ভারতের
অযোধ্যায় বাবরী মসজিদের জায়গায় রামমন্দিরের শিলান্যাস ঘটনাকে অজুহাত
হিসেবে দাঁড় করিয়ে ইসলামিক প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ২৯ অক্টোবর, ১৯৮৯ থেকে
বাংলাদেশ জুড়ে তাণ্ডবলীলা শুরু করে। এই শ্রেষ্ঠত্ববাদী গোষ্ঠী বহু জায়গার
হিন্দু বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয়; বহু হিন্দু
আহত হয়, কিছু সংখ্যক মারাও যায়। হিন্দু মন্দির এবং আশ্রমগুলোর ওপর ছিলো
তাদের বিশেষ নজর। ৯ এবং ১০ নভেম্বর, ১৯৮৯ এই উন্মত্ততা চরম আকার ধারণ করে।
অসংখ্য মন্দির ভেঙ্গে বা পুড়িয়ে দেয়া হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো অনেক।
দেব-দেবীর প্রতিমাতে ভাঙচুর চলে, সেগুলো ছুড়ে ফেলা হয় মন্দিরের বাইরে।
পুরোহিতেরা মারধরের শিকার হন। পদক্ষেপহীন ২টি সপ্তাহ কাটাবার পর বাংলাদেশ
সরকার অবশেষে এই হামলা বন্ধের তাগিদ অনুভব করে। বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে
নিজেদের অসাম্প্রদায়িক প্রমাণ করতে সরকার এক ডজন মন্দিরের মেরামতেরও ঘোষণা
দেয়। নিচের তালিকাটি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, ৫৩ তেজতুরি
বাজার, ঢাকা, বাংলাদেশের প্রকাশনার সাহায্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে
লক্ষণীয় যে এটি একটি আংশিক তালিকা মাত্র।
Showing posts with label minority. Show all posts
Showing posts with label minority. Show all posts
Tuesday, September 30, 2014
Saturday, September 27, 2014
লালমনিরহাটে হিন্দু পরিবারের উপর হামলা
Land Dispute: Four of a Hindu family stabbed, house set afire at Shafirhat village in Patgram upazila in Lalmonirhat. The injured are Pushpa Rani Sen, 68, wife of late Debendra Nath Sen and her two sons Shyamol Chandra Sen, 45, and Kamol Chandra Sen, 38, and Shyamol's wife Dipali Rani Sen, 30 & Seriously injured Pushpa Rani was admitted to Rangpur Medical College Hospital.
(Through Adv. Rabindra Ghosh)
President of Bangladesh Minority Watch (BDMW)
[Source]
Friday, September 26, 2014
মানিকগঞ্জে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ
Ms. Sagorika Haldar(16) Minority belonging to Hindu raped and murdered at Manikgonj:
The victim was poor but brilliant HINDU student of Class IX (Nine) studying in Joymantop High School near her village. Her registration No. 1210792720 (Session 2012). On the date of occurrence the victim was at her home, but uneducated and simple father and mother was out of their home for business purpose. One Gurupada informed police that the dead body of Ms.Sagorika Haldar was found in her room adjacent with a ceiling fan after a quarreling amongst the victim and perpetrator Abdur Razzak. Abdur Razzak – the notorious women monger, without having any previous consent & without any lawful authority entered into the room of Ms. Sagorika and started to assault her closing the door with shoes because the victim reused sexual intercourse and cried for rescue; resulting serious injuries and she died. Police came and saw the dead body laid down on the ground. Police also managed to carry the dead body for post mortem at the nearest Hospital. But police did not record the case under proper section of law.
(Through Bangladesh Minority Watch)
[Source]
The victim was poor but brilliant HINDU student of Class IX (Nine) studying in Joymantop High School near her village. Her registration No. 1210792720 (Session 2012). On the date of occurrence the victim was at her home, but uneducated and simple father and mother was out of their home for business purpose. One Gurupada informed police that the dead body of Ms.Sagorika Haldar was found in her room adjacent with a ceiling fan after a quarreling amongst the victim and perpetrator Abdur Razzak. Abdur Razzak – the notorious women monger, without having any previous consent & without any lawful authority entered into the room of Ms. Sagorika and started to assault her closing the door with shoes because the victim reused sexual intercourse and cried for rescue; resulting serious injuries and she died. Police came and saw the dead body laid down on the ground. Police also managed to carry the dead body for post mortem at the nearest Hospital. But police did not record the case under proper section of law.
(Through Bangladesh Minority Watch)
[Source]
Wednesday, September 24, 2014
ফেনী-ঝালকাঠিতে হিন্দুদের উপর হামলা
ফেনী
ও ঝালকাঠিতে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলা, আগুন। পত্রিকা বলে দুর্বৃত্ত।
আমার প্রশ্ন দুর্বৃত্ত কি জিনিস???? সরাসরি বলতে লজ্জা কিসের?
