Showing posts with label opinion. Show all posts
Showing posts with label opinion. Show all posts

Friday, October 02, 2015

Exposing Gandhi: The Naked Saint and his Spiritual Terrorism of Non-Violence




"If our civilization is to survive, we must break with the habit of deference to great men. Great men make great mistakes."
—- Sir Karl Raimund Popper (1902 to 1994)

Some of us must have seen Richard Attenborough’s film on the life of Gandhi which was first screened in 1982. Though many critics say that the film was unfair to Muhammad Ali Jinnah and Subhas Chandra Bose; but taken as a whole, the film was a faithful portrait of Gandhi.

Thursday, June 05, 2014

লাভ জেহাদ

লাভ জেহাদের মূল লক্ষ্য হল কোনও অমুসলিম দেশে ধর্মীয় জনসংখ্যার বিন্যাসে দ্রুতহারে পরিবর্তন আনা। অর্থাৎ ইসলামধর্মীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করে সেখানে মুসলিমদের একাধিপত্য স্থাপন করে, দেশটিকে দার-উল-ইসলাম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। এই পদ্ধতি প্রয়োগের উদ্দেশ্য বহুমুখী ­­­­­­­­­­­­­­­­­:-
  • প্রথমত, একটি অমুসলিম মেয়েকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করলে মুসলিমদের সংখ্যা একজন বাড়ানো যায় এবং একজন অমুসলিমের সংখ্যা কমে। অর্থাৎ অমুসলিমদের ক্ষতি হয় দুইদিক থেকে।
  • দ্বিতীয়ত, অমুসলিম মহিলাদেরও মুসলিম উৎপাদনের যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে তার দ্বারা উৎপাদিত একাধিক সন্তান দ্বারা মুসলিমের সংখ্যা বাড়ানো যায়।
  • তৃতীয়ত, ইসলাম ধর্মে এক একজন পুরুষের চারটি করে স্ত্রী গ্রহণের অধিকার আছে। সেই চাহিদা অনুযায়ী জোগান কিন্তু নেই । কেবল অন্য ধর্ম সম্প্রদায়গুলি থেকে নারী গ্রহণের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করা যায়।
  • চতুর্থত, এর ফলে অমুসলিম জনসংখ্যায় পুরুষ এবং স্ত্রী-র অনুপাতে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এবং যার ফলে ভবিষ্যতে অমুসলিম পুরুষও মুসলিম নারী বিয়ে করতে বাধ্য হবে। এবং তখন বিধর্মী পুরুষদেরও সহজেই ইসলামে ধর্মান্তরিত করার পথ সুগম হবে।
  • পঞ্চমত, ক্ষেত্র বিশেষে অমুসলিম মহিলাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করে তাকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসীতে পরিণত করে অমুসলিমদের বিরুদ্ধেই তাকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • সর্বোপরি, একজন মুসলিমের কাছে জেহাদের উদ্দেশ্য হল জান্নাতে যাওয়ার পথকে সুগম করা। এখানে তো দ্বিগুন সুগম হয় জান্নাতের পথ। কেননা একদিকে একজন ইসলামে অবিশ্বাসী কাফির কে ‘ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে’ আনার বিশাল পুণ্য, অন্যদিকে আল্লাহ-র পথে জেহাদের সর্বাধিক পুণ্য । অর্থাৎ জান্নাতে যাওয়া ‘ডাবল’ নিশ্চিত!

Wednesday, May 28, 2014

বর্বর দেশ সৌদি আরবে অমুসলিমদের দুরাবস্থা


উপরে যে ছবিটি দেখছেন তা হল সৌদি আরবে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে একজন অমুসলিমকে...

Friday, May 16, 2014

Monarchy or Democracy?



I came across this very incisive and true piece of writing...
Who is Priyanka Vadra? Is she a Cabinet Minister? Is she a Chief Minister? Is she a bureaucrat? Is she even an MP? Has she even contested a single election in her life? Is she an industrialist? Is she a top professional?
The answers to all of the above questions is “no”. Then why are all manner of journalists and media houses going into absolute raptures over her and why is she appearing in banner headlines and in the cover of news magazines as some great hope and saviour?

Sunday, May 11, 2014

Difference between genuine refugees & illegal migrants in India



One group is grateful and goes about their work quietly and so is welcome in our Country.

Monday, July 29, 2013

ইসলামী প্রলাপ

এটা হল সংযম এর মাস... খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই সংযম করতে বলা হয়েছে...। পরিসংখ্যান এ দেখা গেছে এই মাসেই বছরের অন্যান্য মাস থেকে জনগন বেশি খাবার আহার করে থাকে আর অন্যান্য খেত্রেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাই।

আমার আশে পাশে কিছু মানুষের রমজান স্ট্যাটাস-
১।মাত্র দুপুর ১টা বাজে, অহ! গড! আমি ইফতার পর্যন্ত বাঁচব তো?
২।আজকে আমাদের বাসায় ১০১টা ইফতার আইটেম। কে কে খাবে?
৩।বুফে ইফতার করছি। আজকে ফাটাইয়া দিব।
৪।আজকে ২৫ স্লাইস পিয্যা খেয়েছি ইফতার এ। :)
৫।ইফতার করছি অমুক রেস্টুরেন্ট, কালকে করবো তমুক রেস্টুরেন্ট।
৬।আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি...।ঃ)
৭।আমার মাথা ঘুরছে...রোজায় ধরেছে..।

এইসব করলে রোজা কবুল হয় না বরং গুনাহ হয়।
ইত্যাদি দেখে আমি কিছু মুসলিম বন্ধুদের ধর্ম পালন করা নিয়ে খুবি বিচলিত...।।
ঠিক এরাই সময় অসময় হিন্দুদের গালি দিয়ে থাকে ধর্ম নিয়ে।

নিজের ধর্ম ঠিক মত পালন না করে অন্য ধর্মের লোকদের পিছনে ক্ষতি করা জঘন্য কর্মের সামিল।
 -------------------------------------------------------------------------------------------------
আসলে বাঙালি মুসলমানের মন বড় অদ্ভুত। সে একই সাথে অনেক কিছু চায়।
সে লিবারেলিজম চায়, আবার ইসলামও চায়।
সে ইংরেজি চায়, আবার মাদ্রাসাও চায়।
নারী চায়, হেজাবও চায়।
সুদ চায়, আবার ইসলামিক ব্যাংকিং চায়।
ঘুষ চায়, হজ্ব চায়।
গীতবিতান, আমপারা, কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম সবই তার ড্রইংরুমে চায়।
তরুণী-মুখো পাখাওয়ালা বোরাক, কাবাঘর, তীরবিদ্ধ দুলদুল, শাহরুখ, মাধুরী, সালমান শাহ সব ছবিরই তার কাছে সমান কদর।
মক্কা চায়, মুম্বাইও চায়।
পিস টিভি চায়, স্টার প্লাস চায়, এইচবিও-ও চায়।
লাদেনকে বাহবা দেয়, গাদ্দাফিকে বাঘের বাচ্চা বলে, তবে পাত্র খোঁজে আমেরিকান গ্রীনকার্ডধারী।
“দেশি মডেল” “হটি জোকস” পেইজে লাইক দেয় আবার “ইসলামিক লাইফ” পেইজেও লাইক দেয়।
১৮ প্লাস পোস্ট এবং নবীজির স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহের ছবি সম্বলিত পোস্ট দুটোতেই সমান হুমড়ি খায়।
 
(সংগৃহীত) 

Monday, May 13, 2013

জাকির নায়েকের অপপ্রচার

বেদ সম্বন্ধে সম্পূর্নই অজ্ঞ জাকির নায়েক দাবী করেছে যে বেদ এ 'আল্লাহ' শব্দটি আছে।তাহলে পরোক্ষভাবে সে স্বীকার করে নিল যে দেবভাষা সংস্কৃত সকল ভাষার আদি এবং আরবি ভাষারও উত্‍পত্তি ওই সংস্কৃত ভাষা থেকেই!

মূল আলোচনা শুরুর পূর্বে পাঠকদের স্মরন করিয়ে দেই আরবীতে 'আল্লাহ' শব্দটি দুইটি অংশ 'Al'(The) এবং 'Ilah'(Subject of worship) নিয়ে গঠিত।

ঋগবেদ এ ইলা এবং অলা নামক দুটি শব্দ আছে।জাকির যে মন্ত্রেই এই শব্দদুটো পাচ্ছে সেখানেই ইসলামিক তাকিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রলাপ বকছে যে সঠিকভাবে উচ্চারন করলে তা নাকি আল্লাহ হয়!(নতুন সংস্কৃত উচ্চারন পদ্ধতি আবিস্কার)।আরো মজার বিষয় হল ইলা এবং অলা দুটি আলাদা শব্দ ই কিভাবে একটি নির্দিষ্ট শব্দ(আল্লাহ) নির্দেশ করে?

