যে এটাই তাদের প্রথম সম্মেলন।

১৯৮১- জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন “একাত্ততে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি। একাত্তরে বাংলাদেশ কনসেপ্ট ঠিক ছিলোনা”

১৯৮২- রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ যায়গা গুলোতে জামাত দ্রুত প্রবেশ করতে থাকে। কাদের মোল্লা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

১৯৮৩- দলের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে ব্যাস্ত থাকে দলটি।

১৯৮৪- জামাতের সাবেক আমির মাওলানা আবদুর রহিম জামাত ছেড়ে ইসলামী ঐক্য (জোট) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

১৯৮৫- এরশাদ সরকারের সাথে দলটার সখ্যতা গড়ে উঠে। কাদের মোল্লা ঢাকা মহানগর আমির নির্বাচিত হয়।

১৯৮৬- এরশাদ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ১০ টা আসন পায়।

১৯৮৭- সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়।

১৯৮৮- অনেকদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর জামাতের ছাত্র সংঘঠন শিবির নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের ট্রেডমার্ক রগ কাটার রাজনীতি শুরু করে।

১৯৮৯- তৎপর হয়ে উঠে জামাত। সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে থাকে।

১৯৯০- এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। টিভিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃরা বক্তৃতা বিবৃতি দেন । জামাতের নেতারাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে টিভিতে আসেন! সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

১৯৯১- নির্বাচনে রেকর্ড ১৮ টি আসনে জিতে নেয় ! কুলুষিত হয় মহান জাতীয় সংসদ । বিএনপি সরকারের সাথে আপোষে এত আসন পায়। নাগরিকত্বহীন গোলাম আজমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত আমির ঘোষনা করে।

১৯৯২- বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা জামাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলন করে গণহারে রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌচাতে চেষ্টা করে। একই বছর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি গঠিত হয়। গোলাম আজমকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করা হয়।

১৯৯৩- গণাদালতের কারনে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। নিজামী কাদেরমোল্লা সাইদী কামরুজ্জামান আব্দুল আলীম সহ আট জনকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করে।

১৯৯৪- সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে গোলাম আজম জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ফিরে পান ।

১৯৯৫- ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলেও এবছর জামাত প্রথমবারের মত একদিন হরতাল দেয়।

১৯৯৬- সালে জামাত এবং আওয়ামীলীগ তত্ববধাক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। একসাথে আন্দোলন করেছেন, তবে রাজনৈতিক জোট হিসেবে নয়। নির্বাচনে জামাত একাই লড়েছিল।

১৯৯৭- রাজনীতিতে জামাত শিকড় গেড়ে ফেলেছে। শিবির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল, সাইদী ব্যাপক ভাবে ওয়াজ নসিহত শুরু করেন।

১৯৯৮- বিএনপির সাথে মতৈক্যে আসে দলটি।

১৯৯৯- বিএনপির সাথে ৪ দলীয় জোট গঠন করে । পায়ের নিচে শক্ত মাটি পায়। দেশের মানুষ চুড়ান্ত হতাশ হয়।

২০০০- জামায়াত রাজনৈতিক হাইওয়েতে উঠে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেন গোলাম আজম। দলের নতুন আমীর হন মতিউর রহমান নিজামী।

২০০১- নির্বাচনে ১৮ টি আসন লাভ করে। এরপর ঘটে জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। দলের শীর্ষ দুই নেতা নিজামী এবং মুজাহীদ মন্ত্রিত্ব লাভ করে! গাড়িতে উড়ায় জাতীয় পতাকা !!

২০০২- শিকড় বাকড় ছড়াতে থাকে একেবারে ক্ষমতায় থেকে। নেতারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বক্তৃতা বিবৃতি দেন !!