১।
ফেনীতে হিন্দু বাড়িতে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরাঃ
ফেনীর মোটবী ইউনিয়নের সুরেন্দ্র কুমার নাথের ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এসময় সুরেন্দ্র কুমারের ঘর ও গোয়াল ঘরসহ ৩ টি গরু পুড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর
া জানান, প্রথমে গোয়ালঘরে আগুন লাগলেও মুহুর্তেই তা পুরো বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে পারলেও প্রায় ৩ ঘণ্টার আগুনে সব
মালামালসহ ঘরটি পুড়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ সুরেন্দ্র কুমারের পারিবারের। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২।
বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরঃ
ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার যদু বণিকের বাড়ির সর্বজনীন মনসা মন্দিরে হামলা চালিয়ে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ আকন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মন্দিরের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ আকনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি দল মন্দিরে ঢোকে। তারা মন্দিরে থাকা মনসা প্রতিমার সখীর মূর্তি এবং মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মন্দিরের পরিচালক শিবেশ্বর দত্ত বণিক বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় গতকাল বুধবার মামলা করেছেন। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীলমণি চাকমা বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(সূত্র)
১।
ফেনীতে হিন্দু বাড়িতে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরাঃ
ফেনীর মোটবী ইউনিয়নের সুরেন্দ্র কুমার নাথের ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এসময় সুরেন্দ্র কুমারের ঘর ও গোয়াল ঘরসহ ৩ টি গরু পুড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর
া জানান, প্রথমে গোয়ালঘরে আগুন লাগলেও মুহুর্তেই তা পুরো বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে পারলেও প্রায় ৩ ঘণ্টার আগুনে সব
মালামালসহ ঘরটি পুড়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ সুরেন্দ্র কুমারের পারিবারের। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২।
বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরঃ
ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার যদু বণিকের বাড়ির সর্বজনীন মনসা মন্দিরে হামলা চালিয়ে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ আকন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মন্দিরের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ আকনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি দল মন্দিরে ঢোকে। তারা মন্দিরে থাকা মনসা প্রতিমার সখীর মূর্তি এবং মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মন্দিরের পরিচালক শিবেশ্বর দত্ত বণিক বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় গতকাল বুধবার মামলা করেছেন। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীলমণি চাকমা বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(সূত্র)
Tuesday, September 23, 2014
নোয়াখালীতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের কর্মকারবাড়ির বসতঘর ও
মন্দিরে গত বুধবার একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি বেদখলের পরদিন
গতকাল শুক্রবার পুলিশের সহায়তায় তা উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই পরিবারের সদস্যদের
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নোয়াখালী: ধন্যপুর গ্রামের ধনঞ্জয় চন্দ্র কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দুপুরে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে তাঁদের বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির ছেলেদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা মীমাংসাও করা হয়। কিন্তু বেলা একটার দিকে ২০-২৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁদের বসতঘর ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বাধা দিলে নারীসহ অন্তত আটজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রুপেক চন্দ্র কর্মকার (২৭) ও সঞ্জয় চন্দ্র কর্মকার (২৩) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধনঞ্জয় আরও বলেন, সিরাজের সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরেই এ হামলা হয়েছে। সিরাজ ও তাঁর ছেলে মানিকসহ অন্যদের এলাকায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
হামলা ও ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সামাদ বলেন, এ ঘটনায় সিরাজসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাউফল (পটুয়াখালী): পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নকুল চন্দ্র কির্ত্তনীয়া (৭৫) প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে তাঁর পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একই গ্রামের কাজী মো. আলী হোসেনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘরের বেড়া ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়ির জমি দখল করে নেয়। পরে এ ঘটনায় বাউফল থানায় অভিযোগ করলে গতকাল দুপুরে পুলিশ গিয়ে ওই জমি উদ্ধার করে তাঁদের বুঝিয়ে দেয়।
নকুল চন্দ্র অভিযোগ করেন, এখন তাঁর পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের ও দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের জমি ওই পরিবারটি দখল করে রেখেছে। সেই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে হামলা, ভাঙচুর এবং তাঁদের প্রাণনাশের ও দেশ ছাড়ার হুমকির অভিযোগ মিথ্যা।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জমির কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(সূত্র)
নোয়াখালী: ধন্যপুর গ্রামের ধনঞ্জয় চন্দ্র কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দুপুরে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে তাঁদের বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির ছেলেদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা মীমাংসাও করা হয়। কিন্তু বেলা একটার দিকে ২০-২৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁদের বসতঘর ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বাধা দিলে নারীসহ অন্তত আটজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রুপেক চন্দ্র কর্মকার (২৭) ও সঞ্জয় চন্দ্র কর্মকার (২৩) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধনঞ্জয় আরও বলেন, সিরাজের সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরেই এ হামলা হয়েছে। সিরাজ ও তাঁর ছেলে মানিকসহ অন্যদের এলাকায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
হামলা ও ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সামাদ বলেন, এ ঘটনায় সিরাজসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাউফল (পটুয়াখালী): পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নকুল চন্দ্র কির্ত্তনীয়া (৭৫) প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে তাঁর পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একই গ্রামের কাজী মো. আলী হোসেনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘরের বেড়া ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়ির জমি দখল করে নেয়। পরে এ ঘটনায় বাউফল থানায় অভিযোগ করলে গতকাল দুপুরে পুলিশ গিয়ে ওই জমি উদ্ধার করে তাঁদের বুঝিয়ে দেয়।
নকুল চন্দ্র অভিযোগ করেন, এখন তাঁর পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের ও দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের জমি ওই পরিবারটি দখল করে রেখেছে। সেই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে হামলা, ভাঙচুর এবং তাঁদের প্রাণনাশের ও দেশ ছাড়ার হুমকির অভিযোগ মিথ্যা।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জমির কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(সূত্র)
Sunday, September 21, 2014
বিচারের আশা নিয়েই শুধু বাঁচি, বিচার কভু পাই না
শিল্পি রানি দাস (৩৫) একজন হিন্দু নারী সে কাদছে বিচারের আশায়, যার নাবালিকা মেয়েকে (১২) ধর্ষিত এবং খুন করেছে মুসলিম মৌলবাদীরা।
=> ঘটানাটি ঘটেছে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা সদর, বুয়াবারিয়া থানা, ২৮,০৬,২০১৩ সালে। ঘটানার সাথে জরিত তিন মুসলিম যথা 1) মোহাম্মদ রুবেল শেখ, 2) মোহাম্মদ লাল চাঁদ শেখ এবং 3) মোহাম্মদ রমিজ শেখ। এই নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নাম্বার-১৪, তারিখ ২৮,০৬,২০১৩। কিন্ত পুলিশ চাচ্ছে ঘটানটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে। কতিপয় হিন্দুদেরকে জরিয়ে দিতে।
(সূত্র)
Friday, September 12, 2014
এ খবর আমরা কয়জন রাখি?
গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ‘বাংলাদেশজুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের
মন্দির-ঘরবাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর
বিভিন্ন মন্দিরের ৪৯৫টি মূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু
সম্প্রদায়ের ২৭৮টি বাড়ি ও ২০৮টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে।
এসব ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও ১৮৮ জন আহত হয়েছে।
(প্রথম আলো, ১ আগস্ট ২০১৪)
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নির্বাচন ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ হাজার বসতবাড়ি ও অর্ধশতাধিক মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মানুষের বসতবাড়ি ভাঙলে একটি বাড়িই ভাঙে, যা আবার নির্মাণ করা যায়। কিন্তু মন্দির বা উপাসনালয় কেবল ইট-পাথরের স্থাপনা নয়, মানুষের হৃদয় ও পবিত্রতার প্রতীক। সেটি ভাঙা মানে তার হৃদয় ভাঙা। তাঁর ধর্ম ও গোটা সম্প্রদায়কে আহত করা।
(Source)
(প্রথম আলো, ১ আগস্ট ২০১৪)
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নির্বাচন ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ হাজার বসতবাড়ি ও অর্ধশতাধিক মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মানুষের বসতবাড়ি ভাঙলে একটি বাড়িই ভাঙে, যা আবার নির্মাণ করা যায়। কিন্তু মন্দির বা উপাসনালয় কেবল ইট-পাথরের স্থাপনা নয়, মানুষের হৃদয় ও পবিত্রতার প্রতীক। সেটি ভাঙা মানে তার হৃদয় ভাঙা। তাঁর ধর্ম ও গোটা সম্প্রদায়কে আহত করা।
(Source)
Wednesday, September 10, 2014
অতঃপর বাঙালি জানল না টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় মারা গেলেন এক অভাগা মুক্তিযোদ্ধা, উক্য চিং!