ভন্ড জাকিরের দাবী(অপ্রকৃতিস্থের প্রলাপ) অনুযায়ী ঋগবেদ ২.১.১১,৩.৩০.১০,৯.৬৭.৩০,১.১৩.৩ এই চারটি মন্ত্রে 'আল্লাহ' শব্দটি রয়েছে।মন্ত্রগুলোর সরলার্থ সহ দেখে নেয়া যাক-

অলাত্নো বল ইন্দ্র ব্রজো গোঃ পুরা হন্তোর্ভয়োমানো
ব্যয়ার।
সুঘান পথো অক্ষণোন নিরজে গোঃ পরাবন বাণীঃ পুরুহূতং ধমন্তী।।
(ঋগবেদ ৩.৩০.১০)

অনুবাদ-হে সমস্ত ইন্দ্রিয়ের চালনাকারী,শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিদের বিঘ্ন সৃষ্টিকারীরা অবশ্যই তোমার নিকট শাস্তি প্রাপ্ত হয়।সত্‍ ও সাধুদের জন্য তুমি পথ করেছ সুপ্রশস্ত।

স্পষ্টতই যেহেতু সুক্তটি ইন্দ্রের উদ্দেশ্যে সেহেতু অলা এখানে ইন্দ্রের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ইলা সরস্বতী মহী তিস্রো দেবির্ময়োভুবঃ।
বহিঃ সীদংত্বস্রিধ।।
(ঋগবেদ ১.১৩.৯)

অনুবাদ-মাতৃভাষা ­,মাতৃসভ্যতা ও মাতৃভূমি(ইলা) এইতিন দেবী;তারা যেন কল্যানময়রুপে অন্তঃকরনে অবস্থান নেয় অনন্তকাল।

এখানে ইলা মাতৃভূমি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

ত্বমগ্নে অদিতির্দেব দাসুসে ত্বং হোত্রা ভারতী বর্ধসেঘিরা।
ত্বমিলা ষতহিমাসি দক্ষসি ত্বং বর্ত্রহা বসুপতে সরস্বতী।।
(ঋগবেদ ২.১.১১)

অনুবাদ-হে প্রকাশমান পরমাত্মা,সকলের আশ্রয়দাতা,আমাদের এই স্তব গ্রহন কর।তুমি এই বর্নিল ঋতুময় মাতৃভূমিকে সম্পদশালী কর,নাশ কর অসত্‍ এর।

এখানে ত্বম-ইলা(তুমি ইলা) অর্থাত্‍ ইন্দ্রের অপর একটি নাম হিসেবে ইলা ব্যবহৃত হয়েছে।

অলায়স্য পরাশুরননশ্য ত্বম পবস্ব দেব সোম।
অখুঃ চিদেব দেব সোম।।
(ঋগবেদ ৯.৬৭.৩০)

অনুবাদ– হে মঙ্গলদায়ক,ঐশ্বর্যশালী পরমেশ্বর,তুমি সাধুলোকের শত্রুদের ধ্বংস কর,অসত্‍ এর বিনাশ কর।
এখানে অলা বলতে সোমকে নির্দেশ করা হচ্ছে।

জাকির নায়েকের মতে প্রতিটি সংস্কৃত অভিধান এ ই আল্লাহ শব্দটি আছে এবং এর অর্থ হিসেবে ঈশ্বর দেয়া আছে।সবচেয়ে বিখ্যাত সংস্কৃত অভিধান যা Dr. Monier Williams কর্তৃক লিখিত (A Sanskrit-English Dictionary, Motilal Benarasidass, Delhi,1981) এ আল্লাহ বলে কোন শব্দ নেই।যে কাছাকাছি শব্দগুলো সেখানে আছে তা হল অলা যার অর্থ সেখানে দেয়া 'কাঁকড়াবিছের লেজের হুল", অলাত যার অর্থ দেয়া আছে "কয়লা" এবং আল যার অর্থ দেয়া হয়েছে "বিষাক্ত পোকা থেকে নির্গত তরল বিষ।"

অন্যতম বিখ্যাত সংস্কৃত অভিধান (The Student’s Sanskrit-English Dictionary by Vaman Shivaram Apte, Motilal Benarasidass, Delhi, 2005) এ একটি শব্দ আছে যা হল অল্লা যার অর্থ দেয়া হয়েছে "মা"

সুতরাং ইসলামিক অপপ্রচারকদের থেকে সতর্ক থাকুন।
(সংগৃহীত: সোমা পাল

Thursday, May 02, 2013

বাংলাদেশে ‘শ্রম দাস’ প্রথার নিন্দায় পোপ


সাভারে গত সপ্তাহে রানা প্লাজা ধসে কয়েকশ’ মানুষ নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ-পরিস্থিতিকে শ্রম দাস প্রথার সঙ্গে তুলনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

রানা প্লাজার ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা ৪শ’ ছাড়িয়েছে।ওই প্লাজায় কয়েকটি পোশাক তৈরির কারখানা ছিল।

বুধবার মে দিবস পালনকালে ভ্যাটিকানের বাসভবনে সমবেত দর্শনার্থীদের পোপ বলেন, ঢাকার বহু শ্রমিকই মাসে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার বেতন পায় এমন শিরোনামের খবর দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।

‘একেই শ্রম দাস প্রথা বলা যায়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পোপের উদ্ধৃতি দিয়ে ভ্যাটিকান বেতার এ খবর দিয়েছে।

“সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সৃজনশীলতা, কাজ করা এবং সম্মনিত হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আজ এ ধরনের দাসত্ব চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে,” বলেন পোপ।

মে দিবসে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব আর কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সাভারের ঘটনায় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পোপ বলেন, “কতজন ভাই-বোনকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে!

তিনি আরো বলেন, “সঠিকভাবে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না, চাকরি জুটছে না। কারণ, আপনারা শুধু লাভের দিকটা দেখছেন।এ ধরনের কর্মকান্ড সৃষ্টিকর্তারই বিরুদ্ধাচরণ করা।”

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে নির্বাচিত পোপ ফ্রান্সিস দরিদ্রদের পক্ষে এক সরব ও বলিষ্ঠ কণ্ঠ।তার দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় তিনি গরিবদের পক্ষেই সোচ্চার হয়েছিলেন।

মার্চে নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চকে গরিবদের পাশে দাঁড়ানোরই আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

মে দিবসে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের ভাষণে ৭৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ‘স্বার্থপর লাভ’ এর পথ পরিহার করে বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানান।

“আমি শ্রম বাজার নতুন করে ঢেলে সাজানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাচ্ছি”, বলেন তিনি।


(সংগৃহীত

Wednesday, May 01, 2013

Why May Day?

Growing up in Bangladesh, I've learned that May 1st is dedicated for all labor workers around the globe who work tirelessly to make different products for us. But after coming to the US, I found out that May 1st which is known as 'May Day' to most of the outside world besides US isn't celebrated as that of a big deal. In fact, US has its own version to pay tribute to the labors. It's known as 'Labor Day'. That falls on September.

Even according to Department of Labor, there is no actual history of the so-called 'Labor Day'. But the bloody rebellion that occurred in the streets of Chicago in 1886 on this day was the actual "Labor Day" or "International Workers' Day". Even though 66 countries celebrate this day officially, the country where it all started does not care to recognize it for the strive for 8-hour work period. More about the history of this movement of 1886 can be found here.

Moreover, over the last century, US government has made to make the movement of 1886 into a socialist approach from the workers' end. On the contrary, it is those same government officials who are now enjoying 8-hour work-shift. Question is how long? How long will the generations be kept silent from hearing about the true struggle of labor workers? How long will the government keep on celebrating 'Labor Day' in September when it has nothing to do with any labor movement? When will "May Day" be celebrated as an official day to commemorate those who fought for a better workplace environment, legitimate work-shift period? When will the truth about US government's aggressive actions against innocent workers reach the ears of school children? When will it all happen?

