হ্যাঁ, সেই উক্য চিং, যিনি ১৭৫জন বীরবিক্রমের মধ্যে একমাত্র আদিবাসী, সেই
উক্য চিং যার অপারেশনের সাফল্যে মিত্র বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরোরা
পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন মুক্তাঞ্চলে তার সাথে দেখা করতে। মাত্র ১৩জন সৈন্য
নিয়ে পাকসেনাদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
একবার তিনি সাত আটজন বাঙালি তরুণীর ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পান। এর প্রতিশোধে তিনি এক কমান্ডার সহ সাত পাকসেনার লিঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম প্রতিশোধ আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এই কাজটি করে দেখিয়েছেন অগ্নিপুরুষ উক্য চিং!
তারপর কী হয়েছে? সেই উক্য চিংকে আমরা সম্মান জানিয়েছি বিজয় দিবসে বান্দরবানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়ে! তিনি পরে বলেছিলেন, "কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?" [এই অংশের কৃতজ্ঞতা আলী মাহমেদ]
ব্রেইন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দুলাখ টাকা হলে তিনি উন্নত চিকিৎসা পেতেন। কিন্ত হায়! বাঙালি তখন গাজা নিয়ে ব্যস্ত, অনন্ত জলিল ফটোসেশন করে গাজায় টাকা পাঠান, আমরা ফান্ড খুলি "ফিলিস্তিনের জন্য ক্ষতিকর" হামাসকে টাকা পাঠানোর জন্য, অথচ নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাকে দেখার কেউ রইল না। আজ টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
অবশ্য তাতে কী? নিজের দেশের প্রতি সময় দেবার সময় আছে নাকি আমাদের? আমরা আজ বিশ্ব মানবতার ঝাণ্ডাধারী, দেশের এসব ছোট খাটো ব্যাপার, কোথাকার কোন মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিতসায় মারা গেল তাতে আমার কী? আমার বিশ্ব মানবতা রক্ষা করতে হবে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইজরায়লে এটাক থামাতে হবে। কিন্ত নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যাবে না। হে সিজনাল মানবতাবাদী, আর কত হিপোক্রিসি?
আপনারা সারা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়ে যান আমার কোনো আপত্তি নেই, আমিও আপনাদের দলে। কিন্ত প্লিজ, আগে নিজের দেশটার দিকে একটু তাকান।
যে মানুষগুলা নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন,আপনি তাদের বাঁচাতে কলম ধরতে পেরেছেন কি? সেই মানুষগুলোর দিকে আগে তাকান, একটু অন্তত জন্মযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা দেখান, তাদের সহযোগিতা করুন, প্রাপ্য সম্মান দিন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও যেন টাকার অভাবে মারা না যায়।
(Courtesy - Dipta Akash Roy)
একবার তিনি সাত আটজন বাঙালি তরুণীর ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পান। এর প্রতিশোধে তিনি এক কমান্ডার সহ সাত পাকসেনার লিঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম প্রতিশোধ আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এই কাজটি করে দেখিয়েছেন অগ্নিপুরুষ উক্য চিং!
তারপর কী হয়েছে? সেই উক্য চিংকে আমরা সম্মান জানিয়েছি বিজয় দিবসে বান্দরবানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়ে! তিনি পরে বলেছিলেন, "কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?" [এই অংশের কৃতজ্ঞতা আলী মাহমেদ]
ব্রেইন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দুলাখ টাকা হলে তিনি উন্নত চিকিৎসা পেতেন। কিন্ত হায়! বাঙালি তখন গাজা নিয়ে ব্যস্ত, অনন্ত জলিল ফটোসেশন করে গাজায় টাকা পাঠান, আমরা ফান্ড খুলি "ফিলিস্তিনের জন্য ক্ষতিকর" হামাসকে টাকা পাঠানোর জন্য, অথচ নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাকে দেখার কেউ রইল না। আজ টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
অবশ্য তাতে কী? নিজের দেশের প্রতি সময় দেবার সময় আছে নাকি আমাদের? আমরা আজ বিশ্ব মানবতার ঝাণ্ডাধারী, দেশের এসব ছোট খাটো ব্যাপার, কোথাকার কোন মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিতসায় মারা গেল তাতে আমার কী? আমার বিশ্ব মানবতা রক্ষা করতে হবে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইজরায়লে এটাক থামাতে হবে। কিন্ত নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যাবে না। হে সিজনাল মানবতাবাদী, আর কত হিপোক্রিসি?
আপনারা সারা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়ে যান আমার কোনো আপত্তি নেই, আমিও আপনাদের দলে। কিন্ত প্লিজ, আগে নিজের দেশটার দিকে একটু তাকান।
যে মানুষগুলা নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন,আপনি তাদের বাঁচাতে কলম ধরতে পেরেছেন কি? সেই মানুষগুলোর দিকে আগে তাকান, একটু অন্তত জন্মযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা দেখান, তাদের সহযোগিতা করুন, প্রাপ্য সম্মান দিন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও যেন টাকার অভাবে মারা না যায়।
(Courtesy - Dipta Akash Roy)