হ্যাঁ, সেই উক্য চিং, যিনি ১৭৫জন বীরবিক্রমের মধ্যে একমাত্র আদিবাসী, সেই
উক্য চিং যার অপারেশনের সাফল্যে মিত্র বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরোরা
পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন মুক্তাঞ্চলে তার সাথে দেখা করতে। মাত্র ১৩জন সৈন্য
নিয়ে পাকসেনাদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
একবার তিনি সাত আটজন বাঙালি তরুণীর ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পান। এর প্রতিশোধে তিনি এক কমান্ডার সহ সাত পাকসেনার লিঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম প্রতিশোধ আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এই কাজটি করে দেখিয়েছেন অগ্নিপুরুষ উক্য চিং!
তারপর কী হয়েছে? সেই উক্য চিংকে আমরা সম্মান জানিয়েছি বিজয় দিবসে বান্দরবানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়ে! তিনি পরে বলেছিলেন, "কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?" [এই অংশের কৃতজ্ঞতা আলী মাহমেদ]
ব্রেইন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দুলাখ টাকা হলে তিনি উন্নত চিকিৎসা পেতেন। কিন্ত হায়! বাঙালি তখন গাজা নিয়ে ব্যস্ত, অনন্ত জলিল ফটোসেশন করে গাজায় টাকা পাঠান, আমরা ফান্ড খুলি "ফিলিস্তিনের জন্য ক্ষতিকর" হামাসকে টাকা পাঠানোর জন্য, অথচ নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাকে দেখার কেউ রইল না। আজ টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
অবশ্য তাতে কী? নিজের দেশের প্রতি সময় দেবার সময় আছে নাকি আমাদের? আমরা আজ বিশ্ব মানবতার ঝাণ্ডাধারী, দেশের এসব ছোট খাটো ব্যাপার, কোথাকার কোন মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিতসায় মারা গেল তাতে আমার কী? আমার বিশ্ব মানবতা রক্ষা করতে হবে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইজরায়লে এটাক থামাতে হবে। কিন্ত নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যাবে না। হে সিজনাল মানবতাবাদী, আর কত হিপোক্রিসি?
আপনারা সারা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়ে যান আমার কোনো আপত্তি নেই, আমিও আপনাদের দলে। কিন্ত প্লিজ, আগে নিজের দেশটার দিকে একটু তাকান।
যে মানুষগুলা নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন,আপনি তাদের বাঁচাতে কলম ধরতে পেরেছেন কি? সেই মানুষগুলোর দিকে আগে তাকান, একটু অন্তত জন্মযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা দেখান, তাদের সহযোগিতা করুন, প্রাপ্য সম্মান দিন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও যেন টাকার অভাবে মারা না যায়।
(Courtesy - Dipta Akash Roy)
একবার তিনি সাত আটজন বাঙালি তরুণীর ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পান। এর প্রতিশোধে তিনি এক কমান্ডার সহ সাত পাকসেনার লিঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম প্রতিশোধ আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এই কাজটি করে দেখিয়েছেন অগ্নিপুরুষ উক্য চিং!
তারপর কী হয়েছে? সেই উক্য চিংকে আমরা সম্মান জানিয়েছি বিজয় দিবসে বান্দরবানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়ে! তিনি পরে বলেছিলেন, "কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?" [এই অংশের কৃতজ্ঞতা আলী মাহমেদ]
ব্রেইন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দুলাখ টাকা হলে তিনি উন্নত চিকিৎসা পেতেন। কিন্ত হায়! বাঙালি তখন গাজা নিয়ে ব্যস্ত, অনন্ত জলিল ফটোসেশন করে গাজায় টাকা পাঠান, আমরা ফান্ড খুলি "ফিলিস্তিনের জন্য ক্ষতিকর" হামাসকে টাকা পাঠানোর জন্য, অথচ নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাকে দেখার কেউ রইল না। আজ টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
অবশ্য তাতে কী? নিজের দেশের প্রতি সময় দেবার সময় আছে নাকি আমাদের? আমরা আজ বিশ্ব মানবতার ঝাণ্ডাধারী, দেশের এসব ছোট খাটো ব্যাপার, কোথাকার কোন মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিতসায় মারা গেল তাতে আমার কী? আমার বিশ্ব মানবতা রক্ষা করতে হবে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইজরায়লে এটাক থামাতে হবে। কিন্ত নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যাবে না। হে সিজনাল মানবতাবাদী, আর কত হিপোক্রিসি?
আপনারা সারা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়ে যান আমার কোনো আপত্তি নেই, আমিও আপনাদের দলে। কিন্ত প্লিজ, আগে নিজের দেশটার দিকে একটু তাকান।
যে মানুষগুলা নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন,আপনি তাদের বাঁচাতে কলম ধরতে পেরেছেন কি? সেই মানুষগুলোর দিকে আগে তাকান, একটু অন্তত জন্মযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা দেখান, তাদের সহযোগিতা করুন, প্রাপ্য সম্মান দিন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও যেন টাকার অভাবে মারা না যায়।
(Courtesy - Dipta Akash Roy)
Labels:
1971,
Bangladesh,
freedom fighters,
liberation,
minority,
war
Saturday, August 23, 2014
12 Years A Slave
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:
আগেই বলে নিচ্ছি নিচের লেখাটি গত বছরের Oscar বিজয়ী 12 Years A Slave নিয়ে রচিত। কেউ যদি এটি না দেখে থাকেন এবং দেখার ইচ্ছা আছে ও ঘটনা আগে জেনে ফেলতে ইচ্ছুক নন, তারা বাকি আর পড়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি মনে করেন, এটি দেখার কোনো ইচ্ছা নেই বা ঘটনা আগে জেনে ফেললে কোনো সমস্যা নেই, তারা পড়া চালিয়ে যেতে পারেন।
আগেই বলে নিচ্ছি নিচের লেখাটি গত বছরের Oscar বিজয়ী 12 Years A Slave নিয়ে রচিত। কেউ যদি এটি না দেখে থাকেন এবং দেখার ইচ্ছা আছে ও ঘটনা আগে জেনে ফেলতে ইচ্ছুক নন, তারা বাকি আর পড়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি মনে করেন, এটি দেখার কোনো ইচ্ছা নেই বা ঘটনা আগে জেনে ফেললে কোনো সমস্যা নেই, তারা পড়া চালিয়ে যেতে পারেন।
Wednesday, August 20, 2014
Monday, July 28, 2014
সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
সম্প্রতি ভারতের জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের নিকটবর্তী অমরনাথ তীর্থক্ষেত্রে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের উপর মুসলিমরা আক্রমণ করে। এতে শতাধিক তীর্থযাত্রীদের তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চল্লিশেরও অধিক ব্যক্তি আহত হন। একই সময়ের দিকে নয়াদিল্লীতে এক সাংসদ (যিনি শিব সেনার সদস্য) ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবারের জন্য ক্যাটারিংয়ের এক কর্মচারীর মুখে ছুড়ে মারেন খাবার। পরে জানা যায় সেই কর্মচারী একজন মুসলিম ছিলেন। পরবর্তীতে কংগ্রেস পার্টির সাংসদরা সংসদ নিকটস্থ এলাকায় হুলোস্থুল কান্ড করেন সাম্প্রদায়িকতার দোষ দিয়ে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যদি দেখি, সেটা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের যেখানেরই হোক না কেন, দ্বিতীয় খবরটি বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ইফতার নিমন্ত্রণে না আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বেশ সমালোচিত হয়েছেন, সেটিও বর্তমান মিডিয়া দুনিয়ায় ঠিকই ফলাও হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
পাঠকের নিকট আমার প্রশ্ন, একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে বলুন তো, কোন খবরটা প্রাধান্য পাওয়া উচিত ছিলো? বলুন তো কেন তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনা গোটা মিডিয়া বিশ্ব উপেক্ষা করে গেলো? বলুন তো সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত হিসেবে কোনটি আরো বড় গুরুতর?