Monday, April 29, 2013

The blood stains of our clothes

Recently, in Bangladesh, an 8-story building collapsed, causing one of the worst disasters in the history of the country. The building, known as Rana Plaza, was located in Savar, just outside the capital Dhaka. With the death toll rising everyday, who knows how many will be the total deaths of this terrible calamity?

But my point is on something else. While we all know Bangladesh is now a forefront player in global manufacturing of clothing industry. The rising garments industry has enticed world-class clothing brands like GAP, Tommy Hilfiger, Disney & many more to produce their products from Bangladesh at one of the cheapest labor cost. Like Bangladesh, there are many more 3rd world countries that are producing these goods for these world-class brands at a very low pay.

What are these labors making? In Bangladeshi taka, these labors are demanding for 8000 tk. a month. That would equate to roughly $102 (USD). Mark my words. That is what they are demanding. So that means their actual pay is much less than that. Is that really sufficient? In this world of rising food, housing, living costs, is this salary enough to sustain a family of 4 members, let's say?

Yes. Critics will say that we need to look at the other side as well. As CEO, businesses have to look for profit & any means to cut costs. But would that mean suppressing your very workers who are building the empire you are residing on? Would that mean forcing the labors to enter into a building where the chief engineer inspected cracks the previous day, but the owner feels it's okay to continue the production? Does these business owners' greed ever end?

I leave with a image that caught my eyes few days ago. It's a manufacturing tag with a "Made in Bangladesh" written on it. In addition, there is a blood stain. The symbolism itself should be sufficient.


Sunday, April 28, 2013

শুভবুদ্ধির উদয় হোক


Jennyfer, Primark এর মত সস্তা ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে..Vero Moda,Topshop, New Look,Next, H&M, mango, GAP, Marks & Spencer..যেইখাইনেই শপিং করতে যাই , মেড ইন বাংলাদেশ খুঁজি!!..আমার কালেকশনে আছে অনেক 'মেড ইন বাংলাদেশ' এর জামা... নতুন পোষাকের একটা সুন্দর গন্ধ আছে..কিন্তু আমাদের দেশে বানানো পোষাকের গন্ধটা যেন একেবারেই আলাদা.. যে গন্ধ বোধহয় বাঙ্গালী ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না... নতুনের গন্ধ ছাপিয়ে শ্যামলা কালো হাতের ছোঁয়া মাখা,সোদা মাটির গন্ধ জড়ানো চেনা গন্ধের একটু নাগাল যদি পাই..এই আশায় অনেক্ষন জামার ভেতর নাক ডুবিয়ে থাকি... আমার দেশে বানানো টি শার্ট, টপস, জিন্স গায়ে দিলে অন্য ধরনের আনন্দ হয়.. যে আনন্দ আমি একা একা অনুভব করি...এগুলো গায়ে জড়ালে মনে হয় দেশটাকেই যেন গায়ে মেখে আছি..!! সাত সমুদ্দুরের পাড়ে এই লাল নীল কাঁচের চুড়ির স্পর্শ আর সস্তা স্নো পাউডারের সাথে মাখামাখি হওয়া জামাগুলোর মত আর কোন কিছু আমাকে এত আবেগী করে না... আমি অনেকদিন বাংলাদেশে বানানো জিন্স এর শার্ট H&M এর হ্যাঙ্গারে ঝুলানো একটা ছবি প্রোফাইল পিকচার দিয়ে রাখসিলাম...
যেই অনুভুতির কথা বললাম.. এ শুধু আমার একার নয়.. এখানে থাকা হাজারো বাঙ্গালীর অনুভুতি কমবেশি একই রকম.!!.
গার্মেন্টসে কাজ করা ৯০ ভাগই হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে.. কখনো কখনো সংসারের হাল ধরা একমাত্র উপর্জনক্ষম নারী! যে হাতগুলো শক্ত করে ধরে রেখেছে আমার মানচিত্র..সারা পৃথিবীর বুকে.. এক বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের গুণগাথাই পড়ানো হয় পশ্চিমা বিশ্বের পাঠ্য বইয়ে... আর ওরা জানে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের কথা.. এছাড়া যা পড়ায়... দূষন, দারিদ্র্য, দুর্যোগ.. প্রাকৃতিক বিপর্যয়..জনসংখ্যা.. সবই নেতিবাচক!
সেই হাতগুলোকেই আজ অবহেলা আর অতি লোভের কারণে ভারী কংক্রিট নিচে দুমড়ে মুচড়ে আছে আমার সোনার বাংলাদেশের কিছু হায়েনা রূপী গার্মেন্টস মালিকদের জন্য। গার্মেন্টস শ্রমিকদের হত্যা করে তোরা কি তোর নিজের পতাকাকেই মুচড়ে দিলি না? যেই হাত দিয়ে পায়ে দিত রুপালী নুপুর আর সেই হাত দিয়েই মেশিনের সুইয়ের গাথুনিতে তোদের তৈলাক্ত চামড়ার ভাঁজে আরো চর্বির আস্তরন লাগিয়ে পরম মমতায় সেলাই করে দিত... বিনিময়ে পেত শুকনো মরিচ আর পান্তা ভাত.. সেই শরীরগুলো আজ তোদের অবহেলার কারণে কবরের বাসিন্দা হতে যাচ্ছে ....
আমি এই মগের মুল্লুকে কারো কাছে বিচার চাই না .. চেয়ে কি হবে? কার কাছেই বা বিচার চাইব? সিংহাসন রাজার হাতি ঘোড়া সবই তো একই রকম . . বিরোধী শক্তিরও একই অবস্থা.. সবাই শুধু গরিব মানুষগুলো প্রাণের বিনিময়েই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কামাতে চায় ! আমি শুধু এদেরকে অনুরোধ করব.. বাবারে, নিজের স্বার্থেই না হয় এই প্রান গুলারে বাঁচায় রাখ...!! সব শ্রমিক যদি তোরা হত্যা করে ফেলিস তাহলে বিদেশি ডলার কামাবি কী দিয়ে? তোদের স্বার্থের কারণেই তোদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক শুধু এই কামনাই করি..!!

(Written from France by: Sanjida Sultana
)

Monday, April 15, 2013

নতুন বাংলা নববর্ষের এই দিনে এমন প্রতিজ্ঞাই হোক সবার


 
প্লিজ সবাই লিখাটি সম্পূর্ণ পড়বেন ...... যদি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একটু বদলাতে চান , আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই জীবন বদলে যাবে ......বদলাবে সমাজ ...... আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ... থাকবে না বৈষম্য ...দূর হবে ভেদাভেদ ...

নববর্ষের প্রথম দিনটা বাসায় বসে অলস ভাবেই পার করছিলাম, হটাৎ জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হলাম বিকালে, ভালবাসা দিবস নাকি পহেলা বৈশাখ ঠিক বুঝতে পারলাম না । পার্থক্য শুধু ভালবাসা দিবসে কপোত-কপতিরাই বের হয় আর এই দিন পরিবারের সবাই ... গালে আঁকা রঙ বেরঙের ট্যাটু , বড়ই সৌন্দর্য ... ভালই লাগছিলো মানুষের আনন্দ দেখে ... ঠিক তখন প্রায় ৭০ বৎসরের এক বদ্ধ মহিলা আমাকে এসে বলল বাবা আমি সারা দিন কিছু খাইনাই , অনেক খিদা লাগছে তখন অনেক কষ্ট পাইলাম ...তখন নিজের দায়াবধ্যতা থেকে তাকে নিয়ে গেলাম ফার্মগেইট প্লাজা হোটেল এ … মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে ভাত খাওালাম মাংস দিয়ে পেট ভরে ………তাতে আমি বৎসরের প্রথম দিন যে আনন্দ পেলাম আমার মনে হয় লাল পাঞ্জাবি কিংবা থ্রি-পিস পড়ে কেও এতো আনন্দ পায় নাই, আমরা সবাই যদি আজ সবাই রিকশায় না ঘুরে কিংবা একটা বাঁশি না কিনে কিংবা ৫০০ টাকা দিয়ে পান্তা না খেয়ে একজন ক্ষুধারত মানুষ কে খওয়াতাম তাহলে আজকের দিন অন্তত বাংলায় কোন মানুষ অনাহারে থাকতো না …… আমরা যারা facebook ব্যবহার করি তারা সকলেই কিন্ত প্রতি মাসে অন্তত ১ বেলা গরিব মানুষকে খাওাবার ক্ষমতা রাখি । আসুন আজ থেকে আমরা শপথ করি মাসে অন্তত একদিন ওদের পেট ভরে খাওয়াবো...... ভাই কতো টাকাই তো আমরা অযথা মোবাইল কিংবা সিগারেট পান করে নষ্ট করি...... নিচ্ছয়ই আল্লাহ্‌ ইচ্ছে করলে আমাদেরকেও ওদের মত গরিব করে দিতে পারেন।।
 
(লেখক - Ahteramul Haque)

Tuesday, March 05, 2013

রাজাকারদের বীভৎস যৌন নির্যাতন! কতটুকু জানেন?