২০০৩- সাইদী ওয়াজ নসিহত চলতে থাকে ।
২০০৪- শুরু করে জঙ্গী তৎপরতা। জঙ্গী দলগুলোর সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক । জামাতের আমন্ত্রনে পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর শীর্যস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে আসেন। তারা শিরিরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন।

২০০৫- নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানী বলে টাটার ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামী (উইকিলিকস)

২০০৬- জামাতের তান্ডবময় একটা বছর।

২০০৭- নতুন প্রজন্ম জমাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে থাকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ২৫ অক্টোবর মিডিয়ায় কাদের মোল্লা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছেন নারী এবং সম্পত্তির লোভে ! দেশ ক্ষোবে ফেটে পড়ে।

২০০৮- নির্বাচনে জামতের লেজেগোবরে অবস্থা। শুধুমাত্র যুদ্ধপরাধীদের বিচার হবে এজন্য তরুন প্রজন্মের ভোটে আওয়ামীলীগের বিপুল ব্যাবধানে জয়লাভ।

২০০৯- মহান জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
২০১০- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়। গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা। জনগন আশাবাদী হয়।

২০১১- দেশ বিদেশে ট্রাইবুনালের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকে। একই সাথে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে চলতে থাকে আন্তর্জাতিক লবিং ।

২০১২- দেশপ্রেমকে পুঁজি করে সীমিত সামর্থ নিয়ে চলতে থাকে বিচার কার্যক্রম। চলতে থাকে দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ।

২০১৩- অবশেষে বাচ্চু রাজাকারের রায় দেওয়ার মাধ্যমে ৪২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে।

লেখার শুরুতেই বলছিলাম এই লেখায় মওদূদীর ৩ টা ফতোয়া ব্যাবহার করবো। দুইটা শুরুতেই দিয়েছিলাম। অন্যটা শেষে দিচ্ছি-

“সময়ে সময়ে মিথ্যা বলা শুধু জায়েজই নয় বরং অবশ্য কর্তব্য” – আবুল আলা মওদূদী, তরজমানুল কোরআন, মে ১৯৫৮

(সংগ্রহে: বোহেমিয়ান টিউন)

Thursday, April 11, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (অষ্টম/শেষ পর্ব) [২০০৪ এর পর]

সাইবার যুদ্ধ থেকে প্রকাশিত জন্মলগ্ন থেকে জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ানের আজ শেষ পর্ব পোস্ট করছি। এই খতিয়ান খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে পোস্ট করা হয়েছে, তাতেই ৮ পর্ব লেগেছে ( ভন্ডামির মাত্রা অনুমেয়)। ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত লেখা দিতে পারব বলে আশা রাখছি। আমাদের সাথেই থাকুন। 


২০০৫- নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানী বলে টাটার ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামী (উইকিলিকস)
২০০৬- জামাতের তান্ডবময় একটা বছর।
২০০৭- নতুন প্রজন্ম জামাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে থাকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ২৫ অক্টোবর মিডিয়ায় কাদের মোল্লা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছেন নারী এবং সম্পত্তির লোভে ! দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
২০০৮- নির্বাচনে জামাতের লেজেগোবরে অবস্থা। শুধুমাত্র যুদ্ধপরাধীদের বিচার হবে এজন্য তরুন প্রজন্মের ভোটে আওয়ামীলীগের বিপুল ব্যাবধানে জয়লাভ।
২০০৯- মহান জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
২০১০- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়। গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা। জনগন আশাবাদী হয়।
২০১১- দেশ বিদেশে ট্রাইবুনালের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকে। একই সাথে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে চলতে থাকে আন্তর্জাতিক লবিং ।
২০১২- দেশপ্রেমকে পুঁজি করে সীমিত সামর্থ নিয়ে চলতে থাকে বিচার কার্যক্রম। চলতে থাকে দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ।
২০১৩- অবশেষে বাচ্চু রাজাকারের রায় দেওয়ার মাধ্যমে ৪২ বছরের অপেক্ষার অবসান পর্ব শুরু হয়।