তারপরেও আমরা জানি ভারত একটি সাম্প্রদায়িক দেশ, যে দেশে সংখ্যালঘুরা মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে না। যে দেশে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের হাতে হামলার শিকার হয়েও দেশটি সাম্প্রদায়িকতার কালিমা নিয়ে পরিচিত। যে দেশে সংখ্যালঘুদের হাতে সংখ্যাগুরুদের তীর্থস্থাণের নিকট হামলার ঘটনা সংবাদ মাধ্যম উপেক্ষা করলেও দেশটি সাম্প্রদায়িক হিসেবেই আখ্যায়িত হয়। যে দেশে একজন সংখ্যালঘু রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও দেশটি অসাম্প্রদায়িক। যে দেশের এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (পশ্চিমবঙ্গ) এবারে দুর্গাপূজা ও ঈদ একই সময়ের দিকে পড়ায়, প্রতিমা বিসর্জন পেছাতে আদেশ দিয়েছেন সংখ্যাগুরুদের যাতে করে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়, তারপরেও সে দেশটি সাম্প্রদায়িক। যে দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ৬০ বছরেরও অধিক সময়ে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা যদিও সংখ্যাগুরুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেনি, কিন্তু সংখ্যার (%) দিক থেকে বেড়েছে।
আর এবারে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলি। যে দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছরেরও বেশী সময়ে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ৩৩% থেকে ৯% এ এসে ঠেকেছে সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য, রায় ঘোষণা, ফাঁসীর বাস্তবায়নের সময় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়। যে দেশে সংখ্যাগুরুদের রোজার মাসে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয় নামাজ-সংযম শেষ করে। যে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ধর্ষণ, হত্যা, লুন্ঠনের খবর মূলধারার মিডিয়া প্রচারে অপারগ। যে দেশে সংখ্যালঘু কেউ পাশের দেশে চলে গেলে তার সম্পত্তি তার আত্মীয়-স্বজনের বদলে শত্রু সম্পত্তি হয়ে সরকারের ঘরে চলে যায়। কিন্তু তবুও সেই দেশ অসাম্প্রদায়িক।
তাহলে একটু বুঝিয়ে বলুন তো, আসলে সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞা কি একই আছে যা আমরা অভিধানে শিখেছিলাম? নাকি এদের অর্থ হঠাৎই বদলে গেছে?
আমি মানছি, সংখ্যালঘু যে দেশেই বাস করুক না কেন, সে ইউরোপ-আমেরিকাই হোক, কিংবা গরীব কোনো তৃতীয় বিশ্বের দেশই হোক না কেন, তার কপালে দুঃখ আছেই। কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুমুক্ত বাংলাদেশ হতে বেশী সময় লাগবে না। আর এতে লাভ তো সকল গ্রুপেরই - সে আওয়ামীই হোক, বিএনপিই হোক, জঙ্গীবাদী জামায়াতই হোক কিংবা সেক্যুলার সুশীল সমাজই হোক। কেননা প্রতিটা হিন্দু চলে গেলে তো তার জমি-জমা, বিষয়াদি এদের কেউ না কেউই দখলে নেবে। তখন জাদুঘরে গিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে বাংলাদেশে এককালে হিন্দুগোষ্ঠী নামক এক জাতি বাস করত। আর তখন সাম্প্রদায়িকতা-অসাম্প্রদায়িকতার যে কী সংজ্ঞা হবে তা কেই বা জানে?
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যদি দেখি, সেটা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের যেখানেরই হোক না কেন, দ্বিতীয় খবরটি বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ইফতার নিমন্ত্রণে না আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বেশ সমালোচিত হয়েছেন, সেটিও বর্তমান মিডিয়া দুনিয়ায় ঠিকই ফলাও হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
পাঠকের নিকট আমার প্রশ্ন, একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে বলুন তো, কোন খবরটা প্রাধান্য পাওয়া উচিত ছিলো? বলুন তো কেন তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনা গোটা মিডিয়া বিশ্ব উপেক্ষা করে গেলো? বলুন তো সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত হিসেবে কোনটি আরো বড় গুরুতর?
তারপরেও আমরা জানি ভারত একটি সাম্প্রদায়িক দেশ, যে দেশে সংখ্যালঘুরা মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে না। যে দেশে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের হাতে হামলার শিকার হয়েও দেশটি সাম্প্রদায়িকতার কালিমা নিয়ে পরিচিত। যে দেশে সংখ্যালঘুদের হাতে সংখ্যাগুরুদের তীর্থস্থাণের নিকট হামলার ঘটনা সংবাদ মাধ্যম উপেক্ষা করলেও দেশটি সাম্প্রদায়িক হিসেবেই আখ্যায়িত হয়। যে দেশে একজন সংখ্যালঘু রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও দেশটি অসাম্প্রদায়িক। যে দেশের এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (পশ্চিমবঙ্গ) এবারে দুর্গাপূজা ও ঈদ একই সময়ের দিকে পড়ায়, প্রতিমা বিসর্জন পেছাতে আদেশ দিয়েছেন সংখ্যাগুরুদের যাতে করে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়, তারপরেও সে দেশটি সাম্প্রদায়িক। যে দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ৬০ বছরেরও অধিক সময়ে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা যদিও সংখ্যাগুরুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেনি, কিন্তু সংখ্যার (%) দিক থেকে বেড়েছে।
আর এবারে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলি। যে দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছরেরও বেশী সময়ে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ৩৩% থেকে ৯% এ এসে ঠেকেছে সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য, রায় ঘোষণা, ফাঁসীর বাস্তবায়নের সময় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়। যে দেশে সংখ্যাগুরুদের রোজার মাসে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয় নামাজ-সংযম শেষ করে। যে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ধর্ষণ, হত্যা, লুন্ঠনের খবর মূলধারার মিডিয়া প্রচারে অপারগ। যে দেশে সংখ্যালঘু কেউ পাশের দেশে চলে গেলে তার সম্পত্তি তার আত্মীয়-স্বজনের বদলে শত্রু সম্পত্তি হয়ে সরকারের ঘরে চলে যায়। কিন্তু তবুও সেই দেশ অসাম্প্রদায়িক।
তাহলে একটু বুঝিয়ে বলুন তো, আসলে সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞা কি একই আছে যা আমরা অভিধানে শিখেছিলাম? নাকি এদের অর্থ হঠাৎই বদলে গেছে?