২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে সুইপার রাবেয়া খাতুন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এস এফক্যান্টিনে ছিলেন।পুলিশদের প্রতিরোধ ব্যর্থ হবার পরে ধর্ষিত হন রাবেয়া খাতুন।সুইপার বলে প্রাণে বেঁচে যান কারণ রক্ত ও লাশ পরিস্কার করার জন্য তাকে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর।এরপরের ঘটনার তিনি যে বিবরণ দিয়েছেন তা এইরকম :

২৬ মার্চ ১৯৭১,বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদের ধরে আনা হয়।আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে।তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি যুবতী,মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে।রাবেয়া খাতুন ড্রেন পরিস্কার করতে করতে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।পাকসেনারা ধর্ষন করেই থেকে থাকেনি,সেই মেয়েদের বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়,মাংস তুলে নেয়।মেয়েদের গাল,পেট,ঘাড়,বুক,পিঠ ও কোমরের অংশ তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়।এভাবে চলতে থাকে প্রতিদিন।যেসব মেয়েরা প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ করত তাদের
স্তন ছিড়ে ফেলা হত,যোনি ও গুহ্যদ্বা্রের মধ্যে বন্দুকের নল,বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢূকিয়ে হত্যা করা হত।বহু অল্প বয়স্ক বালিকা উপুর্যুপুরি ধর্ষণে নিহত হয়।এর পরে লাশগুলো ছুরি দিয়ে কেটে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দেয়া হত।হেড কোয়ার্টারের দুই,তিন এবং চারতলায় এই্ মেয়েদের রাখা হত,মোটা রডের সাথে চুল বেঁধে।এইসব ঝুলন্ত মেয়েদের কোমরে ব্যাটন দিয়ে আঘাত করা হত প্রায় নিয়মিত,কারো কারো স্তন কেটে নেয়া হত,হাসতে হাসতে যোনিপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হত লাঠি এবং রাইফেলের নল।কোন কোন সৈনিক উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ মেয়েদের বুকে দাঁত লাগিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ত,কোন মেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তখনই হত্যা করা হত।কোন কোন মেয়ের সামনের দাঁত ছিল না,ঠোঁটের দু’দিকের মাংস কামড়ে ছিড়ে নেয়া হয়েছিল,প্রতিটি মেয়ের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে থেতলে গিয়েছিল লাঠি আর রডের পিটুনিতে।কোন অবস্থাতেই তাঁদের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়া হত না,অনেকেই মারা গেছে ঝুলন্ত অবস্থায়।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের একজন সুবেদার খলিলুর রহমানের অভিজ্ঞতা এইরকম :

মেয়েদের ধরে নিয়ে এসে,ট্রাক থেকে নামিয়ে সাথেই সাথেই শুরু হত ধর্ষন,দেহের পোশাক খুলে ফেলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ধর্ষণ করা হত।সারাদিন ধর্ষণের পরে এই মেয়েদের হেড কোয়ার্টার বিল্ডিং এ উলঙ্গ অবস্থায় রডের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখ হত,এবং রাতের বেলা আবারো চলত নির্যাতন।প্রতিবাদ করা মাত্রই হত্যা করা
হত,চিত করে শুইয়ে রড,লাঠি,রাইফেলের নল,বেয়নেট ঢুকিয়ে দেয়া হত যোনিপথে,কেটে নেয়া হত স্তন।অবিরাম ধর্ষণের ফলে কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলেও থামত না ধর্ষণ।

ডোম পরদেশীর বর্ণনা থেকে নিচের ঘটনাগুলি জানা যায় :

২৭ মার্চ,১৯৭১,ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের লাশ ঘর থেকে লাশ ট্রাকে তুলতে গিয়ে একটি চাদর ঢাকা ষোড়শী মেয়ের লাশ দেখতে পান পরদেশী।সম্পূর্ণ উলঙ্গ লাশটির বুক এবং যোনিপথ ছিল ক্ষতবিক্ষত,নিতম্ব থেকে টুকরো টুকরো মাংস কেটে নেয়া হয়েছিল।

২৯ মার্চ শাখারীবাজারে লাশ তুলতে গিয়ে পরদেশী সেখানকার প্রায় প্রতিটি ঘরে নারী,পুরুষ,আবাল বৃদ্ধ বনিতার লাশ দেখতে পান,লাশগুলি পচা এবং বিকৃত ছিল।বেশিরভাগ মেয়ের লাশ ছিল উলঙ্গ,কয়েকটি যুবতীর বুক থেকে স্তন খামচে,খুবলে তুলে নেয়া হয়েছে,কয়েকটি লাশের যোনিপথে লাঠি ঢোকান ছিল।মিল ব্যারাকের ঘাটে ৬ জন মেয়ের লাশ পান তিনি,এদের প্রত্যেকের চোখ,হাত,পা শক্ত করে বাঁধা
ছিল,যোনিপথ রক্তাক্ত এবং শরীর গুলিতে ঝাঝরা ছিল।

ঢাকা পৌরসভার সুইপার সাহেব আলীর ভাষ্যে ২৯ মার্চ তার দল একমাত্র মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে কয়েক ট্রাক লাশ উদ্ধার করে।তিনি আরমানীটোলার এক বাড়িতে দশ এগারো বছরের একটি মেয়ের লাশ দেখতে পান,সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত,জমাট বাঁধা ছোপ ছোপ রক্ত সারা গায়ে,এবং তার দেহের বিভিন্ন স্থানের মাংস তুলে ফেলা হয়েছিল।ধর্ষণ শেষে মেয়েটির দুই পা দু’দিক থেকে টেনে ধরে নাভি পর্যন্ত ছিড়ে
ফেলা হয়েছিল।

৩০ মার্চ ঢাবির রোকেয়া হলের চারতলার ছাদের উপরে আনুমানিক ১৯ বছরের একটি মেয়ের লাশ পান সাহেব আলী,যথারীতি উলঙ্গ।পাশে দাঁড়ানো একজন পাক সেনার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন মেয়েটিকে হত্যা করতে ধর্ষণ ছাড়া অন্য কিছু করার দরকার পড়েনি,পর্যায়ক্রমিক ধর্ষণের ফলেই তার মৃত্যু ঘটে।মেয়েটির চোখ ফোলা ছিল,যৌনাঙ্গ এবং তার পার্শ্ববর্তী অংশ ফুলে পেটের অনেক উপরে চলে এসেছে,যোনিপথ রক্তাক্ত,দুই গালে এবং বুকে কামড়ের স্পষ্ট ছাপ ছিল।

’৭১ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পাকবাহিনীর একটি বিরাট ক্যাম্পে পরিণত করা হয়।এখানে বন্দী ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মঞ্জিলা এবং তার দুই বোন মেহের বানু এবং দিলরুবা।।তাদেরকে আরো ৩০ জন মেয়ের সাথে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়,সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকতো দুজন সশস্ত্র গার্ড।এই
মেয়েগুলোকে ওই ক্যাম্পের সামরিক অফিসারদের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা হত।প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হত ৫/৬ জন মেয়েকে,এবং ভোরবেলা ফিরিয়ে দেয়া হত অর্ধমৃত অবস্থায়।প্রতিবাদ করলেই প্রহার করা হত পূর্বোক্ত কায়দায়।একবার একটি মেয়ে একজন সৈনিকের হাতে আঁচড়ে দিলে তখনই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।এই বন্দীশালায় খাবার হিসাবে দেয়া হত ভাত এবং লবন।

সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের একটি অনুসন্ধান থেকে জানা যায়,রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং রংপুর আর্টস কাউন্সিল ভবনটি নারী নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।এখানে বন্দী ছিল প্রায় একশ মেয়ে এবং প্রতিদিনই চলত নির্যাতন,যারা অসুস্থ হয়ে পড়ত তাদের হত্যা করা হত সাথে সাথেই।স্বাধীনতার পরে আর্টস কাউন্সিল হলের পাশ থেকে বহুসংখ্যক মহিলার শাড়ি,ব্লাউজ,অর্ধগলিত লাশ,এবং কংকাল পাওয়া যায়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়,রংপুর থেকে প্রায় তিনশ/চারশ মেয়েকেঢাকা এবং অন্যান্য স্থানে পাচার করে দেওয়া হয়,তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের একটি গবেষণায়জানা যায় রাজশাহীর জুগিসশো গ্রামে মে মাসের কোন একদিন পাকবাহিনী ১৫ জনমহিলাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যান্য নির্যাতন চালায়।এ অঞ্চলের ৫৫ জন তরুনীকেধরে নিয়ে যাওয়া হয়।বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে পাকবাহিনী প্রায় দেড়শো জন বিভিন্ন বয়সী মেয়েকে ঘর থেকে বের করে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে।এদের মধ্যে ১০ জনের তখনই
মৃত্যু হয়।

একই গবেষণা থেকে বাগমারা গ্রামের দেলজান বিবির কথা জানা যায়।সময়টা ছিলরমজান মাস,দেলজান বিবি রোজা ছিলেন।হঠাৎ পাকসেনারা ঘরে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণশুরু করে।একই গ্রামের সোনাভান খাতুনকেও রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা হয়।

১০ ডিসেম্বর যশোরের মাহমুদপুর গ্রামের একটি মসজিদ থেকে এগারোটি মেয়েকেউলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।তাদেরকে যুদ্ধের সময় প্রায় সাত মাস ধরেমসজিদের ভেতরেই ধর্ষণ এবং বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়।

যশোর ক্যান্টনমেন্টে চৌদ্দ দিন বন্দী থাকা হারেছ উদ্দিনের ভাষ্যে জানা যায়ক্যান্টনমেন্টে ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সের ২৯৫ জন মেয়েকে আটক রাখা হয়েছিল,তাদেরউপর নির্যাতন চলত প্রতি রাতেই।হারেছ উদ্দিনের সেলটি বেশ খানিকটা দূরেথাকলেও নির্যাতনের সময় মেয়েদের চিৎকার তিনি শুনতে পেতেন।প্রতিদিন বিকেলে
একজন সুবাদার এসে এসব কে কোথায় যাবে তার একটি তালিকা বানাত,সন্ধ্যা হলেই এইতালিকা অনুযায়ী মেয়েদের পাঠানো হত।অনেক সময় খেয়াল খুশিমত বাইরে নিয়ে এসেতাদের এলোপাথাড়ি ভাবে ধর্ষণ করা হত।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাটিরহাট গ্রামের ফুলজান যুদ্ধের সময় আট মাসেরগর্ভবতী ছিল,তার বাবা মায়ের সামনেই তাকে কয়েকজন সৈনিক উপুর্যুপুরি ধর্ষণকরে।তার গর্ভের সন্তানটি মারা যায়।

কুমারখালির বাটিয়ামারা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের বর্ণনায় একটি আপাত-অদ্ভুতঘটনা জানা যায়।ঐ এলাকার একজন রাজাকারকে একদিন দুজন পাকসেনা মেয়ে যোগাড় করেদিতে বললে সে তাদেরকে তার বাড়ি নিয়ে যায়,খবর পেয়ে বাড়ির সব মেয়ে পালিয়েগেলেও তার বৃদ্ধা মা বাড়িতে থেকে যান।সৈনিক দু’জন রাজাকারটির বুকে রাইফেলঠেকিয়ে পালাক্রমে তার মাকে ধর্ষণ করে।এর পরে রাজাকারটির আর কোন খোঁজ পাওয়াযায়নি।

নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কম যায়নি বিহারীরাও।নৃশংসতায় তারা কোন কোন সময়ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাকবাহিনীকেও।২৬ মার্চ ’৭১ মীরপুরের একটি বাড়ি থেকেপরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়।তারা এতে রাজি না হলেবাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে।এতেও রাজি নাহলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে
দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে
যাওয়া হয়।

খুলনার ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তীর কাছ থেকে জানা যায়,সেখানকার পাবলিক হেলথ কলোনিএলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্থাপিত ক্যাম্পে বিপুল সংখ্যক মেয়েকে(প্রায় সববয়সের) আটকে রেখে পূর্বোক্ত কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়।যুদ্ধ শেষেক্যাম্পের একটি কক্ষ থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ।অংশগুলি কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে...


(সংগ্রহ - Success Stories)

Saturday, March 02, 2013

An Open Letter to Barack Obama


Dear Mr. President Obama,

I am a Bangladeshi-American Hindu. I am currently a dual citizen of Bangladesh & US. I have spent my last 10 years in NY, USA, after immigrating from Bangladesh in 2003.

I am writing this letter to you after I could not hold my emotions anymore. As a Bangladeshi Hindu, I know and have experienced what discrimination, religious persecution actually is. Like me, many more Bangladeshi Hindus have experienced in the past or is currently experiencing religious persecution in Bangladesh solely because they are Hindu minority in a Muslim-majority country. It is not only Hindus who are suffering from decades of persecution, but also Buddhists, Christians experience ongoing persecution.

When Nazis of Germany persecuted Jews in Europe and elsewhere solely because of their religious belief, the world stayed silent until the end of World War II. After that, the international community vowed to help any weak, innocent people who might be endangered of religious persecution. Where did that vow go? Where was the international community in 1971? According to Census of India 1941 and Census of East Pakistan, Bangladesh Government Census, Hindu population in Bangladesh is rapidly declining.
What is the cause of this? Though some radical Muslims profess that in a Muslim-dominant Bangladesh there is no place for Hindus or any other minorities, but that is not what most other Muslims say. It is because of those other tolerant, caring Muslims, the Hindu, Christian and Buddhist minorities are still able to survive. Those radical Muslims who want an all-Muslim state of Bangladesh are the same people who did not want independence of Bangladesh from Pakistan in the first place in 1971. These people are few compared to the mass number of tolerant, enduring Muslims who want a non-sectarian, liberal, religiously tolerant Bangladesh.

Why am I writing to you now? It is because in the past few weeks, war criminals tribunal in Bangladesh is giving verdicts for razakars (war criminals). When one such war criminal, Abdul Kader Molla received life imprisonment instead of death penalty after brutally killing 344 civilians in 1971, people of various backgrounds, professions came down to the streets of Shahbag protesting against the given sentence. Some even began to call it the 'Bangla Spring', similar to Arab Spring in Tahrir Square. In last week's verdict of another war criminal, Delwar Hossain Sayeedi, the special tribunal sentenced him to death penalty for his involvement in mass killings, rape, atrocities in 1971. It was after then that the Jamaat-Shibir (fundamentalist Islamic party) groups began to terrorize Shahbag mass, others who also sided with the movement and the Hindu-populated areas of Bangladesh.

Those groups burned or demolished Hindu temples, houses, properties in various parts of Bangladesh. They killed, raped, tortured innocent Hindu civilians. They even burned 48 families alive in their homes so that no one could leave. You may ask what is the Bangladeshi government doing about it? Well, as it happened in the past, this time also, the police & other law enforcement agencies are silent viewers of such atrocities. Even Buddhist statues, temples or Christian churches are not spared by those radicals.

That is why I am writing to you. Such atrocity in the name of religion cannot go unnoticed. When innocent Jews were brutally killed by Nazi Germans, the international community came in to help. Without their help, the rest of them could not have been saved. Similarly, I am asking for help from international community in this case also.

When college principals like Gopal Krishna Muhuri were killed in their home by radicals or when free-thinking writers like Humayun Azad were assaulted in broad daylight during an annual Bangla Academy book fair by Islamic fundamentalists or when a 12-years old girl, Purnima, was gang-raped by her neighbors for being a Hindu, we kept quiet. But how much longer?

How much longer will these radicals, extremists test our patience? How many more innocent lives, homes, temples need to be burned or demolished in order for the international community to say that 'it must be stopped'? When will they come to recognize the ongoing minority killings, tortures, rapes in Bangladesh as a genocide or massacre? If we don't act now, then who knows, maybe few years from now, Bangladesh will turn into a fundamentalist Taliban state which can be threatening not just to its own civilians but other countries as well.

When 5 people died in Boston Massacre, it sparked a great deal of grievance among people. But when millions of minorities are dying each year in Bangladesh, it doesn't receive that 'massacre' or 'genocide' recognition. Words don't matter. But what matters is that the international community take some actions to prevent further atrocities. The silence from the international community and media makes those people believe that their lives have no value. Is that really so? Can one human being's life be neglected just because he or she lives in a rural Bangladesh? Is that what UN's human rights tell us to believe?

