আমরা সচরাচর শুনে আসি ইসলাম মানেই শান্তির ধর্ম। ঐতিহাসিকভাবে এই ধর্মের মানুষ বিশ্বের চারপাশে ছড়িয়েছে। শুধু বসত বাড়ি করেই এরা অভিবাসী হয়নি, তার সাথে সাথে এদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অন্য ধর্মের উপাসনালয়কে ধ্বংস করতেও এদের বাধেনি। অথচ আজকের শিশু-কিশোরদের শিক্ষা দেওয়া হয়, মুঘলদের মতো সম্রাটের যখন ভারতবর্ষ শাসন করেছে, অনেক শান্তিতেই নাকি ছিলো তৎকালীন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এই কি তার নমুনা?
আজকের ভারতের বেশীরভাগ মন্দিরগুলোর আশে পাশে কিংবা মন্দিরের সাথে লাগিয়েই, অথবা মন্দির ভেঙ্গে সেই জায়গাতেই মসজিদ দেখা যায়। উদারপন্থীদের কথা অনুযায়ী মুসলিমরা যদি শান্তিপ্রিয়ই হতো, তাহলে কেন অন্যের ধর্মে আঘাত করে নিজের ধর্ম পালন করে? ওদের কোনো মসজিদ ভেঙ্গে যদি কেউ মন্দির, গীর্জা নির্মাণ করে তখন তাদের মনে কতটা আঘাত পৌঁছবে? আমাদের সুশীল সমাজ কি কখনো এটি ভেবে দেখে? অন্যের উপর কিছু করার আগে কখনো কি ভেবে দেখে ওরা ওদের নিজেদের ওপর এমনটি হলে ওদের কেমন লাগতো?
উল্লেখ্য, কেউ কিন্তু এখানে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিচ্ছে না। পাঠক লক্ষ্য করবেন উপরোক্ত স্থাণগুলোতে মন্দির ভেঙ্গে কিংবা মন্দিরের খুব সন্নিকটেই মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। এটি কতটা সুশোভনের মতো আচরণ? ধর্মীয় স্বাধীনতার এই কি ফল? এটি কতটা শান্তিপ্রিয়? এতে শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটাটা কি অস্বাভাবিক? কোনো উগ্রপন্থী কি তৈরি হবে না এমনতর আচরণে? করবে না ধ্বংসযজ্ঞ সেসব মসজিদে? তৈরি হবে না ঘৃণা-বিদ্বেষ আর চরম শত্রুতার? তখন কেউ কি ভেবে দেখে এর পূর্বের কারণটি?
পাঠক যাচাই করবেন।
(সংগৃহীত)