Showing posts with label information. Show all posts
Showing posts with label information. Show all posts

Tuesday, October 28, 2014

Awesome B_O_M_B_A_Y!


Bombay has no bombs and is a harbour not a bay.
Churchgate has neither a church nor a gate. It is a railway station .
There is no darkness in Andheri.
... Lalbaag is neither red nor a garden .
No king ever stayed at Kings Circle .
Nor did Queen Victoria stay at Victoria Terminus.
Nor is there any princess at Princess Street .
Lower Parel is at the same level as Parel.
There are no marines or sailors ⚓at Marine Lines.
The Mahalaxmi temple is at Haji Ali not at Mahalaxmi.
Teen bati is a junction of 3 roads, not three lamps .
Trams used to terminate at Kings circle not Dadar*TramTerminus. (Dadar T.T..).
Breach Candy is not a sweetmeat market, but there is a Hospital .
There are no Iron smiths at Lohar chawl.
There are no pot makers at Kumbhar wada.
Lokhandwala complex is not an Iron and steel market .
Null bazaar does not sell faucets.
You will not find lady fingers at Bheendi Bazar.
Funny 😇Bombay... zara hatke zara bachke yeh hai Bombay meri Jaan


(collected)

Monday, May 26, 2014

Zakir Naik exposed


He needed to be exposed. We are happy that finally someone did. In just 5 minutes, 25 mistakes.

Friday, February 28, 2014

মহাদেবের ১০৮ নাম (কাব্যরীতি)

মহাদেবের ১০৮ নাম (সুমেরু পর্বতে মহাকাল শিব দেবী পার্বতী কে নিয়ে ভ্রমণে গেছিলেন । সেখানে তিনি নারদ মুনি ও অনান্য ঋষি মুনি দের কাছে নিজের ১০৮ নাম বর্ণিত করেন)

Friday, December 27, 2013

শত কৌরবের নাম


আমরা পঞ্চপান্ডবদের নাম জানি, কিন্তু ১০০জন কৌরব দের নাম কয়জন জানি? দুষ্ট হলেও তাদের নাম গুলো জানার ইচ্ছা আমাদের অনেকের। তাই আপনাদের জন্য লিখলাম :-


Thursday, August 15, 2013

An Awesome Autowala


Annadurai owns an Auto Rickshaw(similar to Taxi) in Chennai City Tamil Nadu, India. Similar to the other Auto-drivers he also does the same thing but What makes his auto from other Auto's is he provides a lot of things inside the Auto for the passengers/customers .

Thursday, August 01, 2013

বাংলা মাসের নাম যেভাবে এলো

খ্রীষ্টাব্দের মত বঙ্গাব্দেও ৩৬৫ দিনে বছর হয়। কিন্তু পৃথিবী তো সূর্যের চারিদিকে ঘুরতে ৩৬৫ দিনের থেকে একটু বেশি সময় নেয়। ঐ বেশি সময়টুকু যোগ করে চার বছর বাদে একবার করে লিপ ইয়ার হয়। সেই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ দিন হয়, তাহলে?

প্রথমদিকে বাংলা পঞ্জিকা ঐ বেশি সময়ের হিসাব রাখত না। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হয়। এই মতে, বৈশাখ থেকে ভাদ্র, প্রতি মাস হয় ৩১ দিনে। আশ্বিন থেকে চৈত্র, প্রতি মাস হয় ৩০ দিনে। চার বছর পরে পরে চৈত্র মাসে ৩১ দিন হয়।

৭. বঙ্গাব্দের বারো মাসের নামকরণ করা হযেছে নক্ষত্রমন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । এই নাম সমূহ গৃহীত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ "সূর্যসিদ্ধান্ত" থেকে।বাংলা মাসের এই নামগুলি হচ্ছে -
• বৈশাখ - বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• জ্যৈষ্ঠ - জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আষাঢ় - উত্তর ও পূর্ব আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• শ্রাবণ - শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ভাদ্র -উত্তর ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আশ্বিন - অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• কার্তিক - কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) - মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• পৌষ - পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• মাঘ - মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ফাল্গুন - উত্তর ও পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• চৈত্র - চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে

৮. বাংলা সন অন্যান্য সনের মতোই সাত দিনকে গ্রহণ করেছে এবং এ দিনের নামগুলো অন্যান্য সনের মতোই তারকামন্ডলীর উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে।
• সোমবার হচ্ছে সোম বা শিব দেবতার নাম অনুসারে কারো মতে চাঁদের নাম অনুসারে
• মঙ্গলবার হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের নাম অনুসারে
• বুধবার হচ্ছে বুধ গ্রহের নাম অনুসারে
• বৃহস্পতিবার হচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহের নাম অনুসারে
• শুক্রবার হচ্ছে শুক্র গ্রহের নাম অনুসারে
• শনিবার হচ্ছে শনি গ্রহের নাম অনুসারে
• রবিবার হচ্ছে রবি বা সূর্য দেবতার নাম অনুসারে

বাংলা সনে দিনের শুরু ও শেষ হয় সূর্যোদয়ে । ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির শুরু হয় যেমন মধ্যরাত হতে ।
৫৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বরাহমিহির পঞ্চসিদ্ধান্তিকা নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটি পাঁচটি খণ্ডে সমাপ্ত। এই গ্রন্থটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চসিদ্ধান্তিকার পাঁচটি খণ্ডের নাম– এই সিদ্ধান্তগুলো হলো– সূর্যসিদ্ধান্ত, বশিষ্ঠসিদ্ধান্ত, পৌলিশ সিদ্ধান্ত, রোমক সিদ্ধান্ত ও ব্রহ্ম সিদ্ধান্ত। প্রাচীন ভারতে দিন, মাস, বৎসর গণনার ক্ষেত্রে 'সূর্যসিদ্ধান্ত' একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বরাহমিহিরের পরে ব্রহ্মগুপ্ত নামক অপর একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী (জন্ম ৫৯৮) একটি সিদ্ধান্ত রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটির নাম ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত। এই গ্রন্থটি খলিফা আল-মনসুরের আদেশে সিন্দহিন্দ নামে আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে সৌর-মাস নির্ধারিত হয়, সূর্যের গতিপথের উপর ভিত্তি করে। সূর্যের ভিন্ন অবস্থান নির্ণয় করা হয় আকাশের অন্যান্য নক্ষত্রের বিচারে। প্রাচীন কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যের বার্ষিক অবস্থান অনুসারে আকাশকে ১২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন। এর একটি ভাগকে তাঁরা নাম দিয়েছিলেন রাশি। আর ১২টি রাশির সমন্বয়ে যে পূর্ণ আবর্তন চক্র সম্পন্ন হয়, তার নাম দেওয়া হয়েছে রাশিচক্র। এই রাশিগুলোর নাম হলো– মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। সূর্যের বার্ষিক অবস্থানের বিচারে, সূর্য কোনো না কোন রাশির ভিতরে অবস্থান করে। এই বিচারে সূর্য পরিক্রমা অনুসারে, সূর্য যখন একটি রাশি থেকে অন্য রাশিতে যায়, তখন তাকে সংক্রান্তি বলা হয়। এই বিচারে এক বছরে ১২টি সংক্রান্তি পাওয়া যায়। একেকটি সংক্রান্তিকে একেকটি মাসের শেষ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪] যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সূর্য্য ০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে প্রবেশ করে তার পরদিনই ১ বৈশাখ (পয়লা বৈশাখ) হয়। যেদিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সংক্রান্তি হয় তার পরদিনই মাসের প্রথম দিন।[৫] মূলত একটি সংক্রান্তির পরের দিন থেকে অপর সংক্রান্ত পর্যন্ত সময়কে এক সৌর মাস বলা হয়। লক্ষ্য করা যায় সূর্য পরিক্রমণ অনুসারে সূর্য প্রতিটি রাশি অতিক্রম করতে একই সময় নেয় না। এক্ষেত্রে মাসভেদে সূর্যের একেকটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগতে পারে, ২৯, ৩০, ৩১ বা ৩২ দিন। সেই কারণে প্রতি বছর বিভিন্ন মাসের দিনসংখ্যা সমান হয় না। এই সনাতন বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছর ঋতুভিত্তিক থাকে না। একেকটি মাস ক্রমশঃ মূল ঋতু থেকে পিছিয়ে যেতে থাকে।
(By: Dr. Kathak Das)