The reason I am writing to you is because I believe in you. I believed in you when you said "Yes, We Can" in 2008. I urged all my friends and relatives here to vote for you at that time since I wasn't a voter then because we believed that you can change the way things had been running. And you delivered by passing the health care reform bill. I and my family still believed in you which is why we voted for you in 2012 after receiving our US citizenship.

You may say with sequestration and a slowly recovering economy, you may not have enough time to look into foreign issues like this. But can you really turn your face away from those dying, innocent lives? Can an influential person like you keep quiet when innocents are oppressed, terrorized, tortured, raped, killed mercilessly? Don't world leaders like you have any obligation to take action against such ruthlessness?

Living in Martin Luther King Jr.'s land of dream, "I have a dream" too. I dream of a better future for not just America, but for all countries. I dream because America is the land of dreamers. We dream because we still have the 'audacity of hope'. We dream that justice will be served, not just in America, but also in places where justice had been denied. But will our dreams be just dreams or will they ever come true?


Sincerely,
A proud citizen of America

Saturday, February 16, 2013

ভয় তো ব্লগাররা পাবে না, ছাগুরাই ডরাইছে [জামাতীদের উদ্দেশ্যে]

মনে করছিলাম সরকার তাড়াতাড়িই একটা আইন এনে কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের ব্যবস্থা করে জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করবে। হ্যাঁ, করছে। কিন্তু এতো যদি দেরী হয়, তাহলে না জানি আরো কত লাশ দেখতে হবে রাজীব হায়দারের মতো!
ভাবতেই অবাক লাগে কতটা ভীতু হলে জামাতীরা/শিবিরেরা ব্লগার রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আরে, ভয় তো তোরা প্রজন্মের ব্লগারদের করছিস না, জনগণের সামনে প্রমাণ করছিস তোরাই আসলে ভীতু বনে গেছিস। ভয় যদি নাই পেয়ে থাকিস, তাহলে কেন এমন সময়ে হত্যা করতে গেলি একজন নিরপরাধ ব্লগারকে? কি করেছে তিনি তোদের? তোদের আসল রূপ লোকের সামনে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে? কিন্তু তাই বলে তাকে খুন কেন? তোদেরকে কি এমন কাপুরুষের মতো খুন করেছে একটা ব্লগারও? বাপের বেটা যদি আসলেই হয়ে থাকিস, তাহলে ভীতুর মতো পিছন থেকে না মেরে সামনে এসে দাঁড়া। অস্ত্র দিয়ে মারতে তো আমার মতো নবীন ব্লগারও পারে। শুধু তোদের কাছে জিনিসটা আছে বলেই মারছিস। নির্দোষের থেকে যদি রক্ত নিতে পারিস, তাহলে তো সাহসও থাকা উচিত রক্ত দেবার। তাহলে কেন ডরাইয়া যাস আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লার ফাঁসির জন্য?
আর সব কথায় ইসলাম, আল্লাহ ইত্যাদি আনিস কোন হিসাবে? ইসলামের রক্ষক কি তোরাই শুধু? নাকি মনে করিস তোফায়েল, নাসিম, হানিফ, ইনু, ড. কামাল, মেনন - এরা মুসলিম না? তোরাই শুধু মুসলিম? ওরা নামাজ-রোজা করে না? তোরাই শুধু ধর্মের বাহক? কেন রে, ধর্মটা কি তোদের বাপের কেনা? ইসলামে কোথায় বলেছে নিরপরাধ মানুষকে মারতে? কোথায় বলেছে অবলা নারীকে ধর্ষণ করতে? সেসব তো করেছিসই, এখন আবার সেটা অস্বীকারও করছিস। কেন, যদি প্রকৃত মুসলিমই হোস, তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কি তোদের প্রশ্ন করবে না তোদের এসব কর্মগুলো নিয়ে? আরে, বয়স তো কম হলো না? স্বীকার করলে তো কমপক্ষে আল্লাহর হাতে শাস্তি কিছুটা হলেও লঘু হতো। এতো হাজার-লক্ষ মানুষের অভিশাপ শুনতে কত আর ভালো লাগে? আরে, আল্লাহরে তো একটু ভয় পা! তোদের জন্য যদি দোযখেও ঠাঁই হবে না বলি তাহলে কম বলা হবে। কোনো আল্লাহ-খোদা-ভগবান তোদের কেয়ামত বা পরকালে যে কী করবে তা ভাষায়ও না, কল্পনাও করা সম্ভব না আমাদের সাধারণ মানুষের।
তাই, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি ... সাহস থাকলে পর্দার আড়ালে না থেকে সামনে এসে বাপের বেটা প্রমাণ কর। স্বীকার করে নে তোদের এতো বছরের অপকর্মের কথা। নইলে যেই আল্লাহ-খোদার দোহাই দিয়ে জনগণের সাথে ছলনা করছিস, একদিন সেই আল্লাহ-খোদাই তোদের ছাড়বে না। এখানে তো শুধু সর্বোচ্চ ফাঁসীই হবে ... এ আর এমন কী! সেই তাঁহার আদালতের বিচারে যেই সাজা হবে তা কল্পনাও করতে পারবি না। প্রজন্ম চত্বরের প্রতিবাদের ঝংকারে মুখর বাতাসে যেই ভয়কম্পন হয়, তাতেই যদি লুঙ্গী ভিজিয়ে দিস, তাহলে সেই দরবারে যে কী হবে ... ছ্যাঁ, ছ্যাঁ, ছ্যাঁ

Friday, February 08, 2013

শিহরিত শাহবাগ!

আমি ১৯৭১ দেখিনি। ১৯৫২ও দেখিনি। ৯০-এর গণঅভ্যুথানের সময় এতটাই ছোট ছিলাম যে কিছুই তেমন মনে নেই। স্বাধীনতা বা কোনো দাবী আদায়ের জন্য মানুষের আন্দোলন দেখিনি আমার দুই যুগের বছরগুলোতে।


কিন্তু আজ ঢাকার শাহবাগে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবীতে জন-মানুষের প্রতিবাদ, সমাবেশ দেখে সত্যিই শিহরিত হয়ে উঠছি সুদূর প্রবাসে বসে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যদি সুযোগ থাকত, তাহলে আমিও সেই লাখো লাখো বাংলাদেশীদের মতো শাহবাগের চত্বরে জড়ো হতাম। শ্লোগানের সাথে গলা মিলাতাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ! সেই সুযোগ হয়ত হবে না। কোনো পার্টি, দল বা নেতার আহ্বানে নয়, জন-মানুষের বিবেকের সুরে সুর মেলাতে পারছি না। শুধুই দূরে বসে খবর পড়ছি, দেখছি, জানছি আর সহমত দিচ্ছি।


সত্যিই কোনো নেতা বা দলের নেতৃত্ব বাদে (যদিও মাহমুদুর হক মুন্সী নামক এক ভাই অনলাইনে ব্লগিং এর মাধ্যমে প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত করেন) যে আন্দোলন সম্ভব তা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই মনে হয় প্রথম। মিশরের তাহরীর স্কয়ারে যেমন মানুষ নেমে পড়েছিল স্বৈরাচারী গাদ্দাফীকে ক্ষমতা থেকে নামাতে, ম্যানহাটনের Zuccotti Park এ যেমন সাধারণ মানুষ নেমেছিল Occupy Wall Street নাম নিয়ে বড় বড় ব্যাংকার, মুনাফা লোভীদের বিরুদ্ধে, তেমনি আমার কাছে বাংলাদেশের শাহবাগের এই আন্দোলনও জন-মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলেই মনে হচ্ছে।

এরই মাধ্যমে যদি বাংলাদেশ থেকে জামায়াত-এ-ইসলামী দলটিই মূলোৎপাটিত হতে পারে, তাহলেই আমি মনে করি এই আন্দোলন সফল হবে। কাদের মোল্লারই শুধু ফাঁসী নয়, সাথে সেই সময়কার সকল জামায়াতের, শিবিরের, শান্তি কমিটির কর্মীদের যদি একযোগে ফাঁসী হয়, তাহলেই ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোন শান্তি পাবে।