আমি মানছি, সংখ্যালঘু যে দেশেই বাস করুক না কেন, সে ইউরোপ-আমেরিকাই হোক, কিংবা গরীব কোনো তৃতীয় বিশ্বের দেশই হোক না কেন, তার কপালে দুঃখ আছেই। কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুমুক্ত বাংলাদেশ হতে বেশী সময় লাগবে না। আর এতে লাভ তো সকল গ্রুপেরই - সে আওয়ামীই হোক, বিএনপিই হোক, জঙ্গীবাদী জামায়াতই হোক কিংবা সেক্যুলার সুশীল সমাজই হোক। কেননা প্রতিটা হিন্দু চলে গেলে তো তার জমি-জমা, বিষয়াদি এদের কেউ না কেউই দখলে নেবে। তখন জাদুঘরে গিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে বাংলাদেশে এককালে হিন্দুগোষ্ঠী নামক এক জাতি বাস করত। আর তখন সাম্প্রদায়িকতা-অসাম্প্রদায়িকতার যে কী সংজ্ঞা হবে তা কেই বা জানে?
Friday, July 18, 2014
ভারত মহান তাদের রুপ দেখে আমি হয়রান
বিদ্যা বালান একটি ছবির প্রমোট করতে গুজরাট গিয়েছিল আর মোদীর ভাবনাকে নকল করতে চেয়েছিল কিন্তু গুজরাটের মানুষ তাকে করতে দেয়নি আর সে কারনে হিন্দুদের উপর রাগ করে সে হায়দ্রাবাদের মাহিম দরগায় মুনাজাতে বিদ্যা বালান! এটা আজ ভারতের আসল রুপ। নিজের লাভের জন্য ধর্মকে পূঁজি করে।
কাল হিন্দুদের শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা গিয়েছে কিন্তু ভারতের শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান সহ অনেক ক্ষমতাশীল মুসলিমকে কি দেখেছেন হিন্দুদের অভিনন্দন জানাতে? না তারা কখনও তাদের ধর্ম অনুভূতিতে আগাত লাগে এমন কাজ করবে না।
Tuesday, July 08, 2014
সহপাঠীদের দ্বারা ধর্ষিত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্রীকে দুই সহপাঠী ও তাদের তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এরপর নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীকে কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এক আসামি ও ধর্ষণের ভিডিও রাখার অভিযোগে আরেকজনকে আটক করেছে। গতকাল রবিবার পুলিশ মেয়েটির জবানবন্দি নিয়েছে।
Labels:
Bangladesh,
classmates,
friends,
hindu,
minority,
rape,
rapist,
religion,
school
Sunday, July 06, 2014
বাংলাদেশ ও ভারতের সংখ্যালঘু পার্থক্য
ভারতের মুসলমানরা এদেশে (বাংলাদেশে) আসতে চায় না, পাকিস্তানে তো যাবেই না। ভারতের মুসলমানরা অবশ্য এদেশে আসতে চায় না। মার খেলেও ওখানে পড়ে থাকতেই তারা সচেষ্ট। পাকিস্তানে তো যাবেই না। ওটা আর কোনো দেশ নয় এখন। পাকিস্তান হল নিজেরা খুনোখুনি করে নিঃশেষ হওয়ার একটা জায়গা। তাহলে বাংলাদেশের
হিন্দু কেন মার খেয়ে ভারতে যাবে? সম্পদশালী, সুশিক্ষিত ও উচ্চ পেশাজীবী হিন্দুরা অনেক আগেই ভারতে চলে গিয়েছিল। দেশবিভাগের সময় যারা যায়নি, পাকিস্তান পর্বে বিভিন্ন অপঘটনায় তাদেরও একাংশ সেখানে চলে যায়। তুলনামূলক পছন্দের ব্যাপার ছিল বৈকি। নিরাপত্তাবোধের বিষয়ও ছিল।
হিন্দু কেন মার খেয়ে ভারতে যাবে? সম্পদশালী, সুশিক্ষিত ও উচ্চ পেশাজীবী হিন্দুরা অনেক আগেই ভারতে চলে গিয়েছিল। দেশবিভাগের সময় যারা যায়নি, পাকিস্তান পর্বে বিভিন্ন অপঘটনায় তাদেরও একাংশ সেখানে চলে যায়। তুলনামূলক পছন্দের ব্যাপার ছিল বৈকি। নিরাপত্তাবোধের বিষয়ও ছিল।
Saturday, July 05, 2014
এ কেমন শান্তির নমুনা?
পাকিস্তানে হিন্দু বাস করে মাত্র ২ শতাংশ। জরিপে দেখা গেছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার এই পাকিস্তানী হিন্দুরা। এবার সেই পাকিস্তান হিন্দুধর্মের উপর সরাসরি আঘাত করল। পাকিস্তানী একটি জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানী "OM" লেখা জুতা বাজারে ছেড়েছে। জুতা প্রস্তুতকারীদের দাবি, জুতাতে ওমঃ চিহ্ন থাকায় তাদের ব্যবসা ভাল হবে।
Wednesday, July 02, 2014
এই কি সংযমের নমুনা?