Wednesday, July 31, 2013

Can ELECTRICITY pass through flash light of the digital camera to your body?

This is a true incidence reported of a boy aged 19, who was studying in 1st year of engineering, who died in Keshvani Hospital, Mumbai. He was admitted in the Hospital as a burned patient. Reason ??????

This boy had gone to Amravati (a place located in State of Maharashtra ) on a study tour, on their return they were waiting at the railway station to catch the train. Many of them started taking pictures of their friends using "Mobile Phones" and / or "Digital Camera". One of them complained that, he was unable to capture the full group of friends in one frame in the Digicam.
This boy moved away to a distance to get the whole group.

He failed to notice that at an angle above his head, 40,000 volts electrical line was passing through.
As soon as he clicked the digital camera? 40,000 volt current passed through the camera flash light to his camera and then from his camera to his fingers & to his body. All this happened within a fraction of a second. His body was half burned.
They arranged for an ambulance & his burned body was brought to Keshavani Hospital, Mumbai.

For one & half days or so he was conscious & talking. Doctors did not have much hopes as there was a lot of complex issues in his body. He passed away later.
Now how many of us are aware about these technical threats & dangers? Even if we are, how many of us are adhering??

* Please avoid mobile phones on petrol outlets.
* Please avoid talking on mobile phones while driving.
* Change that "Chalta Hai Yaar Attitude".
* Please avoid talking on mobile phones while kept in charging mode without disconnecting from wall socket.
* Please do not keep mobile phones on your bed while charging and / on wooden furniture.
* Avoid using mobile phones / Digital cameras near high voltage electrical lines like in railway stations and avoid using flash.
 
(collected)

Tuesday, July 30, 2013

Tonoscope-এ ওঁ


একুশ শতকের উদ্ভাবন টোনোস্কোপ (Tonoscope) এ তৈরী হল হাজার বছরের পুরনো বৈদিক সংকেত "ওঁ"!!!

ছবিটি দেখে চিনতে পারছেন তো? একটি বৃত্তের ভেতর কয়েকটি ক্রিসেনট্রিক আকারের গঠন সম্বলিত রেখাসমষ্টি হিন্দুধর্মে যন্ত্র মন্ডল বা শ্রীচক্র নামে খ্যত। এ চিহ্নটি সকলের কাছেই পবিত্র বলে গৃহীত। বৈষ্ণবরা একে শ্রীগোবিন্দের বৈকুন্ঠের আকৃতি হিসেবেও বিশ্বাস করে!

কিন্তু আসলে কি তাই?

সুইস বিজ্ঞানী Dr. Hans Jenny, যিনি আকার গঠন বিদ্যা (Cymatics) জগতের একজন পথিকৃত হিসেবে স্বীকৃত, তিনি আজীবন শব্দসমূহের প্রতিচ্ছবি নিয়ে গবেষনা করেছেন। তিনি টোনোস্কোপ (Tonoscope) নামক এক যন্ত্র আবিস্কার করেন যার মধ্য দিয়ে শব্দ প্রবেশ করালে তার একটি ছবি তৈরী হয়।

তিনি টোনোস্কোপ এর ভেতর দিয়ে শুদ্ধ উচ্চারন এ ওঁ ধ্বনি প্রবেশ করান এবং যে ছবিটি পান তা হল যন্ত্র মন্ডল বা শ্রীচক্র এর ছবি!

অলৌকিক ক্ষমতাবলেই বৈদিক ঋষিগন ওঁ ধ্বনির প্রতিচ্ছবি আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন যা আধুনিক বিজ্ঞানের কৃপায় আমরা আজ জানতে সক্ষম হয়েছি।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

(By-Niloy Arya)

Monday, July 15, 2013

সনাতন হিন্দুধর্মের উৎপত্তি


হিন্দুধর্ম প্রায় ২০,০০,০০০ বৎসর প্রাচীন একটি ধর্ম। তিন প্রধান দৈবপুরুষ, পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাণীর প্রবক্তা ছিলেন। এরা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। ব্রহ্মার জন্ম মধ্যভারতে, বিষ্ণু (যাঁর অপর নাম নারায়ন বা ভগবান বেঙ্কটেশ্বর বা ভগবান বালাজী) ছিলেন দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী এবং মহেশ্বর (যাঁর অপন নাম শিব/রুদ্র/শংকর) কাশ্মীর অর্থাৎ উত্তর ভারত থেকে এসেছিলেন।
এই ত্রয়ীর দৈব-প্রবচন এত শক্তিশালী এবং তাঁদের দান এত বিশাল যে তাঁদের ঐশ্বরিক বাণীসমূহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অন্যান্য বহু দেশকেও প্রভাবিত করেছিল। সেই প্রাচীন যুগেও যখন যে-কোনও প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অতি অনুন্নত, তাঁদের ঐশ্বরিক ঘোষণা দিকে দিকে বিস্তৃত হয়ে সনাতন ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠালাভ করে।