লেখার শুরুতেই বলছিলাম এই লেখায় মওদূদীর ৩ টা ফতোয়া ব্যাবহার করবো। দুইটা শুরুতেই দিয়েছিলাম। অন্যটা শেষে দিচ্ছি-
“সময়ে সময়ে মিথ্যা বলা শুধু জায়েজই নয় বরং অবশ্য কর্তব্য” – আবুল আলা মওদূদী, তরজমানুল কোরআন, মে ১৯৫৮।


(সংগৃহীত)

Wednesday, April 10, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (সপ্তম পর্ব) [১৯৯০ এর পর]

১৯৯১- নির্বাচনে রেকর্ড ১৮ টি আসনে জিতে নেয় ! কুলুষিত হয় মহান জাতীয় সংসদ । বিএনপি সরকারের সাথে আপোষে এত আসন পায়। নাগরিকত্বহীন গোলাম আজমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত আমির ঘোষনা করে।
১৯৯২- বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা জামাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলন করে গণহারে রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌচাতে চেষ্টা করে। একই বছর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি গঠিত হয়। গোলাম আজমকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করা হয়।
১৯৯৩- গণাদালতের কারনে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। নিজামী কাদেরমোল্লা সাইদী কামরুজ্জামান আব্দুল আলীম সহ আট জনকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করে।
১৯৯৪- সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে গোলাম আজম জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ফিরে পান ।
১৯৯৫- ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলেও এবছর জামাত প্রথমবারের মত একদিন হরতাল দেয়।
১৯৯৬- সালে জামাত এবং আওয়ামীলীগ তত্ববধাক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। একসাথে আন্দোলন করেছেন, তবে রাজনৈতিক জোট হিসেবে নয়। নির্বাচনে জামাত একাই লড়েছিল।
১৯৯৭- রাজনীতিতে জামাত শিকড় গেড়ে ফেলেছে। শিবির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল, সাইদী ব্যাপক ভাবে ওয়াজ নসিহত শুরু করেন।
১৯৯৮- বিএনপির সাথে মতৈক্যে আসে দলটি।
১৯৯৯- বিএনপির সাথে ৪ দলীয় জোট গঠন করে । পায়ের নিচে শক্ত মাটি পায়। দেশের মানুষ চুড়ান্ত হতাশ হয়।
২০০০- জামায়াত রাজনৈতিক হাইওয়েতে উঠে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেন গোলাম আজম। দলের নতুন আমীর হন মতিউর রহমান নিজামী।
২০০১- নির্বাচনে ১৮ টি আসন লাভ করে। এরপর ঘটে জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। দলের শীর্ষ দুই নেতা নিজামী এবং মুজাহীদ মন্ত্রিত্ব লাভ করে! গাড়িতে উড়ায় জাতীয় পতাকা !!
২০০২- শিকড় বাকড় ছড়াতে থাকে একেবারে ক্ষমতায় থেকে। নেতারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বক্তৃতা বিবৃতি দেন !!
২০০৩- সাইদী ওয়াজ নসিহত চলতে থাকে ।
২০০৪- শুরু করে জঙ্গী তৎপরতা। জঙ্গী দলগুলোর সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক । জামাতের আমন্ত্রনে পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর শীর্যস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে আসেন। তারা শিরিরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন।


(সংগৃহীত)

Tuesday, April 09, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (ষষ্ঠ পর্ব) [১৯৭৮ এর পর]