ইতিমধ্যে এই শিবির, জামায়াত কর্মীরা অনলাইনে নেমে পড়েছে এবং এমনটিও জানা গেছে যে
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে শিবির এর কর্মীরা অনলাইন এ বিভিন্ন ফেক আইডির আড়ালে থেকে আন্দোলনকারি সেজে আমাদের প্রিয় নবী মহানবি (সাঃ) ও ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে করে শাহবাগ এর আন্দোলন এর বিপক্ষে তারা মানুষকে আনতে পারে , কাজেই এখন বিভিন্ন পেজে যদি দেখেন কিছু কিছু লোক ইসলাম কে গালি দিয়ে দিয়ে সাহবাগ এর আন্দোলন এর পক্ষে কথা বলে ভনিতা দেখাচ্ছে বুঝবেন ওই ব্যাটা একটা শিবির , শাহবাগ এর আন্দোলন কে নাস্তিকদের সমাবেশ হিসেবে কালিমা দেবার জন্যই এই স্ট্রাটেজি শিবির গ্রহন করেছে।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে কেমন ঘৃণ্যতম, কটু পথ বেছে নিয়েছে জামায়াত, শিবির।

সবচেয়ে অনুপ্রেরণার কথা হলো এই যে, এই আন্দোলনের সাথে কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের যুক্ত করতে পারছে না, আশা করি পারবেও না। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের হানিফ, সাজেদা খাতুন ছোড়া বোতলের মাধ্যমে জেনে গেছেন এই আন্দোলন থেকে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা তারা নিতে পারবেন না। বিএনপিও সেটা বুঝতে পেরে গেছে, যদিও তারা মনে করছে এটিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন।

শুক্রবারের গণআন্দোলন আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে জেনে খুবই ভালো লেগেছে। আমার চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধব যারা ঢাকায় আছে, তাদের মধ্যে অনেকেই যোগ দিয়েছে এই আন্দোলনে কোনো ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে। যখন তাদের মধ্যে এমন প্ল্যাকার্ড দেখি তখন সত্যিই নিজেকে বাংলাদেশী ভেবে গর্ববোধ হয়। আর আফসোস হয়, যদি থাকতাম ঢাকায় এখন। আর শ্লোগান যখন হয় এমন
বন্যেরা বনে সুন্দর,
জামাত-শিবির পাকিস্তানে।
তখন গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে ওদের বলতে ইচ্ছা করে, 'বের হ তোরা আমার বাংলা মায়ের দেশ থেকে'।

শেখ মুজিব যদিও বলেছিলেন এই বাংলাতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, কিন্তু কালক্ষেপণ করে সে আর করা হয়ে উঠেনি। কিন্তু এবারের গণজাগরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না।

লন্ডনের প্রতিবাদ
জাগরণ যে আজ শুধু ঢাকার শাহবাগেই থেমে নেই, তা আর বলতে হবে না। ইতিমধ্যে লন্ডনে, Texas এর University of Texas-Arlington এ শিক্ষার্থী বাংলাদেশীরাও নেমে পড়েছে প্রতিবাদে।  লন্ডনে আবার নাকি 'সাঈদী তোমার ভয় নেই' শ্লোগান দিয়েও শিবির-জামায়াত কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থাণ নেয় ফাঁসীর পক্ষে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। 

University of Texas-Arlington এর প্রতিবাদ

নিউইয়র্কে এখনো শুনিনি এমন আন্দোলনের কথা। যদি নিউইয়র্ক প্রবাসী কেউ জানেন এমন আন্দোলনের কথা তাহলে জানাবেন। এমন বিপ্লবী ইতিহাসের সাথে যুক্ত হবার সৌভাগ্য যাতে হাতছাড়া না হয়।

Wednesday, January 30, 2013

Running toward destruction...

Ever since Industrial Revolution started in the west, factories & other mills began emitting high levels of CO2. After the west realized the effects of it decades later, other eastern nations began to do the same in their nation. Though the goal was to achieve economic dominance in the world, they all forgot to take note of the environmental effects that can come as a result.

Recently, reports suggest that ozone depletion is at an all-time high rate than ever before. In the two poles, ozone has already depleted to such a level that it may not be long before we start getting fried by our energy source, the sun.

The effects that is taking its toll has begun to happen. In eastern part of the world, mainly China & India, the smog level is rapidly increasing. Smog is a mixture of smoke & fog from the environment. It causes very low visibility & can be cancerous if humans breathe it on a regular basis. Beijing in China is already being threatened for its citizens. Government has urged people to stay indoor as much as possible.

Let's take a look at a comparison of the CO2 emissions (in metric tonnes):
  1. China - 8.7 billion
  2. USA - 5.42 billion
  3. India - 1.97 billion
  4. Russia - 1.83 billion
  5. Japan - 1.24 billion
  6. Germany - 810 million
  7. South Korea - 610 million
  8. Canada - 560 million
  9. Indonesia - 490 million
  10. United Kingdom - 470 million
What caused me to write this today is what I saw in the morning in NYC. While dropping my parents to the train station, I couldn't see even up to half a block. I felt like the visibility is below 100 feet or so. I knew it wasn't fog or anything. It was smog. I deduced to that because I couldn't touch any dew or drops of water.



If that is the case in New York City, which is not even that industrial, compared to other cities in China or India, then I wonder what's going to happen in the near future. Will we be able to breathe fresh air? Or will we have to buy fresh air from the supermarket? Will we be able to go outside without any fear of breathing smog? Or will we go outside like this...?


Monday, January 28, 2013

আমাদের প্রতিজ্ঞা



মেয়েরা যুদ্ধ করে জন্ম নেবার আগে থেকে। মাতৃ গর্ভে থাকা অবস্থায়, মেয়ে ভ্রনটি নষ্ট করার পরিকল্পনা চলতে থাকে। সেই অবস্থা থেকে কোনও ভাবে বেঁচে এসে এই সুন্দর পৃথিবীর স্পর্শ পেলেও অনেক বাবা - মায়ের আদর মাখা স্পর্শ পায় না অনেক মেয়ে সন্তান। কখনো কখনো পৃথিবীর বুকে প্রথম শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার শুরু থেকে অনেকটা সময় ধরে হাসপাতালের নার্সের বুকে অজানা জগতে সময় গুনতে থাকে একটি মলিন স্নেহের হাত এসে বুকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলবে তার বাবা। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। জীবন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো নিজের অজান্তেই আজ এই মুহূর্ত থেকেই। মেয়ে সন্তানের জন্য কে বা কারা দায়ী সেটা নিয়ে কন্যা সন্তানের মা কে প্রতিটা সময় কতো কটু কথা শুনানো হচ্ছে, কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তা কেও ছেড়ে কথা বলতে দ্বিধা করছে না। কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়িতে আসার সাথে সাথে বাবা-মা কে ভাবতে হয় "মেয়েটি কালো হয়েছে, হায় হায় এখন কি হবে"? বিয়ের সময় বিশাল যৌতুকের চাহিদা থাকবে পাত্রের পক্ষ থেকে। আর সুন্দর হলে, "মেয়ের কৈশোর শেষ হবার সাথে সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়াটাই শ্রেয়।" কেন এই ভয় বলতে পারেন?


তারপর, যৌবন এলো মানেই মেয়েটির চরিত্রের উপর যা ইচ্ছে তাই মতকথা শুরু। এখানেই শেষ নয়, একটি মেয়ে কিভাবে খেলো, কি ভাবে দাঁড়ালো, কেমন করে বসলো, কাপড় বা পোশাক কি রকম পরলো। মেয়েদের জন্য এই সমাজ নয়, এই সমাজের জন্য মেয়েরা তৈরি।


রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন বলে উঠল "মালটা দেখেছিস" এখানে দোষটি কার? প্রেম করলো "আরে সাংঘাতিক বাজে মেয়ে বুঝলি, প্রেম করে বেড়াচ্ছে"। "এর সাথে প্রেম করা সম্ভব কিন্তু সংসার করা সম্ভব নয়"। "বিয়ের পর মেয়েরা অত্যাচারিত হয়" দোষ টা আসলে মেয়েটির অবশ্যই ছিল, এক হাতে তালি বাজে না। বর মারা গেলো "মরবেই তো, সারা দিন সাজ গোচ, টাকা পয়সা নিয়ে পরে থাকলে স্বামীর সেবা কে করবে শুনি।"

