সুব্রত শুভ দাদার একটা লেখা পড়ে জানলাম ভারতেও আজকাল বাংলাদেশী মুসলিমরা আশ্রয় নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ও তার নিকটবর্তী প্রদেশগুলোতে বাংলাদেশে থেকে আগত নিষ্পেষিত হিন্দুরাই নন, মুসলিমরাও ভালো জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে বসবাসে উদ্যত হচ্ছেন। বলা বাহুল্য, গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বলেছিলেন ভারতে বাংলাদেশে থেকে আগত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তিনি আশ্রয় দেবেন না। বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে যারা আশ্রয় চাইবে (মূলত হিন্দুদেরই) তাদের বসবাসের অধিকার দিতে তার দলের আপত্তি নেই।
গত বছর কলকাতায় এক বাঙালি ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে পরিচয় হয়। নাম সেলিম। বাড়ি চট্টগ্রাম। তার বাবা-মা ১৯৯০ দিকে ভারত চলে যায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। স্থানীয়রা জানে সে ভারতীয়। যদি ফাঁস হয় বাংলাদেশ থেকে এসেছে তাহলে ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট সহজে মেলে না। যাই হোক তিনি সবকিছুই পেয়েছেন। প্রতিবছর বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন। এই কথাগুলো এই জন্য বললাম বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভারতের নাগরিক হতে মনস্থির করছে। কেউ বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। শুধু হিন্দুরা নয় মুসলিমরাও বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। ৯৩% মুসলিম দেশে তারা নিজেরাও আসতে রাজি হচ্ছে না। গত নির্বাচনের আগে মোদীর একটা কথা বারবার বলছিল; ভারতে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে অনুপ্রবেশকারীদের নয়। এখানে মোদির দল অনুপ্রবেশকারী বলতে বাংলাদেশের মুসলিমদের বোঝালেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮% মতন ভিন্ন ধর্মালম্বী আছে। চার দিকে যেভাবে ভিন্নধর্মালম্বীদের জায়গা দখল হচ্ছে তাতে দশ বছরের মধ্যে ১০০ মুসলিম দেশে আমরা পরিণত করতে পারব বলে আশা রাখি। তবে মজার বিষয় এখানেই যে, এই দেশ থেকে শুধু ভিন্নধর্মালম্বীরা না মুসলিমরাও চলে যায় আর অনেকে সুযোগ পেলেও আসে না।
সূত্র