গতকাল
সোমবার রাতে স্বামীবাগ ইস্কন মন্দিরে দেড় শতাধিক মুসল্লি হামলা করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হিন্দুবার্তার নিজস্ব প্রতিনিধি জানায়, রাত সাড়ে নয়টার
দিকে ঘটনাটি ঘটে। তারাবীর নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা মন্দিরে দলবদ্ধভাবে
হামলা করে। হামলার পরপরই মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শতাধিক
মুসল্লি মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে থেকে ভেতরে ইট-পাথর ছুড়ে মারে। এতে
মন্দিরের জলের ট্যাংকসহ বেশকিছু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা মন্দিরের গেইটে লাথির পর লাথি মারে আর অশ্রাব্য ও জিহাদী ভাষায় হিন্দুদের ও মন্দিরের নামে গালিগালাজ করে।
Tuesday, July 01, 2014
হিন্দু ছেলে মুসলিম মেয়ের প্রেমের ঘটনায় ১২০ হিন্দু পরিবার ঘর ছাড়া
শেরপুর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী বেতমারী
গ্রামে হিন্দু ছেলের সঙ্গে মুসলিম মেয়ের প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই
গ্রামের ১২০ হিন্দু পরিবার এখন বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ২০ জুন
শুক্রবার হামলার শিকার ৫ পরিবারের লোকজন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে
এসে আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, বেতমারী উত্তরপাড়ার পুনি রবিদাসের ছেলে রতন রবিদাসের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার এইচ এস সি পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিগত ১০ জুন গার্মেন্টস কর্মী রতন ওই মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
১৬ জুন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে এক সালিসী সভা করেন। সেই সভায় মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় ছেলের সাথে বেড়িয়ে গেছে বলে স্বীকার করে। ছেলেটি ধর্মান্তরিত হয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজী হয়। তবে মেয়ের মামা শহিদুল মেম্বারসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক এতে রাজী না হয়ে ওই ছেলের শাস্তি দাবী করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে চেয়ারম্যান ছেলে-মেয়ে দু’জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতাধিক লোকজন ১৭ তারিখ রাতে ওই এলাকার রবিদাস সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এসময় গোয়ালের গরু-টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
এতে আতঙ্কিত নারী-পুরুষসহ প্রায় শতাধিক পরিবার শেরপুর ও জামালপুর জেলা শহরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে এবং কিছু পরিবার বর্তমানে শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ১০-১৫টি পরিবারকে তাদের বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের একটি দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে বেতমারী গেলে তাদের সামনেই দুই হিন্দু পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ চলে এলে দুটি বাড়ীতে হামলা করে ভাঙ্চুর করা হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় তুফানু রবিদাসের স্ত্রী শান্তি রানী বলেন, “আমগরে কি অপরাধ জানিনা। প্রেম করছে রতন-সীমা। অত্যাচার চলতাছে আমগরে উপরে। দেশ ছাইর্যা যাবার জন্য হুমকি দিতাছে। আমগরে বাঁচান।”
একই গ্রামের দুলালী বলেন, “পুলাপান নিয়া তিন দিন ধইর্যা এলাকা ছাড়া। আমার স্বামী সেলুনে কাজ করে। সেলুন বন্ধ। পুলাপান না খাইয়্যা আছে।”
এলাকার ধানু চকিদার বলেন, “আমারে ধইর্যা মারছে। ভয়ে বাড়ীতে যাবার পাইতাছিনা।”
বেতমারী- ঘুঘরাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালবাসে। ছেলে মুসলমান হতে চায়। তবে এলাকার কিছু দালাল বাটপার এতে বাধা দিচ্ছে। তারা এ ঘটনাকে অন্যরকম রং দিয়ে সুবিধা নিতে চায়। তিনি বলেন অ্যাকশানে না গেলে হিন্দুরা এলাকায় থাকতে পারবে না।
সদর থানার ওসি মাযহারুল করিম বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। আমরা ৫৪ ধারায় ছেলে মেয়েকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছি। মেয়েটি ছেলেটিকে ছাড়া বাঁচবেনা বলে হুমকি দিয়েছে। ছেলে মেয়ের আত্মীয় স্বজন কেউ সমাধানের জন্য আসছে না।
এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা মানাবাধিকার সংস্থা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন।
(তথ্যসূত্র)
জানা গেছে, বেতমারী উত্তরপাড়ার পুনি রবিদাসের ছেলে রতন রবিদাসের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার এইচ এস সি পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিগত ১০ জুন গার্মেন্টস কর্মী রতন ওই মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
১৬ জুন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে এক সালিসী সভা করেন। সেই সভায় মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় ছেলের সাথে বেড়িয়ে গেছে বলে স্বীকার করে। ছেলেটি ধর্মান্তরিত হয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজী হয়। তবে মেয়ের মামা শহিদুল মেম্বারসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক এতে রাজী না হয়ে ওই ছেলের শাস্তি দাবী করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে চেয়ারম্যান ছেলে-মেয়ে দু’জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতাধিক লোকজন ১৭ তারিখ রাতে ওই এলাকার রবিদাস সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এসময় গোয়ালের গরু-টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
