Showing posts with label worship. Show all posts
Showing posts with label worship. Show all posts

Tuesday, September 16, 2014

যুদ্ধপূর্ববর্তী রমনা কালী বাড়ি


আজ যে ছবিটি আপনাদের দেখাব সেটা বাংলাদেশের ঢাকা শহরের খুব বিখ্যাত একটি জায়গা। ১৯৭১ সালে জায়গাটির নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান যা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত।ছবিতে দূরে যে মঠ সদৃশ মন্দিরটি দেখছেন ওটাই সেই বিখ্যাত রমান কালী বাড়ি।

রমনা কালী মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন বলে বিশ্বাস করা হয় এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।এই মন্দিরটিরও একটা গল্প আছে। একবার নাকি নেপাল থেকে দেবী কালীর একজন ভক্ত এসেছিলেন। তিনিই তৈরি করেছিলেন এই কালী মন্দির। ঢাকা শহরের অন্যতম পুরোনো আর বনেদি এই কালী মন্দিরটি পরে ভাওয়ালের রানী বিলাসমণি দেবী সংস্কার করেন।মোঘল আমলের শেষ দিকে মোঘল সেনাপতি মান সিংহের সহযোগিতা ও বার ভূঁইয়ার অন্যতম কেদার রায় এর অর্থে শাহবাজ মসজিদের উত্তর দিকে হরিচরণ গিরি ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন কৃপা সিদ্ধির আখড়া যা পরবর্তীতে ভদ্রাকালী বাড়ী এবং পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয় রমনা কালী মন্দির হিসেবে।

ঊনিশশো একাত্তর সালের ছাব্বিশে মার্চ সকাল এগারোটার দিকে পাকিস্তানি সেনারা এই আশ্রমে প্রবেশ করে। পুরো আশ্রম ঘেরাও করে এরা লোকজনদের আটকে রাখে- বের হতে দেয় না কাউকে। সে সময় এই পিশাচদের সাথে ছিলো পুরোনো ঢাকা থেকে ১৯৭০ এর নির্বাচনে পরাজিত মুসলীম লীগ প্রার্থী পাকিস্তানি সামরিক জান্তার অন্যতম দোসর খাজা খায়েবউদ্দিন। প্রধানত এই হিংস্র জানোয়ারের তৎপরতায়ই ২৭ মার্চের গভীর রাতে রমনা কালী মন্দির ও শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রমের হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

২৭ মার্চ গভীর রাতে সান্ধ্য আইন চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মন্দির ও আশ্রম ঘেরাও করে। সেনাবাহিনীর সার্চ লাইটের আলোতে গোটা রমনা এলাকা আলোকিতো হয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। রমনা কালীমন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেয় এই অসভ্য বর্বর সেনাবাহিনী।মন্দির তারপর গোলাবর্ষণ করে- মন্দির ও আশ্রম পরিণত হয় এক ধ্বংসাবশেষে।

সেখানেই তারা হত্যা করে রমনা কালী মন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরিকে। ইতিহাস পাঠে জানা যায়- এই সাধক মৃত্যুর আগে আশ্রমের অন্যান্যদের উদ্দেশে বলে গিয়েছিলেন- আমি তোমাদের বাঁচাতে পারলাম না, কিন্তু আশীর্বাদ করি- দেশ স্বাধীন হবেই। সব শেষে বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয় পুরো মন্দির। (ছবিতে সাদাকালো অংশ ধ্বংস হবার আগের মন্দির) । রমনার কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে একাত্তরের শহিদ হয় শতাধিক ভক্ত ।

পাক সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে ‘৭১’র রমনা কালি মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমটি দুটি ধ্বংস করেছিল। কিন্তু তা আজও নির্মাণ হয়নি। এই মন্দিরটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ২য় বৃহত্তর জাতীয় মন্দির। অবিলম্বে এই মন্দিরটির জায়গা ও মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাই। 


(সূত্র

Tuesday, September 09, 2014

ভারত-বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন


চলতি পথে ইদানীং বেশ কিছু বরাহ শাবকের দেখা পাচ্ছি যেগুলো বিভিন্ন সময় বলার চেষ্টা করে বা বোঝাবার চেষ্টা করে কিংবা স্রষ্টা প্রদত্ত লজ্জা নামক বিষয়টি ছুড়ে ফেলে বলেই ফেলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা নাকি ভারতের মুসলিমদের থেকে ভাল আছে। এই অমানুষ গুলো শুধু এটুকুই বলে না আরও বলে বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের উপর কখনও নির্যাতন করা হয় না বা সামান্য কিছু নির্যাতন ছাড়া আর কখনও হয়নি।এই সকল নির্লজ্জ বেহায়া প্রজাতির বরাহ যারা নিজেদেরকে মনুষ্যগর্ভে জন্মগ্রহন কারী বলে দাবী করে তাদের মুখের উপর এই লেখাটি ছুড়ে দেবেন।