এই তিন ঈশ্বর পুরুষ আদি দেবতা নামে হাজার হাজার বছর ধরে শ্রদ্ধা পেয়ে আসছেন। এরাই এই সনাতন ধর্মের প্রবর্তক। পরবর্তীকালে এই ধর্মের নাম হয় হিন্দুধর্ম। এই তিন আদি দেবতার মাধ্যমে বেদ প্রকাশ হয়।
হিন্দুধর্মে কোনও একটি গ্রন্থের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং কোনও একটি মানুষকে এর প্রবর্তক বলে গণ্য করা হয় না। হিন্দুরা বেদকে বলেন অপৌরুষেয়ম্। পুরুষ অর্থাৎ মানুষের রচিত নয়, বেদ ঈশ্বরপ্রেরিত মনুষ্য জীবনযাপনের মূলমন্ত্র।
সিন্ধু নদেও পূর্ব তীরের সভ্যতাকে মধ্য এশিয়ার আক্রমনকারীরা হিন্দু বলত। তারা 'স-' এর উচ্চারণ করত 'হ' এবং সিন্ধু নদের পূর্ব তীরের অধিবাসীদের তারা বলত 'হিন্দু'।
প্রকৃতপক্ষে হিন্দুধর্মের আদি নাম ছিল সনাতন ধর্ম এবং তার প্রধান দর্শন বৈদিক ধর্ম অর্থাৎ বেদ প্রদত্ত ধর্ম। আক্রমণকারী এবং শাসক হিসাবে যারা ভারতে আসে তারা কালক্রমে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে মিশে যায় এবং হিন্দু দর্শনের মূলতত্ত্বসমূহ গ্রহণ করে। তাদের বিদেশী পরিচয় লুপ্ত হয়ে যায়।
হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার নাম ঈশ্বর। ঈশ্বর এক পরম পুরুষ, সর্বব্যাপী, অনাদি-অনন্ত। তিনি নিরাকার, বর্ণহীন। তিনি সৃষ্টিকর্তা, সকল কারণের আদি কারণ। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর ইচ্ছাপালনের জন্য কোন অধীনস্থ সহায়কের প্রয়োজন নেই।
ঈশ্বর তাঁর মহত্ত্বের প্রতিফলন স্বরূপ দৈবপুরুষ অথবা দেবতাদের পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ রূপে প্রেরণ করেন। এঁদের কোনও কোনও ভারতীয় ভাষায় দেবতা বলা হয়।
ভক্তেরা ঈশ্বরের উপসনা করেন এবং মন্দিরে দেবতাদের জীবন, কীর্তি ও উপদেশাদি স্মরণ করে উৎসব পালন করেন। দেবতা অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ। তবে তাঁরা কীভাবে প্রকাশিত হবেন সেটা নির্ভর করে দেশ-কাল ও সামাজিক পটভূমিকার ওপর।
সাধারণ মানুষেরা মন্দিরে দেবতাদের মূর্তির কাছে যান। মূর্তি শুধুমাত্র ভক্তের পূজার পাত্র নয়, ঈশ্বরের ধ্যানের জন্য মূর্তি অখন্ড মনঃসংযোগের কেন্দ্রে পরিণত হন।
যিনি বেদ অধ্যয়ন করেছেন এবং অন্তরে তাকে সত্যরূপে উপলব্দি করেছেন, অর্থাঃ ধর্ম-দর্শনের গূঢ় তাৎপর্য যিনি অবগত হয়েছেন, মূর্তিপূজা তাঁর কাছে অনাবশ্যক। যিনি ঈশ্বরের প্রকৃত তত্ত্ব জ্ঞাত হয়েছেন।
মনে রাখতে হবে একমাত্র ঈশ্বরের উপাস্য। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, সর্বশক্তিমান এবং পৃথিবী ও সৌরলোকের সীমার অতীত। তাঁর অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস করে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সকল মানুষ আসেন পূজার্চনা নিয়ে। যে নামেই পূজা হোক বা যে ভাবেই অর্চনা করা হোক, ঈশ্বর তা গ্রহণ করেন।
সনাতন ধর্মের ইতিহাসের আদিপর্বে হিন্দুরা একেশ্ববাদী ছিলেন, এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তাঁরা মূর্তিপূজা শেখেন হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারের চাকচিক্যময় নাগরিক সভ্যতা থেকে। মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার অধিবাসীরা সূর্যদেবতার, ভগবান শিবলিঙ্গের, মাতৃমূর্তির এবং কয়েকটি পশুপ্রতীকের পূজা করতেন।
মূর্তিপূজা মেসোপটেমিয় (মিশর) এবং সুমেরুরীয় (পারস্য) সভ্যতার প্রভাবের ফল। সে যুগে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে 'কিউনিফর্ম' লিপি ব্যবহার করা হত। কিউনিফর্মে অনেক মূর্তি চিহ্ন ব্যবহার হত। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর সভ্যতার চরম উন্নতি ঘটৈছিল খ্রীষ্টপূর্ব ১৪৭৫ এর পূর্বে। হিন্দু পূরাণের বর্ণনা অনুযায়ী ১৪৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সমূদ্রতলে এক প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। তার ফলে বিপুল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়, যার দ্বারা সিন্ধুর তটভাগ প্লাবিত হয়। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো প্রভৃতি স্থান কর্দমে আবৃত হয়।প্রায় নিমেষের মধ্যে মানুষ, জীবজন্তু, বৃক্ষলতাদি বিনষ্ট হয়ে যায় এবং জল অপসৃত হওয়ার পরে এই সব সভ্যতা কর্দমের স্থূল আস্তরণের নিচে সমাধিস্থ হয়ে যায়।
হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারের নাগরিক সভ্যতায় গৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের জন্যে প্রচুর কাঠের ব্যবহার হত। তার ফলে অরণ্যগুলি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অরণ্যের ধ্বংস প্রকৃতির অভিশাপ স্বরূপ হয়ে, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর বিলোপ ত্বরান্বিত করেছিল।
মূর্তিপূজা প্রকৃতপক্ষে দেবতার পূজা অর্থাৎ বীরপূজা। দেবতারা প্রকৃতপক্ষে মানুষ এবং সেই কারণে, এক অঞ্চলের দেবতা কখনও কখনও অন্য অঞ্চলে পূজিত হন না। তবে, যেভাবেই হোক এবং যে নামেই হোক, যে মাধ্যমেই শ্রদ্ধা নিবেদিত হোক, ঈশ্বর সে পূজা গ্রহণ করেন।
বেদের যুগে বর্ণভেদ ব্যবস্থা,শিশু বিবাহ কিংবা সতীদাহ প্রচলন ছিল না, যদিও শ্রমবিভাগ প্রচলিত ছিল। একই পরিবারের অর্ন্তভূক্ত বিভিন্ন সদস্য কেউ গুরু, কেউ শিক্ষক, কেউ যোদ্ধা অথবা কেউ কারিগর বৃত্তি অবলম্বন করতে পারতেন। বিভিন্ন বৃত্তির এবং পেশার মানুষেরা মধ্যে বিবাহ এবং এক বৃত্তি থেকে আরেক বৃত্তিতে প্রবেশ সাধারণ ঘটনা ছিল।
নারীও পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে বেদচর্চা করতেন। অপালা, ঘোষা, বিশ্ববরা, লোপমুদ্রা, বিশাখা প্রভৃতি নারীরা বৈদিকযুগের আদি পর্বে বৈদিক শাস্ত্রে বিদূষী হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর স্বামী নির্বাচনের এবং মতামত প্রকাশের অধিকার ছিল। শস্ত্র বিদ্যাতেও নারীরা পারদর্শীতা লাভ করতেন, যুদ্ধেও যোগদান করতেন। উদাহরণস্বরূপ, বৈদিক কালের এক যুদ্ধে একজন খ্যাতনাম্নী নারী সেনাপ্রধান ছিলেন মুদ্গলনি। নারীরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁদের স্বামীর সঙ্গিনী হতেন।
মূলতঃ হিন্দুরা একেশ্বরবাদী এবং এক সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাসী। দক্ষিণ ভারতে ঈশ্বর দেবতে/ দেবাড়ু/ঈশ্বরণ/কাডাভু/ইরাইবন, এইসব নামেও অভিহিত। দেবতাদের অলৌকিক ক্ষমতাবিশিষ্ট মানবকুলকে বীর ও বীরাঙ্গণ হিসাবে শ্রদ্ধা করা হয় এবং হিন্দু বিশ্বাস করেন যে তাঁরা ঈশ্বরপ্রদত্ত বিশিষ্ট কোনও কোনও গুণের অধিকারী।



(লেখক: পলাশ নাথ)

Monday, July 01, 2013

ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায়

 
কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?
পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়। প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।

► কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?
খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।
(সংগৃহীত)

Thursday, June 06, 2013

এই পৃথিবী কি পূর্বে ভারতবর্ষ ছিল ??


