Showing posts with label war. Show all posts
Showing posts with label war. Show all posts

Wednesday, September 10, 2014

অতঃপর বাঙালি জানল না টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় মারা গেলেন এক অভাগা মুক্তিযোদ্ধা, উক্য চিং!

হ্যাঁ, সেই উক্য চিং, যিনি ১৭৫জন বীরবিক্রমের মধ্যে একমাত্র আদিবাসী, সেই উক্য চিং যার অপারেশনের সাফল্যে মিত্র বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরোরা পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন মুক্তাঞ্চলে তার সাথে দেখা করতে। মাত্র ১৩জন সৈন্য নিয়ে পাকসেনাদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
একবার তিনি সাত আটজন বাঙালি তরুণীর ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত লাশ খুঁজে পান। এর প্রতিশোধে তিনি এক কমান্ডার সহ সাত পাকসেনার লিঙ্গ কেটে রাস্তায় শুইয়ে রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম প্রতিশোধ আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এই কাজটি করে দেখিয়েছেন অগ্নিপুরুষ উক্য চিং!
তারপর কী হয়েছে? সেই উক্য চিংকে আমরা সম্মান জানিয়েছি বিজয় দিবসে বান্দরবানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়ে! তিনি পরে বলেছিলেন, "কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?" [এই অংশের কৃতজ্ঞতা আলী মাহমেদ]
ব্রেইন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দুলাখ টাকা হলে তিনি উন্নত চিকিৎসা পেতেন। কিন্ত হায়! বাঙালি তখন গাজা নিয়ে ব্যস্ত, অনন্ত জলিল ফটোসেশন করে গাজায় টাকা পাঠান, আমরা ফান্ড খুলি "ফিলিস্তিনের জন্য ক্ষতিকর" হামাসকে টাকা পাঠানোর জন্য, অথচ নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাকে দেখার কেউ রইল না। আজ টাকার অভাবে বিনা চিকিতসায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
অবশ্য তাতে কী? নিজের দেশের প্রতি সময় দেবার সময় আছে নাকি আমাদের? আমরা আজ বিশ্ব মানবতার ঝাণ্ডাধারী, দেশের এসব ছোট খাটো ব্যাপার, কোথাকার কোন মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিতসায় মারা গেল তাতে আমার কী? আমার বিশ্ব মানবতা রক্ষা করতে হবে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইজরায়লে এটাক থামাতে হবে। কিন্ত নিজ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যাবে না। হে সিজনাল মানবতাবাদী, আর কত হিপোক্রিসি?
আপনারা সারা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়ে যান আমার কোনো আপত্তি নেই, আমিও আপনাদের দলে। কিন্ত প্লিজ, আগে নিজের দেশটার দিকে একটু তাকান।
যে মানুষগুলা নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন,আপনি তাদের বাঁচাতে কলম ধরতে পেরেছেন কি? সেই মানুষগুলোর দিকে আগে তাকান, একটু অন্তত জন্মযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা দেখান, তাদের সহযোগিতা করুন, প্রাপ্য সম্মান দিন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও যেন টাকার অভাবে মারা না যায়।

(Courtesy - Dipta Akash Roy

Friday, September 05, 2014

Some statistics on Gaza (গাজা সম্পর্কে কিছু পরিসংখ্যান)


গাজা সংক্রান্ত একটি তথ্যবহুল পোস্ট ! এড়িয়ে যাবেন না প্লিজ !
ইস্রায়েলে মুসলিমদের চিত্র :
১৯৪৮ সালে ১৫০,০০০ জন মুসলিম ছিল। আজ ১৬৪০,০০০ জন মুসলিম ইসরাইলে।
আরব দেশ সমূহে ইহুদির চিত্র :
আলজেরিয়া: ১৯৪৮ সালে ১৪০,০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ২৮ জন ইহুদি আছে !
ইরান : ১৯৪০ সালে ১৫০,০০০ ইহুদি ছিল। আজ কোনো ইহুদি নেই !
বাহরাইন : ১৯৪৮ সালে ৬০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ৩৭ জন ইহুদি আছে !
লিবিয়া : ১৯৪৫ সালে ৩২,০০০ ইহুদি ছিল। আজ কোনো ইহুদি নেই !
সিরিয়া : ১৯৪০ সালে ৩৫,০০০ ইহুদি ছিল। আজ কোনো ইহুদি নেই !
টিউনিসিয়া : ১৯৪৮ সালে ১১০,০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ১৭০০ জন ইহুদি আছে !
ইয়েমেন : ১৯৪৮ সালে ৫৩,০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ১০০ জন ইহুদি আছে !
মরক্কো : ১৯৪৮ সালে ২৮৫,০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ৬৫০০ জন ইহুদি আছে !
মিশর : ১৯৪০ সালে ১০০,০০০ ইহুদি ছিল। আজ মাত্র ১৫০ জন ইহুদি আছে !
সৌদি আরব : মধ্য যুগ থেকে কোন ইহুদি নেই।
আরব আমিরাত : মধ্য যুগ থেকে কোন ইহুদি নেই।
অদূর ভবিষতে উপমহাদেশে এই চিত্র আসতে আর বেশি দেরী নেই ! তাই হিন্দুরা আজই প্রস্তুতি নিন !
[তথ্যসূত্র : Google & Wiki]
 

Tuesday, September 02, 2014

Why don't I criticise Israel?

I was going to do a podcast on a series of questions, but I got so many questions on the same topic that I think I’m just going to do a single response here, and we’ll do the ‪#‎AskMeAnything‬ next time.

Thursday, August 21, 2014

হায়রে গাজাবাসী

আমি যদি গাজাবাসী হতে পারতাম তাহলে জীবনের শেষ দিন মানুষের ভালোবাসা দেখে চোখ বন্ধ করতে পারতাম। কিন্তু দুঃখিত আপনাদের সকল কান্নাই আমার ভণ্ডামো মনে হয়। গত বছর ১২০০ আদিবাসী নিজের ভূমি ছেড়ে ভারতের সীমানায় আশ্রয় নেয়। ২০০১ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছুতায় এই দেশের অমুসলিমদের বাড়ি ঘরে, মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছে তাদের ভূমি দখল করা হয়েছে। ৭০ সালে এদেশে ভিন্নধর্মী জনসংখ্যা ছিল ৩০% বর্তমানে তা ৮% এর মতন। সেটলারদের দিয়ে প্রতিনিয়ত আদীবাসি ভূমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন ছুতোয় বিভিন্নভাবে আঘাত করেছেন, হত্যা করা হচ্ছে। অথচ বেশিরভাগ মানুষই এর বিরুদ্ধে একটা লাইনও লিখেননি। একটা ‪#‎ট্যাগ‬ ও দেন নি। এই #ট্যাগ বা একটি লাইন এর হয়তো কোন শক্তি নেই। দানবের সামনে এই #ট্যাগ একটি বালির ঘর। কিন্তু জনাব, তখন আপনারা চুপ ছিলেন। এবং এও জানি ভবিষ্যতেও থাকবেন। মাঝে মধ্যে মনে হয় গাজাবাসী হলে অন্তত কিছু মানুষ (!) দেখতে পারতাম; যারা দানবের বিরুদ্ধে কথা বলে। শুধু ইসরাইলের সেনাবাহিনীর হাতে না একটু লক্ষ্য করে দেখুন আপনারা হাতেও একই রক্ত লেগে আছে।

(সূত্র