এগুলো গেলো আমাদের সমাজের টিপিকাল (typical) মানুষের, প্রতিবেশী ও পরিবারের কিছু কথা মাত্র।
আরো রয়েছে -
১ মানসিক - পাশবিক অত্যাচার (রাস্তায় বের হলেই)।
২ ধর্ষণ।
৩ অপহরণ।
৪ ধর্মীয় দিক থেকে আঘাত। ...
Victim সব সময় মেয়েরাই হয়, মেয়ে জাতি নির্যাতিত হচ্ছে আর নির্যাতন করছে পুরুষ।
আমরা খুব সচেতন, সোচ্চার বা প্রতিবাদী কোন নাগরিক না। আমাদের প্রয়োজন আত্মার শুদ্ধতা। আমাদের আশে পাশে, চারিদিকে যে সকল সভ্য, ভালো মূল্যবোধ নিয়ে পুরুষ মানুষ গুলো নিজেদের খুঁটি গেঁথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, হ্যাঁ! তোমাদেরকেই বলছি, "বাবা, ভাই, বন্ধু তোমাদের হাতেই শতকরা বেশির ভাগ শক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য। তোমারা তোমাদের জাতি ভাইদের কে বুঝাও। অন্যায় কি, খারাপ কি, ভালো কি, মন্দ কি। আমরা নারী জাতি তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছি একই সাথে সমাজ কে গড়বো বলে। একই সাথে পৃথিবীকে সাজাবো বলে। হাতে হাত রেখে এক পথের যাত্রী হবার শক্তি আমাদেরও রয়েছে। একটু সুযোগ করে দাও। তোমাদের পথের কাঁটা নয় ফুল হয়ে সুবাস ছড়াবো এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।


(সংগৃহীত) 

Friday, January 25, 2013

নব্য ইসলাম!


আমরা আধুনিক তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজে, হ্যাং আউট, ডেটিং ইত্যাদি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আপন করে নিয়েছি। আমরা কিন্তু ধার্মিকও বটে- ভদকার বোতলে চুমুক দেয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলিনা, ডেটিং শেষে বাসায় যেয়ে ফরজ গোসল সেরে নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে মেনে থাকি। বর্তমান যুগে সবাই ফ্যাশন সচেতন তাই আমিও কিছুটা ফ্যাশন করেছি তারমানে এই না যে রাস্তায় গরীব লোক দেখলে আমরা ঘৃণা করি, আমরা প্রচন্ড দরদভরা কন্ঠে বলি- আল্লা! লোকটা কত গরীব!

জামায়াত শিবিরকে আমরা ঘৃণা করি, এরা আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। কিন্তু জাফর ইকবাল শিবির বিরোধী সহজ কথা বললে আমরা ভাবি- “এই বুঝি জাত গেলরে, ইসলামের শত্রুরা বড্ড বুদ্ধিমান তারা কোন না কোনভাবে ধর্মকেই আঘাত করে” – তাই বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম বলে লেখে ফেলি দীর্ঘ নোট এবং নোটসে লাইক ও শেয়ার দিয়ে বেহেশতে একটুকরো জমি কিনে ফেললাম টাইপ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। নোট লেখক বেজায় খুশি- তার চাল কাজে লেগেছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইরা একদিন না একদিন শিবিরকে ভালোবাসবেই, আমাদের ধর্ম ব্যবসা থাকবে অক্ষুণ্ণ।

আমরা ফেসবুক বসি, কোয়ালিটি টাইম কাটাতে একটু আধটুর সময় পেজগুলোতে লাইক দিতেই পারি। কিন্তু আমাদের লাইকে কিন্তু হাদিসের কথা, নবীদের কথা পেজসমূহ থাকে। এবং লাউয়ের ডগায় আল্লাহু লেখাছাপা ফটোশপে এডিট করা ছবিতে লাইক দিয়ে নেকি কামাই। মাঝেসাঝে রসময় পেজসমূহ ধর্মের নানা ভালোকথা তুলে ধরে পাপ-পুণ্যের হিসেব মেলায়।

আমরা নামাজ পড়তে মসজিদে যাইনা, আমাদের মনে মনে আল্লাহভীতি এমন একটা পর্যায়ের যে আমরা অন্যকে ভয় দেখাতে পছন্দ করি, নিজে ভয় পেলেও শেষবয়সে হাজী হয়ে দুনিয়ায় করা পাজি কাজগুলো রিমুভ করে ফেলবো ইনশাল্লাহ। কিন্তু একটা ছেলে যখন ধর্মান্ধতা নিয়ে কিছু বলবে তাকে প্রথমেই নাস্তিক ঘোষনা করে আমরা আসলে আমাদের দূর্বলতা ঢেকে দেই। ধর্ম খুব সেনসিটিভ ব্যাপার তাই ধর্ম পালন না করে ধর্ম পালন করেনা এমন মানুষের পিছনে লাগি, এটা কিন্তু একপ্রকার জেহাদ।

এলাকায় দুটো মসজিদ আছে, ঈদ বা জুম্মা ছাড়া লোক হয়না। কিন্তু আল্লাহর ঘর যেহেতু তাই আরো কিছু মসজিদ গড়া দরকার, মানুষের থাকার জায়গা না থাকুক সমস্যা নেই, তবে মসজিদ থাকা লাগবেই, ঈদের নামাজে এলাকার বিশিষ্ট সন্ত্রাসী মোটা অংকের চাঁদা প্রদান করে ভালো হয়ে যান। মসজিদে এসি লাগে, টাইলস বসানো হয়। আমরা কালেভদ্রে সেখানে যাই, ইমামসাব এলাকার সমস্যার চেয়ে মুসলিম উম্মাহর বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন, তার কথায় চিৎকার করে উঠি- নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, আমেরিকার দুঃশাসন নিপাত যাক নিপাত যাক।

আমরা বেহেশত খুবই ভালোবাসি, আমরা দুনিয়াও খুব ভালোবাসি। দুনিয়ার ভালো থাকতে হলে একটু আধটু অন্যায় করে ফেলা দোষের কিছুনা, জান বাঁচানোই ফরজ, ফরজ আদায় সবই সহি বলে নিজেদেরকে নিজেরা মুমিন বান্দা বলে ঘোষণা করি। আমাদের ঈমান হালকা তাই পোক্তা করতে আমরা যুদ্ধ করি অন্যের সাথে, নিজের বিবেকের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমরা যোগ্য নই, আমাদের নৈতিকতা বলে কিছু নেই।


(লেখক: Mazhar Mithun)

Sunday, January 20, 2013

Is It Islamization?

A part of Muslims are on the rise with so-called Jihad which is absorbing a lot of extremists. Their radical agenda is to achieve total, absolute Islamic world for all countries. They would use religion to go any extreme without feeling any doubt.

That agenda is being carried out not only in the current Muslim nations at this point, but also in western European countries as well. Already Muslims are becoming a majority minority in Europe. With the rise of their population, their extremist groups are also making those places their depot. The results are also starting to come.

An Indian Hindu student was recently severely attacked in Germany for refusing to convert to Islam. That 24-years old student was approached by some extremist Muslims with the offer to convert to Islam. With his refusal, they cut off his tongue & left him injured in the streets.

Since 1989 after the fall of Berlin wall, about 7,500 Germans were killed by Muslims in their own country. Plus, because Muslims are not willing to adapt to the German culture, Muslims are forcing their lifestyle in Germany. With refusal to adapt to the country they don't belong, they are causing problems for the current German locals.

It's not only Germany that's feeling the extremism of Islam. Recently, Switzerland is facing strong opposition from Muslims in their country to change the flag. The cross sign in the flag of Switzerland is posing a religious issue for the Swiss Muslims. As a result, the country which had the cross sign for over a century is being asked to be removed for some immigrant Muslims who feel that it inhibits in their religious freedom.

The question is, do Muslims feel compelled to change westerners lifestyle instead of changing theirs? Can Pakistan remove its star from its flag? Can Hindus in Pakistan or Bangladesh feel safe in their homeland? Do immigrants like Muslims have the right to change west the way they want? Is it right for the inhibitors (Muslim immigrants) to dictate things in a country/continent in which they are just foreigners/newcomers? Are they trying to uproot western culture, western lifestyle altogether by their invasion of migration to those western countries?

It's not like those westerners can live peacefully in current Muslim nations either. Even a Christian man is not safe to live in Iran. Conversion away from Islam - can cause life in those extremist Islamic nations.

So, what is the goal of Muslims? Extremists? Are they trying to dominate the world by Islamizing the whole population? Are they going for absolute Islamization in all countries? Continents? What would it take to stop them? Who would they listen to? Is this their Allah wanted? Do they have no 'religious tolerance' in their holy religion?