কখনো কি প্রশ্ন জাগে না যে, বিচিত্র রকমের স্থান বা দেশ কেন হল । কেনই বা প্রতিটি দেশ ইউরোপ আফ্রিকার মত প্রাচুর্যময় নয় । কোথাও সমৃদ্ধশালী কোথাও কোন প্রাচুর্যের ছোঁয়া নেই । এর পেছনে কিই বা কারণ থাকতে পারে । আরও একটা প্রশ্ন থাকতে পারে তা হল এসমস্ত বিচিত্র দেশের নামকরণ নিয়ে ।

তাই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বৈদিক শাস্ত্র থেকে এর সঠিক রহস্য গ্রুপের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল । বৈদিক শাস্ত্র মতে এক সময় সমগ্র পৃথিবীকেই ইলাবৃত বর্ষ বা ভারতবর্ষ নামে ডাকা হত । এই পৃথিবীর শাসনভারের দায়িত্ব ছিল ইতিহাস বিখ্যাত অনেক অনেক রাজাদের হাতে ।

এক সময় ধীরে ধীরে সেই ভারতবর্ষ ভেঙ্গে গড়ে সাতটি পৃথক মহাদেশ এবং বহু দেশ । মূলত, ককেশাস নামক স্থানকে বলা হয় শ্বেত মানবদের উৎপত্তি উৎস হিসেবে । বর্তমান বিশ্বের পশ্চিমা জগতের যেসব সাদা লোকদের দেখতে পাওয়া যায় তাদের উত্তরসূরীদের বসতি ছিল এই ককেশাস (coucasus) নামক স্থানে ।

জিউস, মোসলেম এবং খ্রিষ্টানদের মতে এ স্থানেই ছিল স্বর্গের উদ্যান এটি হল আব্রাহামের বসতভূমি । যেটিকে ইন্দো ইউরোপীয়ান ককেশিয়ানদের পিতৃভূমি হিসেবে মনে করা হয় । তৈত্তিরীয় (Aitareya) উপনিষদে এ বিষয়ে বলা হয়েছে । ব্রহ্মার পুত্র মরিচীর পুত্র ছিল কশ্যপ মুনি । ১২০ মিলিয়ন বছর পূর্বে কশ্যপ মুনি ইন্দো-ইউরোপীয়ানদের পিতা হয়েছিলেন ।

এসমস্ত ইন্দো-ইউরোপীয়ানদের কিছু পৃথিবীর পশ্চিমে গেল আর কিছু গেল পূর্বে । কশ্যপ মুনি স্বয়ং ক্যাসপিয়ান সাগরের নিকটে ধ্যান মগ্ন হয়ছিল । যার বর্তমান নামকরণ অর্থাৎ ক্যাসপিয়ান সাগর ঐ কশ্যপ মুনির নামেই নামকরণকৃত । সূর্যদেব বিবস্বান ছিলেন কশ্যপ মুনির পুত্র যার স্ত্রী ছিলেন অদিতি । সূর্যদেবের অস্থিত্ব যে পশ্চিমা দেশেও ছিল তার প্রমাণ এখন পৃথিবীর অনেক স্থানে সূর্যদেবতাকে পূজার প্রচলন ।

কশ্যপ মুনি এবং দিতি থেকে সৃষ্ট দৈত্যরা তখন ইউরোপ জুড়ে বিস্তার লাভ করেছিল । বর্তমানের টাইটানস (Titans) এবং টিউটনস (Teutons) ডাচ এবং ডিউটস্চল্যান্ড (Deutschland) এ নামগুলো দেয়া হয়েছে ‘দৈত্য’ শব্দ থেকে । এ থেকে দৈত্যদের অবস্থান যে একসময় ছিল তার প্রমাণ মেলে । ব্রহ্মার আরেক পুত্র অত্রি থেকে সোম বা চন্দ্র হয় । চন্দ্রের পুত্র বুদ্ধের পুত্র ছিল পুরুরভ ।

এভাবে বংশানুক্রমে আয়ু নহুম এবং পরে যথাতির জন্ম হয় । যথাতির পাঁচ সন্তান ছিল । ‘যদু’ থেকে বেড়ে উঠে যদুবংশ যেখানে কৃষ্ণ বলরাম আবির্ভূত হয় এবং পুরু থেকে বেড়ে উঠে পুরুবংশ (যে বংশে কৌরব এবং পান্ডবরা জন্মেছিল) যারা হল ভীষ্ম, ধৃতরাষ্ট্র, অর্জুন, যুদিষ্টির, ভীম, দূর্যোধন এবং মহারাজ পরিক্ষিত জন্ম নেয় । পুরু তখন বর্তমান মিশর স্থানটি পেয়েছিলেন তার রাজ্যের শাসনভার হিসেবে । পুরুর পুত্র ছিল প্রভির এবং প্রভিরের পুত্র ছিল মানুষ্য (Manasyu) যাকে মেনেস নামে ডাকা হত । যিনি পশ্চিমা ইতিহাসবিদদের মতে মিশরের প্রথম বংশের প্রতিষ্ঠাতা । পুরুর বংশ এভাবে ফারাও রাজা পর্যন্ত অতিবাহিত হয়েছিল ।

মিশরকে অজপতি নামে নামকরন করা হয় । এই অজ জাতের পুত্র ছিল অজপতি । অপরদিকে অজ ছিল ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের পিতামহ রামচন্দ্র আবির্ভূত হয়ছিল সূর্যবংশে, সূর্যদেবের আরেক নাম রবি । ‘র’ তখন মিশরে সূর্য বংশের একটি শাখার অন্তর্গত ছিলেন । সেখানকার রাজা হলেন রামেস । যেটি রাম-ইস ভগবান শ্রী রামচন্দ্র থেকেই নামকরণকৃত । পান্ডব পরিবারবর্গও একসময় মিশর এবং ইউরোপে এসেছিল যা এখন সাগরে নিমজ্জিত হয় । এভাবে পিরামিডের গায়ে বৈদিক সংস্কৃতির ছোঁয়া এখনও দেখতে পাওয়া যায় তার বিবরণ আমি পরবর্তী পোষ্টে দিব ।

পরবর্তীতে তারা বর্তমানের ইসরাইলে গমন করে । যেটিকে বিশ্লেষন করলে দাঁড়ায় ইশ্বরাভলয় (ভূমি) তার অর্থ ইশ্বরের বাসস্থান । সুতরাং ইসরাইল ও তখন বৈদিক সংস্কৃতির সুরে নামকরণকৃত হয়েছিল ।