১৯৭৯- ঢাকায় একটা কনভেনশনের মাধ্যমে “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ” গঠিত হয়। গোপনে গোলাম আজমকে আমীর করে আব্বাস আলী খানকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১৯৮০- প্রথমবারের মত বায়তুল মোকারমের সামনে জামাতের সভা হয়। প্রকাশ্যে এটাই তাদের প্রথম সম্মেলন।
১৯৮১- জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন “একাত্ততে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি। একাত্তরে বাংলাদেশ কনসেপ্ট ঠিক ছিলোনা”
১৯৮২- রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ যায়গা গুলোতে জামাত দ্রুত প্রবেশ করতে থাকে। কাদের মোল্লা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
১৯৮৩- দলের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে ব্যাস্ত থাকে দলটি।
১৯৮৪- জামাতের সাবেক আমির মাওলানা আবদুর রহিম জামাত ছেড়ে ইসলামী ঐক্য (জোট) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৮৫- এরশাদ সরকারের সাথে দলটার সখ্যতা গড়ে উঠে। কাদের মোল্লা ঢাকা মহানগর আমির নির্বাচিত হয়।
১৯৮৬- এরশাদ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ১০ টা আসন পায়।
১৯৮৭- সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়।
১৯৮৮- অনেকদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর জামাতের ছাত্র সংঘঠন শিবির নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের ট্রেডমার্ক রগ কাটার রাজনীতি শুরু করে।
১৯৮৯- তৎপর হয়ে উঠে জামাত। সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে থাকে।
১৯৯০- এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। টিভিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃরা বক্তৃতা বিবৃতি দেন । জামাতের নেতারাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে টিভিতে আসেন! সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।


(সংগৃহীত)

Monday, April 08, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (পঞ্চম পর্ব) [১৯৭১ এর পর]

১৯৭২- গোলাম আজমের উদ্যোগে পাকিস্তানে পালিত হয় “পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার সপ্তাহ” এরপর লন্ডন গিয়ে সেখানে “পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটি ” নামে একটা কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি বাংলাদেশকে উদ্ধার করে আবার পূর্ব পাকিস্তান করার সর্বাত্নক চেষ্টা চালায়। ডিসেম্বরে সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে অংশ নিয়ে সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে, এবং যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষের সহায়তায় কোনো প্রকার আর্থিক সাহায্য না দিতে আহবান জানান।
১৯৭৩- সরকারী এক আদেশে ৪৩ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় । এর একজন গোলাম আজম । গোলাম আজম মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো সফর শুরু করেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে এবং পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারে সহায়তা চান। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটির সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারের বিষয়ে বক্তৃতা দেন।
১৯৭৪- মাহমুদ আলী সহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটির বৈঠক হয় । মক্কায় অনুষ্ঠিত রাবেতায়ে ইসলামীর সম্মেলনে বাংলাদেশ উদ্ধার নিয়ে বক্তৃতা দেন।
১৯৭৫- একাত্তর সালের পর আত্নগোপনে চলে যাওয়া জামাত নেতারা আস্তে আস্তে দেশে ফিরতে শুরু করে । কুখ্যাত যুদ্ধপরাধী শাহ আজিজুর রহমান দেশে ফিরেন । পরে তিনি বিএনপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৭৬- সরকার এক প্রেসনোটে নাগরিক্ত্ব ফেরত পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের আবেদন জানাতে বলেন। গোলাম আজম সাথে সাথে আবেদন করেন এবং প্রত্যাখাত হয়।
১৯৭৭- গোলাম আজম আবারো নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এবং প্রত্যাখ্যাত হয় ।
১৯৭৮- গোলাম আজম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে কোনো ভিসা ছাড়াই ১১ জুলাই ঢাকা আসেন । মায়ের অসুস্থতার জন্য মানবিক কারনে তাকে ৩ মাসের অনুমতি দেওয়া হয় । এরপর ৭৮ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন ।


(সংগৃহীত)

Saturday, April 06, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (তৃতীয় পর্ব) [১৯৫৪ এর পর]