এতে আতঙ্কিত নারী-পুরুষসহ প্রায় শতাধিক পরিবার শেরপুর ও জামালপুর জেলা শহরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে এবং কিছু পরিবার বর্তমানে শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ১০-১৫টি পরিবারকে তাদের বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের একটি দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে বেতমারী গেলে তাদের সামনেই দুই হিন্দু পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ চলে এলে দুটি বাড়ীতে হামলা করে ভাঙ্চুর করা হয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় তুফানু রবিদাসের স্ত্রী শান্তি রানী বলেন, “আমগরে কি অপরাধ জানিনা। প্রেম করছে রতন-সীমা। অত্যাচার চলতাছে আমগরে উপরে। দেশ ছাইর্যা যাবার জন্য হুমকি দিতাছে। আমগরে বাঁচান।”
একই গ্রামের দুলালী বলেন, “পুলাপান নিয়া তিন দিন ধইর্যা এলাকা ছাড়া। আমার স্বামী সেলুনে কাজ করে। সেলুন বন্ধ। পুলাপান না খাইয়্যা আছে।”
এলাকার ধানু চকিদার বলেন, “আমারে ধইর্যা মারছে। ভয়ে বাড়ীতে যাবার পাইতাছিনা।”
বেতমারী- ঘুঘরাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে-মেয়ে দুজন দুজনকে ভালবাসে। ছেলে মুসলমান হতে চায়। তবে এলাকার কিছু দালাল বাটপার এতে বাধা দিচ্ছে। তারা এ ঘটনাকে অন্যরকম রং দিয়ে সুবিধা নিতে চায়। তিনি বলেন অ্যাকশানে না গেলে হিন্দুরা এলাকায় থাকতে পারবে না।
সদর থানার ওসি মাযহারুল করিম বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। আমরা ৫৪ ধারায় ছেলে মেয়েকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছি। মেয়েটি ছেলেটিকে ছাড়া বাঁচবেনা বলে হুমকি দিয়েছে। ছেলে মেয়ের আত্মীয় স্বজন কেউ সমাধানের জন্য আসছে না।
এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা মানাবাধিকার সংস্থা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন।
(তথ্যসূত্র)
Friday, June 27, 2014
প্রসঙ্গ: মালাউন
মালাউন শব্দটা বিশেষ প্রচলিত এ সমাজে ।এমন কথা বলতে বুক বিঁধে ,অথচ না বললে
স্পষ্ট হয় না আমাদের এই ধর্ম্মসমাজ ধর্মের লেবাসে কতোটা তৃতীয় শ্রেণীর
মানসিকতায় পড়ে আছে ।স্কুলবেলার বন্ধু মাসুম স্কুলে আমাদের দস্যিপনা থেকে
বিরত রাখত ,ইমাম হুজুরের ছেলে বলে নানা নীতি নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করতো আমরা
দস্যিতার জেরে তা ওকান দিয়ে ঢুকিয়ে ঐকান দিয়ে বিদায় করে দিতাম ।মা কে যখন
ঘরে এসে বলতাম যে মাসুম ওমন বলে তখন তিনি বোঝাতেন এসব খুবই ভালো কথা ,মাসুম
ঠিকই বলে ।তারপর মাসুম কে ভালো চোখেই দেখা শুরু করলাম ।তার সাথে দূরত্ব
এখন অনেক ।সেই স্কুলবেলা ছেড়ে আজ আমি কতোই না বড় ।কাল তার সাথে দেখা হতেই
সে আমায় "মালাউন,,শব্দ দিয়ে সম্বোধন করলো ।জানতে পারলাম ও এখন বিশ্ব জাকের
পার্টির সদস্য ।এক মানুষ হিসেবে আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ফরিদপুর বিশ্ব
জাকের মঞ্জিলের ঐ পীরের ছবি দেখে মনে যারপরনাই শ্রদ্ধা জন্মে ।কিন্তু
মাসুমের কালের এহেন ব্যাবহার আমায় ইঙ্গিঁত দেয় তার বোধহয় মনুষ্যত্বেরহানী
ঘটতে লাগলো ।সে প্রসঙ্গঁ ছাড়ছি ।মালাউন বহুল প্রচলিত শব্দ অথচ আমি অর্থ
জানিনা ।তবে এটা জানি যে ,উন শব্দের অর্থ গলা আর মালার ঐ এক অর্থ যার কোনো
প্রতিশব্দ ছাড়া অন্য কোনো বিশেষ অর্থ হয় না ।তাই ধারণা করতাম হয়তো গলায়
মালা থাকে বলেই উনারা এমন উচ্চারণ করেন ।কাল রাতেই বাংলা একাডেমী কতৃক
প্রকাশিত ব্যাবহারিক বাংলা অভিধানের পরিমার্জিত সংস্করণে তা খোঁজলাম ।এতে
দেখা যায় মালাউন শব্দের তিনটি অর্থ ।যথা: ১.লনতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত, বিতাড়িত, কাফের
২.শয়তান
৩.মুসলমান কতৃক ভিন্ন ধর্মানূসারীদের দৃত গালি বিশেষ ।অর্থাত্ তারা এই শব্দটি গালি হিসেবে এতোই উত্তমরুপে ব্যাবহার করেছেন যা অভিধানে ঠাঁই নিয়েছে ।লনত অর্থ বোঝিনি বলে চিন্তায় ছিলাম ।ঐ বইয়ের ১০৫৪নং পৃষ্ঠায় দেখা গেলো তারও তিনটে অর্থ যথাঃ ১.অভিশাপ ২.অপমান ,ভর্ত্ সনা ,লাঞ্ছনা ৩.শাস্তি ।আর কাফের শব্দ নিয়ে জানা গেলো এটি আরবী কুফর শব্দ থেকে উত্পন্ন ।যার অর্থ মহাসত্য ,কঠিন সত্য গোপন করা ।আর ইসলামিক পরিভাষায় বলা যায় ইসলামের সত্য কে গোপন রাখা বা যে রাখে ,বা অমুসলিম ।অবশ্য জাকির নায়েকের বক্তৃতায় শুনেছিলাম এই শব্দটি কখোনো গালিরুপে ব্যাবহার হয় না ।তা যাই হউক ।শব্দগুচ্ছর অর্থের কোনো দিক থেকেই আমরা এ গালির যোগ্য নই বলে প্রমাণ হয় অবশ্য একটিতে কেবল তারাই জোরপূর্বক আমাদের যোগ্যতা দিয়েছে ।আমায় মালাউন বলায় যে আমি অভিশপ্ত কাফের বা লনতপ্রাপ্ত হয়েছি তা কিন্তু সত্য নয় ।যারা এটি ব্যাবহার করে এটি তাদেরই পরিবার বা পরিবেশের অজ্ঞতা ,অন্ধতা ,মূর্খ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় ।এখানে ধর্ম যে কবেই ধর্ষিত হয়েছে এ জানা নেই ।জ্ঞানহীন ব্যাক্তি ধর্মের ধারকও নয় বাহকও নয় ।বরঞ্চ স্বধর্মের কলঙ্ক ।কিছু অজ্ঞান ব্যাক্তি মালাউন বা তত্বর্গীয় কাজ দ্বারা ইসলামকে কতোটা কুলষিত করে এটাই তার প্রমাণ ।