যযাতির তিনজন পুত্র বর্তমান ভারতের বাইরে যে দুটি রাজ্য পেয়েছিল সেগুলো হল তুর্কি এবং তুর্বাসা । যবনরা পেয়েছিল তুর্কি এবং তুর্বাসা পেয়েছিল ফার্সিয়া ইত্যাদি । মহাভারত অনুসারে (আদিপর্ব ৮৫.৩৪) তুর্বাসা দুর্যোধনের হয়ে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিল ।

অপরদিকে অনু পেয়েছিল গ্রীক এবং ইতালী । পরশুরামের বংশদূতরাও একসময় মিশরের রাজা ছিলেন । পরশুরাম ও যদু বংশজাত যাদের কিছু ইউরোপ এবং এশিয়াতেও এসেছিল । এর পরবর্তীতে বৈদিক সংস্কৃতির প্রধান নীতি বর্ণাশ্রম ধর্ম বিভিন্ন কারনে হারিয়ে যায় । মহাভারত (আদিপর্ব ১৭৪.৩৮) অনুসারে ভীম এবং সহদেব পুলিন্দ (গ্রীকদের) জয় করেছিল কেননা তার ধর্ম পরিত্যাগ করেছিল এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে বর্তমান ক্ষেত্রেও সংস্কৃতির ব্যবহারটাও অপরিসীম ।

বর্তমান ‘নরওয়ে’ দেশটির নাম সংস্কৃত শব্দ ‘নরক’ থেকে এসেছে । ‘সোভিয়াত’ এসেছে ‘শ্বেত’ থেকে । ‘রাশিয়া’ ‘ঋষি’ থেকে এসেছে, এভাবে সাইবেরিয়া শব্দটিও সংস্কৃত থেকে আগত । ‘স্ব্যান্দিনাভিয়া’ ‘স্কন্দ’ থেকে এসেছে । যিনি দেবতাদের প্রধান কমান্ডার হিসেবে ছিলেন ।

(Viking এবং king) শব্দ দুটি এসেছে সিংহ থেকে পশ্চিমা দেশগুলোতে যে বৈদিক সংস্কৃতির বিদ্যমান ছিল তার প্রমাণ ইউরোপ জুড়ে আবিষ্কৃত কৃষ্ণ, শিব, সূর্যদেব সহ আরও বিভিন্ন মূর্তি । একসময় দেবতা এবং অসুরদের সঙ্গে প্রায় বার বার যুদ্ধ হয়েছিল । পরে ককেশাসের পূর্বদিক দেবতাদের এবং পশ্চিম দিক অসুরদের দেয় । কিছু অসুর সেখানে অবস্থান করেছিল ।

ময়দানব তখন অসুরদের রাজ ছিলেন । তার স্থায়ী বসতি ছিল আলাতল লোক (ভূমন্ডলের ১০,৮৮,০০০ কি.মি. দক্ষিনে) যেখানে ফ্লায়িং সসার নির্মিত হয় । ময়দানবের অনুসায়ী মগরা তাদের সেই বসতির স্থানকে ‘অমরক’ (Amaraka) নামে ডাকত । কেননা অসুরেরা প্রয়ই মনে করে মূত্যু তাদের কিছুই করতে পারবে না । তাই তারা তাদের মাতৃভূমিকে স্বর্গ মনে করত । আর এজন্যই এই নাম পরবর্তীতে আমেরিগো ভেসপুচ্চি (Amerigo vespucci) এটিকে বর্তমানে আমেরিকা নামে পুনস্থাপন করে ।

এভাবে বংশগত দিক বিবেচনা করলে আমরা সবাই শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের গোত্রের অন্তর্ভুক্ত । কেননা ব্রহ্মা উৎপত্তির উৎস তাই বলে । আর এ সমগ্র পৃথিবী যে একদম পুরোটাই ভারতবর্ষ ছিল তারও প্রমান খুব সহজেই পাওয়া যায় শাস্ত্র থেকে । উপরোক্ত গবেষণামূলক প্রতিবেদন থেকে অনেক গবেষকগণ স্বীকার করতে এখন আর দ্বিমত করে না ।


(বিঃ দ্রঃ- এই প্রতিবেদনটি ছাপা হয় টাইম ম্যাগাজিন ও হিন্দু নিউসে……… তার বঙ্গানুবাদটি এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হল।)

(লেখক - Susanta Banda)

Sunday, May 12, 2013

মুখ দিয়ে লিখে এসএসসি পাস!






হাত দুটি’র আঙ্গুল অচল। তবুও শৈশবে মা-বাবার কাছে বায়না ধরে স্কুলে যাওয়ার। সেই শৈশবে প্রথম শ্রেণী।

এরপর প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক। এবার মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর জন্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়েছে ফিরোজ। মুখে কলম আঁকড়ে লিখে ভালো রেজাল্ট করায় সহপাঠীরা খুশি।

পুরো নাম ফেরদৌস আলম ফিরোজ। সাহাবুদ্দিন-ফিরোজা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সবার বড় সে। বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি করেন বাবা সাহাবুদ্দিন। সেখান থেকে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে কোনো মতো।

এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার কাউয়ামারী আপ্তার উদ্দিন প্রধান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল সে।

ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম জানান, হাত দুটি দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না তার ছেলে। শুধু ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলগুলো একটু-আধটু শক্তি আছে। ভাত খেতে পারে না। তাই পরিবারের অন্যদের সহযোগিতায় খেতে হয়।

প্রতিবন্ধী ফিরোজ বলেন, ‍“আমি লেখাপড়া করে প্রতিবন্ধী শব্দটিকে জয় করতে চাই। দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারি।”

প্রধান শিক্ষক আখেরুজ্জামান বলেন, “শারীরিক অক্ষমতা বাধা হতে পারেনি তার। মুখের সাহায্যে কলম ধরে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে আমাদের স্কুলের সম্মান বাড়িয়েছে।”


(সংগৃহীত) 

Sunday, May 05, 2013

ট্যাটু ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া

নীচের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন তা ট্যাটু বাবহারে ইনফেকশন এর কারণে হয়েছে। ঈশ্বর আমাদের এতো সুন্দর শরীর দিয়েছেন তার পরেও কি ট্যাটু ব্যাবহারের দরকার আছে?

যারা এমন নিয়মিত ট্যাটু ব্যাবহার করেন তারা স্কিন ক্যান্সারের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই এই অপ্রয়োজনীয় পশ্চিমা ফ্যাশানটি এড়িয়ে চলুন।




(সংগৃহীত) 

Friday, May 03, 2013

Share if you care!


Please read if you eat shrimps - Very Educative:
A woman suddenly died unexpectedly with signs of bleeding from her ears, nose, mouth & eyes.
After a preliminary autopsy it was diagnosed that death was due to arsenic poisoning.
Where did the arsenic come from?

