ইনাদের আমরা সুযোগ পেলেই গালমন্দ করি; অভিশাপ দিই। অথচ একবারও চিন্তা করিনা এই মানুষগুলো না থাকলে চুরি-ছিনতাই কি হারে বেড়ে যাবে? মন্ত্রীরা এত প্রটোকল কিভাবে পাবে? ঈদের নামাজ কিংবা পহেলা বৈশাখ শান্তিপূর্ণভাবে কিভাবে উদযাপন করবো? সরকারী চাকুরীজীবীরা শুক্র-শনি ছুটি পেলেও এদের কোন ডে-অফ নেই। এদের কি সংসার নেই? তাদের সন্তানরা বাবাকে কতটা সময় কাছে পায়। অথচ পিতৃস্নেহ অধিকার থেকে নিজেদের সন্তানকে বঞ্চিত করে এরাই হাজারো সন্তানের জন্য রাতজেগে বন্দুক কাঁধে নিয়ে ডিউটি করেন আর নিরবে কান্না করেন। অথচ এদের কান্নার কোন দাম আছে?
পুলিশের মেসের খাবার কেউ একটু খেয়ে দেখবেন? অথচ এরা রাষ্ট্রের অত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে কিন্তু সরকার তাদের মূল্যায়ন করে না। সরকার টাকা দেয় সবুজ উর্দিওয়ালাদের। উর্ধ্বতন অফিসারদের কমিশনের সুবিধা দিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনেন। প্রতিবছর চকচকে নতুন গাড়ি আসে; একটু পুরোনা হলেই গাড়ির চাক্কা বদলে যায়। আর লক্করঝক্করমার্কা গাড়ি নিয়ে ডিউটি করেন টোল্লা! পুলিশ।
এরা রক্ত ঝরায়; সর্বোচ্চ ধৈর্য্য দেখায়। সরকার প্যাদায়; পাতি নেদারা পেদায়। আর আমরা কত রাগ ঝারি। এতমোটা পোষাক পড়ে ঠাঠারোদে একটু ডিউটি করেন; দেখবেন চান্দি গরম হয়ে যাবে। অথচ কাগজ ছাড়া মোটরসাইকেল চালিয়ে বড়ভাইদের ফাপড় নিই। অথচ এই পোষাক পড়ে ডিউটি করুন না একটু।
একাত্তরে সবার আগে রক্ত দিয়েছে পুলিশ। ৮৫৬জন রাজারবাগে শহীদ হয়েছিল। অথচ একজন পুলিশও বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পায়নি। এরা মরে গেলে আমরা সাংবাদিকরা বলি পুলিশ! নিহত। এদের রক্তের দাম কি মূল্যহীন?
সব পেশাকে সম্মান করুন। মানুষের কর্মকে সম্মান করুন।
(সংগৃহীত)