১৯৫৫- ১৯৪৭ সালে গঠিত “জামায়াত ই তালেবর” নাম পরিবর্তন করে “ইসলামী ছাত্রসংঘ” নামে আত্নপ্রকাশ করে। মাওলানা আবদুর রহীম পূর্ব পাকিস্তানের আমির নির্বাচিত হন (পরে তিনি জামাতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেন)
১৯৫৬- পূর্ব পাকিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে ইসলামী ছাত্রসংঘ।
১৯৫৭- সালে গোলাম আজমকে পূর্ব পাকিস্তান জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল নিজুক্ত করা হয় । আমির ছিলেন মাওলানা আবদুর রহিম ।
১৯৫৮- আইয়ুব খান জামায়াতে ইসলামী সহ সকল দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে । ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এই ফরমান বলবৎ ছিল।
১৯৬২- মুসলিম পারিবার আইন বিরোধীতা কারেন। শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
১৯৬৩- মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ।
১৯৬৪- ৪ জানুয়ারী জামাতের সকল কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় । *নিষিদ্ধ হয় জামায়াত । মওদুদী সহ ৬০ জন জামাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয় । যার ভিতর গোলাম আজম একজন । অক্টোবরেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় ।
১৯৬৫- নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহর পরাজয় ঘটলে দল কোনঠাসা হয়ে পড়ে।
১৯৬৬- শেখ মুজিবের ৬ দফার বিরোধীতা করে। এই দফাগুলোকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে অখ্যায়িত করে ।
১৯৬৭- শেখ মুজিবের ৬ দফার ভিত্তিতে যখন পূর্ব পাকিস্তানে প্রবল গণ আন্দোলন শুরু হয়, তখন জামাত ৫ দফা নামে আরেকটা আন্দোলন শুরু করে গণ আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করে ।
(সংগৃহীত)

Friday, April 05, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (দ্বিতীয় পর্ব) [১৯৪৭ এর পর]

১৯৪৯- পাকিস্তান সরকার আগে বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত জামাতের “ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা” গ্রহণ করে । পরে পাকিস্তান জামাত প্রভাবিত সংবিধান প্রণয়ন করে ।
১৯৫০- পরের বছর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা । মওদূদী জেল থেকে মুক্তি পান ।
১৯৫১- পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভরাডুবি ।
১৯৫২- গোলাম আজম ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন । পরে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক সংবর্ধণা সভায় তিনি বলেন “উর্দূ পাক-ভারত উপমহাদেশের মানুষের সাধারণ ভাষা। ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া তার মারাত্নক ভুল ছিলো। বাংলা ভাষা আন্দোলন মোটেও সঠিক কাজ হয়নি। তিনি এজন্য দুঃখিত” সূত্র : দৈনিক আজাদ ২০ জুন ১৯৭০/ সাপ্তাহিক গণশক্তি ২১ জুন ১৯৭০/ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ডঃ মোহাম্মদ হান্নান, পৃঃ ৩৯৯
১৯৫৩- ১৮ জানুয়ারী মওদূদী করাচীতে কাদিয়ানী তথা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ফতোয়া দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেন । এবং “রাষ্ট্রের সকল পদ থেকে কাদিয়ানীদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য” সরকারের কাছে দাবী পেশ এবং আন্দোলন করেন । “কাদিয়ানী সমস্যা” নামে একটা বই লিখেও কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম প্রমাণের চেষ্টা করেন । এবং তার মতবাদ নিয়ে ব্যাপক প্রচারনা চালান । এতে সৃষ্ট সাম্পদায়িক দাঙ্গায় কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় । মওদুদী দোষী প্রমানিত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় । পরে মৃত্যুদন্ড প্রত্যাহার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় । এবং কিছুদিনের ভিতর তাও প্রত্যাহার করা হয় ।
১৯৫৪- গোলাম আজম জামাতে যোগ দেন । প্রথম দিকে পূর্বপাকিস্তানে জামতের অবস্থান মজবুত না থাকলেও, গোলাম আজম যোগ দেওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানে দল চাঙ্গা হয়ে উঠে ।
(সংগৃহীত)

Thursday, April 04, 2013

জামাতে ইসলামীর ভন্ডামির খতিয়ান (প্রথম পর্ব)