The police launched an in-depth and extensive investigation. A medical school professor was invited to come to solve the case.
The professor carefully looked at the contents. In less than half an hour, the mystery was solved.
The professor said: 'The deceased did not commit suicide and neither was she murdered, she died of accidental death due to ignorance!'
Everyone was puzzled, why accidental death?
The professor said: 'The arsenic was produced in the stomach of the deceased.' The deceased used to take 'Vitamin C' everyday, which in itself is not a problem.
The problem was that she ate a large portion of shrimp/prawn during dinner. Eating shrimp/prawn is not the problem that's why nothing happened to her family even though they had the same shrimp/prawn. However at the same time the deceased also took 'vitamin C', that is where the problem was!

Researchers at the University of Chicago in the United States , found through experiments, food such as soft-shell contain much higher concentration of five
potassium arsenic compounds.

Such fresh food by itself has no toxic effects on the human body.

However, in taking 'vitamin C', chemical reaction occurs and the original non-toxic elements change to toxic elements.

Arsenic poisoning has magma role and can cause paralysis to the small blood vessels. Therefore, a person who dies of arsenic poisoning will show signs of bleeding from the ears, nose, mouth & eyes. Thus as a precautionary measure,

DO NOT eat shrimp/prawn when taking 'vitamin C'.

After reading this; please do not be stingy. Re-share to your friends.


(collected)

Wednesday, April 24, 2013

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন


হামিদ আ্যাডভোকেট ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম হাজী মো. তায়েব উদ্দিন ও মাতার নাম মরহুমা তমিজা খাতুন।আব্দুল হামিদের শিক্ষাজীবন শুরু কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে তিনি ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন ভৈরব কেবি স্কুলে এবং নিকলী জেসি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন।পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়ালকলেজ থেকে আইএ ও বিএ ডিগ্রী এবং ঢাকার সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।এলএলবি ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি আইন পেশায় কিশোরগঞ্জ বারে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯০-১৯৯৬ সময়কাল পর্যন্ত পাঁচবার কিশোরগঞ্জ জেলা বার সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।আব্দুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৫৯ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ফলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে করারুদ্ধ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৫ সনে একই কলেজের সহ-সভাপতি নির্বাচিতহন। ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ সাব-ডিভিশনের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ১৯৬৬-১৯৬৭ সালে ময়সনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের জেলা সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।আব্দুল হামিদ ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ সংসদীয় আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ভারতের মেঘালয় রিক্রুটিং ক্যাম্পের চেয়ারম্যান ও তৎকালীন সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) এর সাব-সেক্টর কমান্ডার পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ -৫ আসন থেকে তিনি সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৮ থেকে ২০০৯ এর ২৫ জানুয়ারি স্পিকার নির্বাচিত হবার পূর্ব পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।


(সংগৃহীত) 

Friday, April 19, 2013

গোলাম আযমের ১৯৭১ সালের কিছু কুকর্মের প্রমাণ


১৯৭১ সালে রাজাকার গোলাম আযমের দেওয়া বিবৃতিসহ শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনীর বিবৃতির মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিয়মিত প্রকাশ করেছে জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা। সেখান থেকে সংকলিত কিছু বিবৃতি তুলে ধরা হলো।

৮ এপ্রিল ১৯৭১
একাত্তরে জামায়াত ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মওলানা নুরজ্জামান ও জামায়াতের অন্যতম নেতা গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আযম বলেন, ‘ভারত পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। ভারতীয় বা পাকিস্তান বিরোধী এজেন্টদের বা অনুপ্রবেশকারী যেখানেই যাবে, সেখানেই পূর্ব পাকিস্তানের দেশ প্রেমিকরা তাদের নির্মূল করবে।’

৯ এপ্রিল ১৯৭১
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তনে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে ভারত প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশপ্রেমের মূলে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশ এ প্রদেশের মুসলমানদের কাজেই আসবে না।’

১০ এপ্রিল ১৯৭১
ইসলামীর ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে এই দিন বলা হয়, ‘দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারীদরে হাত থেকে পূণ্য ভূমি পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য ছাত্র সংঘের প্রতিটি কর্মী তাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যাবে। হিন্দুস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্তের দাঁতভাঙা জবাব দেবার জন্য ছাত্র সংঘ কর্মীরা সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

১২ এপ্রিল ১৯৭১, বায়তুল মোকাররম, বাংলাদেশ
গোলাম আজমের নেতৃতের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মিছিল বিরোধী বের হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে। মিছিলে বহন করা পোস্টার, ফেস্টুনে লেখা ছিলো "দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ।" "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।" "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর।" "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।" মিছিলে পাকিস্তানের জন্য মুনাজাতও করেন গোলাম আজম।

১৩ মে ১৯৭১
ইসলামী ছাত্র সংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের বর্তমান দুরবস্থার জন্য ছাত্রসমাজকে দায়ী করা হয়। অথচ ছাত্র সংঘের কর্মীরাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন ও (পাকিস্তান) সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বেশি তত্পর। ছাত্রনামধারী ভারতের সাম্রাজ্যবাদের যে সমস্ত চর তথকথিত “বাংলাদেশ”-প্রচারণা চালিয়েছিল তারা ছাত্র সমাজের কলঙ্ক। তাদের জন্য সমুদয় ছাত্র সমাজকে দায়ী করা ঠিক নয়।’

১৭ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম তার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা এখনও তাদের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত করা। পূর্ব পাকিস্তানের এমন নিভৃত অঞ্চল রয়েছে যেখানে দুষ্কৃতকারীরা জনগণকে পাকিস্তান রেডিও শুনতে দেয় না।’

১৯ জুন ১৯৭১, লাহোর, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইহায়িহা খানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "কেবলমাত্র দেশপ্রেমিক জনগনের সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা যেতে পারে। (এ দেশপ্রেমিকরাই রাজাকার, আল বদর, আস শামস)

২০ জুন ১৯৭১
গোলাম আযম লাহোরের বিমানবন্দরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে অধিক সংখ্যক অমুসলমানদের সহায়তায় শেখ মুজিবুর রহমানের হয়তো বিচ্ছিন্নতার ইচ্ছা থাকতে পারে।...অবশ্য তার ছয় দফা স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলতে পারত।...সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় সকল দুষ্কৃতকারীদের উত্খাত করেছে এবং বর্তমানে এমন কোন শক্তি নাই যা সেনাবাহিনীর প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।’

২২ জুন ১৯৭১
এই দিন গোলাম আযমের এক সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানরা ইসলামকে কখনও পরিত্যাগ করতে পারে না। এ কারণে তারা পাকিস্তানকেও ত্যাগ করতে পারবে না। পূর্ব পাকিস্তান ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দুষ্কৃতিকারী ও রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেন।

২৩ জুন ১৯৭১
এক কর্মিসভায় গোলাম আযম বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানিরা সর্বদাই পশ্চিম পাকিস্তানি ভাইদের সাথে একত্রে বাস করবে।...নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছয় দফা কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। যেসব দল খোলাখুলিভাবে বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন শুরু করেছিল এবং স্বাধীন বাংলা গঠনের জন্য জনতাকে উত্তেজিত করেছিল সেসব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’

৩ আগস্ট
এই দিনে মাদ্রাসা শিক্ষা সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের যুদ্ধ নয়, আদর্শিক যুদ্ধ। আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই দেশকে বাঁচিকে রাখার জন্য যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
এ ছাড়া ২৫ মার্চের বর্বরোচিত হামলা সম্পর্কে গোলাম আযম বলেন, ‘২৫ মার্চের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা ছিল এদেশের মাটি রক্ষার জন্য।’