দার্শনিক একটি উক্তি আছে যে ,জ্ঞান যেথা সীমিত বুদ্ধি সেথা আড়ষ্ট ,আর মুক্তি সেখানে অসম্ভব ।বলা বাহুল্য যে এই মুক্তি জেল ,পর্দা ,কিম্বা প্রদত্ত অর্থের মুক্তি নয় আত্ম বা জীবমুক্তি যা প্রতিটি ধর্মে বেশ প্রসারিত ।সুতরাং সে অর্থে আমি ঐ সমাজের মুক্তি দেখি না ,ধর্ম যেথা মানুষকে উর্দ্ধে তোলে সেথা তারা জ্ঞানের অভাব এবং কূপমণ্ডুকতার কারণে ধর্ম জড়িয়ে দিন থেকে দিনে অধঃদিকে পতীত হচ্ছে এসবই তার প্রমাণ ।ধর্ম দলবৃত্তি ,পেশীবৃত্তি ,আর বেহেশত্ জান্নাত নয় একটি ভালো মানুষ গড়ার হাতিয়ার ।আমি ঈশ্বরকে তাই বলি ওদের জ্ঞান দাও ওরা বোঝতে শিখুক ,সঠিক ধর্ম পথে এসে ভালো মানুষ হউক ,একটি অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃত্ব প্রেমের সভ্যতা গড়ে উঠুক এই আমি চাই ।কিন্তু জ্ঞান-আলো প্রবেশ করেনি যেখানে সেখানে উন্নত মানসিকতা সৃষ্টি হয়ে ভালো মানুষ হয়ে উঠা যে অসম্ভব তা আমি এখন বোঝি ।অজান্তেই বলি ঈশ্বর এদের মুক্তি দাও ।
(লেখক - মানস চক্রবর্ত্তী)
২.শয়তান
৩.মুসলমান কতৃক ভিন্ন ধর্মানূসারীদের দৃত গালি বিশেষ ।অর্থাত্ তারা এই শব্দটি গালি হিসেবে এতোই উত্তমরুপে ব্যাবহার করেছেন যা অভিধানে ঠাঁই নিয়েছে ।লনত অর্থ বোঝিনি বলে চিন্তায় ছিলাম ।ঐ বইয়ের ১০৫৪নং পৃষ্ঠায় দেখা গেলো তারও তিনটে অর্থ যথাঃ ১.অভিশাপ ২.অপমান ,ভর্ত্ সনা ,লাঞ্ছনা ৩.শাস্তি ।আর কাফের শব্দ নিয়ে জানা গেলো এটি আরবী কুফর শব্দ থেকে উত্পন্ন ।যার অর্থ মহাসত্য ,কঠিন সত্য গোপন করা ।আর ইসলামিক পরিভাষায় বলা যায় ইসলামের সত্য কে গোপন রাখা বা যে রাখে ,বা অমুসলিম ।অবশ্য জাকির নায়েকের বক্তৃতায় শুনেছিলাম এই শব্দটি কখোনো গালিরুপে ব্যাবহার হয় না ।তা যাই হউক ।শব্দগুচ্ছর অর্থের কোনো দিক থেকেই আমরা এ গালির যোগ্য নই বলে প্রমাণ হয় অবশ্য একটিতে কেবল তারাই জোরপূর্বক আমাদের যোগ্যতা দিয়েছে ।আমায় মালাউন বলায় যে আমি অভিশপ্ত কাফের বা লনতপ্রাপ্ত হয়েছি তা কিন্তু সত্য নয় ।যারা এটি ব্যাবহার করে এটি তাদেরই পরিবার বা পরিবেশের অজ্ঞতা ,অন্ধতা ,মূর্খ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় ।এখানে ধর্ম যে কবেই ধর্ষিত হয়েছে এ জানা নেই ।জ্ঞানহীন ব্যাক্তি ধর্মের ধারকও নয় বাহকও নয় ।বরঞ্চ স্বধর্মের কলঙ্ক ।কিছু অজ্ঞান ব্যাক্তি মালাউন বা তত্বর্গীয় কাজ দ্বারা ইসলামকে কতোটা কুলষিত করে এটাই তার প্রমাণ ।দার্শনিক একটি উক্তি আছে যে ,জ্ঞান যেথা সীমিত বুদ্ধি সেথা আড়ষ্ট ,আর মুক্তি সেখানে অসম্ভব ।বলা বাহুল্য যে এই মুক্তি জেল ,পর্দা ,কিম্বা প্রদত্ত অর্থের মুক্তি নয় আত্ম বা জীবমুক্তি যা প্রতিটি ধর্মে বেশ প্রসারিত ।সুতরাং সে অর্থে আমি ঐ সমাজের মুক্তি দেখি না ,ধর্ম যেথা মানুষকে উর্দ্ধে তোলে সেথা তারা জ্ঞানের অভাব এবং কূপমণ্ডুকতার কারণে ধর্ম জড়িয়ে দিন থেকে দিনে অধঃদিকে পতীত হচ্ছে এসবই তার প্রমাণ ।ধর্ম দলবৃত্তি ,পেশীবৃত্তি ,আর বেহেশত্ জান্নাত নয় একটি ভালো মানুষ গড়ার হাতিয়ার ।আমি ঈশ্বরকে তাই বলি ওদের জ্ঞান দাও ওরা বোঝতে শিখুক ,সঠিক ধর্ম পথে এসে ভালো মানুষ হউক ,একটি অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃত্ব প্রেমের সভ্যতা গড়ে উঠুক এই আমি চাই ।কিন্তু জ্ঞান-আলো প্রবেশ করেনি যেখানে সেখানে উন্নত মানসিকতা সৃষ্টি হয়ে ভালো মানুষ হয়ে উঠা যে অসম্ভব তা আমি এখন বোঝি ।অজান্তেই বলি ঈশ্বর এদের মুক্তি দাও ।
(লেখক - মানস চক্রবর্ত্তী)
Labels:
Bangladesh,
hindu,
Hinduism,
minority,
religion,
segregation
Friday, June 13, 2014
পূর্ণিমা শীলের ধর্ষকগণ
এই সেই পরপশুগণ যারা ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে অনিল শীলের কন্যা পূর্ণিমা শীলকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে তার মায়ের চোখের সামনে ... এরা আল্লাহর নাম নিয়ে ধর্ষণ করেছিলো। তাদের ভাষায় গণিমতের মাল বিসমিল্লাহ বলে সহবত করার গুণাহ নেই।
(সূত্র)
Wednesday, June 11, 2014
মুখ্যমণ্ত্রীর ইচ্ছায় কলকাতায় নতুন কসাইখানা, দৈনিক কাটা হবে ১২৫০ গরু
ট্যাংরায় অবস্থিত কলকাতার বৃহত্তম কসাইখানার পরিবেশ তেমন ভাল নয়। রীতিমত অস্বাস্থ্যকর বলা চলে। মুখ্যমণ্ত্রী তাই চেয়েছিলেন এক আধুনিক কসাইখানা। মুখ্যমণ্ত্রীর ইচ্ছাকে বাস্তাবায়িত করতে কলকাতা পৌরসভা মাত্র দু’বছরের মধ্যে গড়ে তুলল এক আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক কসাইখানা। ১.৮ একর জমির উপর ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভা ট্যাংরাতেই গড়ে তুলেছে নতুন কসাইখানাটি। এখন শুধু মুখ্যমণ্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
ট্যাংরার বর্তমান কসাইখানায় কাটা হয় দৈনিক ৪৫০ গরু। আর নতুন কসাইখানায় কাটা হবে দৈনিক ১,২৫০ গরু। অর্থাৎ কলকাতা পৌরসভার উদ্যোগে এখন থেকে দৈনিক ১,৭০০ গোহত্যা হবে। তার মানে গোমাংসের চাহিদা কি হঠাৎ চার গুণ হয়ে গেল? পৌরসভার বক্তব্য যত্রতত্র কাটা পশুর মাংস খেয়ে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারা যাতে আধুনিক উপায়ে কাটা গোমাংস খেয়ে সুস্থ থাকতে পারেন সেদিকেই লক্ষ্য পৌরসভার।
এরপরেও ভারতীয় মুসলিমরা বলে তারা নাকি পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পায় না সংখ্যালঘু হিসেবে। আপনারাই বিচার করুন!
(সূত্র)
Subscribe to:
Posts (Atom)