প্রিয় সহযোদ্ধারা, আমরা আপনাদের সামনে এই লেখার মাধ্যমে জামাতে ইসলামের কুকির্তী ও ভণ্ডামির ইতিহাস ও তথ্য তুলে ধরব। লেখাটি অনেক বড়, তাই পর্যায়ক্রমে এটা আমরা আপনাদের কাছে প্রকাশ করব। আজ দিলাম প্রথম পর্ব।
প্রথম পর্বঃ
জামায়াতে ইসলামী নামক দলটা গঠিত হয় ১৯৪১ সালে । গত ৭২ বছরে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস শুধুই ভন্ডামীর ইতিহাস । দলের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল আলা মওদূদীর (জন্ম ভারতের আওরঙ্গবাদে, বর্তমান হায়দারাবাদ, মহারাষ্ট্র) ব্যাক্তিগত দর্শনই এই দলটার রাজনৈতিক দর্শন । এই লেখায় মওদূদীর তিনটা ফতোয়া ব্যাবহার করছি । দুইটা লেখার শুরুতে দিচ্ছি, অন্যটা একেবারে শেষে । মাঝখানে ইতিহাস ।
# “গণতন্ত্র বিষাক্ত দুধের মাখনের মত” – মওদূদী, সিয়াসি কসমকস, তৃতীয় খন্ড, পৃঃ ১৭৭
# “গণতন্ত্রএর মাধ্যমে কোনো সংসদ নির্বাচনে পার্থী হওয়া ইসলাম অনুযায়ী হারাম” - রাসায়েল ও মাসায়েল । লেখক মওদূদী । প্রথম সংঙ্করণ, পৃষ্ঠা ৪৫০
১৯৪১- এ বছরের ২৬ আগস্ট লাহোরে “জামায়াতে ইসলামী হিন্দ” নামে দলটা গঠিত হয় । ভারতবর্ষের কম্যুনিস্ট বিরোধী শক্তি হিসেবে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীদের আশ্রয়ে এই দলটির জন্ম । এখনো ব্রিটিশদের সাথে দলটির সম্পর্ক গভীর । জন্মের সাথে সাথে এরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধীতা করতে থাকে । মওদূদী ফতোয়া দেন পাকিস্তান রাষ্ট প্রতিষ্ঠার দাবী করা সবাই, মুসলীম লীগ, জিন্নাহ এরা কেউই “খাটি মুসলিম” না । মাথায় রাখেন ৭১ সালেও গণ হত্যার সময় “খাটি মুসলিম” তত্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ।
১৯৪২- লাহোর থেকে হেডকোয়ার্টার ভারতের পাঠানকোটে স্থানান্তর ।
১৯৪৩- মাসিক “তরজমানুল কোরআন” ম্যাগাজিনের মাধ্যমে নিজেদের মতবাদ প্রচার করতে থাকে। এই ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় মওদূদী পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে লিখেন, পাকিস্তান নামক কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হলে সেটা “আহাম্মকের বেহেশত” এবং “মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র” হবে। *পাকিস্তানের স্বাধীনতার সরাসরি বিরোধীতা করে দলটি।
১৯৪৪- দল দ্রুত সংঘঠিত হতে থাকে । দ্রুত বাড়তে থাকে সদস্য সংখ্যা ।
১৯৪৫- অবিভক্ত ভারতে সর্বপ্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় ।
১৯৪৬- কয়েকজন আলেমকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়।
১৯৪৭- দেশভাগের সাথে সাথে লাহোরে প্রধাণ কার্যালয় স্থানান্তর । অথচ এর আগে পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট গঠনের চরম বিরোধীতা করে। পাকিস্তানে যাওয়ার পর পাকিস্তানের কাশ্মীরের জন্য আন্দোলন করাকে হারাম ঘোষণা দেয়।
১৯৪৮- ইসলামী সংবিধান ও ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করে। এর পর পাকিস্তান সরকার জননিরাপত্তা আইনে মওদূদীকে কারাবন্দী করে। *এ বছর পূর্বপাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) জামাতের কার্যক্রম শুরু হয়।
(সংগৃহীত)