২৬ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
রাজাকারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যদি তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তুলে দেয়া হয়, তাহলে তারা দুষ্কৃতিকারীদেরকে নিজেরাই খতম করে দিতে পারবে।

২৭ নভেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
গোলাম আজম পাকিস্তান সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা দুষ্কৃতিকারী বিচ্ছিন্নবাদীদের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে সহযোগিতা করছি।

১ লা ডিসেম্বর ১৯৭১, রাওয়াল পিন্ডি, পাকিস্তান
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে ৭০ মিনিট বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে গোলাম আজম বলেন, "এদেরকে ধ্বংস করার জন্য রাজাকার বাহিনীই যথেষ্ট।"

Thursday, April 18, 2013

পর্দা প্রথা

তখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী ছিলাম। টুকটাক টিউশনি আর গলা বেঁচা ( এডের পিছনে ভোকাল) দিয়ে হাত খরচ চালাই। বড় হয়েছি, হয়েছি ভাব। তাই বাসা থেকে যত কম টাকা নেয়া যায় চেষ্টা করতাম। সঙ্গে থিয়াটার আরামবাগে কাজ করতাম। আমি টিউশনি করি শুনে, গ্রুপের এক ভাবী ডেকে বললেন, শুনলাম তুই নাকি টিউশনি করিস? আমি বললাম, হ্যা করিতো। ভাবী বললেন, আমার হাসবেন্ডের বন্ধু তার পরিবারসহ আমেরিকা থেকে এসেছে। তুই এত সুন্দর কবিতা পড়িস, এদের ছোট দুটো ছেলে মেয়েকে বাংলা শিখাতে পারবি? আমি তো বাকবাকুম, বাকবাকুম শব্দে রাজী হলাম। বললাম, বেতন কত দেবে? বললো, এক এক জনের জন্য দু হাজার করে। আমাকে আর পায় কে? মধ্যবিত্ত পরিবারের অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ুয়া একটা মেয়ের জন্য চার হাজার অনেক টাকা তখন অনেক। নাচতে নাচতে রাজী হয়ে গেলাম।

পরের দিনই ফোনে যোগাযোগ করে তাদের কাকরাইলের বাসায় পৌছে গেলাম। বাসায় ঢুকতেই ফাপরে পড়লাম। ওদের বাসায় কোন সোফা নেই। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি, সারা বাসায় গালিচা পাতা। আর কয়েকটা তাকিয়া দেয়া আছে। ড্রইয়রুমের সঙ্গে অন্যান্য ঘরকে আলাদা করতে ভারী পর্দা। দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম গার্জিয়ানের সঙ্গে কথা বলার জন্য। কিছুক্ষণ পর বোরকা পড়া এক মধ্য বয়সী মহিলা এলেন আমার সামনে। বললেন, বসেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি কোথায় বসবো? মহিলা আমাকে দেখিয়ে গালিচায় বসে গেলেন। উনাকে দেখাদেখি আমিও গালিচাতে বসলাম। বললেন, আসলে ইসলামই জীবন যাপনে ঘরে উচু আসন বা সোফা রাখার নিয়ম নাই। আমি কিছু বললাম না। কারন, আমি ইসলামে সোফায় বসা নিয়মের কিছুই জানতাম না। তিনি বললেন, মাশাল্লাহ, আপনি নাটক করেন, অথচ উগ্র পোশাক পড়েন না। আমি বুঝলাম না, উগ্র পোশাক বলতে তিনি কি বোঝালেন ( হয়তো প্যান্ট শার্ট পড়াকে বোঝালেন) আমি বললাম, নাটক করলে মেয়েরা উগ্র পোশাক পড়ে এটা আপনাকে কে বলেছে। তিনি বললেন, কি বলেন? আমেরিকায় নাটকের মেয়েদের পোশাক কি আপনি দেখেছেন? আমি বললাম, আমি কোনদিন আমেরিকায় যাইনি। ভবিষ্যতে যাবো কিনা তাও জানিনা। জানালেন তার স্বামী বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। তাদের ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে, তাই ছেলেমেয়েরা যেন আমেরিকার উগ্র জীবনযাপনে উৎসাহিত না হয় সেই উদ্দেশ্যে ২০ বছর পর তারা পুরো পরিবার সহ বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তাদের বড় ছেলের বয়স ১৭ বছর। আর বড় মেয়ে ১৫ বছর। তাদের দুইজনকে তারা বাংলাদেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছেন। যাতে তারা কোরানের হাফিজ হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ইসলামিক জীবনযাপন করেন। তাদের বাকি দুই পুত্র/ কন্যাকেও তারা ভবিষ্যতে মাদ্রাসায় ভর্তি করবেন। তবে তারা চান, চার ছেলে-মেয়েই বাংলাভাষা শিখুক। তাদের ছেলেমেয়েদের কেউ বাংলা লিখতে পড়তে জানেনা। কিন্তু ইংরেজী, আরবী আর উর্দু জানে। তাই কোথাও গেলে তাদের ঠকতে হয়। আমাকে বলা হলো, প্রথমে ছোট দুজনকে বাংলা আর অংক পড়াতে হবে। তারপর, বড় দুই ছেলে মেয়েকেও বাংলা শিখাতে হবে।

আমার তালিম দেয়া শুরু হলো। সপ্তাহে তিনদিন ওদের বাসায় গিয়ে পড়াই। ছোট ছেলেটার বয়স ৬ আর মেয়েটার বয়স ৮; মেয়েটা আমি গেলেই আমার কাছে পড়তে বসে কিন্তু ৬ বছরের ছেলেটার সঙ্গে আমার রীতিমত কাবাডি খেলে পড়াতে বসতে হয়। কিছুতেই বাংলা অংক পড়তে চায় না। তার শখ বড় ভাইবোনদের মতো মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে আরবী শিখবে আর কোরান পড়বে। ওকে আমি আলিফ জবর আ, আর বে জবর বা এর মতো করে বাংলা পড়াতে শুরু করলাম। অংক শুরু করলেই ও বলে আমাকে ইংরেজীতে বুঝিয়ে বলো। পড়লাম মহা যন্ত্রণায়। ওদের বাসায় গিয়েই আমাকে ওকে বিছানা থেকে কোলে করে নিয়ে এসে খেলাধুলা করে পড়াতে হতো। আর ছোট মেয়েটা সুন্দর করে পড়া শেষ করে আমার কাছে বাংলা গল্পের বই নিয়ে আসতো গল্প শোনার জন্য। অবশ্যই বেশির ভাগ বই ছিল মা ফাতিমার, খাদিজা আর আয়শার জীবন কাহিনী। ওকে বললাম, তুমি ঠাকুর মার ঝুড়ির কথা শুনেছো? ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। আমি ওর জন্য ঠাকুর মার ঝুলি নিয়ে যেতে থাকলাম আর পড়ে শুনাতাম। কি যে ঝলমলিয়ে উঠতো সেই শিশুটার মুখ!! আর ছেলেটা শুধুই ত্যাদরামি করতো। ওকে আমার আরবীর মতো করে বাংলা পড়াতে হতো। আসলে ওর বাংলা বা অংক পড়ার প্রতি অনীহা ছিলো। ৬ বছরের একটা শিশুর কেন এমন বাংলার প্রতি অনীহা আমার বোধগম্য ছিলো না।

একদিন যথারীতি পড়াতে গিয়েছি, দেখি ছোট ছেলেটা আর মা বাসায় নেই। বড় বোনটা আজ মাদ্রাসা থেকে বাসায় এসেছে। আমি ছোট মেয়েটাকে পড়াচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ ও দৌড়ে লবির দরজার কাছে চলে গেলো। দরজার ডোর ভিউর দিয়ে বাইরে দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখতে থাকলো!! আমি বললাম, কি দেখো? বলে আমিও দেখার চেষ্টা করলাম। দেখলাম, ওর বয়সী কতগুলো ছেলেমেয়ে কলরব করে নামছে। ও সেই দৃশ্য দেখে আনন্দিত হচ্ছে। আমি বললাম, ওরা কি তোমার বন্ধু? ও বললো, ওর কোন বন্ধু নেই। ও কখনো ঘরের বাইরে যায় না। মাঝে মাঝে শুধু মায়ের সঙ্গে বাজারে যায়।

আমার যে কি হলো !! আমি এই ৮ বছরের বোরখা পড়া মেয়েটাকে নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেলাম। লিফ্ট দিয়ে নীচে নামলাম আর বাসার সামনে বাচ্চাদের খেলার জায়গায় গিয়ে দাড়ালাম। মেয়েটা ভয়ে এবং আনন্দে আমার হাত ধরে ওদের খেলা দেখতে লাগলো। বললাম, যাও তুমিও খেলো। ও, আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, মাম উইল বিট মি। কি যে কষ্ট নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ৮ বছরের মেয়ে খেলতে যাওয়ার অনুমতি পায় না।কিছুক্ষণ পর ওকে নিয়ে আবার ওদের বাসার দিকে রওনা হলাম। বাসায় ঢোকার সময়ই বিপত্তিটা ঘটলো। ওর বড় ভাই মাত্র ঘরে ফিরছে। আমার দিকে কটকট করে তাকিয়ে বললো, তুমি ওকে নিয়ে বাইরে গিয়েছো কেন‌? আমি বললাম, ও আজ একটা কবিতা আমায় বাংলায় মুখস্ত করে শুনিয়েছে। তাই এটা ওর গিফট। সে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে থাকলো। দুদিন পরে আমি ওদের বাসায় গেলে, ওর মা আমাকে খামে ভরে চার হাজার টাকা দিয়ে বললেন, সরি স্নিগ্ধা আমার ছেলে মেয়েরা এখন বাংলা শিখতে চায়না। আপনি খুব ভালো শিক্ষক। ওরা যখন আবার মোটিভেটেড হবে বাংলা পড়তে আমরা আবার আপনাকে খবর দিবো। আপনিও পর্দা প্রথাটা শেখার চেষ্টা করো।সেদিন আর কিছু না বলে সেই বাসা থেকে বেড়িয়ে এসেছিলাম।
আর পর্দা প্রথা আমার আজও শেখা হয়নি এবং এ জীবনে আর হবেও না।

[কৃতজ্ঞতায়: ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)]

Monday, February 04, 2013

চোরাবালিতে আটকে গেলে কি করবেন?



চোরাবালি পানি ও তরলকাদা মিশ্রিত এমনই একটি গর্ত। এর ফাঁদে একবার পা দিলে মানুষের আর নিস্তার নেই। আস্তে আস্তে ডুবে যেতে হয় বালির ভেতরে সাধারণত নদী বা সমুদ্র তীরে কাদা মিশ্রিত বালির ভেতরে লুকানো অবস্থায় থাকে চোরাবালি। কোনও মানুষ যদি সেই গর্তের ধারে কাছে যায়, তা হলে শরীরের চাপে ওই বালি ক্রমে সরে যেতে থাকে। ফলে মানুষ শত চেষ্টা করেও আর ওপরে উঠে আসতে পারে না। চোরাবালিতে পড়ার পর সেখান থেকে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করলে শরীরের চাপে আর ও দ্রুত ডুবে যেতে হয়। সময়মত কেউ এগিয়ে না এলে ওই মানুষ নিশ্চিত মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। তবে অধিকাংশ চোরাবালি সাধারণত মারাত্মক নয়। কিন্তু এটি প্রকৃতির একটি অদ্ভুত বিস্ময়। চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোন ও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে। বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।

Sunday, February 03, 2013

সিগারেট যদি "গু" হত?

আসুন দেখি যদি সিগারেটের নাম ''গু'' হত তাহলে সবাই কি বলত :
  • দোকানদারকে কাস্টমার: মামা বেনসন/গোল্ডলিফ গু আছে?
  • অনেকদিন পর বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হলে: কিরে দোস্ত তুই গু খাস? আগে না ভালো ছিলি গু খাওয়া ধরলি কবে?
  • গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডকে: সেকি কিছলু তুমি আবার গু খেয়ে আমার ঠোঁটে কিস করেছ?
  • স্ত্রী স্বামীকে: হয় গু খাওয়া ছাড়বে না হয় আমাকে ! ল্যাও ঠ্যালা...
  • সন্তান মাকে: আম্মু দেখ বাবা আবার টয়লেটে বসে গু খাচ্ছে!
  • চলন্ত বাসে জনৈক মহিলা: উঃ গুয়ের গন্ধে বমি আসতেছে!
  • জনৈক আঁতেল: শুনলাম বাজেটে গুয়ের দাম বাড়াচ্ছে! ভাবছি কয়েকশো প্যাকেট গু কিনে রাখুম!
  • জনৈক মাতাল: এত গু দিয়ে কি করবি ! কিছু গুয়ের প্যাকেট আমাকেও দিস না হলে ড্যাম হয়ে যাবে!
  • জ্ঞানী গুণীরা কহেন- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: গু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!

Saturday, January 26, 2013

Why We Shout?

A Hindu saint who was visiting river Ganges to have a bath found a group of family members on the banks, shouting at each other. He turned to his disciples, smiled and asked, 'Why do people shout at each other?'

The disciples thought for a while, one of them said, 'Because we lose our calm, we shout.'

'But, why should you shout when the other person is just next to you? You can as well tell him what you have to say in a soft manner.' said the saint.

The disciples gave some other answers but none satisfied the other disciples.

Finally the saint explained.

'When two people are angry at each other, their hearts are very distant. To cover that distance they must shout to be able to hear each other. The angrier they are, the stronger they will have to shout to hear each other to cover that great distance. What happens when two people fall in love? They don't shout at each other but talk softly, because their hearts are very close. The distance between them is either non-existent or very small...'

The saint continued, 'When they love each other even more, what happens? They do not speak, only whisper and they get even closer to each other in their love. Finally they even need not whisper, they only look at each other, that's all. That is how close two people are when they love each other.'

He looked at his disciples and said, 'So when you argue do not let your hearts get distant, do not say words that distance each other more, Or else there will come a day when the distance is so great that you will not find the path to return.'



(collected)